Addition !! Part- 05
রাত থেকে দিন হলো ফজরের আাজান মায়ার কানে এলো মায়া বসা থেকে উঠে বসে। ওজু করে নামাজ পরে দুয়া করে, হে রব আপনি অবশ্যই আপনার বান্দর ভালো খারাপ বুঝেন আমি নিজেকে আপনার উপর ছেড়ে দিয়েছি আপনার যেটা মনে হবে আপনি আমাকে সেটাই দিন কোন দুঃখ নাই। শুধু আমার হাসি খুশি পরিবারকে আবার হাসি খুশি করে দিন। আমিন।
মায়া নামাজ পরে উঠতে ফোন বেজে ওঠে ফোনটা ধরতে,
-আমার জানটা বুঝি নামাজে ছিলো। বাহ খুব ভালো চলো এবার একপা একপা করে নিচে চলে এসো কনো প্রশ্ন করবা না।
মায়া নীলের কথা শুনে নিচে চলে যায়।
নিচে নীল গড়িতে হেলান দিয়ে হাত দুটো ভাজ করে দরিয়ে আছে।
– এত সকালে ডাকার মানে।
– আমার জানটা দেখি কড়া মুড এ আছে সমস্যা নাই কিছু সময় পর সব ঠিক হয়ে যাবে। চলো আমার সাথে।
নীল মায়াকে নিয়ে গাড়িতে বসে অচেনা রাস্তার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরলো রাস্তাটা মায়ার চেনা নয় কিন্তু মায়া বুঝতে পারছে এই রাস্তা এবং এই সময় থেকে মায়ার জীবন বদলাতে চলেছে। গড়ি আপন গতিতে চলছে। মায়া নিশ্চুপ বড্ড একা লাগছে আর অসহায়ত্ব গ্রাস করেছে জীবনে এমন কোন দিন আসবে ভাবে নি সে। কেন তার নীল নামেক এই কালটার সাথে দেখা হলো কেন জীবনে এই মোড়টা এলো। সবকিছু যেনেও যেন আজানা।
মায়ার ভাবনায় ব্যাঘাট ঘটিয়ে নীল বললো। মায়া চলো।
-কোথায় এসেছি আমরা।
-ভেতরে গেলে বিঝবে।
নীল মায়ার হাত ধরে নিয়ে গেল ভেতরে। মায়া সঠিক ভেবেছিল এটা কাজি অফিস।
-মায়া কাজি যেটা বলবে শুধু সেটাই বলবে। অন্য কোন রকম কথা হবে না।
– আমার বাবা আপুর জীবন ঠিক হবে তো?
– তুমি কথা না শুনলে কিছুই হবে না।
মায়া আর কিছু বলে নি সুধু তিন বার কবুল বলেছিলো। নীলের কিছু বন্ধুর উপস্থিতিতে বিয়েটা হয়ে গেলো।
নীল মায়াকে নিয়ে মায়ার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
– মা মায়া কোথায় সারা বাড়ি খুঁজেছি কোথাও নাই৷ (আমায়রা)।
-সালমা বেগম এত সব চাপ আর নিতে পারছে না।
উনি বুকে হাত দিয়ে বসে পরতে কলিং বেল বেজে উঠে। আাময়রা দরজা খুলতেই ৪২০ ভোল্ট এর সক্ট খেল। মায়া বিয়ে করে এসেছে নীলকে।
-আামায়রা মায়া এলো বুঝি।
বলতে বলতে সালমা বেগম এসে ওদের দুই জনকে এভাবে দেখে তিনি কি বলবে বুঝতে পারছে না।
-মায়া এসব কি। (আমায়রা)
-আপু নীলকে ভালোবাসি তাই বিয়ে করেছি।
-মায়া মাথা ঠিক আছে তোর বাসায় এই অবস্থা আর তুই এসব। মায়া কি বলছিস এসব।
– মামনি কি করেছিস এসব তোর বাবা জেলে মামুনি বোনের এই অবস্থা তুই এর মধ্যে কি করেছিস এসব৷ (সালমা বেগম) ।
– মা।
মায়া বলতে পারলো না সালমা বেগম জোরে একটা চর মেরে দিলেন মায়া পরে যেতে নিলে নীল ধরে বসে।
-আন্টি কি বলছেন আঙ্কেল জেলে মানে আর আপুর বা কি হয়েছে। মায়া তুমিতো আমাকে কিছু বলোনি। ।
মায়া নীলের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। একটা মানুষ কি করে এতেটা জঘন্য খেলা খেলতে পারে নীলকে না দেখলে জানতো না মায়া।
-বাস অনেক হইসে মায়া তুি আমার মেয়ে না এখনি বার হয়ে যা আমার বাসা থেকে। আনেকটা রেগে সালমা বেগম
-আন্টি প্লিজ আমার কথা শুনুন আমাকে বলুন আমি আপনাকে হেল্প করবো। (নীল)
-আমায়রা কিছু একটা ভেবে মাকে বলে মা ওদের আসতে দেও। নীলকে সবটা খুলে বলো।
-কি বলবো আমি নিজের মেয়ে যেখানে কষ্ট বুঝলো আমি অন্য কাউকে কি বলবো রে।
