বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 06
এই দিকে ছেলে গুলো তিথির সাথে খুব বাজে ব্যবহার করছে এক জন তো তিথি ওড়নাটা নিজের গলায় মুড়িয়ে নেয়,,,,তিথি তো কান্না করতে করতে অবস্থা খারাপ র মনে মনে আল্লাহ কে ডাকছে র আবিরকে,,,,,
এক জন তিথির দিকে এগোছে র তিথি ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে,,,,,
তিথির মাথায় কিছু আসছে না যে সে কি করবে,,,ভয়ে তো তার মাথা একটু ও ঠিক নাই,,,,চারপাশে বার বার তাকাচ্ছে আবির আসছে কি না কিন্তু না আবির আসার কোনো নাম নাই,,,,এক জন তো তিথির অনেক টা কাছে চলে আসছে তিথি নিচে তাকিয়ে দেখে কিছু পায় কি না,,,হঠাৎ দেখে বালু,,,র কি দুই মুটো বালু নিয়ে লোক গুলোর চোখে মেরে দেয় র দুরাতে থাকে,,,,র লোক গুলো তিথির পিছনে,,,,,
আবির ব্যাগ নিয়ে তিথির কাছে আসতে থাকে সে খেয়াল করে এক জন দূরে আসছে তার দিকে ভালো করে চেহারা ও দেখা যাচ্ছে না যে কে,,,তিথি দূরে আবিরের সামনে আসে র আবিরকে দেখে যেন জানে জান আসছে তার,,,তিথি আবিরকে জাপ্টে ধরে র কান্না করে দেয় হাউমাউ করে ,,,আবির কিছুই বুজতে পারছে না,,,,আবির ও তিথিকে জড়িয়ে ধরে র তিথিকে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ তিথি কি হয়েছে কান্না করছো কেন??
তিথি অজোরে কান্না করতে থাকে,,,,আবির তিথির মাথায় এক হাত দিয়ে শান্তনা দিচ্ছে হঠাৎ চোখ পরে কিছু লোক তাদের দিকে আসছে,,,,লোক গুলো আবিরের সামনে এসে দাঁড়ায় র তাদের মধ্যে এক জন বলে
এক জন লোকঃ দেখ মেয়েটা আমাদের,,,এখান থেকে চলে যা মেয়েটা কে আমাদের দিয়ে এতে তোর ভালো হবে,,,
আবিরের র বুজতে বাকি রইলো না যে তিথি কেন কান্না করছে র ভয় পাচ্ছে,,,,আবির লোক গুলোর দিকে রাগী চোখে তাকায়,,, তিথিকে তুলে তিথির গালে হাত রেখে বলে
আবিরঃ তুমি এখানে দাঁড়াও আমি আসছি,,,,
আবির যেতে লাগে কিন্তু তিথি আবিরের শার্ট আকড়ে ধরে আছে,,,,,আবির বুজতে পারছে যে তিথি অনেকটা ভয় পাচ্ছে,,,,আবির তিথির গালে হাত রেখে তিথির চোখে চোখ রেখে বলে
আবিরঃ আমি থাকতে তোমার কিছু হবে না,,,,
এক জন লোক বলঃ আরে তোর হলে যা ভাই,,,আমাদের রাতটা খারাপ করিস না তো,,,,আমাদের ও মজা করতে দে মেয়েটার সাথে,,, এখান থেকে যা,,,
লোক গুলোর কথা শুনে আবিরের রাগ যেন আকাশে উঠে যায়,,তিথিকে সরিয়ে লোক গুলোর সামনে যায় র এক জনের কলার ধরে বলে
আবিরঃ তোর সাহস হয় কি করে ওকে টাচ্ করার😠😡😡(এই বলে দেয় ঘুষি বখাটে লোকটার মুখে)
আবির সব গুলোকে ইচ্ছে মতো ধুয়ে পেলে,,,,তিথি তো ভয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে,,আবিরের এমন রুপ হয়তো সে র কখনো দেখে নাই,,,সব গুলো মাইর খেয়ে উঠার মতো অবস্থাতায় নাই তার পর ও উঠে পালায়,,,আবির ও একটু খায় কিন্তু বেশি না আবার,,,
