My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 33
মেয়েকে এভাবে কাঁদতে দেখে কিছুটা আতংকিত হয়ে পড়েন আনিলা বেগম।রুহীর পিছু নিতেই আনাম মায়ের সামনে এসে দাঁড়ালো।রোয়েন ভাই গেছে।হয়ত ওনাদের নিজস্ব সমস্যা তুমি যেওনা মা।পরে নাহলে রুহীর থেকে জেনে নিও কি হয়েছে।বলে উঠলো আনাম।হ্যা ঠিক বলেছিস আনাম।সরি রাফসান হোসেন।আমি আসলে আপনাকে চিনতেই পারিনি।এতো বড় মাফিয়া জানলে কখনোই এভাবে কথা বলতাম না।আজমল খান রাফসান হোসেন কে বলে উঠলো।
রিল্যাক্স আজমল মাফ চাইছো কেন?কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয়না সেটা আমরা সবাই জানি।ঠিক তেমনি তোমার মতো লোকেরা কখনোই পরিবর্তন হবেনা।So Don’t need to apologise. আজমল খানের কাঁধে হাত রেখে বলে উঠলেন রাফসান হোসেন।আজমল খানকে পাস করে চলে গেলেন।হাত মুঠ করে দাঁড়িয়ে আছেন আজমল খান। এলোকের এতো বড় সাহস হলো কি করে আজমল কে এতো কথা শুনানোর?আজ তার স্থান আরো বড় হলে রাফসানকে তার সীমানা দেখিয়ে ছাড়তো।কথা গুলি ভাবতেই রাগে ফুঁসছে আজমল খান।রুহীকে নিজের সাথে জোরে জড়িয়ে রেখেছে রোয়েন।মেয়েটা সেই কতক্ষন থেকে কেঁদেই যাচ্ছে।রুহীকে সামনে এনে ওর চোখ জোড়া মুছে দিলো রোয়েন।মাথা নিচু করে ফুঁপিয়ে কাঁদছে রুহী।রুহীর কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নিলো রোয়েন।
আকস্মিকতায় চমকে উঠে রোয়েনের কোট খামচে ধরেছে রুহী।রোয়েন রুহীর গালে ঠোঁট রেখে অশ্রু গুলো এভাবে শুষে নিতে শুরু করলো যেন রুহীর কষ্ট গুলোকে নিজের করে নিচ্ছে।রুহীর গাল থেকে সরে এসে ওর কপালে চুমু খেলো রোয়েন।রুহী চোখজোড়া বুজে নিলো।রুহীর কপাল থেকে সরে এসে রুহীর কাঁধ ধরে রুহীকে নিজের সামনে দাঁড় করালো।ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে রোয়েন।রুহী মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।কাঁদছিলে কেন?রাগী গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।উত্তর না পেয়ে রুহীকে জোরে ঝাঁকালো রোয়েন।কি হলো বলো কাঁদছিলেন কেন?ধমক দিয়ে উঠে রোয়েন।আপনি তখন রুসমীর সামনে এভাবে ধমকালেন।এক হাত দিয়ে অপর হাতের কবজি ডলতে ডলতে বলল রুহী।রুহীকে টেনে আবার ও বুকে জড়িয়ে নিলো রোয়েন।পাগলীরে এজন্য কাঁদতে হয় বুঝি?জানের জান ভালবাসা বুঝিসনা?অত্যন্ত মায়া দিয়ে বলে উঠলো রোয়েন।রুহীকে সামনে ওর ঠোঁটে রোয়েন নিজের ঠোঁট চেপে ধরলো।
আনাম!!! আনামের কাঁধে হাত রাখলো রুমু।বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলো আনাম।রুমুর হাতের ছোঁয়া পেয়ে পিছনে তাকালো আনাম।তুমি!!প্রশ্ন করে উঠলো আনাম।হুম।কি করছো এখানে?সব গেস্টরা অপেক্ষা করে আছে।আচমকাই রুমকে জড়িয়ে নিলো আনাম।সরি রুমু বাবার পক্ষ থেকে সত্যি সরি।মামাকে এভাবে অপমান করবেন বুঝতেই পারিনি।বলে উঠলো আনাম।ইটস ওকে আনাম।চলো পার্টিতে। রোয়েন ভাই ও নেই।তুমি তো চলো।আনামকে টানতে লাগলো রুমু।হুম যাচ্ছি।রুমুর সাথে যেতে যেতে বলে উঠলো আনাম।ডিজে পার্টির জন্য বেশ কিছু লোক এসেছে।আনাম রুমু মেহমান দের সাথে গল্পে লেগে গেছে।আনিলা বেগম ওনার ভাইয়ের সাথে গল্পে মেতে উঠেছে।রুহীর ঠোঁটজোড়াকে শুষে নিচ্ছে রোয়েন।রুহীর ঠোঁটের মিষ্টি স্বাদ রোয়েনকে রুহীর প্রেমে মাতাল করছে।রুহীর ঠোঁট থেকে সরে এসে রোয়েন রুহীর মুখে অনবরত চুমো দিতে লাগলো।
হঠাৎ ফোন বেজে উঠায় রুহীর থেকে সরে এলো রোয়েন।পকেট থেকে ফোন বের করে কানে ধরলো রোয়েন।হ্যালো!!!!
