না বললেও ভালোকিন্তুবাসি !! Part- 15

সাগর মনে মনে : control yourself … এটা মোহনা। যেকোনো কিছু ঘটতেই পারে। অবাক হওয়ার কিছু নেই।
রুনা : আচ্ছা ভাইয়া আপনি কি সত্যি এই stupid মেয়েটার bf?
সাগর : mind your language … এরপর থেকে মোহোকে কিছু বলার আগে ১০বার ভাববে। আমি সব মেনে নিতে পারি কিন্তু মোহোর বিরুদ্ধে কোনো কথানা। বুঝেছো?
রুনা : ….
সাগর : আমি আজকে এখানে এসেছি। ভেবেছিলাম তোমাদের সবাইকে মানে মোহোর friendদেরকে ট্রিট দিবো। কিন্তু তুমি … bf কথাটা তোমার বা তোমাদের জন্য কি? relationship টা কি? ভালোবাসাটা টা কি? আমি সাগর আর ও মোহনা। we are connected … & we have to be connected … ও আমার মোহো। বুঝেছো। চলো বেবি। চলো রিতু…
মোহনা : বেবি বেবি বেবি… এদেরকে ছোটমোটো কফির ট্রিট দিয়েই দ…দাও।
সাগর : বলছো?
মোহনা : হামম।
সাগর : ok… তুমি বললে জান হাজির।
সাগর ওদের ১০-১২জনকে নিয়ে ১টা কফি শপে গেলো
.
রাতে…
মোহনা : ওই রুনা লায়লাকে কি শাস্তি দেয়া যায়? ভাব মোহো ভাব… পেয়েছি… boys কলেজে এ গিয়ে ওদের সামনে অপমান করবো। 😎। কিন্তু কিভাবে অপমান করবো? পেয়েছি পেয়েছি ।boys কলেজে 1st & 2nd year এর অনেক ভাইয়াদের সাথে ওর relation আছে। যেটা সবাই জানেনা। তাদেরকে তো এ কথা জানতে হবে। যে রুনা তাদের সাথে double cross করছে। বাহ মোহনা চৌধুরা বাহ তোমাকে নোবেল দেয়া দরকার। তবে আরো ১টা কথা জল্লাদকে কিছুদিন জামাই সাজিয়ে রাখতে হবে। না হলে ওই রুনা লায়লা… এ্যাহ রুনা লায়লা… রুনা লায়লা ম্যাম awwwe ki cute… টুনা… টুনা ফিস। 😂। কিন্তু জল্লাদকে জামাই!!! ভাবা যায়।
পরদিন মোহনা রুনাকে boys কলেজে নিয়ে ওদের সামনে expose করে দিলো। আর রুনাকে দেখানোর জন্য বেচারি মোহনাকে সাগরকে বারবার জামাই ডাকতে হলো। যার জন্য মোহনার মুখে সাগরের নামের জায়গায় ” আমার জামাই ” কথাটা স্থান করে নিলো। এমনকি বাসায়ও সাগরকে আমার জামাই আমার জামাই বলে। 😕।
.
মোহনার জন্মদিনে…
মোহনার জন্মদিন ঘরোয়াভাবেই বেশ ভালোভাবে পালন করা হলো। অনেক cute cute gift পেলো। কিন্তু এবার সাগর কোনো gift দিলোনা।
সাগর : জিজ্ঞেস করবেনা যে কোনো gift কেন দিলাম না?
মোহনা : না…
সাগর : তুমি sscতে ভালো ১টা result করেছো । তাই আমি নিজেকে কথা দিয়েছি তোমার এই birthday তে তোমার পছন্দ অনুযায়ী gift দেয়ার চেষ্টা করবো। আর সেই সাথে আমার gift ও দিবো। ২টা একসাথে।
মোহনা : সত্যি?
সাগর: এখন বলো তোমার কি gift লাগবে?
মোহনা : কিছুনা…. ☺।
সাগর : নতুন কিছু।
মোহনা : তাহলে let me ভাবিং ভাবিং…
সাগর : ok ভাবো। কাল পর্যন্ত ভাবো। আসি এখন।
মোহনা: হামমম।
সাগর মোহনার কপালে ১টা কিস করে চলে গেলো।
মোহনা : কি চাওয়া যায়? কি চাওয়া যায় ? ধুর ঘুম পাচ্ছে। আগে ঘুমিয়ে নেই ।
মোহনা ঘুমিয়ে পরলো। রাত ২টায় উঠলো। খেয়ে দেয়ে ভাবতে শুরু করলো যে কি চাওয়া যায়।
মোহনা : পেয়েছি।
.