আবির শার্টের হাতা ঠিক করতে করতে তিথির সামনে আসে,,,,তিথি এখনও কান্না করে যাচ্ছে,,,,আবির তিথির গালে দুই হাত রেখে বলে
আবিরঃ আরে মিস তিতা তুমি তো দেখি অনেক ভীতু😂এমনী তো অনেক ঝগড়া করতে পারো আমার সাথে র এখন ভয়ে কান্না করছো,,,,
তিথি আবিরকে জড়িয়ে ধরে র ফুঁপিয়ে কান্না করে দেয়,,,,চোখের পানি নাকের পানি সব এক করে দেয়,,,র আবিরের পুরো শার্ট ভিজিয়ে দেয়,,,,,আবির একটু মুচকি হেসে তিথিকে বলে
আবিরঃ মিস তিতা সারারাত কি আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরে রাখবে রাস্তায়😛
তিথি আবিরকে ছেড়ে চোখের পানি মুছতে থাকে,,,আবির পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে দেয় তিথি রুমাল টা নিয়ে চোখের পানি মুছে র নাকের কাছে নিয়ে সব নাকের পানি রুমালে লাগায়😂আবির তো পুরো অবাক,,,,তিথি নাক মুছে আবিরকে রুমাল টা দেয়,,,আবির রুমাল টার দিকে এক বার তাকায় আবার তিথির দিকে,,,
আবিরঃ তোমার কাছে রেখে দাও আমার র লাগবে না,,,,😨😨আমার লাগবে না র এই রুমাল,,,
তিথি র কিছু বলে না,,,আবির র তিথি হাঁটতে থাকে,,,কোনো জায়গায় একটা মানুষ ও দেখছে না তাঁরা,,,হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়,,,,এক তো অনেক শীত তার মধ্যে বৃষ্টি পরছে ঠান্ডায় মনে হয় তিথি এখন জমে বরফ হয়ে যাবে,,,,আবিরের খেয়াল করছে তিথি অনেক কাঁপছে,,,কিন্তু কিছু যে করার নাই তার,, সে তো আগে দিয়ে দিচ্ছে তার ব্লেজার টা,,,,,আবির তিথির হাতটা শক্ত করে ধরে র হাঁটতে থাকে,,,,অনেক হাঁটে আবির খেয়াল করে অনেক দূরে একটা ঘর,,৷ তা দেখে আবির একটু মুচকি হেসে তিথিকে বলে
আবিরঃ তিথি ওই দেখো একটা ঘর দেখা যাচ্ছে চলো,,,,দেখি কেউ আছে কি না,,,,হয়তো সাহায্য পেতে পারি আমরা তাদের,,,
তিথি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে,,,, আবির র তিথি সে ঘরের সামনে যায় র গিয়ে অনেক বার দরজায় টুকা দেয় কিন্তু কেউ দরজা খুলছে না,,,,আবির আবার টুকা দেয় দরজা টা আস্তে করে খোলে যায় কিন্তু কাউকে তারা দেখছে না,,,আবির র তিথি ভিতরে যায় কিন্তু ঘরটার মধ্যে কেউ নাই,,,,,আবির ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট দিয়ে দেখে কথায় ও কিছু পাওয়া যায় কি না,,,
অনেক খোঁজার পর একটা হারিকেন পায় র দিয়াশলাই ও পায়,,আবির ওই টা জ্বালায় র কিছু কাপড় দেখে র তা নিয়ে তিথিকে এগিয়ে দেয় র পরে আসতে বলে,,
তিথি কাপড় কোথায় চেঞ্চ করবে তা ভাবছে,,, ঘর টা এক রুমের মতো কথায় ও চেঞ্চ করার মতো জায়গা নাই,,,আবির বুজতে পারছে তিথি কি ভাবছে আবির তিথির কাছে গিয়ে বলে
