ভালোবাসি হয়নি বলা !! Part- 37 (last-Part)
অনিঃ থাক আর বুঝতে হবে না এখন পার্লার থেকে মানুষজন আসবে তুই গোসলটা সেরে নে সাজুগুজু করতে হবে তোকে।।
আমিঃ এইতো আমার কেবল শুরু যন্ত্রনা 😑😑
অনিঃ একটু কষ্ট করো রাতের সবকিছু পুষিয়ে দেবে জিজু।।।
আমিঃ অই কুত্তি চুপ থাক।।
অনিঃ ☺☺☺
তার কিছুক্ষণ পরেই পার্লার থেকে লোক চলে আসলো,,,,,
আমি গোসল করে এসে ঘরে বসে পড়লাম আয়নার সামনে,,,
পার্লার থেকে আসা কয়েকজন মহিলা আমাকে সাজানো শুরু করলেন।।
আমি চুপচাপ মূর্তিগুলোর মত বসে আছি যেদিকে বলতেছে সেদিকেই ঘুরতেছিস যেদিকে যা করতে বলতেছে তাই করতেছি চুপচাপ রোবটগুলোর মত।।।
সাজুগুজু করার প্রায় শেষের দিকে
হঠাৎ বাইরে অনেক জোরে জোরে আওয়াজ হতে লাগল বর এসেছে বর এসেছে বর এসেছে
অনিঃ ওই জিজু মশাই তো চলে এসেছে আর মাত্র কিছুক্ষণ বাকি।
আমিঃ চুপচাপ হয়ে আছি হঠাৎ দেখলাম উনি বাহিরে দৌড়ে চলে গেল।।।
এইদিকে
অনিঃ গেটে টাকা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে নয়তো এখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে বর কে
রাকিবঃ আচ্ছা বলেন শুনি কত টাকা দিতে হবে??
অনিঃ 50 হাজার টাকা দিতে হবে।।
রাকিবঃ আচ্ছা 50000 টাকা দিতে পারি তবে তার বিনিময় কিছু চাইবো সেটা দিতে পারবেন।
শীলাঃ আচ্ছা টাকার প্রসঙ্গ টা পড়ে আসা যাক এখন আমরা আমাদের জিজুকে মিষ্টিমুখ করাবো
এমদাদুলঃ আচ্ছা আপনার আপনার জিজুকে মিষ্টিমুখ করালেন সেটা ভালো কথা কিন্তু তার আগে আমার সেগুলো টেস্ট করব
শিলাঃ টেস্ট করবেন মনে আমাকে আপনার ভাইকে বিষ মিশিয়ে খাওয়াইয়া মাইরা ফেলবো নাকি।।। আর আমরা আমাদের আদরের বোন টাকে বিধবা করবো এটা কি বলতেছেন আপনারা।।
রাবিকঃ আমরা সেটা বলতেছি না কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে আপনারা একটু না অনেকটা বজ্জাত টাইপের মেয়ে মিষ্টির মধ্যে কি খাওয়াইবেন সেটা তো ভালো করে দেখতে পাচ্ছি আমরা আমাদের তো চোখ আছে ওখানে তো দেখা যাচ্ছে সবগুলো মরিচের গুঁড়া
অনিঃ ওই মিয়া এত বকবক করেন কিসের জন্য বুঝিনা আমার আমাদের জিজুকে মিষ্টিমুখ করাবে না আপনারা দূরে থাকেন নয়তো
শিলাঃ এটা আমাদের বাড়ির নিয়ম আমরা এটা করেই তারপর আপনাদের ভিতরে যেতে দেবো তার আগে না,,,,
শিলা একটি গ্লাস মাহিনের হাতে ধরিয়ে দিল।
ছুটকিঃ এই মেয়ে এটা ঠিক হচ্ছে না এগুলো আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি সবগুলো মরিচের গুঁড়া এই ভাইয়া তুই এসব খাবিনা।
অনিঃ এটা আমাদের বাড়ির নিয়ম সো আপনাদের খেতেই হবে।।
মাহিন কারোর কোন কথা কান না দিয়ে গ্লাসটা মুখে নিয়ে কয়েক ঢোক খেয়ে নিল,,
