ভালোবাসি হয়নি বলা

ভালোবাসি হয়নি বলা !! Part- 32

হঠাৎ করে বাইরে থেকে অনেক জোরে জোরে আওয়াজ হতে লাগল বুঝলাম না কিছু হলো না তো
বাইরে কি হচ্ছে বোঝার জন্য আমি তাড়াহুড়ো করে বাইরে চলে আসলাম বাইরে এসে যে টা দেখলাম অবাক করা কান্ড
বাহিরে গিয় দেখি উনার আব্বু আম্মু ছুটকি এসেছে
আমি তো এটা দেখে চরম পর্যায়ের অবাক হয়ে গেলাম এটা কি হচ্ছে তার মানে কি উনার সব প্লানিং ছিল
ছুটকি আমাকে দেখে আমার কাছে চলে আসলো
ছুটকিঃ কি ভাবি কেমন দিলাম
আমি: এসবের মানে কী আমি তো কিছুই বুঝতে পারতেছি না তুমি কি আমাকে সব ক্লিয়ার করে বলবা
ছুটকিঃ আসলে কালকে যখন তুমি ভাইয়াকে না বলে চলে এসেছ এখানে তো পরে ভাইয়াকে যখন আমি জানালাম কথাটা তখনই ভাইয়া অনেক রেগে যায় আর রুমের সব কিছু ভাঙচুর শুরু করে দেয় আর আম্মু সেটা বুঝতে পেরে রুমে এসে ভাইয়াকে অনেক বকাঝকা করে

তারপর রাতে আব্বু বাসায় আসে তার পর আম্মু আব্বুর সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলে তাই আব্বু রাজি হয়ে যায় ভাইয়ার বিয়ে দেওয়ার জন্য সেটা শুনে ভাইয়া সকাল সকাল আম্মুর সাথে প্লানিং করে ভাই এখানে চলে আসে আর আমরা এখন আসলাম
আমিঃ অন্তত তুমি একটা বার ফোন দিয়ে আমাকে বলতে পারতে তাই না
ছুটকিঃ আমার কাছে তোমার নাম্বার নেই আর তুমি তো চলে এসেছ তাড়াহুড়া করে তোমার যে নাম্বারটা নেবো তাও তো সময় ছিল না তোমার কাছে তুমি এত তাড়াহুড়া করতেছিলো তখন
আমিঃ তুমি হয়তো আমার কষ্টটা বুঝতে পেরেছ কারণ তুমি একজন মেয়ে তুমি একটু ভেবে দেখো তুমি যদি আমার জায়গায় থাকতে তাহলে তোমার কি রকম অবস্থা হইত
ছুটকিঃ জু ভাবি আমি সব কিছুই বুঝতে পারতেছি,, একজন মেয়ে যখন একটা পরিবারের খুঁটি হয়ে দাঁড়ায় না তখন তার উপর দিয়ে যে ধকল যায় সেটা একটা মেয়ে অনুভব করতে পারবে আর কেউ না
আমিঃ আচ্ছা এসব কথা এখন বাদ দাও পরে হবে এখন আমার সাথে আসো সবার জন্য নাস্তা রেডি করতে হবে
তারপর আমি ছুটকি কে সাথে করে নিয়ে রান্নাঘরে গেলাম এবং সবার জন্য নাস্তা তৈরি করে নিয়ে আসলাম
শুঁটকি আর আমি টেবিলে নাস্তা রেডি করতে ছিলাম আর ওখান এ আম্মুর সাথে ওনার আব্বু আম্মু কথা বলতেছে বিয়ের ব্যাপার নিয়ে
আর উনি বেহায়ার মত ওখানে বসে উনাদের কথা শুনতেছে এই মানুষটার লজ্জা শরম কিছুই নেই নির্লজ্জ কোথাকার
ছুটকিঃ ভাবি তুমি মনে মনে যেটা ভাবতেছো সেটা ভেবে লাভ নেই কারণ আমার ভাইয়াটা লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই,, দেখনা কিভাবে বসে ওনাদের কথা শুনতেছে

