My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 11
মাথা ঢলে পড়ে রুহীর।নাক বেয়ে রক্ত অনর্গল গড়িয়ে পড়েই যাচ্ছে থামার নামটাও নিচ্ছেনা।বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছে রুহী যেন জানপাখি উড়ে যাওয়ার জন্য ডানা ঝাপটাচ্ছে।রোয়েনের শার্টের কলার খামচে ধরে আছে রুহী।রোয়েনের চোখ জোড়া লাল রক্তাক্ত হয়ে আছে।জলদি কোলে তুলে নিলো রুহীকে।রুম থেকে বেরিয়ে সিড়ি বেয়ে নামতে শুরু করলো।সিড়ি গুলো যেন খুব বেশি বড় মনে হচ্ছে।শেষ হতে চাইছেনা।রুহীর দিকে বারবার তাকাচ্ছে রোয়েন।রুহীর কিছু হতে পারে ভাবার প্রশ্নই আসেনা রোয়েনের। কারন রুহী তো রোয়েনের আত্মা।আত্মা কখনো শরীর থেকে আলাদা হয়না।তাহলে রুহী কি করে রোয়েন থেকে আলাদা হব?ভাবতে ভাবতে গাড়ির কাছে চলে এসেছে রোয়েন।গাড়ির গেট খুলে রুহীকে বসিয়ে ওর পাশে বসে গাড়ি স্টার্ট দিলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,আনিলা বেগম আনামের সামনে এসে দাঁড়ালো। কিরে অনেক চিন্তিত মনে হচ্ছে তোকে?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলেন আনিলা বেগম।মা চিন্তার মতো কাহিনী ঘটেছে দুহাতের ওপর থুতনি রেখে বলল আনাম।কি হলো?কি হয়েছে ছেলের পাশে বসতে বসতে প্রশ্ন করলেন আনিলা বেগম।রাহিন বাবা মিলে এক রাহিনের গার্লফ্রেন্ড কে রোয়েনের বাসায় পাঠিয়েছিলো রুহী আর রোয়েনকে আলাদা করতে।বাট পারেনি তাই রোয়েনকে মারার প্ল্যান করে রাহিন। কথা গুলো একনাগাড়ে বলল আনাম।হ্যা তো কি হয়েছে এখন?আনিলা বেগম প্রশ্ন করে উঠলেন।রোয়েনের কফিতে বিষ মিশানো হয়েছিলো কিন্তু এক্সিডেন্টালি রুহী কফিটা খেয়ে নেয়।অন্যমনষ্ক ভাবে বলল আনাম।,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী খেয়ে নিয়েছে?কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়লেন আনিলা বেগম।
হ্যা খেয়েছে।তা তুমি এমন চিন্তা করছো কেন ওর জন্য?মায়ের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো আনাম।
আমি চিন্তা করছি কারন রুহীর কিছু হয়ে গেলে তোরা গন্তব্যে পৌছাবি কেমন করে? তাই।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
হুম।ঠিক বলেছো মা।
তা রুহী কই এখন?আনামের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন আনিলা বেগম।
হাসপাতালে এডমিট। অবস্থা ক্রিটিকাল।হতচ্ছাড়া ভাবেই বলল আনাম।
হুম।আনিলা বেগম বড় একটা নিশ্বাস ফেলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।
