না বললেও ভালোকিন্তুবাসি !! Part- 20
মোহনা : আপনার কি মেরুদন্ড নেই?
মোহনার কথায় নোবেল একটু ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো।
নোবেল : তততুমি আসলে ভীষন মজার মমমানুষ…. 😅… মমমেরুদন্ড ছারা কি মানুষ হয় নাকি?
মোহনা : তাহলে সোজা হয়ে না দারিয়ে এমন করতেছেন কেন? কি সাপের মতো তিরিং বিরিং করেই যাচ্ছেন করেই যাচ্ছেন।
নোবেল : আমি তো just সসসবার সাথে কথা বলছিলাম… আআআসি…
মোহনা : আশি না নব্বই সেটা জানিনা। তবে যাওয়ার আগে সোজা হয়ে দারিয়ে প্রমান করন তো যে আপনার মেরুদন্ড আছে…
নোবেল : এ্যা …
মোহনা : এ্যা না হ্যা।
নোবেল সোজা হয়ে দারালো।
নোবেল : হহহয়েছে? এখন আ… যাই…
মোহনা : হামম।
অনেকে বিষয়টা পজিটিভলি নিলেও আবার অনেকে নেগেটিভলি নিলো।
মোহনা মনে মনে : শালা নোবেল আবেল… আবেল? আবুল তো হয়… আবেল ও কি হয়?? না হলে নাই আমার জামাইর কি? সাহস কতো মোহনা চৌধুরীর গায়ে হাত দেয়। কারো সাহস হলোনা আমাকে টাচ করার আর এ…গায়ে পরতে আসছে… একে তো ধরে বুড়িগঙ্গায় চুবাবো। ডানাকাটা ডাইনোসর ।
.
নোবেল : খুব smart ভাবে নিজেকে। কেমন করে আমাকে সবার সামনে অপমান করলো…
সাগর : ও যা করেছে genuinely করেছে…
নোবেল পিছে ঘুরলো ।
নোবেল : তুই?
সাগর : yeah bro.. দেখ মোহনা মানুষ গরু ছাগল বোঝেনা। ওর কাছে সবই এক। ওর মনে যা আসে ও তাই মুখের ওপর বলে দেয়। কে আছে সামনে care করেনা। তুই যদি মনে করিস যে তুই অসভ্যতামি করবি আর মোহো typical বাড়ির বউয়ের মতো চুপচাপ সহ্য করবে তাহলে তুই ভুল… অথবা এটা যদি মনে করিস যে সিরিয়ালের নায়িকাদের মতো আড়ালে তোকে threat দিবে তাহলেও তুই ভুল… তোর কোনো কাজ ওর ভালো লাগবেনা ও ওই মুহুর্তেই তোকে বলবে। সামনে কে বসে আছে সেটা matter করবেনা। মোহনা হচ্ছে সেই এ্যাটম বোম্ব যেটা কখন ফাটবে কেউ জানেনা…
so…. আমার মোহো… আমার বউয়ের থেকে দূরে থাকিস।
নোবেল : নোবেলের নজর পরেছে মোহোর ওপর। বউকে সামলে রাখিস। নাকি পালিয়ে যাবি?
সাগর : আমার বউ আর ৫টা বউনা । আর ২দিন আছি তো…. সাবধানে থেকো bro…
বলেই সাগর চলে গেলো।
.
বিকালে…
সবাই মিলে ঘুরতে বের হলো ।
সাগর : ওই মিসেস নাগিন আমার হাত ছেরে হাটবেনা…
মোহনা :কেন আমার কি defect নাকি? আর তাছারাও একটু আগেনা মিসেস রেড রোজ বললেন…?
সাগর : ভেবে দেখলাম রেড রোজ নামটা তোমার সাথে যায়না। রেড করল্লা মানায়। whatever … মিসেস নাগিন correct & perfect আছে…
মোহনা : হাতটা ছারুন…
সাগর : না… পারলে ছারিয়ে নাও… ওই তুমি কি লজ্জা পাচ্ছে তোমার হাত ধরেছি বলে??😒😒😱😱। মোহনাও লজ্জা পায়। odd….
মোহনা : লজ্জা পাওয়ার কি আছে? এমন তো না যে আপনি আমার হাত পেরথোম বার ধইরছেন…
সাগর : না আমি ভাবলাম যে বিয়ের পর হয়তো মোহনা changed … 😜..