পরদিন…
সাগর:মিস নাগিন আপনার কি লাগবে ? কি চান ?
মোহনা : আমি বাঘের শরীরে হাত বুলাতে চাই…
সাগর : হাম… কি? 📢📢📢।
মোহনা : বাবাগো…. আমার কান… এতো চিল্লান কেন?
সাগর : তুমি কি চাইলে ?
মোহনা : বাঘের শরীরে হাত বুলাতে। ওদের শরীর মনে হয় অনেকবেশি softy softy….
সাগরের অজ্ঞান হওয়ার হাল।
মোহনা : কি হলো?
সাগর : কিছুনা….
মনে মনে : মানুষ পায়ে কুড়াল মারে আর তুই কুড়ালের মধ্যে ২পা মারলি। যথারীতি কুড়ালের মধ্যে দারিয়ে গেলি।
সাগরের চেহারা দেখে ভীষন হাসি পাচ্ছে ।
মোহনা মনে মনে : দ্যাখ কেমন লাগে… খালি আমার লেগ পুল করা না ? কি লাগবে কি লাগবে? এখন এটা লাগবে । দে এবার । 😁।
মোহনা : ও জাম… মানে ও সাগর….
সাগর : হামম।
মোহনা : বলুন না কবে হাত বুলাবো।
সাগর : আচ্ছা শোনো… আমাদের দেশে না বাঘেদের টাচ করার কোনো সিস্টেম নেই।
মোহনা : তো? আমি ধরবো ধরবো ধরবো…
সাগর : দেখো বাইরের দেশে লাইক ইউরোপের দেশগুলোতে তারথেকেও বেশি আফ্রিকা আর অ্যামাজনের অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলো তে বাঘ টাচ করার সুযোগ পাওয়া যায়। কিছু trained বাঘ থাকে।
মোহনা : আমি ইউরোপ আমেরিকা বুঝিনা। আমি ধরবো ব্যাস।
মনে মনে : নাগিন dance দিচ্ছে।
সাগর : ভাবতে দাও। আসছি। bye…
সাগর চলে গেলো। আর সাগর চলে যেতেই মোহমা উরাধুরা নাচতে লাগলো।
মোহনা : সাগর চৌধুরী হয়ে ছাগল চৌধুরী… এমন মজা হয়না গায়ে সোনার গয়না…
না না এখানে অন্য লাইন হবে ।
এমন মজা হয়না …
জল…
তাকিয়ে দেখে সাগর দারিয়ে আছে।
মোহনা : 😓।
সাগর ভুলে mobile টা ফেলে গিয়েছিলো। সেটা নিতে এসেই বুঝলো যে সব মোহনার দুষ্টুমি। সাগর বাকা হাসি দিয়ে আগে বারতে লাগলো।
মোহনা মনে মনে : নাউযুবিল্লাহ…
সাগর : বাঘের গায়ে হাত বুলাবে?
মোহনা : এমা না… বাঘ কি সেটাই জানিনা। চিনিনা…😅..
সাগর মোহনার কান টেনে
বলল : নাগিন কোথাকার…. চাওয়ার মতো কিছু চাওয়া যায়না?
মোহনা : আমার তো সবই আছে । কি চাবো?
সাগর : হায়রে নাগিনরে।
সাগর মোহনার কান ছেরে দিলো। এরপর ছোট ১টা gift করলো।
সাগর : এটা আপনার birthday gift। খোলেন।
মোহনা খুলল। ১টা চেইন পেলো। চেইনের মাঝে কিছু লেখা আছে। তাতে মোহনার কোনো interest নেই। কারন jewelry মোহনার আর মোহনা jewelryএর ১২জনমের শত্রু। তাই শুকনো ১টা হাসি দিয়ে
বলল : thank you….
সাগর মুচকি হেসে চেইনটা বের করে সেই লেখা দেখিয়ে
বলল : দেখেন মিস নাগিন… কি লেখা?
মোহনা দেখলো “Shahona” লেখা।
মোহনা : shahona কার নাম? আপনার কোনো gf?
সাগর : stupid … shahona মানে হলো তুমি আর আমি।
মোহনা : মানে?
সাগর : মানে হলো shagor + mohona = shahona….
মোহনা : 😵🐸🐍😕
সাগর : হাহাহাহাহা।
.