ওপাশ থেকে রফিক বলল স্যার আজমল খান কি যেন প্ল্যান করতেছে।প্ল্যান?ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।জি স্যার।বলে উঠলো রফিক।
তোরা খেয়াল রাখ।আমি এদিক টা দেখছি।ফোন কেঁটে পকেটে ঢুকিয়ে রাখলো ফোন।রুহীর হাত টেনে বাহিরে নিয়ে এলো রোয়েন।রুহীকে বেরিয়ে আসতে দেখে আনিলা বেগম দৌড়ে এলেন মেয়ের কাছে।কিরে মা এভাবে কাঁদছিলি কেন?এমনি মা।শরীর ভালো লাগছিলো না মাথা নিচু করে বলল রুহী।ওহ।আচ্ছা চল বসবি কিছুক্ষন।রুহীর হাত ধরে এসির নিচে বসিয়ে দিলেন আনিলা বেগম
রোয়েনের হাত ধরলো কলিম নামের ছেলেটা।স্যার আমি আপনার কাছে অনেক উপকৃত। ঐদিন আপনার কারনে আমার মা বেঁচে গেছে।আপনও
।সবাই নাচতে শুরু করে গানের তালে তালে।আনিলা বেগমকে নিজের সাথে টেনে নিয়ে গেলো রোয়েন।রুহী আজ যেন রোয়েনের নতুন রুপ দেখছে।এতো হাসি খুশি আগে কখনোই রোয়েনকে দেখেনি।রোয়েন আনিলা বেগমের হাত ধরে নাচছে।রুহী হাত তালি দিয়ে অনুষ্ঠানের মজা নিচ্ছে।
আচমকা নাচের মাঝেই পুরো হল রুমের লাইট অফ হয়ে গেলো।রুহী কিছুটা কেঁপে উঠলো।সবাই থেমে গেলো।কেমন জানি একটা হুড়োহুড়ি লেগে গেলো।হঠাৎ লাইট জ্বলে উঠতেই সব যেন শান্ত হয়ে গেলো।হঠাৎ সবার খেয়াল হুলো আনিলা বেগম নেই।
রোয়েন আনামের মুখে যেন আতংক ফুটে উঠলো।সবাই খুঁজতে লাগলো আনিলা বেগমকে।সবার মুখে ভয়ের ছাপ।অানিলা বেগম হঠাৎ কই চলে গেলেন।রোয়েনের কাছে দৌড়ে এলো রুহী।মা কোথায়?ফুঁপাতে ফুঁপাতে বলল রুহী।
কেঁদোনা রুহী।মা ফিরে আসবে।রুহীকে বলে উঠলো রোয়েন।আজমল খান রোয়েনের হাত টিপে ধরলো।আর কতো ভালো সাজবা রোয়েন।আমার ওয়াইফ কে কোথায় লুকিয়ে রেখেছো?চিৎকার করে বলে উঠলেন আজমল খান।What do you mean?আমি এখানেই ছিলাম।আমি করে মাকে লুকিয়ে রাখবো?Are you out of your Mind Ajmol khan?দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।মাকে আপনি লুকিয়েছেন।জলদি মাকে বের করেন নাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।চিৎকার করে বলল রোয়েন।বাহ সত্যতা বের হয়ে গেছে তাই চিৎকার করছো রোয়েন?চিৎকার করে উঠলেন আজমল খান।
রাফসান হোসেন আজমল খানের কাছে এসে বললেন দেখো আজমল জামাইয়ের সাথে চিৎকার না করে আমার বোনকে খুঁজার চেষ্টা করো।আমার বোন ফিরে এলেই জানা যাবে কার দোষ।আজমল খানের দিকে রক্তচক্ষু দিয়ে তাকালো রাফসান হোসেন।রোয়েন রুহীর হাত জোরে ধরলো।চলো রুহী আজমল খানের দিকে দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুসমী আর রুহীকে নিয়ে বাসার দিকে রওনা হলো রোয়েন।রাফসান হোসেন তার লোকদের আনিলা বেগমকে খোঁজার জন্য লাগিয়ে দিলেন।রাতে রুহীকে বুকে নিয়ে শুয়ে আছে রোয়েন।কাঁদতে কাঁদতে বেহাল অবস্থা রুহীর।রোয়েনের বুকটা ভাসিয়ে দিচ্ছে রুহী।রুহীকে জোরে বুকের সাথে জড়িয়ে রেখেছে রোয়েন।
চলবে