আবিরঃ তুমি চেঞ্চ করে নাও আমি ওই পাশে আছি র হ্যাঁ চেঞ্চ করা হয়ে গেলে বলো ওকে
তিথি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,,আবির অন্য পাশে গিয়ে দেখে কিছু কাঠ পাওয়া যায় কি না,,,,তিথি কাপড় চেঞ্চ করছে র আবিরের দিকে বার বার উঁকি দিয়ে দেখছে আবির তাকাছে কি না,,,আবির কিছু ছোট ছোট কাঠ পায় র তা এক করে জ্বালাতে ব্যস্ত হয়ে পরে,,,এক তো ঠান্ডা তার মধ্যে বৃষ্টি পরে ঠান্ডা টা আরো বারিয়ে দিয়েছে,,,,আবির নিজের শার্ট টা খুলে একটা কাঠে রাখে যাতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়,,,,,আগুন জ্বালিয়ে সেখানে নিজের হাত হালকা গরম করছে,,,,পিছন থেকে তিথির আওয়াজ পেয়ে ঘুরে তাকায় র পুরো হাাা হয়ে যায়,,,,
তিথি একটা সাদা সাড়ি পরেছে,,,, যেন পুরো সাদা পরী লাগছে,,,, মুখে বিন্দু বিন্দু পানি,,,,,চুল গুলো ভিজা,,,,আবির তো তিথিকে দেখে চোখ সরাতে পারছে না,,,,,আবিরের কাছে মনে হচ্ছে আজ কোনো পরী ও তিথির কাছে হার মানবে,,,,,তিথি যে এতো সুন্দর তা আবির আজকে খেয়াল করলো দেখতে যেমন সুন্দর তার চেয়ে বেশি মায়াবী,,,আবির যে তিথির মায়ার জালে পরে গেছে,,,আবির এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,চোখ যেন সরছে না তার তিথির উপর থেকে,,,,
তিথি সে কখন থেকে আবিরকে ডাকছে কিন্তু আবিরের কোনো হুশ নাই,,,তিথি র না পেরে আবিরের হাতে একটা চিমটি দেয়,,,,
আবিরঃ আয়ায়ায়ায়ায়ায়া(হাত ঘষতে ঘষতে)
তিথি হাসতে থাকে,,,আবির তো তিথির হাসি দেখে সব ভুলে গেলো আবার,,,,তিথির হাসি যে আরো বেশি মায়াবী,,,,তিথির হাসিটা যেন আবিরের বুকে এসে গেঁথে গেলো,,,,তিথি যখন হাসে তখন তার একটা বাঁকা দাঁত বের হয়ে যায় যার জন্য তার হাসিটা আরো বেশি সুন্দর লাগে,,,,,আবির তো পুরো গেছে😂😛
তিথি হাসি বন্ধ করে আগুনে নিজের হাত হালকা গরম করতে করতে আবিরকে বলে
তিথিঃ মিস্টার এনাকন্ডা বজ্জাত বস আপনার মাথায় তো সত্যি অনেক বুদ্ধি,,,(হঠাৎ করে মনে পরলো যে আবির কে তো মিস্টার এনাকন্ডা বজ্জাত বস বলা যাবে না)
তিথি নিজের মাথায় হালকা বারি দিয়ে বলে
তিথিঃ সরি স্যার,,
আবিরের তো সে দিকে একটু ও খেয়াল নাই আবির তো তিথির দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে,,,,তিথি আবিরকে একটু ঝাকুনি দিয়ে বলে
তিথিঃ স্যার আপনার কি হলো?
আবিরঃ কি,,,,ছু না,,,
তিথি ও আরো কিছু বলে না,,,,
বৃষ্টি টা আরো বারতে থাকে কমার নামই নিচ্ছে না,,,,আবির অনেক ক্ষন চুপ করে থাকে আবার তিথিকে বলে
আবিরঃ তোমার বাসার মানুষ অনেক চিন্তা করছে হয়তো তোমার জন্য,,,তোমার বাবা-মা হয়তো তোমায় খুঁজছে?
