না বললেও ভালোকিন্তুবাসি !! Part- 19
.
কামরান হাহা করে হেসে উঠলো।
মোহনা : 😀।
কামরান : তো সেলামিতে কি লাগবে মামনি? টাকা না চকোলেট?
মোহনা : এই মুহুর্তে টাকা। কারন জল্লাদ জামাই আমার হাতে টাকা দেয়াই বন্ধ করিয়ে দিয়েছে আমি চিনি , অর্থি ওদেরযে সেলামি দিবো সেটাও পারছিনা। 😔।
কামরান : এতো সাহস আমার মামনিকে টাকা দেয়না… সাগর you have to be punished…
সাগর : কেন দেইনা সেটা তো জানোনা….
কামরান : জানতে চাইও না।
কামরান মোহনাকে সেলামি দিয়ে ওর মাথায় চুমু দিলো।
.
আশা :সেই তো মোহনাকে দেখে ঠিকই হাহা করে হাসলে । তাহলে শুধুশুধু কালকে থেকে এমন ঢং ধরে আছো কেন? রাগারাগি হ্যানত্যান।
কামরান : তো কি করবো? রাগারাগি না করলে কি ওরা আসতো নাকি ?ঈদের আনন্দ কি না একা একা করবো?
মোহনা : হ্যা ঠিকই তো। আমারও গ্রাম দেখা হয়ে যাবে। awwwe ki cute…
সাগর : ওই awwe ki cute এর গোডাউন ৪-৫দিন পরই চলে যাবো। বুঝেছো?
কামরান : সাগর… এখন মোহনা তোমার ছাত্রী না। স্ত্রী। সম্মান দিয়ে কথা বলো।
সাগর : sorry কাকা।
কামরান : হামম। আর মামনি…
মোহনা : জী কাকা…
কামরান : যে ডিসিপ্লিন আমার কাছে অনেক কিছু মিন করে।
মোহনা : হামম।
কামরান : এর নরচর হলে আমার মাথা ঠিক থাকেনা।
মোহনা : হামম।
কামরান : তাই… একটু কেয়ারফুল থাকতে হবে।
মোহনা : হামম।
শিখা : নোবেল কোথায়? এখনো দেখা হলোনা।
সাগর মনে মনে: ওই হারামজাদাটা না থাকাই ভালো। লুচু ১টা…
আশা : ওই সাহেব তো বাইক নিয়ে বেরিয়েছে।
শিখা : ওকে যে দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে। ২টা বছর পর দেশে ফিরলো। ভাবলাম এসেই দেখবো…
তখন নোবেল এলো।
নোবেল : এই তো আমি এখানে কাকীমা…
.
নোবেল গিয়ে শিখাকে জরিয়ে ধরলো।
নোবেল : missed u কাকীমা… তবে তুমি কিন্তু আরো beautiful হয়ে গেছো।
শিখা : তাই বুঝি?
নোবেল : হামম। আরে সাগর bro… whats up…
সাগর : nice…
রেদোয়ান : নোবেল… meet মোহনা… সাগরের বউ…
নোবেল মনে মনে : wow… too hot… এই তবে মোহনা… ইশ.।। এ তো আমারই বউ হবে।
বর্ষা : কি ভাবছো?
নোবেল : কাকা… বউ না বলো হবু বউ।
কামরান : জী না হবু বউ না। হয়ে যাওয়া বউ।
নোবেল : মানে?
আশা : মানে হলো সাগর মোহনার বিয়ে গেছে।
নোবেল : what? কবে?
সাগর মনে মনে : যবে মনে হয় তবে হয়েছে। তোর কি রে?
শিখা : ২দিন আগে।
নোবেল : এই beautiful cute baby টাকে তো তাহলে welcome জানাতে হয়।
বর্ষা : দারান দারান দেবরজী… মোহনা আপনার ভাবিনা ছোটো ভাইয়ের বউ। মানে বোন ।
নোবেল : হামম।
মনে মনে : বোন my foot..
নোবেল : হামম। bro দের বছরের বড় আমি। আর আমাকে টপকে তুমি বিয়ে করলা? not done.. whatever ভালোই হলো ভাবি ডাকতে হবেনা। আমি তোমাকে বেবি বলে ডাকবো। ok? কারন তুমি অনেক কিউট আর ছোট। তাই বেবি is ok…
সাগর মনে মনে : অসভ্য।
.
