বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 27

নিয়াঃ(তোমার সময় শেষ বেহেনজি,,,,,আবির আমার শুধু আমার,,,,তোমাকে আমার আবিরের জীবন থেকে অনেক দূরে যেতে হবে হয় সেটা তোমার ইচ্ছায় বা তোমার ইচ্ছা ছাড়া কিন্তু যেতে তোমাকে হবহবে 😈😈😈)
নিয়া মা বিরক্তি নিয়ে নিয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে
নিয়ার মাঃ আল্লাহ জানে এই মেয়ে আবার কি করে???।আল্লাহ আমার মেয়েটা যেন খারাপ কিছু না করে,,,প্লিজ আল্লাহ কারো যেন ক্ষতি না হয়,,,,
তিথি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে বসে ভাবছে এতো সুন্দর একটা ফ্যামিলি সে পেয়েছে যেখানে তাকে খুবই ভালোবাসে সবাই,,আর সব চেয়ে বড় কথা আবির তাকে খুব ভালোবাসে,,,আবির যে কি না সব মেয়ের স্বপ্নের রাজকুমার এর মতো,যার উপর যেকোনো মেয়ে ক্রাশ,,,যার এক ঝলকে মেয়েরে তার উপর ক্রাশ সে যে তিথিকে এতো লাভ করে তিথি বিশ্বাস করতে পারছে না,,,,,তিথির একটু হাসি দেখার জন্য এতো পাগল এই ছেলে,,,,
চোখ দুটো হালকা বন্ধ করে আবিরের সাথে কাটানো সব মুহূর্ত গুলো মনে করছে,,,প্রোপজ করা থেকে সব কিছু যেন তিথির চোখে ভাসছে,,,রাস্তায় ফুল হাতে নিয়ে চিৎকার করে বলে উঠা তিথি আই লাভ ইউ,,,সব কিছু যেন তিথির কাছে কেমন যেন স্বপ্ন মনে হচ্ছে,,,আসলেই তো স্বপ্নের মতোই কিন্তু তিথির সাথে সব বাস্তবে হয়েছে,,,,তিথি বিছানা থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়,,,বাহিরের সে হালকা অন্ধকারে দৃশ্য তিথির কাছে খুবই সুন্দর লাগছে,,,,,হালকা শীতল বাতাস,,,,আকাশে এতো সুন্দর করে একটা চাঁদ উঠে আছে,,,চাঁদের আলোতে সব কিছু আরো বেশি সুন্দর লাগছে,,,,
তিথি হাত দুটো মেলে চোখ দুটো বন্ধ করে একটা বড় নিশ্বাস ফেলে সেই শীতল বাতাস উপভোগ করছে,,তিথির চুল খোলা থাকায় বাতাসে তা উড়ছে,,,হঠাৎ পিছন থেকে কেউ এসে তিথিকে জড়িয়ে ধরে,এই ছোঁয়া তিথির খুবই চেনা,,হ্যাঁ আবির তিথিকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে,,,,আবিরের গরম সে নিশ্বাস গুলো এসে তিথির ঘাড়ে পড়ছে,,,,তিথির বুকে যেন কেউ ঢোল বাজানো শুরু করে দিলো,,ধকধক শব্দটা যেন হাজার গুন বেরে গেলো,,,,তিথি তার ওড়না খামচে ধরে বড় বড় নিশ্বাস ফেলে,,,,আবির তিথির ঘাড়ে নাক দিয়ে হালকা ঘষা দিয়ে বলে
আবিরঃ আমার এই পাগলীটাকে খুব মিস করছিলাম,,,তাই চলে আসলাম,,,
তিথিঃ তা,,,,তাই ব,,,লে এতো রাতে?সময় দেখেছেন?
আবিরঃ আমি আমার তোতাপাখিকে দেখতে সময় দেখবো???আমি আমার পাগলীকে যখন ইচ্ছে তখন দেখবো,,,কারণ এই পাগলীকে না দেখলে যে আমার একটু ও ভালো লাগে না,,,,,

তিথিঃ এতো কেন ভালোবাসেন😢😢
আবিরঃ আমার পাগলীকে ভালো না বেসে কাকে ভালোবাসবো বলো???
তিথিঃ আমার খুব ভয় হয়😢😢😢
আবিরঃ কিসের ভয়???