মোহনা : কেন আমি কি weather নাকি যে change হবো? 😒।
সাগর : হামম। আচ্ছা কালকে রেড রোজ বলার আগে আরো কিছু বলেছিলাম। মনে আছে…
মোহনা : হ্যা… থাকবেনা কেন? আমি কি short time memory যে মনে থাকবেনা? আপনি বলেছিলেন i love you….
আমাদের মোহনাতো আর আস্তে কথা বলতে পারেনা। তাই যারা একটু ধারে কাছে ছিলো তারা শুনেছে।
নিশান : wow… 3 cheers for our newly wedding couple … শ্রাবনী মোহোপাখির কাছে থেকে কিছু শিখো…
নিশান কাহিনীটা করলো just নোবেলের জন্য….
বর্ষা : কেন ভাই… কি এমন করলো মোহোপাখি…
সাগর : awwe ki cute করে i love u বলল।
মোহনা : আরে…. পাগল নাকি? আর দুলাভাইয়া তুমি…
নিশান : don’t be shy… চলো speed boat এ উঠি…
মোহনা : speed boat…. awwwe ki cute…
সাগর মনে মনে :সর্বনাশ করলো .. এখন তো মোহো speed boat এ উঠলে কতো ঘন্টা পর নামবে তার হিসাবই নেই তার ওপর আমি damn sure যে আমাকে বলবে speed boat চালানো শিখাতে।।।
মোহনা পাক্কা ২ঘন্টা speed boat এ ঘুরলো। সাথে সাগরও ঘুরেছে । অন্যরাতো ৩০মিনিট ঘুরেই back করেছে ।
.
রাতে…
সাগর-মোহনার খাবারে নোবেল ঘুমের ওষুধ মিশাতে নিলো। তখন সাগর এসে ওর হাত ধর ফেলল ।
সাগর : চল bro … কাকার ঘরে চল…
সাগর নোবেলকে টানতে টানতে কামরানের ঘরে নিয়ে গেলো ।
কামরান : কি ব্যাপার? মানিক রতন এভাবে? কোনো সমস্যা?
সাগর কামরানকে সব বলল।
সাগর : কাকা এমন হলে কিন্তু আমি আর কখনো এ বাড়িতে আসবোনা….
নোবেল : বাবা ও যা বলছে সব মিথ্যা বলছে।
কামরান : shut up… সত্য মিথ্যা চেনার যোগ্যতা আমার আছে । স্কুল লাইফ থেকে তোমার নামে eve teaching এর রিপোর্ট আসছে। আর সাগর… এরপর থেকে এমন কিছু দেখলে আগে পিটিয়ে নিবে। তারপর আমাকে বলবে। আমার কাছে বাড়ির ছেলেদের থেকে মেয়েদের … infact সব মেয়েদের সম্মান অনেক বেশি… আর এই অপদার্থর জন্য তুমি এ বাড়ি ছারবে কেন?
সাগর : হামম কাকা। আ… কাকা…
কামরান : বলো…
সাগর : আমরা কাল সকালেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চাই।
কামরান : কাল যাবে ভালো but সকালে না রাতে। খাওয়া দাওয়া করে ।।
সাগর: হামম কাকা…
পরদিন রাতের বেলা ওরা রওনা দিলো।
.
৫দিনপর…
শুক্রবার…
বিকালে শুভ্র এলো চৌধুরী বাড়িতে।
রেদোয়ান : আরে শুভ্র বসো … বসো…
তখন মোহনা ছাদ থেকে ঘুরি উরিয়ে এলো। পিছে পিছে সাগরও এলো।
মোহনা : শাশুড়িআম…
শুভ্রকে দেখে মেজাজ গরম হয়ে গেলো। ভীষন রেগে গেলো।
মোহনা : শাশুড়ি আম্মু… আমি রুমে গেলাম…
মোহনা যেতে নিলো ।
শুভ্র : মারে… দারা.. দেখো আমার মা টা মনে হয় আর বাচবেনা। ডক্টররা বিদায় দিয়ে দিয়েছে । major attack হয়েছে। বারবার ততোমাকে দেখতে চাচ্ছে। একটু যাবে মামনি…
মোহনা : যাবো? কোথায় যাবো? ওই বাড়িতে? তাও ওই ঢাকাইয়া বুড়ির শেষ ইচ্ছা পূরন করতে? স্বপ্ব দেখা ভালো। কিন্তু এতো বড় স্বপ্ননা। উনি মরুক বা বাচুক। তাতে আমার কিছুনা। তবে আপনার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি মিস্টার খান… আমি যদিও যাইনা ওই বাসায় গলা টিপে মেরে ফেলবো ওই বুড়িকে।
বলেই মোহনা রুমে চলে গেলো।
শুভ্র : সাগর বাবা তুমিই একটু বোঝাওনা।
সাগর : কি বোঝাবো বাবা? বোঝানো টা কি মোহোর সাথে উচিত হবে? যদি ওকে ওখানে জোর করে নিয়ে যাই তবে জানিনা কি করে react করবে? আর আমি ওই মহিলার জন্য মোহোকে হারাতে পারবোনা। sorry…
শুভ্র চলে যেতে নিলো।
শিখা : দারাও দুলাভাই…
শুভ্র : ….