সবাই মাহিনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে মাহিনের মুখ লাল হয়ে গেছে কিন্তু মাহিন কিছুই বলতেছ না ব্যাপারটা আজব লাগতাছে সবার কাছে।।
মাহিনঃ আচ্ছা আপনাদের 50000 টাকা লাগবে তাই তো,,,
অনি এবং শিলা দুজনে দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে কি বলবে ভাবতে পারতেছিনা।
মাহিনঃ আমি এক টাকাও দিতে পারব না
মাহিনের মুখ থেকে এমন কথা শোনার পর ওখানে উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে মাহিনের দিকে তাকিয়ে আছে
আপনারা জ্যাকেট ধরেছেন গ্রেট তো একটা সম্মান আছে তাই না আমরা সে সম্মানটা করব কিন্তু আমাদেরকে যে সম্মানটা করা হয় আমি অনেক বিয়ে বাড়িতে গিয়েছি,, আপনাদের গেটের যদি পরিবেশ সুন্দর থাকতো তাহলে আপনার অ্যামাউন্ট আপনারা পেয়ে যেতেন কিন্তু এখন আমি সেটা দিবো না,,
কারন আমার পাঠকদেরও একটা হক আছে তাদেরকেও তো আমাকে খাওয়াইতে হবে তাইনা
কত আশা করে তারা আছে আমার বিয়ে খাবে বলে আপনাদের 50 হাজার টাকা দিয়ে আমি কি করব এই ৫০ হাজার আমি আমার পাঠকদের খাওয়ালে,,, আমিও মজা পাব আমার পাঠকরা মজা হবে তাইনা।।
সবাই আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ভাবতেছে লোকটা হয়তো পাগল হয়ে গেছে কেমন অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই
আমি তো আর দীপাকে আজকে নতুন বিয়ে করতেছি না আমাদের ২য় বিয়ে
তাহলে সকল পাঠক কে দাওয়াত দিলাম আসবে কিন্তু।
গেটের সব ঝামেলা শেষ করে কিছু টাকা দিয়েছি না দিয়েছি না কিছু দিয়েছি কিন্তু কত দিয়েছে সেটা আপনাদের বলতেছিনা দিয়েছি ভিতরে গিয়ে দেখি একটা স্টেজ তৈরি করা হয়েছে সেখানে আমাকে নিয়ে গিয়ে বসানো হলো ইমদাদুল রাকিব দুজনেই তো মেয়ে পটাতে ব্যস্ত আমাকে একা রেখে শালারা বিয়েটা হয়ে যাক তারপর তোদেরকে দেখে নিব
আমার বোন টাও আমার কাছে এখন নেই যে তার সাথে আমি কথা বলব উনি নাকি উনার ভাবির সাথে দেখা করতে চলে গেছেন।
কত মেয়ে, মানুষ কত মহিলা, কত মানুষজন সবাই আমার দিকে কেমন কেমন তাকিয়ে আছে আমার লজ্জা লাগতেছে আমি একা এখানে বসে আছি কিছু করতে পারতেছিনা নড়তে পারতাছিনা রোবটের মত বসে আছি
এইদিকে,,,
ওয়াও ভাবি আজকে তোমাকে পুরাই পরিদের মত লাগতাছে ভাইয়া তোমাকে দেখে আজকে আবার নতুন করে ক্রাশ খাইবেন
আমি একমনে বসে আছি হঠাৎ করে ছুটকির কন্ঠ শুনতে পেয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি ছুটকি দাঁড়িয়ে আছে
আমিঃ কখন আসলে তুমি
ছুটকিঃ এই তো কিছুক্ষণ আগে চলে আসলাম ভাইয়া তো নিচে বসে আছে আমি চলে আসলাম তোমার সাথে দেখা করতে
আমিঃ ভালোই করেছো আমার বান্ধবী দুটো আমাকে ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেছে গল্প বলার মত কেউ নাই একা একা বসে থেকে বোরিং লাগতেছে তুমি এসেছ ভালো হয়েছে এখন ভালো লাগবে গল্প করা যাবে
