গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–১২&শেষ
আর্মি,পুলিশ, ডাক্তার সবাই সবার মত করে
সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।
নিলান্তি- শুন্য এখানে বসি একটু চল।
।
শুন্য- আমি আর নিলান্তি একটা বড় পাথরের
উপর বসলাম।
।
প্রথম – ঠিক আছিস তোরা।
।
শুন্য- হ্যা।
নাবা, আলো ওরা কই।
।
নাবা- আমি এইখানে।
আর আলো আরাভ এর কাছে।
ও খুব আহত হয়েছে।
।
তোরা ঠিক আছিস ত ।
।
শুন্য- হ্যা।
।
সবাই কিছুটা হলেও আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।
তাই ডাক্তার নার্স এসে সবাই কে প্রাথমিক
চিকিৎসা দিল।
।
শুন্য- নিলান্তি তুমি ব্যান্ডেস করে নেও।
আমি কোমান্ড এর সাথে দেখা করে আসি।
।
নিলান্তি- আচ্ছা।
।
শুন্য- কোমান্ড বেড এ শুয়ে আছে।
আমি যেতেই চোখ খুলল।
।
কোমান্ড – আমি জানি তুমি কি জানতে চাও।
তোমার চোখে এখন হাজার প্রশ্ন আর উত্তর
শুধু আমি ই দিতে পারি।
তাহলে শুন –
একদিন নিশা আর নিলান্তি প্রেক্টিজ রুমে
প্রেক্টিজ করছিল।
আমি ওই খানে বাইরে দাড়িয়ে ওদের লড়াই
দেখছিলাম।যেহেতু কাচের দেওয়াল বাইরে
থেকে সব দেখা যায়।
লড়াই এর এক পর্যায় নিশার তোলয়ার এর
আঘাতে নিলান্তি র পিঠে র গেঞ্জি কিছুটা
ছিড়ে যায়।
এতে করে ওর ঘাড়ের চিহ্ন টা আমি দেখতে
পারি।
যেহেতু চিহ্ন টা আমি চিনতাম তাই আমি তখন
ই বুঝে গিয়েছিলাম ও মানুষ না।
তাই পরে আমি ওকে চোখে চোখে রাখা শুরু
করি।
ওকে আমি যত দেখতাম অবাক হতাম ওর মধ্যে
কোনো দিন খারাপ কিছুর আভাস পেতাম
নআআ।
বরং ও ত তোমাদের কাজে আরো সাহায্য
করত।
ও আসলেই কেমন তা দেখতে ওকে তোমাদের
সাথে মিশন এ পাঠালাম।
আসলে ও খারাপ না আমি বুঝে গিয়েছিলাম।
আর তুমি ওইদিন লাইব্রেরী থেকে চলে
যাওয়ার পর আমি বই টা পাই আমার কাছে
রাখি ওটা এনালাইসিস করে আরো অনেক
কিছু জানতে পারি।তোমাকে জানাবো তার
আগেই ওরা আমাদের উপর হামলা করে দেয়।
আর তাছাড়া
আমার তোমার উপর পুরা বিশ্বাস ছিল। আমি
জানতাম তুমি এমন কিছু করবে না যাতে
আমাদের খারাপ হয়।
।
এখন তুমি ওকে এইখানেই রাখবে না পাঠিয়ে
দিবে সেটা তোমার উপর।
কিন্তু আমার ক্লাবের দরজা ওর জন্য সব সময়
খোলা।
।
শুন্য- আমি কথা গুলা শুনছিলাম।
আপনি এখন রেস্ট নিন কোমান্ড বলে বাইরে
এলাম।
দেখি নিলান্তি দাড়িয়ে।
।
নিলান্তি – ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
ও আমার হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেল।
ও কিছু বলতে যাবে তার আগেই বললাম-
আমাকে না হয় তুমি আমার গ্রহে পাঠিয়ে
দেও।
আমার জন্য আর কত সমস্যা পোহাবে বলো।
তার থেকে ভাল আমি চলে যাই।( মাথা নিচু
করে)
।
শুন্য- ওর থুতনি তে আংগুল দিয়ে মুখ উঁচু
করলাম।
তুমি যেতে চাও? ?
।
নিলান্তি- আমি চাই না তুমি আর এই গ্রহের
মানুষ গুলা আমার জন্য আর সমস্যা তে পরো
।
শুন্য- আমি ত এটা জিজ্ঞেস করিনি।
আমি জানতে চেয়েছি তুমি কি যেতে চাও??
।
নিলান্তি- ………
।
শুন্য- আমি জানি তুমি যেতে চাও না।
তুমি এইখানে আমাদের সাথে থাকতে চাও।
আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আমি তোমাকে
সব সমস্যা থেকে বাঁচাব।
তোমার দায়িত্ব আমার।
।
নিলান্তি- বাবা জোর করে চাপিয়ে দিয়ে
গেছে আমাকে তোমার উপর।
আর তুমি …..