রোয়েন ওটির বাহিরে অপেক্ষা করছে।গালে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ পড়ে গেছে।দুহাত মুঠ করে বসে আছে রোয়েন।যে এই কাজ করেছে সে নিজের ধ্বংসের পথ এগিয়ে নিয়েছে।রুহী কে চায় ও, খুব বেশি চায় এতোটাই চায় যে শাহজাহান মমতাজকে কিংবা রোমিও জুলিয়েটকে অথবা মানুষ তার জীবন কে ও এতোটা চায়না।রুহী ওর সকাল বেলার স্নিগ্ধ আলো ওর হৃদয়ের প্রত্যেকটা কম্পন।ভাবতেই রোয়েনের রাগী চোখ জোড়া বেয়ে দুফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।
মিঃ রোয়েন আহমেদ!!!!!কারোর ডাকে ঘোর কাঁটলো রোয়েনের। উঠে দাঁড়ালো রোয়েন।ডাক্তার সালমান দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে।জি বলুন রাগ দুঃখ মিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠলো রোয়েন।
ডোন্ট ওয়ারি।সি ইজ এ্যাবসোলিউটলি ফাইন।হালকা হেসে বললেন ডাক্তার।
রোয়েনের বুক যেন পাতলা হয়ে গেলো।
আপনার সাথে কিছু কথা আছে আমার।ডাক্তার সালমান বলে উঠলো।
রোয়েন ডাক্তারের সাথে ডাক্তারের চেম্বারে চলে গেলো।
রোয়েন ফিরে আসতেই কালো বোরকাওয়ালী একজনকে রুহীর রুম থেকে বেরিয়ে যেতে দেখলো।রোয়েন দ্রুত পদে মহিলার দিকে এলো।কে আপনি? রাগী গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।
বাবা আমি ভুল রুমে চলে এসেছি।মহিলাটি বলে উঠলো।
ওহ।রোয়েন বলল।মহিলা রোয়েনকে পাস করে যাওয়ার সময় ধাক্কা খেয়ে দ্রুত সামনে এগিয়ে যায়।রোয়েন নিচে একটা দেখতে পায়।সেটিকে হাতে তুলে নিলো।এই যে শুনছেন?হ্যালো?মহিলাটিকে চিৎকার করে ডাকতে থাকে রোয়েন।
মহিলা দ্রুত বেরিয়ে গেলো।
রোয়েন খামটিকে খুলে একটা কাগজ পেলো।
“আজমল খান আর আনাম খান রুহীকে নিয়ে যাবে কাল সকাল,যদি পারেন রুহীকে বাঁচান” আপনার শুভাকাঙ্খী। রোয়েন কাগজটা বন্ধ করে থ মেরে দাঁড়িয়ে রইলো।কে ছিলো মহিলা?
রোয়েন রুহীর রুমে এলো।আনন্দে ঘুম দিচ্ছে ওর প্রিন্সেস।রুহীর হাতের ওপর হাত রেখে ওর কপালে ঠোঁট ছুয়ালো রোয়েন।রুহী জলদি ভালো হয়ে যাও।তোমাকে চাই,তুমি ছাড়া আমি অচল,প্লিজ গেট ওয়েল সুন।রুহীর মাথায় হাত রেখে রাগী গলায় বলতে লাগলো রোয়েন।
রাতের আঁধারেই দুজন নার্স আর রুহীকে নিয়ে ঘরে ফিরে এসেছে রোয়েন।নিজের বেডে শুইয়ে দিয়েছে রুহীকে।স্যালাইন চলছে।নার্স দুজন রুহীর পাশে বসে আছে।
রোয়েন পাকঘরের পাশ দিয়ে হেঁটে আসার সময় কারোর ফিসফিস কথা শুনতে পেলো।পাকঘরে ঢুকতেই কাজের মেয়েটা চমকে উঠলো।রোয়েন মেয়েটার চুল টেনে ডাইনিংরুমে নিয়ে এলো।কে পাঠিয়েছে তোকে বল?চিৎকার করে বলতে লাগলো রোয়েন।মেয়েটি চুপচাপ বসে আছে।
রোয়েন উঠে দাঁড়ালো। ওর কাজের মহিলাদের জড়ো করলো।এই মেয়ে তোমাদের রুহী ম্যাডামকে মারতে চেয়েছে।এখন তোমরাই ওকে শাস্তি দাও।মেয়েটির দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে বলল রোয়েন।
কাজের মহিলা গুলো মেয়েটিকে চুল ধরে মারতে লাগলো।
চলবে