হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 07
.
ফারহা আর তিন্নির পুরো ইনফরমেশন এখন মেঘের হাতে মেঘ ফারহার ছবি টা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে আর ভাবছে, এই মেয়েটা এতোটা ডেন্জারাস কেনো এতো ছেলে কে পিটিয়েছে দেখলে তো পুরো ইনোসেন্ট মনে হয় কিন্তু তার ভিতর এমন একটা গুন্ডি টাইপ মেয়ে ভাবা যায় ..মেঘের ভাবনার ছেদ ঘটে মিহুর আগমনে..
What’s Up ভাই..(মিহু)
তুই হঠাৎ এখানে..??(মেঘ)
কেনো আমি কি তোর অফিসে আসতে পারি না ..?? বাই দ্যা ওয়ে এই মেয়েটি কে..?? (ফারহার ছবি দেখিয়ে বললো মিহু)
মেয়েটির নাম ফারহা .(মেঘ)
মাই গড ভাই তুই ..বাকি টা বলতে না দিয়ে মেঘ বলে উঠলো ..মিহু এতো কিছু তোকে ভাবতে হবে না তুই যাষ্ট ড্যাড কে মেনেজ করে নিস আমাকে তো তুই জানিস ড্যাডের সাথে আমার কখনো কোন কথার মিল হয় না যার ফল সরূপ আর্গুমেন্ট শুরু হয় …
আই নো ভাই আমারও টেনশন হচ্ছে কিন্তু …(মিহু)
কোন কিন্তু নয় যা বলছি তাই কর এখনি কিছু বলতে হবে না ড্যাড কে যা বলার আমি বলবো তবে কিছু যদি আচ করতে পারে তো তুই বিষয় টা মেনেজ করে নিবি ….(মেঘ)
ওকে ডান বাট তুই মেয়ে টাকে কিছু বলেছিস..??(মিহু)
মেঘ মিহু কে কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি মেঘের ফোন টা বেজে উঠলো মেঘ ফোন টা রিসিব করে কানে ধরতেই রাগে কপালের সব রগ ফুলে উঠে রেগে ফোন টা ছুরে মারলো মেঘ মিহু মেঘের রাগ সম্পর্কে অবগত তাই কিছু না বলে চুপচাপ কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো মেঘ ফোন টা তুলে নিয়ে আবার সেই নাম্বারে কল দিলো মেঘ রিসিব করতেই মেঘ বলে উঠলো …..
— ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ওকে আমার সামনে চাই মিলন…(মেঘ)
–ওকে বস …
.
.
.
.
ফারহা তোকে বলেছি না বেড থেকে একদম নামবি না রেস্ট করবি (মিসেস মোহনা)
মাদার বাংলা তুমি তো জানো আমি এভাবে বসে থাকতে পারি না বোর হই তুমি ফারিহা কে রুমে পাঠাও ওর সাথে কিছু কথা আছে…(ফারহা)
ঠিক আছে সাথে কফি পাঠিয়ে দিচ্ছি তোদের জন্য ….
ওকে মাদার বাংলা..মিসেস মোহনা চলে যেতেই ফারহা বালিসের সাথে হেলান দিয়ে ফারিহার কথা ভাবতে থাকে ,,ফারহা আর ফারিহা দুজন জমজ বোন কেউ হুট করে দেখে চিনতে পারবে না কে ফারহা আর কে ফারিহা তবে দু বোনের ভিতর ফারহা একটু বেশি ফর্সা আর ফারিহার গায়ের রং একটু চাপা তবে ফারহার ঠোটের নিচে তিল টা থাকায় সবাই খুব সহজে চিনতে পারে ফারহা কে তবে ফারিহা বড্ড সহজ সরল যার সুযোগ টা আহাদ নিচ্ছে…….
-আপু আমাকে ডেকেছিস..??(ফারিহা)
– হুম আয় বস ,ফারিহা ফারহার পাশে বসে পরলো..