-মা শান্ত হও নীল ভেতরে আসো।
সালমা বেগম সবটা নীলকে বললেন আমায়রা তার কথাটা বলতে না চাইলেও ওর কথাটাও বলে।
মায়ার এখন নিজের বাড়িতে নিজেকে পর মনে হচ্ছে একটা কোনায় দাঁড়িয়ে কেঁদে চলেছে। ভাগ্যের কি পরিহাস কাল এই সময় সব কিছু ঠিক ছিলো আর আজ।
-আপনারা চিন্তা করবেন না আমি ১ ঘন্টার মধ্যে সব ঠিক করে দিবে বলে নীল বেরিয়ে পরে।
এই এক ঘন্টার আমায়রা বা মায়ার আম্মু কেউ ওর সাথে একটা কথাও বলে নি।
– মিস্টার আনিক সময় এসে গেছে মা বাবাকে নিয়ে মায়ার বাসায় পৌছান আমি আসছি। আর হ্যা কেউ জেন কিছু না জানতে পারে সুধু এই টুকু বলেই ফেন কেটে দিলো নীল।
(সেদিন আমায়রার সাথে অনিকের দেখা করার কথা ছিল। দেখা করার ১ ঘন্টা আগে অনিকের সাথে নীল দেখা করে নীলের কছে অনিকের বাবার কম্পন্ীর ৬০% সেয়ার নীল চাইলে ওদের পথ বসাতে পারে। অনিক তাই বাদ্ধ হয়ে নাটকটা করে আমায়রার সাথে)
ঠিক ১ ঘন্টা পর নীল মায়ার বাসায় আসে মায়ার বাবা আর অনিক সহ অনিকের পরিবার এবং কাজি নিয়ে।
-আন্টি আপনাকে দেওয়া কথা রেখেছি সবাইকে নিয়ে এসেছি আপু আর অনিক ভাইয়ার বিয়ে হবে আঙ্কেল এর উপর থেকে চুরির দায় মুছেছে এখন সব ঠিক।
সালমা বেগম কি বলবে বুঝতে পারছে না।
-বাবা তুমি এভাবে সব ঠিক করে দিবে আমি বুঝি নি ।
-এখন এসব বাদ দিয়ে আপু আর ভাইয়ার বিয়টা দিন।
-ন মা ও আমাকে ধোকা দিসে ওকে বিয়ে করা যায় না।
-আপু অনিক ভাইয়ার সাথে যে মেয়েটি ছিলো ওটা হিজলা। আর ভাইয়া prank করেছে
-এ কেমন prank
– সরি আমু প্লিজ। (অনিক)
সালমা বেগম কিছু ভেবে বললেন,
– সাথে তুমি আর মায়া আবার বিয়ে করবে।
-সালমা তুমি আমাব বাচ্চা মেয়ের বিয়ে দিবে মানে কি এসবের। (মায়ার বাবা)
তুমি শান্ত হও আমাকে বিশ্বাস কর সব খুলে বলবো। (স্ত্রী এর কথায় চুপ হলেন কিন্তু মায়ার দিকে তকিয়ে ওনার মন মানছে না)
সালমা বেগমের কথা মতো সবার উপস্থিতিতে দুই বোনের বিয়ে হয়ে যায়।
-নীল ওকে নিয়ে এখান থেকে চলে যাও আর আমার সামনে আনবা না ওকে।
-এসব কি বলছো তুমি৷।
-তোমাকে সব বলবো একটু অপেক্ষা করো।
মায়া মায়ের কথা শুনে আর দাড়িয়ে থাকতে পারলো না দৌড়ে বাইরে চলে গেলো।
-বাবা আমি কষ্টে কথা গুলো বলেছি কিন্তু তুমি ওর খেয়াল রেখ তোমার এ উপোকার আমি কখোনো ভুলবো না। ময়েটা বড়ো অবুঝ এখনো ওকে খাবার খাইয়ে দি আমি খেয়াল রেখো ওর।
-চিন্তা করবেনা ওর অনেক যত্ন নিবো। এবার আসি।
নীল আমায়রা অনিক (সালমা বেগম আর তার হাসবেন্ড কে বিদায় জানিয়ে চলে যায়। ওরা গেলে সালমা বেগম তার স্বামী কে সব খুলে বলেন মায়া কি করেছে কারন তার হাসবেন্ড মায়ার বিয়ে মানতে পারছিলো না)
।
একটি ফুলে সজ্জিত খাটে বসে আছে মায়া পরনে লাল সারি কাচের চুরি ঠোঁটে লাল লিপস্টিক। কিছু হালকা গয়না৷
সব কিছু সময় মতো চলছে শুধু মায়ার মনে কলো মেঘ করেছে অভিমানের মেঘ।
আচ্ছা উনিকি আমাকে সত্যি ভালোবাসে, ভালোবাসলে বুঝি মানুষ এনম করে। এক বার দেখাতে কেউ প্রেমে পরে। না আমাকে সব জনতে হবে।,
নীল রুমে আসতে মায়া,
চলবে,
( আমি বেক্তিগতো ভাবে বাংলাতে লেখায় দুর্বল। তাই আমার বানান ভুল যাচ্ছে । আমি দুক্ষিত তার জন্য। কিন্তু আমি এই গল্পটা এক দমই নিজের থেকে বানিয়েছি গল্পের চরিত্র কাল্পনিক। দয়া করে কেউ এটা বলবেন না অণ্য কোন গল্পের কপি। আপনাদের বিনোদনের জন্য গল্প লিখি অপনাদের কাছে ভালো কিছু আসা করছি। ধন্যবাদ)