1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃঅদ্ভুত তিনিলেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)

অদ্ভুত তিনি !! লেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)

বাসর ঘরে একটি গোলাকার আধুনিক কারুকাজের বিছানায় বসে আছি আমি।ঘরে তেমন আলো নাই টিপ টিপ লাইটের আলো আবছা দেখা যাচ্ছে সবকিছু। শুনতে শোনা যাচ্ছে এটা বাসর ঘর কিন্তু এটা কি আদও বাসর ঘর এটা ভেবে আমি অস্থির। আসলে এই ঘরে কোন ফুল নেই ঘরটা এক দমি সাধারন ভাবে আছে। সাধারন যেমন একটা ঘর সাজানো থাকে ঠিক তেমন। আমার পরনেও সাধারন একটা লাল রং এর কাতানের সারি৷ কোন রকম সাজ। বাসর রাতে মেয়েদের যেমন সাজ থাকে তেমন নয়।আমি আবছা আলোতে কিছুটা ভয় পাচ্ছি কিন্তু বুঝতে পারছি যে, অবিশ্বাস ভাবে এই ঘরের প্রতিটা জিনিস আধুনিক আমার কথা শুনে অবাক হবেন না এই জিনিস গুলো একটু অত্যধুনিক বলা যায়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আমার স্বামীর আপডেট জীবনের সাথে গভীর সম্পর্ক।তাইতো সব অত্যাধুনিক আসবার পত্র।
কিন্তু এতকিছুর মধ্যে আমার বাসর ঘরে কোন রকম সাজ নেই,
অবশ্য তাতে কোন রকম অনুভুতি হচ্ছে না আমার কারন বিয়েটা আমার কাছে একটা অপ্রতাশিত ঘটনা।
চমার বিয়ের ৫ মিনিট আগে অবদি আমি জানতাম না আজ আমার বিয়ে।
আমি এখনো তাকে দেখিনি সে কেমন দেখতে আমি কিছু জানি না।
জিনি আমার স্বামী তিনি সাকাল পর্যন্ত আমার হবু দুলাভাই ছিলো। শুনতে অবাক শোনালেও এটাই সত্যি আজ আমার স্বামীর সাথে আমার ফুপাত বোনের বিয়ে হবার কথা ছিলো৷ আমার একমাত্র ফুপাতো বোন। আমিও বাবর এক মাত্র মেয়ে, ছোট থেকে এক সাথে বড়ো হয়েছি। আমার আব্বু আর ফুপি দুই ভাই বোন। আর আমি আর বন্যা আপুও দুই বোন। আমার ফুপাতো বোনের নাম বন্যা। আজ সকালে আমি বাবা মা ফুপি বাসায় আসি বোনের বিয়েতে, আমি বোনের বিয়েতে যেভাবে সাজতে হয় তেমনি করে সেজেচিলাম।

(বিঃ দ্রঃ “ অদ্ভুত তিনি !! লেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি) ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)
আমি বন্যা আপুকে সাজিয়ে দি নিজের হাতে আমি খুব ভালে সাজাতে পারি তাই পার্লার এর লোক না আমি নিজে আপুকে সাজাি৷ এরি মধ্যে বরের গাড়ি চলে আসে সবাই বর দেখতে ব্যাস্ত তখনি আমি আপুকে রেখে একটু পানি খেতে যায়৷ আমি খেয়ে আসার সময় আম্মু বলেন আপুকে নিয়ে নিচে নামতে আমি আপুর রুমে গিয়ে অবাক, আপু নেই ওখানে কই গেল মেয়েটা আমি সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজি কোথাও নেই আজব আপু কই গেল। আপুর তো কোন রিলেশন ছিলো না, না ওর জীবনের সবটা আমার জানা। কিন্তু গেল কই আমি আম্মু, বাব, ফুপি, ফুপাকে ডাক দিয়ে ঘরে আনি,
-আমি আপুকে খুঁজে পাচ্ছি না কোথাও।
ফুপি আমার কথা শুনে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
ফুপা বললেন,
-যা ভেবেচিলাম তাই হলো। আপজাল আমি কি করি এখন। (আফজাল রহমান আমার বাবা)
-চিন্তা করবেন না। আমার মেয়ে এই বিয়ে করবে।
আমি বাবার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি কি বলছে বাবা আপু চলে গেছে কোথায় তাকে খুজবে আর কিসের ভয় পেয়েছিলো আমি কি বলবো ভাষা নেই৷ হটাৎ ফুপা আমার হাতটা ধরে বলতে লাগলেন,
-মারে আমি জীবনে তোর কাছে কিছু চায় নি। আমি জানি হাজারো প্রশ্ন তোর মনে। কিন্তু এখন তুই একটা প্রশ্নও করিস না বিয়েটা করে নে মা। (আমার হাতটা ধরে ফ্লোরে বসে পরলেন ফুপা)
আমি কি বলবো মনে তো হাজারটা প্রশ্ন কিন্তু ফুপার কথাটা শুনে শরীরটা কেমন অবস হয়ে আসলো মাইন্ড কাজ করা ওফ করে দিসে জেন মাথায় শুধু একটা কথা ফুপা বলেছে বিয়েটা করতে হবে।