– বোন তোকে আজ একটা কথা বলবো রাখবি..??(ফারহা)
– হুম রাখবো কি বলতে চাস সেটা বল ..?(ফারিহা)
– বোন তুই আহাদ কে ভূলে যা ….ফারহার মুখে কথাটা শোনা মাত্র ফারিহার চোখ ভরে আসলো কাপা কাপা গলায় বলে উঠলো ,,,,আ,,পু তুই এটা কি বলছিস..??
দেখ ফারিহা আমি জানি তুই আমার কথাটা শুনে কষ্ট পেয়েছিস কিন্তু আমি তোর সাময়িক কষ্টের কথা ভেবে চিরস্থায়ী কষ্ট পেতে দিতে পারি না তুই ভালো করেই জানিস আহাদ কেমন ছেলে ও তোর ফিলিংস নিয়ে খেলছে সাথে আমার সাথে ফ্লাটিং করার চেষ্ট ক্রমাগত চালিয়ে যাচ্ছে তুই কি এমন ছেলে কে বিয়ে করতে চাষ যে ছেলে নিজের বউ রেখে বউয়ের বড় বোনের সাথে সম্পর্কে জরাতে চায়…??
ফারিহা কিছুক্ষণের জন্য বাক রুদ্ধ হয়ে পড়লো বার বার ফারহার বলা কথা গুলো কানে বাজতে থাকলো ফারিহার চোখ বেয়ে অনবরত পানি পরছে ফারহা ইচ্ছে করেই ফিরিহা কে কাদতে বারন করলো না …..
আপু তুই যা ভালো মনে করিস কর আমার কোন বাধা নেই তবে একটা কথা আহাদ কে বলে দিস এ বাড়িতে যেনো আর পা না রাখে তাহলে কিন্তু আমি নিজ হাতে ওকে খুন করবো… কথাটা বলে ফারিহা এক মুহূর্ত না বসে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো এদিকে ফারহার মা রুমের দরজার আড়াল থেকে ফারহা আর ফারিহার সব কথা শুনে তিনি ও বাক রুদ্ধ হয়ে গেলেন তিনি কখনো ভাবেন নি আহাদের মতো এমন ইন্টিলিজেন্ট ছেলে এতোটা নোংরা টাইপ হবে এটা জানলে হয়তো কখনো এ বাড়ির দরজায় ওকে আসতে দিতো না মিসেস মোহনা কফিটা ফারহা কে না দিয়ে সোজা ফারহার বাবার কাছে চলে গেলেন……..
আমি ঠিক করলাম তো তিন্নি ..??(ফারহা)
হ্যা ফারু তুই একদম ঠিক করেছিস মন খারাপ করিস না ফারিহা ঠিক বুজবে আচ্ছা শোন তোর পায়ের অবস্তা কি এখন..???(তিন্নি)
উফফ ছাড়তো আমার পায়ে তেমন কিছু হয়নি ঔষধ খাওয়ার ব্যাথা টা আর নেই ..কাল কলেজ যাচ্ছি ওকে(ফারহা)
আচ্ছা ঠিক আছে আমি সকালে তোকে নিতে চলে আসবো এখন রাখছি …
ফারহা কান থেকে ফোন নামতে ফারহার ফোনে একটা ভিডিও আসলো ফারহা ভিডিও টা চালু করতেই ফারহা সারা শরীল বরফ হয়ে গেলো ভয়ে ফারহার হাত থেকে ফোনটা নিচে পড়ে গেলো …..
আহাদ …হ্যা আহাদ কে কেউ অর্ধ উলঙ্গ করে হাত পা শিকল দিয়ে বেধে রাখা আহাদের সমস্ত শরিলে কেটে যাওয়া অংশে শুকলো গুড়ো মরিচ আর লবন ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া আর আহাদ পাগলের মতো চিৎকার করছে আহাদের অবস্তা দেখে কোন স্বাভাবিক লোক সুস্থ অবস্তায় বসে থাকতে পারবে না ফারহা ও তাই ভয়ে হাত পা থরথর করে কাপছেঁ ফারহা কিছু তেই বুজতে পারছে না কে আহাদ কে এভাবে আটকে রেখে মারাত্মক অর্তাচার করছে আর কেনোই বা ওকে এই ভিডিও টা পাঠানো হলো ,,,ফারহার মনে হচ্ছে ওরপুরো মাথা হ্যাং হয়ে গেছে ফোন টা তুলে নিয়ে এই নাম্বারের লোকেশন ট্রাক করার চেষ্টা করছে আর ভাগ্য ক্রমে লোকেশন ট্রাক হয়ে যায়, ফারহা কোন রকম বেড থেকে উঠে সেই নাম্বারে ডায়েল করে দুবার বেজে কল টা কেটে যায় ফারহা আবার কল দিলে তৃতীয় বারে কল টা রিসিব হল….