তারপর আমার দুজন শুরু করে দিলাম নানা ধরনের কথা
এইদিকে,
একা একা বসে আছি হঠাৎ করে কাজী সাহেব চলে আসলেন এসে আমার পাশে বসে পড়লেন
আমি উনাকে সালাম প্রদান করলাম উনি আমার সালামের উত্তর দিলেন
টুকটাক কথা বলতেছি আমার সাথে
কাজী সাহেব বিয়ের কাজ শুরু করে দিলেন এবং কন্যাকে নিয়ে আসতে বললেন,,,
হঠাৎ করে তাকিয়ে দেখি সবাই উপরের দিকে তাকিয়ে আছে বুঝতে পারলাম দীপা আসতেছে
আমার চোখ আটকে গেল উপরে দীপা কি এত সুন্দর লাগতাছে যা বলার বাহিরে
কড়া মেকআপ করেছে,,লাল একটা লেহেঙ্গা পরেছে,
ঠোটে লাল লিবিসটিক,,, হাত ভর্তি চুড়ি
এত সুন্দর লাগতাছে যা বলে বুঝাতে পারব না আমি মুখ হা করে তাকিয়ে আছি ।।
কখন যে দিপা আমার পাশে চলে এসেছে বুঝতেই পারিনি
ছুটকিঃ এই ভাইয়া মুখটা এখন বন্ধ কর এখন থেকে এই মানুষটা শুধু তোর অন্য কারো না বুঝছিস তাই পরে যখন সময় হবে তখন দেখে নিস এখন সবাই তোর দিকে দেখ কেমন করে তাকিয়ে আছে,,
ছুটকি কথায় আমার হুশ ফিরে ফিরে এলো এবং আমি লজ্জা পেয়ে একটু মাথাটা নীচু করে রাখলাম কাজী সাহেব বিয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে
বিয়ে শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেল,,,
আমার ভাইটাকে আমি এখনো ভালো মতো দেখতে পেলাম না কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত যে আমার সাথে দেখা করতে পারতেছে না আম্মু আমার সামনে এখনো আসেনি ঠিকমতো বুঝতেছিনা
বিয়ের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে কাজে সাহেব চলে গেলেন এখন এখন আমাকে বিদায় দেওয়ার পালা
দেখতে পেলাম ভাইয়া আর আম্মু আমার কাছে আসতেছে
আমার কিছু মুরুব্বি আত্মীয়-স্বজনরা আমার পাশে এসে দাঁড়ালো
আম্মু এসে আমার পাশে দাড়িয়ে আমার হাতটা ধরে উনার হাতে রেখে বলতে লাগল
আম্মুঃ বাবা আমার মেয়েটাকে তুমি দেখে রেখো,,, হয়তো একটু পাগলী টাইপের আমার মেয়েটা কিন্তু তুমি একটু বুঝিয়ে বললে সব বুঝবে,,,,
আম্মু আর কিছু বলতে পারব না কান্না করে দে যাব আমি আম্মুর কান্না দেখে কান্না করে দিলাম
আমার ভাইটা সে আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কিছু না বলেই আমাকে ছেড়ে দিও পরে চলে গেল আর আমি তাকে দেখতে পেলাম না,,,
অবশেষে সবকিছু শেষ করে আমাকে গাড়িতে তুলে নিলেন উনি একটু পর গাড়ি ছেড়ে দিল আমি গাড়ির জানালার দিকে তাকিয়ে দেখি আম্মু আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
বুকের মাঝে হাহাকার করতে লাগলো আজ থেকে অচেনা মানুষগুলোকে আপন করে নিতে হবে আমাকে,,,,
বেশ কিছুক্ষণ পরে গাডি এসে উনাদের বাসার সামনে দাঁড়ালো,,,
উনি গাড়ি থেকে নেমে আসে আমাকে নামিয়ে নিল
নামিয়ে নিয়ে উনার করে তুলে নিল আমাকে