তিথি মুখ টা মলিন করে বলে
তিথিঃ আমার কেউ নাই যে আমার জন্য চিন্তা করবে বা আমার জন্য অপেক্ষা করবে😔😔😔আমি এতিম
এতিম শব্দ টা শুনে আবিরের খুব খারাপ লাগে,,,,,তিথি আবার একটু হেসে বলে
তিথিঃ কিন্তু আমার একটা বেস্টি আছে,,,,ও হয়তো চিন্তা করছে কারণ আমরা এক সাথে থাকি,,,
আবিরঃ তোমার বাবা- মা মারা গেছে?
তিথিঃ জানি না😔😔আমি জানি না যে আমার বাবা-মা কে? আমার পরিচয় কি? কে আমি? আমি কিছু জানি না😭শুধু জানি আমি এতিম খানায় বড় হয়েছি র এতিম😢😢
আবির তিথির চোখের পানি কেন যেন একটু ও সহ্য করতে পারছে না,,,,আবির তিথির চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে
আবিরঃ ওই পাগলী এই ভাবে কান্না করছো না,,,চুপ করো,,,একটা কথা বলবো
তিথিঃ হুম( নাক টেনে টেনে)
আবিরঃ তুমি কান্না করলে না পুরো বাচ্চা লাগো😂র তোমার নাকটা পুরো লাল টমেটো হয়ে যায়😂😂(তিথির নাকটা হালকা টেনে দিয়ে)
তিথি তো সে পরিমাণ রেগে যায় তার নাক টানাতে,,,,
তিথিঃ ওই বজ্জাতের হাড্ডি আমার নাক ধরলি কেন😡তোর নাক আমি কুচি কুচি করে বড গাছে ঝুলাবো
আবিরঃ এই তো শুরু হলো মিস তিতার বকবক😂
তিথিঃ কি বললি😡আমি বকবক করি😡শয়তানের হাড্ডি তুই না বকবক করিস😡
তিথি তো সে পরিমাণের বকা দিচ্ছে আবিরকে,,,😂😂
আবির কতো বার চুপ থাকতে বলে কিন্তু কে শুনে কার কথা,,,,,
আবির তিথির দুই গালে হাত রেখে নিজের দিকে টেনে নিয়ে তিথির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়,,,,,তিথির ঠোঁটের সাধ নিতে ব্যস্ত হয়ে পরে,,,,,তিথি তো পুরো শকড😱,,,,তিথি চোখ দুটো এতো বড় করেছে যে মনে হচ্ছে এখন বের হয়ে যাবে,,,,,তিথি অনেক ছাড়ার চেস্টা করছে কিন্তু আবির তিথিকে ছাড়ছে না,,,,,তিথির ঠোঁট দুটো নিজের ধকলে করে নেয় সম্পন্ন ভাবে,,,,,,
তিথির চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পরছে,,,,তিথি র না পেরে আবিরের ঘাড়ে খামচি দিতে থাকে কিন্তু আবির তো ছাড়ছেই না😛,,,,, প্রায় অনেক ক্ষন পর আবির তিথির ঠোঁট দুটো ছেড়ে দেয়,,,, তার একটু ও ইচ্ছে করছে না ছাড়তে এক অজানা নেশা যেন তিথির ঠোঁটের মাঝে,,,,,তিথি তো এতো টা শকড যে তার সাথে এখন কি হলো সে বুজে উঠতে পারছে না,,,,আবির একটু মুচকি হেসে তিথির ঠোঁটের মধ্যে বৃন্ধা আঙুল দিয়ে মুছে দেয় র তিথির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
আবিরঃ আর যদি বেশি বকবক করো তাহলে এর চেয়ে বেশি কখন কিস করবো😛😛😛
তিথি রেগে আবিরের দিকে তাকায় কিছু বলতে যাবে তার আগে আবির তিথিকে বলে
আবিরঃ যদি উল্টো পাল্টে কিছু বলো তাহলে কিস টা আবার করবো,,,,সো চুপচাপ বসে থাকো
তিথির খুব রাগ লাগছে আবিরের উপর কিন্তু কিছু বলতে ও পারছে না,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,