কিছুদিন…
মোহনার ছোট কারা উজ্জল খানের শশুড় বাড়িতে…
তার ছোট শ্যালকের বিয়ে।
মোহনা : ধুর ভালো লাগেনা। জল্লাদ জামাই ছারা life টা কি boring লাগে। মিষ্টিতে মিষ্টিতে diabetes এর মতো। ধুর ভালো লাগেনা। আচ্ছা এই দিঘীটা এতো cute কেন? কি বড় … কতো fresh পানি … আচ্ছা টিভিতে তো দেখায় যে পানিতে লাফ দিয়ে অনেকে suicide করে। আর মরে যায়। আর মরতে মরতে বেচে যায়। কিন্তু এই বাড়ির পিচ্চি গুলো দেখি রোজ লাফ দেয়। কিন্তু এদের তো কোনো ঝামেলা হয় না… এটাকি তাহলে অলৌকিক দিঘী? এককাজ করি আমি ঝাপ দিয়ে দেখি…
মোহনাও ঝাপ দিলো। কিন্তু ওতো আর সাতার জানেনা ডুবে যেতে লাগলো । সৌরভ এসে উদ্ধার করলো। আর মমতা খানের অপয়া অলক্ষি শুরু হয়ে গেলো।
.
মোহনার 1st year এর final exam এর পর…
মোহনা : আপনি আমাদের ২জনকে এমন কয়েদিদের মতো বসিয়ে রেখেছেন কেন?
রিতু :ভাইয়া কোনো serious কিছু?
সাগর : its about your career … আমার কথা ঠান্ডা মাথায় শোনো।
মোহনা : তাহলে তো ice bag লাগবে…
সাগর : 😤😤।
রিতু :চুপ থাকনা।
মোহনা : huh…
সাগর : রিতু তুমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাও ? আর মোহো তুমি ডক্টর ?
২জন : হামম।
সাগর : ok fine… যদি আমি class 9 থেকে এই exam পর্যম্ত তোমাদের result যদি দেখি তাহলে যেটা দোখে পরছে সেটা হলো এই যে… রিতু chemistry & whole biology তে তোমার marks average 95-97% …
মোহোর থেকে ২-৩% বেশি। আর physics & math-higher math এ তোমার marks average 88-92%… মোহোর থেকে কম। .. আর মোহোর physics & math-higher math. এ marks 96-99% তোমার থেকে বেশি। আর biology & chemistry তে 91-93% । তোমার থেকে কম। মোহোর result ওকে বুয়েটের দিকে টানছে। আর তোমারটা মেডিকেলে। তো তোমরা আরো ১বার ভেবে দেখো যে তোমরা এখনও কি চাও? aim change করতে চাও।
২জন : না…
রিতু : ইঞ্জিনিয়ারিং আমার ড্রিম।
মোহনা : মেডিকেল আমার passion ..।
সাগর : ok…। তাহলে mission start… কোমড় বেধে লেগে যাও।
২জন : yes boss…
সাগর : boss?? 😒.
২জন : 😁।
.
৬মাসপর…
এই ৬মাসে মোহনা আরো ২-৩বার suicide attempt করেছে। কারন ওর মাথায় suicide টা ঢুকে গেছে। ওর mental problem এর কারনে ওর brain suicide টা কে এমনভাবে catch করেছে যে ও বারবার suicide করার চেষ্টা করেছে। সেই সাথে আরো ১বার বাড়ি ছেরে পালানোরও চেষ্টা করেছে। আর পালিয়ে গিয়েছিলো চাচাতো কাকার বাসায়। আজকেও চেষ্টা পালাচ্ছে। কারন হলো সাগর। ২টা ছেলের সাথে মোহনা কথা বলেছে। তারা ভালো ছিলোনা। কিন্তু সেটা মোহনা জানেনা। সাগর না করেছে কথা বলার জন্য । মোহনাও আর বলেনি। কিন্তু ১দিন situation টা এমন হয়ে গেলো যে মোহনা বাধ্য হলো কথা বলতে। অতিরিক্ত হলে ১ কি ২ মিনিট কথা হয়েছিলো। যেটা সাগরের চোখে পরেছিলো। আর সাগর অনেক রেগে গেলো। মোহনাকে অনেক বকলো। যেটা মোহনা একদম মেনে নিতে পারেনি। রাগে জিদদে মোহনা পালাচ্ছে বাড়ি থেকে। চুপিসারে বেরিয়ে গেলো।।
মোহনা : এবার তো লিমিট হয়ে গেলো। এতো সাহস আমাকে বকে? তাও কোন কারন ছারা ? আর বাড়ি ফিরবো না। চেনা জায়গাতেও যাবোনা। কিন্তু যাবোটা কোথায়?