উনার এই রকম কাণ্ড দেখে আশেপাশের যত লোক আছে সবাই শিস দিতে লাগল হাতে তালি দিতে লাগল
আমিঃ এইসব কি করতেছেন আমার লজ্জা লাগতেছে আমাকে নামিয়ে দেন আমি হেঁটে যেতে পারবো।।
মাহিনঃ চুপচাপ থাকো নয় তো সবার সামনে ফেলে দিয়ে কোমর টাই ভেঙে ফেলব
রাকিবঃ ভাই পুরাই রোমান্টিক।।। ভাবেই আপনার কপালে সুখ আছে বলতে হবে
এমদাদুলঃ আরে মাহিন দেখিস আবার ফেলে দিসনা
মাহিনঃ ফেলে দেওয়ার জন্য কি ধরেছি
আরো অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করতে লাগলেন উনি সবার উত্তর দিচ্ছে আর আমাকে নিয়ে ভেতরে যাচ্ছে,,,
একদম আমাকে ভিতরে গিয়ে নামিয়ে দিলেন
ছুটকি এসে আমার হাত ধরে আমাকে বাসর ঘরে নিয়ে গেলো
আমাকে বাসর ঘরে একা রেখে সবাই বাহিরে চলে গেল এবং বাহিরে থেকে দরজাটা বন্ধ করে দিল বুঝতে পারতেছি না আমি এখন একা এখানে কি করব
রাকিবঃ ভাই বিড়ালটা ভালো করেই মারিস যাতে যেন পরে আবার হাতছাড়া না হয়ে যায়
এমদাদুলঃ হুম কথাটা কিন্তু মন্দ বলিস নি
রাকিবঃ দেখ বেশি দেরি করা ঠিক হবে না তাহলে বিড়াল টা ভালো করে মারতে পারবি না এখন রাত বাজে দশটা চল তোকে রুমে দিয়ে আসি আজকে থেকে তোর তোর ব্যাচেলর লাইফ শেষ
মাহিনঃ ব্যাচেলার লাইফ শেষ তো কি হয়েছে তাতে কি আমি আড্ডা দিতে পারবো না নাকি তোদের সাথে
এমদাদুলঃ দেখা যাবে কি হয় পরে আবার বউয়ের আঁচল ধরে বসে থাকিস না ঘরে
মাহিনঃ আমি মোটেও সেরকম ছেলে না যে বউয়ের আঁচলের তলে বসে থাকবো
রাকিবঃ থাক আর তোকে এত বড় বড় ডায়লগ মারতে হবেনা তোর থেকেও কত মহান জ্ঞানী গুণী মানুষ তারাও বউয়ের আঁচলের তলে পড়ে গেছে আর তুই তো কি এখন চল বকবক করা ঠিক হবে না ভাবী হয়তো ঘরে একা বসে আছে
তারপর রাকিব এমদাদুল্লাহ সহ আমি আমার রুমের সামনে চলে আসলাম
রুমের সামনে এসে তো আমি বড়োসড়ো অবাক দেখি ছুটকি দা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।।।।
মাহিনঃ কি ব্যাপার তুই এখানে এই ভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কি জন্য
ছুটকিঃ তোকে তো বলছিলাম আমি যে কোন কৌশলে তোর থেকে টাকা আদায় করে নেব এখন টাকা দে নয়তো বাসর ঘরে যাইতে পারবি না
মাহিনঃ তোর মতো একটা বইন থাকলে না আমি কি আর বলবো
ছুটকিঃ আমি কিছু শুনতে চাচ্ছি না আমি টাকা চাচ্ছি
মাহিনঃ কালকে সকালে নিস এখন যাইতে দেন ঘুম ধরছে
ছুটকিঃ যাইতে পারলে যা ওই দেখ দরজায় তালা লাগাইছি এখন টাকা না পেলে তালা খুলে দেবো না
মাহিনঃ উফফফ
আর কিছু বলতে পারলাম না
টাকাটা দিয়ে দিলাম এখন আমি ফকির আমার কাছে আর কোন টাকা নেই
অবশেষে কপালে বাসরঘর জুটলো ।। দরজাটা ভেতর থেকে লক করে দিলাম
আমাকে দেখে দীপা বিছানা থেকে নেমে এসে আমার পাসে সালাম করবো আমি বাধা দিলাম না।!