রাতে…
সাগর রুমে গেলো। দেখলো মোহনা চিনি, অর্থি , রিহান ৩বাচ্চাকে নিয়ে বেডে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
রিহান: একি ছোটচাচ্চু… তুমি এখানে? আজকে তো আমরা মিষ্টি কাকীর সাথে এখানে থাকবো। তুমি বড়চাচ্চুর রুমে যাও না হলে অন্যরুমে।
মোহনা : হ্যা হ্যা যান যান।
তখন ওখানে নোবেল এলো।
নোবেল : হ্যালো। whats up…
চিনি : দারুন।
নোবেল : বাচ্চা পার্টি আমার বেবির রুমে ?
অর্থ : হ্যা মামা… আজকে আমলা মামপাখিল সাথে ঘুমাবো। ☺।
নোবেল : ওহ… 😏.. ok.. good night …
নোবেল বেরিয়ে গেলো।
সাগর : নোবেল…
নোবেল : আরে বল।
সাগর : মোহোকে বেবি বলে ডাকবিনা ।
নোবেল : but why bro?
সাগর : বলবিনা বলেছি তাই বলবিনা।
নোবেল : আমি তো বলবোই। bye… sweet dream…
নোবেল চলে গেলো।
সাগর : আজকে যদি রাতে আমি মোহোর কাছে না থাকি তবে যদি নোবেল…
শিখা : সাগর…
সাগর : আরে মামনি।
শিখা : এখানে আসো…
সাগর গেলো।
শিখা : দেখো ৪-৫দিনের জন্য আমরা এখানে এসেছি। এরমধ্যে থেকে ১দিনতো চলেই গেলো। আর ২দিন আছে। আমি চাই ভালোভাবে এই ২দিন পার করে ঢাকা back করতে। কোনো ঝামেলা ছারা। ঝামেলা হওয়া মানেই কিছুদিন পর আবার মিষ্টিকে নিয়ে এ বাড়িতেও ওই stupid মার্কা অপয়া অলক্ষী কথা শোনার ইচ্ছা আমার নেই । মিষ্টিকে আমি আর কষ্ট পেতে দিতে চাইনা।
সাগর : হামম মামনি।
শিখা চলে গেলো।
সাগর : আজকে মোহো বাচ্চাদের সাথে একা রাখা যাবেনা। আপুকে গিয়ে বলি।
সাগর শ্রাবনীকে গিয়ে বলল। শ্রাবনী বাচ্চাদের বের করিয়ে আনলো।
.
একটুপর…
সাগর রুমে ঢুকলো।
মোহনা : 😒।
সাগর : now what?
মোহনা :কেন যেন আমার 6th sense বলছে যে শ্রাবনী আপুর action এর আড়ালে আপনার reaction আছে মিস্টার জল্লাদ ।
সাগর :ওয় মিসেস নাগিন i am tooo much sleepy.. তাই বকর বকর বন্ধ।
বলেই সাগর শুয়ে পরলো। দরজাও লক করলোনা। ইচ্ছা করে unlock রাখলো । মোহনাও লাইট নিভিয়ে গিয়ে কেবলমাত্র শুলো। তখন সাগর ১টানে মোহনাকে টেনে বুকে নিলো। আর জানে যে মোহনা এখন চেচাবে। তাই মোহনার মুখে হাত দিলো। যার কারনে মোহনার চিল্লানোতে আওয়াজ হলোনা।
সাগর : একদম চিল্লাবানা… বুঝেছো?
মোহনা মাথা নেরে না করলো। মানে ও চিল্লাবেই ।
সাগর : তাহলে তোমার মুখ থেকে হাতও সরাবোনা। চিল্লাবা?
মোহনা মাথা নেরে বলল যে ও চিল্লাবেনা।
সাগর : good…
সাগর মোহনার মুখ থেকে হাত সরালো ।
মোহনা : কেউ এমন করে মুখ চেপে ধরে? দম নিতে পারছিলাম না। আর আপনি always এমন গরুর মতো টানাটানি করেন কেন? আর ছারুন আমাকে ।
সাগর : no… আজকে এভাবেই ঘুমাতে হবে?
মোহনা : what? মোটেও না। ছারুন আমাকে।
সাগর : আর ১টা কথা বললে কিন্তু কপালে দুঃখ আছে। পিটানো শুরু করবো।
মোহনা : 😒।
সাগর : now… কিছু কথা বলবো । শোনো…
মোহনা : huh…
সাগর : নোবেল থেকে দূরে থাকবে ।
মোহনা : কেন?