।
শুন্য- ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই বললাম
আমাকে কেউ জোর করে কোনো কাজ
কোনো দিন ও করাতে পারেনি।
আমি নিজে ইচ্ছায় তোমাকে নিয়ে এসেছি।
আমি নিজের ইচ্ছাতে তোমার খেয়াল
রাখছি।
কোনো জোরের জন্য না।
তুমি এইখানেই থাকবে।
আমার সাথে।
সব সময়।
।
নিলান্তি- জরিয়ে ধরে কান্না করে দিলাম।
।
শুন্য- হাত দিয়ে ওর মুখ উঁচু করে চোখের পানি
মুছে দিলাম।
কপালে ছোট করে আদর করে দিলাম।
।
প্রথম – থাক ভাই সব রোমান্স কি এইখানেই
করবি।
।
শুন্য- প্রথম এর দিকে তাকালাম।
প্রথম – sorry boss ভয় পাইছি।
তুই আর এইভাবে তাকিয়ে থাকিস না।
মনে হচ্ছে এখুনি চোখ দিয়ে মিসাইল বের
হবে।
।আলো- তোকে মিসাইল মেরে উড়ায় দেওয়া
ই দরকার।
বলদ একটা সব সময় এমন করে আমাকে আর
আরাভ কে এক সাথে দেখলেও এমন করে।
।
নিশা – এই এই তোমরা আমার জানুকে কিছু
বলনা।
।
প্রথম – দেখছিস আমার জানু আমাকে কত
ভালোবাসে।
।
আলো- সে ত দেখতেই পাচ্ছি।
তোর মত বলদ কে যে কি করে কেউ
ভালবাসতে পারে নিশা কে না দেখলে
বুঝতাম না।
।
নিশা – ওর বলদ মার্কা কাজেই ত আমি ফিদা
হয়েছি।
।
প্রথম- তুমি ও ???
সবাই হেসে উঠল।
।
নিশা- থাক আর রাগ করতে হবেনা।
,গালে একটা চুমু দিলাম।
।
প্রথম – হিহিহি আমি কি আমার জান এর উপর
রাগ করতে পারি।?
।
নিলান্তি- শুন্য আমার দিকে আর আমি শুন্য র
দিকে তাকিয়ে আছি।
ওর চোখে দেখতে পাচ্ছি নিজের জন্য অজস্র
ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ।
now he is my home, my world, my life, my
everything! ! (love u, love u, love u a lot.
অনেক বার মনে মনে এই কথা বলেছি ওকে।
কিন্তু মুখে কখন ও বলে উঠা হয়নি।)
।
শহর এর সব কিছু ঠিক আগের মত করতে বেশ
অনেক সময় লাগল। সব আগের মত এখন চলতে
লাগল।
।
শুন্য- বিকেলে দাড়িয়ে আছি ছাদে রেলিং
এ হাত নিয়ে কিছুটা ঝুকে।
।
নিলান্তি- আমি পিছন থেকে ওকে জরিয়ে
ধরর মাথা ওর পিঠ এ রাখলাম।
।
শুন্য- ঘুম কেমন হল? ?
।
নিলান্তি- আমি ওর পাশে রেলিং এ হেলান
দিয়ে দাড়িয়ে ওর দিকে চেয়ে আছি।
।
শুন্য- কি দেখছ? ?
।
নিলান্তি- তোমাকে।
।
শুন্য- নতুন করে দেখার কি আছে??
।
নিলান্তি- তোমাকে প্রতি দিন ই নতুন লাগে।
।
শুন্য- তাই? ?
।
নিলান্তি- হুম।
শুন্য- আমি ওর সামনে যেয়ে দাড়িয়ে ওর ২
পাশে রেলিং এ হাত রাখলাম।
তাহলে আরো সামনে থেকে দেখো।
।
নিলান্তি- আচ্ছা বাচ্চু ওর কলার ধরে টেনে
আরো সামনে এনে বললাম এবার ঠিক আছে।”
নাকে নাক ঘসে।
।
শুন্য- ওর কপালে একটু আদর করে দিলাম।
কিন্তু ও আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার
ঠোটে আদর করে দিল।
আমার চোখ ত চড়ক গাছে উঠল।
।
নিলান্তি- আমি ওর বুকে থামা গুজে আছি।
।
কেউ কাউকে ভালবাসি কথা টা বলেনি।
কিন্তু ২ জন ই জানে ওরা একে অপর কে
ছাড়া থাকতে পারবেনা।
২ জন ই জানে ২ জন ২ জন কে খুব ভালবাসে।
।
এইভাবেই #ঘৃণা থেকে শুরু হয়ে গেল ওদের
প্রেম।
।”
আর দুরে কোথাও অন্য গ্রহে চলছে নিলান্তি
কে মারার প্লান।
।”
সেটা না হয় #season2 এর জন্য রেখে দিলাম।
।
খুব ইচ্ছা ছিল fantasy love story লিখার।
তাই খুব শখ করে এটা লিখেছি।
কেমন লাগল জানিনা।
অনেকের ই এমন story ভালো লাগেনা।
কেমন লাগল জানাবা।
কারন #season2 ও এমন ম্যাজিকেল হবে।
এর থেকে হয়ত বেশি।
তাই এটার ভাল লাগার উপর ই depend করে
#season2.
।
ধন্যবাদ