আমিঃ এই যে মিস্টার রুমে আসতে এতক্ষণ সময় লাগে আমি একা একটা মেয়ে রুমে একা একা ভাল লাগে বলেন তো,,, তার উপর এত ভারী জিনিস পড়ে থাকতে কেমন লাগতেছে বিরক্ত লাগতাছে আমার আর আপনি এখন আসলেন
মাহিনঃ তো সব খুলে ফেলে দিতা দিয়ে হালকা কিছু পড়ে ঘুমিয়ে পড়তে
আমিঃ কিইইইইইই
মাহিনঃ দেখো আমার ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুমাবো তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো আমিও ঘুমিয়ে পড়ি তাই না
আমিঃ ওই কুত্তা তোকে তো আমি শেষ করে ফেলব
কথাটা বলেই আমি উনাকে ধরতে গেলে উনি আমাকে এক টান দিয়ে বিছানার ওপর ফেলে দিয়ে আমার উপর উনি শুয়ে পড়ে
আমিঃ এইটা কি হলো
মাহিনঃ কই কিছুই হলো না তো এখন যা হচ্ছে হতে দাও
আমিঃ কিচ্ছু হবে না শুধু গল্প করব সারারাত জেগে
মাহিনঃ তাহলে তোমার যে স্বপ্ন পূরণ করা হবে না তোমার তো বেবি লাগবে তাই বেবি আনতে গেলে তো কিছু করতেই হবে
আমিঃ দেখেন একদম দুষ্টুমি করবেন না চুপচাপ বসে পড়ল গল্প করব
কে শোনে কার কথা উনি আমার ঠোঁট দুটো উনার ঠোঁটে ডুবিয়ে দিলেন গভীরভাবে স্পর্শ করতে লাগলেন
আমিও আজকে রেসপন্স দিতে লাগলাম উনার সাথে সাথেই
।
নিজের মাঝে আজকে অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করতেছে কারণ আজকে আমাদের সম্পর্কটা বৈধ
উনি আস্তে আস্তে ঠোঁট দুটো আমার ঠোট থেকে সরিয়ে উনার ঠোঁট দুটো আমার গলায় বসিয়ে দিলেন
আমি এক হাত দিয়ে ওনার চুল মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছি অন্য হাত দিয়ে ওর পিঠে শেরওয়ানির মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে রেখেছে আর উনি উনার মনের মত কাজ করে যাচ্ছি আমার জন্য কেমন কেমন লাগতাছে।।।
হঠাৎ করে উনি আমার গলা থেকে ঠোঁটদুটো উঠিয়ে আমার নাভিতে কিস করতে লাগলেন
আস্তে আস্তে আমরা দুজনে পাড়ি জমালেন ভালোবাসার অতুল সাগরে
এসব বলতে নেই আপনার বিয়ে করে নেন বুঝতে পারবেন,,,,
বেশ কিছুক্ষণ পর উনি আমার কোলের উপর ওনার শরীর এলিয়ে দিলেন
আমি আমার ঠোঁটদুটো দিয়ে আলতো করে উনার কপালে একটা চুম্বন একে দিলাম
উনি আমার কোল থেকে উঠে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আবার আমার ঠোটে উনার ঠোট ডুবিয়ে দিলে না,,,
আজকে থেকে আমাদের ভালোবাসার পূর্ণাঙ্গ মর্যাদা পেল
আমি এখন পর্যন্ত বলতে পারলাম না যে এই যে মিস্টার আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি খুব।।।
কিন্তু কোন কারণবশত আমি সেটা বলতে পারতেছি না
ভালোবাসি হয়নি বলা কিন্তু অনেক ভালোবাসি আপনাকে
মনে মনে কথা বলব ভাবতেছি আর মুচকি মুচকি হাসতেছে
সমাপ্ত,,,,,,
বিদায় নিলাম আপনাদের কাছ থেকে,,,,
(লেখকের কিছু কথা,,, আমি যখন গল্পটা শুরু করেছিলাম তখন অনেকে অনেক কথা বলেছিল আর যখন মাহিন দীপা কে বিয়ে করে পালিয়ে,,,তখন অনেকেই বলেছিল এটা ঠিক হলো না কারণ কেউ কাউকে ধর্ষন করে বিয়ে করে না,,, ভাই আপনাদের কথা ঠিক আছে কিন্তু আমি আমার গল্পটার মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি যে কেউ কাউকে ধর্ষণ করে যদি তাকে বিয়ে করে তাহলে তাকে সমাজের মুখে কলঙ্কিনী বা খারাপ উপাধিটা পাবেনা
ভাই দারিদ্রতা এমন একটা জিনিস যেটা যে পড়েছে সেই বুঝেছে দারিদ্র কি)
(আপনারা চাইলে সিজন টু নিয়ে আসবো না চাইলে নাই)
গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন,,,
আপনাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি আশাকরি ভবিষ্যতে পাবো
আলবিদা,,, 😢