সাগর : বলেছি তাই।
মোহনা : whatever … নোবেল ভাইয়াকে বলে দিবেন যেন আমাকে বেবি না ডাকে। i just hate the word…
সাগর : ok… কিন্তু তুমি ওর থেকে দূরে থাকবে। হামম?
মোহনা : হামম।
সাগর মোহনাকে গল্প শোনাতে লাগলো । মোহনা ঘুমিয়ে পারলো।
কিন্তু সাগর তো ঘুমায়নি। ও তো চোর ধরার আশায় বসে আছে। তাইজন্য তো দরজাটাও লক করেনি । সাগরের আন্দাজ মতোই হলো। ।
.
রাত সারে ১২টা…
নোবেল রুমের দরজা চেক করে দেখলো যে দরজা খোলা।
নোবেল : oh my… দরজা তো খোলা।
নোবেল ভেতরে ঢুকলো । নোবেলকে ঢুকতে দেখে সাগর blanket মুরি দিলো।
সাগর মনে মনে : আসো চান্দু আসো। তখন থেকে wait করছি।
নোবেল : আজকে ঘরটা একটু বেশিই অন্ধকার লাগছে । ওহ… দক্ষিনের জানালাটা বন্ধ আর বেলকনির লাইটও বন্ধ । তাইজন্য ।
নোবেল বেডের দিকে গেলো।
নোবেল : বেবি… বেবি… ওঠো সাগর ডাকছে। wait করছে । আমরা ৫-৬জন মিলে যাবো লং ড্রাইভে ।
সাগর :oh really ?
নোবেল অবাক হয়ে গেলো ।
সাগর blanket টা খুলল।
নোবেল : ততততুই?
সাগর : yeah bro… আমার বউর রুমে আমি থাকবোনা তো কে থাকবে?
নোবেল : ….
সাগর : তুই বেরিয়ে যা… কালকে সকালে তোর সাথে personally কথা বলবো। out…
নোবেল বেরিয়ে গেলো।
সাগর : তোকে জানে মেরে ফেলতে ইচ্ছা করছে… stupid … কালই চলে যাবো।
.
সকালে…
সাগর : মামনি… মামনি…
শিখা : কি রে কি হয়েছে ?
সাগর : আমি আজই এখনই মোহোকে নিয়ে ঢাকা back করবো। তোমরা থাকো।
শিখা : সেকি কেন?
সাগর : admission test is not a joke…
শিখা : কালকে যাবে। আজকে যেতে পারবেনা।
সাগর : কেন?
শিখা : কারন আজকে তোমার গ্রামের লোকদের invite করেছে as usual …
সাগর : প্রতিবারই তারা আসে। আর আমি না থাকলে কিছুই হবেনা।
শিখা : তুমি না থাকলে কিছুই হবেনা কিন্তু মিষ্টি না থাকলে অনেক কিছু হবে।
সাগর : মানে?
শিখা : মানে আজকে কেবল তারা দাওয়াত রক্ষা করতে আসবে না। অনেকে বাড়ির ছোটবউকেও দেখতে আসবে।
মোহনা : আমাকে ডাকছিলে ছোট.. শাশুড়ি আম্মু।
শিখা : হ্যা মামনপাখি । আজকে এই শাড়ি আর হালকা পাতলা গহনা পরতে হবে । প্লিজ…
মোহনা : 😱। শাড়ি গহনা… youck… তাও লাল শাড়ি।
সাগর জানে যে মোহনা শাড়ি পরা মানে শাড়ির সাথে যুদ্ধ করা। শাড়ি পরবে ভালোমতোই । আধাঘন্টা ভালোই থাকবে। কিন্তু আধাঘন্টা গেলেই সব লন্ডভন্ড। আর শাড়ি পরলে মোহনাকে সুন্দরও লাগে । নোবেল না থাকলে সাগরের কোনো ঝামেলা মনে হতো না। কিন্তু নোবেলের জন্য…
সাগর : কেন শাড়ি পরবে কেন? শাড়ি পরার দরকার নেই। ভারি কোন থ্রীপিছ পরুক। জানোই তো ও handle করতে পারেনা।
শিখা : জানি। কিন্তু আজকে তো পরতেই হবে।
সাগর : না মানে না।
তখন রিহান এলো।
রিহান : ছোটচাচ্চু…
সাগর : হ্যা।
রিহান : ছোটদাদুভাই তোমারে ডাকছে।
সাগর: হামম। & you শাড়ি পরলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা।
সাগর চলে গেলো।
মোহনা মনে মনে : যাক শাড়ি পরতে হবেনা।
শিখা : মামনপাখি…
মোহনা : হ্যা শাশুড়িআম্মু…
শিখা : আজকে শাড়িটা পরোনা মামনি। আজকের পর আর কখনো বলবোনা ।
মোহনা : জল্লাদ যে না করলো। বকা দিলে…
শিখা : আমি আছি না? চল আমি পরিয়ে দিচ্ছি।
মোহনা : না না… আমি পরে নিবো। 😅।
.