শিখা : তুমি বাসায় যাও… আমি রাতের মধ্যেই যেভাবেই মিষ্টিকে নিয়ে আসবো।
সাগর: মামনি…
শিখা : আমি তোমার মা… আমাকে চোখ রাঙাবেনা… দুলাভাই… আমি কথা দিচ্ছি ।
শুভ্র চলে গেলো।
.
সাগর : মামনি মোহো কোনোদিনও যাবে?
শিখা : সেটা আমার ব্যাপার । কিন্তু আমি তোমার কাছে এটা আশা করিনি। ১জন মানুষ মৃত্যুপথযাত্রী। তুমি এতো rude কি করে হতে পারো।
সাগর : মামনি তিনি ১জন বাজে মহিলা। মোহনার সাথে যা করেছে ক্ষমার অযোগ্য ।
শিখা-রেদোয়ান মোহনার রুমে গেলো । গিয়ে দেখে মোহনা চকোলেট খাচ্ছে ।
রেদোয়ান : মামনি…
মোহনা : আমি কিন্তু ওই বাসায় যাবোনা।
রেদোয়ান : exactly … কেন যাবে ওই বাসায়? তুমি নিজের বাড়ি ছেরে মানুষের বাসায় যাবে কেন?
মোহনা : হামম।
রেদোয়ান : কিন্তু জানো খালাম্মা তোমার রুমে stay করছে।
মোহনা : কি? ওই ঢাকাইয়া বুড়ি আমার awwe ki cute রুমে?
শিখা : she is about to die… তার মানে মারাও যাবে তোমার রুমে । ভাবা যায়।
মোহনা : impossible …. আমি এখনই বাসায় গিয়ে গিয়ে ঢাকাইয়া বুড়িকে টেনে আমার রুম থেকে বের করবো ।
সাগর : but you know … তুমি যদি ওখানে গিয়ে মেরে ফেলবো কেটে ফেলবো করো তাহলে সবাই তোমাকে থামাবে।
মোহনা : কেন?
সাগর : she is about to die na…
মোহনা : তো?
সাগর : তুমি বকলে টকলেও উনি বের হবেন না । হাটা-চলা বন্ধ তো …
মোহনা : ওহ…তাহলে?
সাগর : you have to be polite…
মোহনা : ধুর। polite … how could i?
সাগর : আচ্ছা দেখো মনে করো তিনি permanently চলে যাচ্ছে । এটা তোমার জন্য good news … তাই একটু ভালো ব্যাবহার করো।
মোহনা : অসম্ভব।
সাগর : আচ্ছা মোহো ভাবো যদি তিনি না থাকতো তোমার লাইফে তাহলে সাস বাহু সিরিয়াল হয়ে যেতোনা? no adventure , no drama… সবটাই boring হয়ে যেতো। তাইনা?
মোহনা : হ্যা তাও ঠিক ।
.