তিথিঃ যদি এতো ভালোবাসা আমার কপালে না জুটে,,,,যদি আমি সব হারিয়ে ফেলি😢😢😢
তিথির চোখ বেয়ে পানি পড়তে থাকে,,,,আবির তিথিকে নিজের দিকে ফিরিয়ে চোখের পানি গুলো খুব যত্নে মুছে দিয়ে বলে
আবিরঃ কিছু হারাবে না আমি থাকতে,,,,,আমি যতো দিন বেঁচে আছি তোমার কোনো ভয় নাই,,,,শুধু এই টা মনে রাখবে যে আমি আমার পাগলীকে সারাজীবন আমার বুকে আগলে রাখবো,,,,কথায়ও হারাতে দিবো না,,,,আর কথা আসে হারানোর তো ম্যাডাম আপনি কিছুই হারাবেন না কারণ আমার এই বুক করা ভালোবাসা শুধু মাত্র আপনার নামে,,,,,
তিথি আবিরকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে
তিথিঃ জানি না কেন আমার খুব ভয় করছে,,এক অজানা ভয় আমার মাঝে কাজ করছে,,,,,আমার সত্যি খুব ভয় করছে,,,😢😢😢😭😭😭
আবিরঃ এই তোতাপাখি প্লিজ কান্না বন্ধ করো,,তুমি তো জানো তোমার চোখের পানি আমি একদম সহ্য করতে পারি না,,,,,,তোমার চোখে পানি আসলে আমার বুকটা ফেটে যায়,,,প্লিজ তোতাপাখি কান্না বন্ধ করো প্লিজ
তিথি আরো ফুঁপিয়ে কান্না করে দেয়,,,,,আবিরের খুব কষ্ট হচ্ছে তিথির কান্না দেখে,,,,কথায় আছে না যে ভালোবাসার মানুষের চোখে এক ফোঁটা জল দেখলে বুকটা ছিড়ে যায়,,ঠিক তেমনি আবিরের ও,,,,আবির কখনো হয়তো ভাবতে পারে নাই যে সে একটা মেয়েকে এতো ভালোবাসবে আর তিথিকে ভালো না বাসার কোনো কারণ নাই,,,,তিথি যে ভালোবাসার মতো মেয়ে,,,,
আবির তিথিকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরঃ তোমার ভয় কিসের??আমাকে হারানোর তো??
তিথি এই বার একটু শব্দ করে কেঁদে দেয়,,,,আবির তিথির মুখ টা তুলে দুই গালে হাত রেখে বলে
আবিরঃ আমি সব ঠিক করে দিবো,,,,আর কালকে আমি আব্বুকে বলবো যে আমাদের বিয়েটা যেন এই সপ্তাহে হয়,,,
তিথি তো আবিরের দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে,,,,

আবির তিথির কপালে আলতো করে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে বলে
আবিরঃ আর কোনো দিন যেন তোমার এই কাজল মাখা চোখে পানি না দেখি,,,,তোমার এই চোখ শুধু কাজল লাগানোর জন্য কান্না করার জন্য না বুজলে মিস তিতা
তিথিঃ আপনি আবার আমাকে তিতা ডাকছেন😡😡😡
আবিরঃ আর তুমি যে আমায় মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা ডাকো তখন
তিথিঃ আমি আপনাকে সব ডাকতে পারবো,,,,,.
আবিরঃ তাহলে আমিও ডাকবো
তিথিঃ স্টুপিড
আবিরঃ ওহ তাই
তিথিঃ হ্যাঁ তাই
আবির তিথির কোমড়ে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে নিজের অনেক কাছে টেনে এনে বলে
আবিরঃ এক সপ্তাহ অপেক্ষা করো ম্যাডাম,,,,তখন বুজবে আমি সত্যি কি স্টুপিড 😛😛😛😜😂
লজ্জায় তিথির গাল দুটো পুরো লাল টমেটো হয়ে গেছে,,,,তিথির সে লজ্জা মাখা চেহারা যে আবিরের খুবই পছন্দ,,,,,আবির তিথির গালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ ঘুমিয়ে যাও,,,,,ওকে
তিথি মাথাটা হালকা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,,আবির মুচকি হেসে চলে যায় তিথি ব্লাশিং হয়ে সে চাঁদের আলোর দিকে তাকিয়ে থাকে,,,,,ভালোবাসার মানুষটি যদি তাকে সব চেয়ে বেশি ইম্পর্টেন্ট দেয় এতো ভালোবাসে তাহলে জীবন টা খুবই সুন্দর লাগে,,,,,
ড্রিংকসের গ্লাস হাতে নিয়ে বারে বসে আছে শিহাব,,,মাথায় যেন তার আকাশ ভাঙ্গলো তিথি আর আবিরের কথা শুনে,,,এক ঢোক ড্রিঙ্ক মুখে নিয়ে রাগী ভাবে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,,আর রাগের চোটে সে গ্লাসটি ভেঙ্গে ফেলে আর চিৎকার করে বলে