তারপর নাস্তা রেডী করে ছুটকি আর আমি আমার রুমে গেলাম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম
ছুটকি আমাকে জোর করে আয়নার সামনে বসিয়ে দিয়ে একটু হালকা সাজ গোজ করিয়ে দিল
আমিঃ আমরা ছুটকি আমাকে সাজগোজ করাতে হবে না এমনিতেই হবে
ছুটকিঃ মেয়েদের সাজগোজ করতে ভালোই লাগে আর তুমি তো দেখছি অন্য জগতের প্রাণী সাজগোজ করতে চাও না
আমিঃ আমি কি বলছি সাজগোজ করতে চাই না আমি বলতেছি আমার এখন ভালো লাগতেছে না এমনিতেই হবে চলো সবার সাথে কথা বলে আসি
ছুটকিঃ তুমিও তো দেখতেছি বেহায়া হয়ে গেছো ওইখানে যাওয়ার জন্য ওইখান থেকে যখন ডাক পড়বে তখন তোমাকে নিয়ে যাব বুঝেছেন ম্যাডাম
উফফফ আমিও একদম ভুলেই গেছি যে উনার আমাকে দেখতে এসেছে কি করতেছি আমি
তারপর রুমের ভিতরে চুপচাপ বসে রইলাম
ছুটকি বাহিরে চলে গেছে এখন আমি রুমের ভিতরে একা বসে আছে যেমন বোরিং ফিল হচ্ছে আর আজব লাগতাছে আমার কাছে
বেশ কিছুক্ষণ পর ছুটকি রুমে আসলো
ছুটকিঃ চলো ভাবি আর তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে না
তারপর ছুটকি আমাকে ধরে ধরে নিচে নিয়ে যেতে লাগল আমিও ধীরে ধীরে হেঁটে যাচ্ছি ছুটকি সাথে সাথে ছুটকি নিয়ে গিয়ে উনার আব্বু আম্মুর সামনে আমাকে বসিয়ে দিল
উনার আম্মুঃ আমি তোমার সাথে কয়েকটা কথাই বোলবো বেশি কথা বলব না কারন তোমাকে তো আমি ভালো করে চিনি আর তোমার সব কিছুই জানি বেশি প্রশ্ন করার কোন মানেই হয় না এখানে

উনার আব্বু: মেয়েটা কিন্তু অনেক সুন্দর তোমার পছন্দ আছে বলতে হবে

উনার আম্মু: দেখতে হবে না কে মেয়েটা পছন্দ করেছে এখন কি তোমার আরো কোন সমস্যা আছে মেয়েকে নিয়ে

উনার আব্বু: না আমার কোন সমস্যা নেই এখন আমার অফিসের কাজ আছে আমি চলে গেলাম বাকি কথা বাসায় হবে

আম্মুঃ সেকি কথা অন্তত নাস্তা করে যান খালি মুখে তো আর যেতে দেওয়া হচ্ছে না আপনাকে

উনার আব্বু: আত্মীয় হলে আজকেই খেতে হবে এমন কোন কথা না সারা জীবন পড়ে আছে খাওয়ার জন্য তখন দেখবেন বিরক্ত হয়ে যাবেন

আম্মুঃ আমরা কখনো বিরক্ত হই না আমরাও বরং চাই আত্মীয়রা সবসময় আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করুক আমরা তার বাসায় যাওয়া আসা করি এটাই তো আত্মীয়র পরিচয়

উনার আব্বু: আপনার কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো ,, আচ্ছা আজকে তাহলে আমি আসি আরেকদিন বসে আড্ডা দেবো

তারপর উনি চলে গেলেন

মাহিনঃ আম্মু আমি একটু রুমে যাচ্ছি আমার খারাপ লাগতেছে

আমি উনার মুখ থেকে এরকম কথা শুনে চট করে উঠে উনার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম এবং উনার হাতে হাত রাখলাম