ধুর ভালো লাগেনা। জীবন প্রথম মনে হলো ছেলে হলে ভালো হতো। ধুর…
.
ওদিকে…
সাগরর মনেই হচ্ছিলো মোহনা কিছু না কিছু উল্টা পাল্টা করবে। তাই তারাতারি মোহনাদের বাসায় গেলো। আর গিয়ে দেখে ঘটনা already ঘটে গেছে।
সাগর : ধ্যাত… কি করি?
সাগরও বেরিয়ে গেলো। আর খুজতে লাগলো।
মোহনা : বাবাগো আজকে কেমন যেন ভয় ভয় লাগছে। থাক বাবা বাসায় চলে যাই। অন্যদিন দিনের বেলায় পালাবোনে।
মোহনা বাসার দিকে পা বারালো। মনে হতে লাগলো কেউ ওকে follow করছে। আসলেই ২ ছিনতাইকারী ওর পিছু নিয়েছিলো। মোহনা side দিয়ে বাকা চোখে দেখলো যে ২জন দারিয়ে আছে। মোহনা আর দেরি না করে দে দৌড়। হাপিয়ে গেলো।
মোহনা : আল্লাহ আর দৌড়াতে পারবোনা। এখানেই stop যাই।
তখন মোহনা কারো পায়ের শব্দ পেলো।
মোহনা মনে মনে : আর পালানোর শক্তি নেই। কি হবে?
মোহনা চোখ বন্ধ করে পিছে ঘুরলো।
মোহনা চোখ বন্ধ করেই বলল : দেখুন আমাকে ছুরি মারবেন না আমার মাইর খেতে ভীষন ভয় লাগে। আপনারা আমার ব্যাগ নিয়ে যান। আমার এটাতে ২০ হাজার টাকা আর ১টা i-phone আছে। যদি আপনাদের আরো টাকা লাগে আপনারা আমার বাবা-ভাইয়াকে ফোন করে টাকা দাবি করতে পারেন….
কথা গুলো বলে মোহনা চোখ মেলল। আর তাকিয়ে দেখে সাগর দারিয়ে আছে। প্রথমবার সাগরকে দেখে মোহনা ভয় পেলোনা। মোহনা দৌড়ে গিয়ে সাগরকে জরিয়ে ধরলো।
মোহনা : আমি না অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। thanks for coming …
বলেই মোহনা সাগরকে ছেরে দিয়ে ওর দিকে তাকালো। আর দেখলো সাগর রাগে কুমাচ্ছে। মোহনা চুপ হয়ে গেলো। সাগর থাপ্পর মারতে নিলো মোহনাকে। মোহনা চোখ বন্ধ করে নিলো। সাগরের হাত মোহনার গাল পর্যন্ত গিয়ে থেমে গেলো। মোহনাকে বাসায় নিয়ে গেলো। মোহনার রুম থেকে সিলিং ফ্যান , কাচের জিনিসপত্র , ধারালো বস্তু সব সরালো। বাসায় থেকে সব ধরনের rat poison টয়সন সরানো হলো। ঠিক করা হলো এগুলো আর বাড়িতে আনা হবেনা। সেই সাথে মোহনাকে ভিখারী বানিয়ে দিলো। মানে মোহনার কাছে যতটাকা আছে সব বাজেয়াপ্ত করলো। আর পকেট মানি বন্ধ করলো। ডিসাইড করা হলো মোহনার হাতে ১টা টাকাও দেয়া হবেনা। কারন টাকা হাতে পেলে হয় মোহনা পালাবে না হয় suicide এর রাস্তা খুজবে। সত্যি বলতে সেদিনের পর মোহনার পালানোর ইচ্ছাও মিটে গেছে।
.