সাগর fresh হতে এসে দেখে মোহনা লাল টুকটুকে শাড়ি পরে গহনা গাটি পরে আয়নার সামনে দারিয়ে নিজেকে দেখছে। আসলে মোহনা দেখছে ভুলেও কোনো জায়গা দিয়ে কোমর বা পেট দেখা যাচ্ছে কিনা? দেখা গেলে ওর কপালে বড় বড় দুঃখ আছে। সাগর কেবল মোহনাকে পিছন থেকেই দেখলো। মোহনাকে শাড়ি পরা দেখে সাগরের মেজাজ গেলো গরম হয়ে ।
সাগর : একে তো আজকে আমি…
সাগর মোহনার হাত টেনে ওর দিকে ঘুরালো।
সাগর : কোন সাহসে তুমি শাড়ি পর….
আর বলতে পারলোনা। কারন মোহনাকে অস্বাভাবিক সুন্দর লাগছে। আর সাগরও এই প্রথম মোহনাকে এমন বউ বউ সাজে দেখলো। মোহনাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলো। perfect বউ লাগছে। সাগর মুচকি হাসি দিলো ।
সাগর : something is missing …
মোহনা : মোটেও না আমি টিপ দিয়েছি। এই দেখুন।
সাগর : টিপ না কালো টিপ।
বলেই সাগর মোহনার চোখ থেকে কাজল নিয়ে ওর কানের পিছে লাগিয়ে দিলো । এরপর মোহনার ২কাধে ২ হাত রাখলো।
মোহনা : আপনি আবার আমার কাধে হাত রাখলেন কেন?
সাগর : u shut up… আমার বউ আমি রাখবো তোমার কি ?
মোহনা : 😒।
সাগর : ভীষন সুন্দর লাগছে।
মোহনা : আমি জানি… ☺…
সাগর মুচকি হেসে মোহনার কপালে কিস করলো।
সাগর : আজকে ১টা কথা বলতে চাই। যেটা কোনোদিনও বলিনি।
মোহনা : কি? 🔍🔍🔍।
সাগর : i love you… মিসেস red rose….
মোহনা : 😱।
সাগর মোহনার নাকে নাক ঘষে washroomএ চলে গেলো।
মোহনা : মিসেস রেড রোজ ? কিন্তু আমি তো মিসেস নাগিন ছিলাম। তবে? আর তাছারাও i love you বলল কেন?
তখন শ্রাবনি এলো।
শ্রাবনি : মিষ্টিপাখি মোহোপাখি… রেডি?
মোহনা : হামম।
শ্রাবনি : মাশাল্লাহ কি সুন্দর লাগছে। নজর না লাগুক। চলো চলো…
মোহনা : হামম।
.
সবাই আসছে মোহনার সাথে পরিচিত হচ্ছে ওকে দেখছে তারিফ করছে চলে যাচ্ছে । না হলে মহিলা মহিলা আড্ডা চালু করছে । কিন্তু মোহনার মাথায় সাগরের i love you বলাটা ঘুরছে।
মোহনা মনে মনে : উফফ নিজেকে তাজমহল মনে হচ্ছে । ধুর।
তখন ওখানে নোবেল এলো। এসে সবার সাথে কথা বলতে লাগলো।
একটুপর থেকে মোহনার মনে হতে লাগলো নোবেল ইচ্ছা করে ওর গায়ের ওপর পরছে। ওকে টাচ করছে। মোহনার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
মোহনা : নোবেল ভাইয়া… আপনি কি সোজা হয়ে দারাতে পারেননা? আপনার কি মেরুদন্ড নেই?
.
চলবে….