আমার এই রকম অদ্ভুত কান্ড দেখে সবাই অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে এবং আম্মু দিকে আমি তাকিয়ে দেখি আম্মু অনেকটা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে হয়তো আম্মু ভাবতে পারে নি আমি এরকম কোন কাজ করব

আম্মুঃ আচ্ছা দীপা তুই বাবাকে নিয়ে একটা রুমে নিয়ে যা ( আম্মু মিথ্যা হাসির চেষ্টা করে কথাটা বলল)

বুঝতে পারলাম আম্মু একটু আমাকে সন্দেহ করা শুরু করে দিয়েছে

তারপর আমি আর ওখানে না থেকে ওনাকে নিয়ে আমার রুমে চলে আসলাম

মাহিনঃ আচ্ছা তুমি নিজে ঐরকম করলে কেন

আমিঃ আমি কিছু জানিনা আর এখন ফালতু বকবক না করে ঘুমানোর চেষ্টা করুন রেস্ট নেন

মাহিনঃ আমি তো রেস্ট নেওয়ার জন্য হলরুমে আসিনি আমি এসেছি বেবি প্ল্যানিং করতে😉😍

আমিঃ মানে😱😱😱

মাহিনঃ বারে তুমি তো তখন বললা যে বেবি নিবা তাই আমিও ভাবলাম একটা বেবি হলে ভালই হয়

আমিঃ আচ্ছা আপনি এত অসভ্য কেন অসভ্যতামি করতেছেন কেন আপনার মুখে কিছুই আটকায় না

মাহিনঃ বউয়ের সামনে আবার মুখে কি আটকাবে আচ্ছা তুমি তো আমার বউ তাই না বউয়ের সামনে আবার কিসের আটকা আটকি বউ সামনে সব হবে সরাসরি 😍

আমিঃ আমি কোন বেহায়া লোকের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি না

আমি যেই উল্টা হয়ে হাটা শুরু করব তখনি উনি আমার ওড়না ধরে ফেললেন

আমিঃ এইবার কিন্তু বেশি রকম বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে আপনি আমাকে ছেড়ে দেন বলতেছে

মাহিনঃ যদি ছেড়ে না দেই তাহলে কি করবা

আমিঃ আপনার সাথে আজাইরা কোন কথা বলার ইচ্ছা নাই এখন আমার আমাকে যেতে দেন

মাহিনঃ যেতে দিতে পারি তবে একটা শর্ত আছে

আমিঃ আমি এখন আর আপনার কোনো শর্ত মানতে রাজি না আমাকে ছেড়ে দেন আমি নিচে যাব

উনি আমার কোন কথা না শুনে একটান দিয়ে ওনার কোলে আমাকে বসিয়ে নিলেন

আমিঃ দেখুন যে কোন সময় ছুটকি এখানে চলে আসতে পারে এখন কোন অসভতামি করবেন না

উনিও নাছরবান্দা আমাকে ধরে রেখেছেন ছেড়ে দিচ্ছেন না

আমি যেদিকে কথা বলতেছি ওনার মনে হচ্ছে না আমি কিছু বলতেছি

উনি হঠাৎ করে আমার গলায় উনার ঠোঁট দুটো বসিয়ে দিলেন

উফফফ এসব কি করতেছেন দরজা খোলা যেকোনো সময় ছুটকি এই রুমে চলে আসতে পারে ভাবতে পারতেছেন ব্যাপার টা কত বড় লজ্জাজনক হয়ে যাবে

তাও উনি ওনার মত কাজ করে যাচ্ছে আমার কথা উনার কান অব্দি হয়তো পৌঁছাচ্ছে না

হঠাৎ করে উনি আমার গলা থেকে ওর ঠোঁট দুটো উঠিয়ে আমার ঠোঁটে ডুবিয়ে দিলেন

এখন আর আমি কোন প্রকার কথা বলতে পারতেছি না কারণ আমার ঠোঁটদুটো উনার ঠোঁটদুটো দ্বারা আবদ্ধ

চলবে…….