দেখতে দেখতে মোহনা hsc exam দেয়া হলো। দেয়ার পর ৭দিন ওকে ওর মতো করে কাটাতে বলা হলো। কারন পরের ৪মাস lifestyle অনেকটাই change করতে হবে। ৮টার সময় ঘুম থেকে উঠতে হবে ১২-১টার মধ্যে ঘুম দিতে হবে। দুপুরেও ১-২ ঘন্টা ঘুম দিতে হবে। কারন মিশন মেডিকেল। মোহনা ৭দিন মনের মতো করে spend করলো। এরপর থেকে শুরু হলো বিশ্ব বিখ্যাত ফার্মগেট যাত্রা। ফার্মগেট কনকর্ড টাওয়ারে ৪তলায় অবস্থিত রেটিনা মেডিকেল কোচিং সেন্টারে আসা যাওয়া শুরু হলো। যেটা রেটিনার main শাখা। যেখানে সাগর নিজেও class মানে কোচিং করেছে। মোহনাও শুক্রবার সকাল ৮টায় ছিলো foundation class…
যার জন্য জীবনে প্রথম মোহনা ভোর ৭টায় উঠলো। তাও ঝিমাতে ঝিমাতে গেলো । অনেক গুলো কারনে সেদিন সাগর নিজেই নিয়ে গেলো।
মোহনার ক্লাস শনি , সোম, বুধ। আর পরীক্ষা শুক্রবার।
মোহনা foundation class এ মেঘনা ডি-কসটা নামের ১জন খ্রিষ্টান মেয়ে আর ইসরাত নামের ১জন মুসলিম মেয়ের সাথে friendship করে ফেলল।
.
পরদিন…
মোহনা ক্লাস করতে তয় তলায় entry করতেই তাকে কেউ সালাম দিয়ে “ভাবি” বলে সম্বোধন করলো। মোহনা মহা অবাক হয়ে তার দিকে ঘুরলো।
মোহনা মনে মনে : আববে শালায় কয় কি? ভাবি? মহাশয়ের ভুল ভাঙাতে হবে। কিন্তু কি বলবো ভাইয়া না স্যার ? কিন্তু কালকে তো মহাচালক বলে গেলো সবাই ভাইয়া ডাকতে। ভাইয়া ডাকতে।
মোহনা : ভাইয়া আপনার কোনো সমস্যা হচ্ছে। আমি ভাবিনা। আমি স্টুডেন্ট।
হাবিবুর রহমান : জী জানি তো। আপনি মোহনা চৌধুরী। সাগর চৌধুরীর fiance….
মোহনা : আপনারা উনাকে চিনেন?
হাবিবুর রহমান : কেন চিনবো না। he was one of the topper…. daily & weekly exam এ always 2nd হতেন । গতো ৪-৫বছর ধরে তাকে class নিতে বলা হয়েছে। তিনি নেননি। তবে এবার নিবে। এই বছর contract করেছে। & thanks to you….
মোহনা : what??
হাবিবুর রহমান : জী ভাবি।
মোহনা মনে মনে : হায় হায় বলে কি? এখানেও হাজির।
হাবিবুর রহমান : জী আপনিও ২টা class পাবেন তার সাথে। জুলজির।
মোহনা ক্লাসে চলে গেলো।
.
ছুটিরপর….
১২:৪০ এ…
সাগর মোহনাকে নিতে এলো।
গাড়িতে….
সাগর : class কেমন লাগলো? আজকে C1 lecture ছিলোনা? ভাইয়া কেমন বোঝালো? he is my batchmate…. বিগত ৩বছর ধরে এখানে class নিচ্ছে। ভীষন helpfull… আচ্ছা শোনো আজকের পর থেকে শুক্রবার আরা আর তোমাকে নিতে আর দিতে আসতে পারবোনা। ক্লাস থাকে এ সময়ে….
মোহনা : 😒।
সাগর : কি হলো মিস নাগিন…. ১টা কথাও বলছো না যে? তখন থেকে এভাবেই তাকিয়ে আছো যে?
মোহনা : আপনি কি বলুন তো…
সাগর : আমি সাগর…
মোহনা : জল্লাদ কোথাকার। আপনি ওখানে আমার মতো ১টা পিচ্চি মেয়েকে ভাবি টাইটে দিয়ে দিলেন কেন। পাহাড় পাহাড় ভাইয়ারা ভাবি বলে ডেকেছে। কি বকট অবস্থা?
সাগর : ওহ… ওটা? ওটাতো just safety এর জন্য। ছেলেদের থেকে।
মোহনা : ছেলেদের থেকে safe? আরে ছেলেরা তো আলাদাভাবে আলাদা time এ class করে ।
সাগর : হামম। কিন্ত যখন math কোচিং শুরু হবে তখন এখানে ছেলেদের ভীর থাকবে। যাদেরকে পার করে তোমাকে বা দিকের unit এ ঢুকতে হবে। আর তখন যেন কেউ disturb অথবা কেউ teach না করতে পারে সেই কারনে। আর তাছাড়াও এখানে যারা ক্লাস নেয় তারা সবাই student … so… no risk….
মোহনা সাগরের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
.
চলবে….