শিহাবঃ তিথি তুমি শুধুই আমার,,,,,আমি তোমাকে অন্য কারো কখনো হতে দিবো না,,,তোমায় যদি আমি না পাই তাহলে আমি অন্য কারো ও হতে দিবো না,,,,তুমি নিজের ইচ্ছায় আমার হবে না হলে আমি বাধ্য করবো আমার হতে😡😡আর শিহাব রেওয়াজ কখনো হার মানে নাই আজও ও মানবে না,,,,,তিথি অনেক জলদি তোমায় আমার কাছে নিয়ে আসবো অনেক জলদি,,,,
তিথি ঘুমিয়ে পড়ে,,,আবির অনেক চেস্টা করছে ঘুমানোর কিন্তু কিছুইতে তার ঘুম আসে না,,,,
আবিরঃ উফফফ এই ঘুমটাও যেন আজকে আমার সাথে ফাজলামি করছে,,,,,,আচ্ছা একটা বার কি আমার ঘুমপরীটা কে দেখে আসবো হয়তো তখন ঘুম আসবে,,,,
আবির আর দেরি না করে উঠে তিথির কাছে যায় তিথির সে ঘুমান্ত চেহারা যে এতো মায়াবী লাগছে আবির মুগ্ধ নয়নে শুধু তাকিয়ে আছে তিথির দিকে,,,তিথির কপালে চুল গুলো এসে পড়ায় আবির আস্তে করে সরিয়ে তিথির ঘুমান্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ সারাটি জীবন এই ভাবে তাকিয়ে থাকতে চাই আমার ঘুমপরীর দিকে,,,তোমআর এই ঘুমান্ত চেহারায় যে আমি বার বার প্রেমে পড়ি,,,,আমার ঘুমপরী যে এতো মায়াবী তার এই ঘুমান্ত চেহারা আমি সারাটি জীবন দেখতে পারি,,,,,,
আবির যেন হারিয়ে গেছে তিথির সে মায়াবী চেহারায়,,,,,
সকালে,,

তিথি চোখে খুলে আবিরের ঘুমান্ত চেহারাটি দেখতে পায়,,,তিথির এক হাত ধরে ঘুমিয়ে আছে খাটের এক কোণায়,,
তিথিঃ এনি সারারাত এই ভাবে ঘুমিয়েছে,,,,উফফ এই বজ্জাতটা কে নিয়ে আর পারি না,,,,
তিথি আবিরের চুলের মধ্যে হাত দিয়ে নাড়িয়ে আবিরের মাথায় একটা চুমু দিয়ে বলে
তিথিঃ কেন যে এতো ভালোবাসেন,,,আপনার এই ভালোবাসাকে যে আনি খুব ভালোবাসি,,,আপনার এই ভালোবাসাকে সারাজীবন ভালোবাসতে চাই,,,,,জানেন ভালোবাসা কি আগে জানতাম মা কিন্তু আপনি আমার জীবনে আসায় বুজেছি ভালোবাসা কতটা পবিত্র,,কতটা মধুর,,,আর কতটা সুন্দর,,আল্লাহর কাছে লাক্ষ লাক্ষ শুকরিয়া যে আপনার মতো এমন ভালোবাসার মানুষ আমি পেয়েছি,,,এতো ভালোবাসার মতো একটা ফ্যামিলি পেয়েছি,,,আসলে আমি অনেকটা ভাগ্যবতী,,,,
তিথি মুচকি হেসে আবিরকে খাটে শুয়ে দিয়ে৷ অযু করে নামাজ পড়ে নেয়,,,,,জায়নামাজ তুলে এক পাশে খুব যত্নে রেখে পাশ মুড়ে দেখে আবির তার দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে,,তিথি আবিরকে চোখের ইশারায় জিজ্ঞেস করে কি,,,আবির উঠে তিথির কপালে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ তুমি এতো মায়াবী কেন জানো
তিথিঃ কেন?
আবিরঃ যখন তুমি নামাজ পড়ছিলে তোমার মুখে এক আলাদা একটা সৌন্দয্য ফুটে উঠে,,,
তিথি মুচকি হেসে বলে
তিথিঃ হয়ছে এই বার আপনি ও গিয়ে নামাজ আদায় করে আসেন,,,,,যান
আবির তিথির কপালে আবার একটা চুমু দিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে অযু করে সাদা একটা পাঞ্জাবি পড়ে নামাজের টুপি মাথায় দিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে চলে যায়,,,,,নামাজ পড়ে এসে আবির আবার ঘুমিয়ে পড়ে,,,,
তিথি কিছু ক্ষন বাগানে হাঁটে,,,বাগানের বাতাস যেন তাকে আরো বেশি মুগ্ধ করছে,,,,ফুল গুলোর সে মধুর সুভাস যেন সব সুভাস কে হার মানায়,,,এতো সুন্দর ঘ্রাণ তো শুধু ফুলের এই হয়,,,,