—হ্যালো হ্যালো কে বলছেন ..? আহাদ কোথায়..? কেনো ওকে টর্চার করছেন .?? কি করেছে ও.? ..(ফারহা)
— কুল কুল বেবি এতো প্রশ্ন এক সাথে করলে উওর কি করে দি বলো ..??
— কে আপনি..??(ফারহা)
— তোমার ভালোবাসা ….
—ওয়াট আর ইউ এ্যাভ গন ম্যাড ,,ওয়াট আর ইউ সেইং ..??(ফারহা রেগে বললো)
— হ্যা জানপাখি আমি পাগল হয়ে গেছি তোমার ভালোবাসায় আমি পাগল হয়ে গেছি মাত্র একদিনে…
ফারহা একদিনে কথাটা শুনে চমকে উঠলো …
— একদিনে মানে ..!!! আপনি কে বলুন তো আর কেনোই বা আহাদ কে এভাকে টর্চার করছেন..??
— আমার জানপাখির উপর যে নজর দিবে আমি তাকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মারবো যেমন আহাদ কে করছি ওর সাহস কি করে হয় তোমার দিকে হাত বারানোর ওর ওই দুই হাত আমি কেটে ফেলবো ওয়েট ওয়েট তার ভিডিও টা তোমাকে পাঠিয়ে দিবো চিন্তা করো না….
— আপনি কি সাইকো .?? আপনি এটা কে ভালোবাসা বলছেন ..?? এটা ভালোবাসা না আপনি যে একটা সাইকো তার পরিচয় দিচ্ছেন ,,ভালোই ভালোই বলছি আহাদ কে ছেড়ে দিন নয় তো আপনি বিপদে পরবেন…..(ফারহা)
— ওহ রেইলি তোমার মতো পুচকি মেয়ে আমাকে থ্রেট করছো হাউ ফানি ….(হেসে দিয়ে)
— এই এই একদম আমাকে পুচকি বলবেন না আপনি আহাদ কে ছাড়বেন কিনা বলুন..???(রেগে বললো ফারহা)
— ঠিক আছে আমি ওকে ছেড়ে দিচ্ছি কিন্তু তার পরিবর্তে মার যে কিছু চাই …
—আপনার চাওয়া পূরন করার জন্য পুলিশ যথেষ্ট ,,কথাটা বলেই ফারহা কল ডিসকানেক্ট করে দিয়ে ডেভিল হাসি দিয়ে বলতে লাগলো….
কেমন দিলাম মিস্টার সাইকো এতোক্ষনে হয়তো পুলিশ সাইকো টা কে এরেস্ট করেছে ….
ফারহা লোকেশন টা ট্রাক করতে পেরে তিন্নি কে মেসেজ করে জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ কে নিয়ে ওই লোকেশনে যাওয়ার জন্য আর তিন্নি ওর কথা মতোই কাজ করলো পুলিশ নিয়ে সোজা সেখানে চলে গেলো কিন্তু তিন্নি সেই সাইকো কে দেখে পুরো ফ্রিজড হয়ে গেলো মুখ থেকে কোন কথা বের হচ্ছে না তিন্নি ভাবতে পারেনি এরকম একজন হাই প্রোফাইল ব্যাক্তি এমন কাজ করতে পারে তিন্নি পুলিশ অফিসার কে আড়ালে ডেকে নিয়ে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলে পুলিশ টাকা টা নিয়ে চলে যেতেই তিন্নি লোকটির সামনে গিয়ে দারায়………
.
.
.
.
.
#চলবে……………….🌸☘️🍀