আমি চুপচাপ কথা না বাড়িয়ে বিয়েটা করে নিলাম।
আমি জেন নিজের মধ্যে নাই।আমার বিয়ে ঠিকই হলো ওনার সাথে কিন্তু ওনাকে দেখার সৌভাগ্য টা হলো না কারন আমাকে যে যা বলছে আমি সেটাি অক্ষরে অক্ষরে আদেশের মতো পালন করে যাচ্ছি। আমি বিয়ে করে এই বাড়িতে আসার পর আমাকে এই টিপ টিপ আলোর রুমে এনে রাখা হলো। আমাকে এি বিছনায় বসানোর পর আমার শরীরটা ছেড়ে দিলো আমার মাইন্ড কাজ করতে লাগলো । আমার এসব ভাবনার আবসান ঘটল, হটাৎ মনে হচ্ছে এক হিম সিতল বাতাস বয়ে চলেছে কিন্তু এ ঘরে যতোটা বোঝা যাচ্ছে তাতে জানলা দরজা সব তো দেওয়া৷ তাও ঠান্ডা একটা বাতাস আর অসম্ভব সুন্দর একটা ঘ্রান আমার নাকে আসছে মাতাল করা ঘ্রান। দরজায় শব্দ হতে আমি পাশে তাকায় আৃার চোখদুটো আটকে গেছে,
তিনি দরজা দিয়ে আমার কাছে আসতে লাগলো,
অসম্ভব সুন্দর তিনি৷ এই অন্ধকার ঘরে জেন আলোকিত হয়ে গেলো তার পা পরতে তিনিতো লাইট জ্বালান নি। তাও ঘরটা আলোকিত। তির শরীর গ্লো করছে এতো সুন্দর পুরুষ আমি জীবনে দেখিনি পৃথিবীর সমস্তটা সৌন্দর্য আল্লাহ -তায়লা যেন তাকে দিয়েছে। এরকম মানুষ আমি আগে কখনো দেখিনি চোখটা যেন কোন স্বপ্ন দেখছে।
আমার ভাবনায় আবার অবসান ঘটিয়ে তিনি শুকনো কাশি দিলেন,
-খুহুম। আমি আমান খান। আমার নাম।আপনার নামটা?
-জী আমি মেঘ, জন্নাতুল মেঘ।
-মাসআল্লহ খুব সুন্দর নাম।
দেখুন আমি জানি এভাবে হটাৎ করে বিয়েটা হলো, আপনি অপ্রস্তুত ছিলেন। আপনার নিজেকে সামলে আমাকে মেনে নিতে সময় লাগবে। তাই তো।
আমি মাথা নিচু করে আছি তার কথায় হ্যা সুচোক ভাবে মাতা নারালাম।
-হ্যা আমাদের দুজনেরই কিছুটা সময় প্রয়োজন। তো আপনি কি আমার সাথে নামাজ আদায় করবেন। বাসর রাতে নফল নামাজ পরতে হয় স্বামী -স্ত্রী এর।
-জী আমি ওজু করে আসছি।
আমি উঠে যেতে গেলে খেলাম বাড়ি খাটের কোনায়। তিনি আস্থির হয়ে বললেন,
-ব্যাথা পান নি তো ক্ষমা করবেন আমারি লাইট টা জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত ছিলো। আমারি ভুল
ওনি বেশ উত্তেজিত হয়ে পরছেন৷
-আমার লাগে নি আপনি হাইপার হবেন না।
-কই লাগছে তো।
-আমি ঠিক আছি আপনি লাইটা জ্বালিয়ে দিন। (কি করে বলবো ওনার শরীরের অদ্ভুত আলোতে আমি সবটা বুঝতে পারছি কিন্তু ওনাকে দেখতে গিয়ে গুতা খাইছি)
উনি গিয়ে লাইটা জ্বালিয়ে দেয়।
আমি গিয়ে ওজু করে ফ্রেস হয়ে আসি৷
ওনার সাথে নামাজ পরে নি।
তার পর উনি বলেন,
-আপনাকে তুমি করে বলতে পারি।
-জী।
-আচ্ছা চলে শোবে চলো।
-কি।

-না মানে ঘুমাবা না। তাই বলছি।
উনি আমাকে নিয়ে শুয়ে পরলেন।
অনেকটা কাছাকাছি আমরা, কেমন একটা পাগল করা ঘ্রান পাচ্ছি আমি সাথে শীতল করা অনুভুতি।
তিনি আমাকে প্রশ্ন করে উঠলেন।
-আচ্ছা মেঘ তুমি কিসে পরো।
-জী অনার্স ১ম বর্ষে।
-ভালো তোমার ঘুম আসছে না।
-জী একটু ক্লান্ত
-ঘুমাও।
আমি কেমন যেন ওনার কথাটা শুনা মাত্র ঘুমিয়ে পরলাম৷
মঝ রাতে মনে হচ্ছে কেমন একটা শীতল স্পর্শ আমার পেটে পরেছে। চোখ খুলতে দেখি,
চলবে….

(এটা একটা রহস্যময় ভুতুড়ে টাইপের গল্প। গল্পে থাকছে রহস্য, ফুল রোমাঞ্চ, ভয়, ইমোসন।
ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ)

বিঃ দ্রঃ নিচে ভালো করে লক্ষ্য করুন পরবর্তী পর্বে দেওয়া আছে

বিঃ দ্রঃ “ লেখাঃ মেঘ লা (পিচ্চি)” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন !!

👉আমাদের ফেসবুক পেজ