বিকালে…
৩জন মিলে মোহনার brain wash করে খান বাড়িতে নিয়ে গেলো । ওখানে ১টা অন্য দুঃখমুখর পরিবেশ । এ এখানে বসে কাদছে ও ওখানে বসে কাদছে। এমন বিরক্তকর পরিবেশ মোহনার জন্য অজানা। ও কখনো এমন কিছু face করেনি । ও ঘামতে লাগলো। ঘামের ওপর ঘাম দিচ্ছে ।
মোহনা : সাগর আমরা চলে যাই ? চলুন চলুন…
সাগর বুঝতে পারছে যে মোহনা situation টা face করতে চাইছনা। পালাতে চাইছে । কিন্ত এখন সাগর চাইছে মোহনা যেন situation টা face করে ।
সাগর : how could it… চলো চলো… ভেতরে চলো …
মোহনা : i don’t want to …
সাগর : come come…
সাগর মোহনাকে নিয়ে ভেতরে ঢুকলো।
দিপ্তী : মিষ্টি… দীদা… ও দীদা… দেখো মিষ্টি এসেছে ।
মমতা খান ধীরে ধীরে নিজের চোখ খুলল । আঙ্গুল নেরে ইশারা করলো মোহনাকে সামনে যেতে ।
অহনা : মিষ্টি আয় এখানে আয়…
মোহনা : না না আমি বাসায় যাবো ।
সাগর : চলো চলো… ভেতরে চলো ।
সাগর ঠেলেঠুলে মোহনাকে ভেতরে ঢুকালো। এর মমতা খানের সামনে নিয়ে বসালো ।
.
মোহনাকে দেখে মমতা খান অন্যদের সাহায্য নিয়ে উঠে বসলো । উঠে বসে হাত দিয়ে মোহনার সারা মুখে হাত বুলিয়ে দিলো । মোহনা তো অবাক হলো।মমতা খান মোহনার মুখে হাত বুলিয়ে মোহনাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো । মোহনা কখনো এমনটাও face করেনি…
মমতা মোহনার হাত ধরে
বলল : আমাকে ক্ষমা করে দিস দিদিভাই।
মোহনা তো just shocked… মমতা খান ওকে দিদিভাই বলে ডাকলো। অজান্তেই মোহনার চোখের কোনে পানি চলে এলো ।
এরপর মমতা মোহনার হাতে ২ঢোক পানি খেয়ে শুয়ে পরলো। তার কিছুক্ষন পরই মমতা খান মারা গেলো । সারা বাড়িতে কান্নার রোল পরে পরে গেলো । মমতা খানকে নারায়নগঞ্জে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হলো ।
.
১৫দিনপর…
সাগর মেডিকেল থেকে বের হচ্ছে। মোহনাকে কোচিং থেকে আনতে যাবে । তখন কোথায় থেকে রুষা হুট করে চলে এলো ।
সাগর : রুষা তুমি…?
রুষা : তুমি এটা কেন করলে? কিভাবে করলে?
সাগর : কি করলাম?
রুষা : তুমি মোহনাকে কি করি বিয়ে করতে পারো আমাকে ফেলে?
সাগর : wait wait…. তোমাকে ফেলে মানে? মোহনাকে ভালোবাসি তাই বিয়ে করেছি। যেটা ২-৩বছর পরে হতো সেটা আগে হয়ে গেছে…. আর তোমাকে ফেলে মানে কি
রুষা : মানে অনেক কিছু । আমি তোমাকে আর তুমি আমাকে ভালোবাসো…
সাগর: কি ফালতু কথা বলছো কেন? আমি তোমাকে কেন ভালোবাসবো। আর এই ধারনা তোমার মাথায় এলো কি করে? না তো আমি তোমাকে কখনো বলেছি যে আমি তোমাকে ভালোবাসি … আর না এমন কিছু ইশারা করেছি বা ব্যাবহার করেছি যে তুমি ভুল ভাববে।
রুষা: তুমি আমাকেই ভালোবাসো। মোহনাকে না। ওর প্রতি যেটা আছে সেটা just তোমার concern … responsibility …. তাছারা আর কিছুইনা।
সাগর : you are mistaken… আমি মোহনাকে ভালোবাসি।
রুষা : মোহনা কি তোমাকে ভালোবাসে?
সাগর : … হ্যা…
রুষা : you are mistaken… এটা তুমি ভালোমতোই জানো যে মোহনা তোমাকে ভালোবাসেনা । আর তুমিও মোহনাকে ভালোবাসোনা। তুমি আমাকে ভালোবাসো। আমি প্রমান করে দিবো।
সাগর : do what you want… but u know what? সাগর আর মোহনা একসাথে ছিলো আছে আর থাকবে। bye….
সাগর চলে গেলো।
.
চলবে…