ঝরা ফুলের বাসর !! Part- 24
আজ আপুর জন্মদিন। মেঘ স্যার একটার পর একটা সারপ্রাইজ দিয়ে চলেছে আপুকে। আপুও খুব খুশী। স্যার হসপিটালের সবাইকে সাক্ষী রেখে আপুকে প্রোপজ করে উঠে দাড়ালে চোখের সামনে আবির চৌধুরীকে দেখতে পান।আবির চৌধুরী হসপিটালের মধ্যে আপু কি করছে সেটা জানতে চাইলে প্রিয়া এগিয়ে এসে বলল,
-আপনি চলে যাওয়ার পর ডা.নূর ম্যাম মেঘ স্যারের সঙ্গে হসপিটালে আসেন।তারপর স্যারের চেয়ারটা দখল করে নেন।আর যা ইচ্ছা তাই করেন হসপিটালের মধ্যে। শুধু তাই নয় আপনার বাড়িতেও থাকেন মেঘ স্যারের সঙ্গে।
কথাটা শুনে আবির চৌধুরী খুব রেগে গেলেন। রাগি দৃষ্টিতে আপুর দিকে তাকালেন।মেঘ স্যারকে বললেন,
-এই মুহূর্তে ডা.নূরকে তুমি আমার হসপিটাল থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দাও।
স্যার রাজি হলো না।বরং আপুর হাতে হাত রেখে তার বাবার সামনে এসে দাড়িয়ে বললেন,
-নূর আমার স্ত্রী।তোমার কথায় একবার আমি ওকে কস্ট দিয়েছি।নিজেও কস্ট পেয়েছি।তাই আমরা এখন ঠিক করেছি পুরোনো সব কিছু ভুলে নতুন করে জীবনটা শুরু করবো।প্লিজ বাবা ওকে আরেকটা সুযোগ দাও।
কথাটা বলার সঙ্গে রেগে স্যারের গালে আবির চৌধুরী একটা চড় মারলেন।স্যারকে বললেন আপুকে ভালোবাসলে তাকে ভুলে যেতে।হসপিটাল থেকে তার বাড়ি থেকে আপুকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যেতে।কখনো তার চোখের সামনে না আসতে।
স্যার অনেক ভেবে রাজি হয়ে গেলেন।আপুকে নিয়ে চলেও আসতে চাইলেন।কিন্তু প্রিয়া আটকালো।আবির চৌধুরীর কাছে গিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল আপুর উপর রাগ দেখিয়ে নিজের ছেলেকে না হারাতে।প্রিয়া আবির চৌধুরীকে অনুরোধ করলো স্যারকে আটকাতে ও কোনো একটা উপায় করে আপুকে স্যারের জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।আবির চৌধুরী প্রিয়ার উপর ভরসা করলো।কারণ প্রিয়াকে সে স্যারের বউ হবার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
মেঘ স্যার আপুকে নিয়ে হসপিটাল থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার আগেই তাকে আটকালেন তার বাবা।আর বললেন আপুকে সে একটা সুযোগ দিবেন।তবে এটাই লাস্ট সুযোগ। তার কথায় আপু আর স্যার খুব খুশি হলেন।আমি আর হৃদ বাড়িতে এসে সবটা বললে বাড়ির সকলেও খুশি হলো।
পরের দিন সকালে প্রিয়াকে হোস্টেল থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন আবির চৌধুরী। প্রিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে অবশ্য বলেছে সে বাড়িতে যাচ্ছে।কিন্তু ফোনে আপুর কাছে জানতে পেরে আমি নিশি আর মিনি ওখানে গেলাম। দেখলাম স্যার আর আপুর রুমের ঠিক সামনের রুমটায় প্রিয়া লাগেজ থেকে কাপড় বের করছে আর আপু আজ পর্যন্ত যতো অন্যায় করেছে সব একে একে বলছে প্রিয়া।বাড়িতে এই মুহূর্তে মেঘ স্যার নেই।যদি থাকতো তাহলে এসব শুনলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতো প্রিয়াকে।
আমরা প্রিয়ার কাছে জানতে চাইলাম এসবের মানে কি? আর এখানে ও কি করছে? তখন প্রিয়া আমাদের বলল কিছুদিন হসপিটাল আর হোস্টেল থেকে দূরে থাকবে। আবির চৌধুরী ওকে মেঘ স্যারের সাথে বিয়ে দিতে চাই। আর আপু মেঘ স্যারের যোগ্য না।তাই ও আপুকে স্যারের জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দিতে এখানে এসেছে।
চলবে,,,,