সিনিয়র বউ—- পর্ব-০২

বাসর রাতে জারার সাথে কোন কথা বলবোনা
খাটের উপর গুমাতে দিবোনা আর আমাকে ইস্পর্স
করতে দিবোনা শুয়ে শুয়ে কথা গুলো ভাবতেছি
আর কখন ঘুমিয়ে পরলাম ঠিক মনে নাই সকালে
ফজরের আজান শুনে ঘুম বাঙ্গলো নামাজ পড়তে
গেলাম নামাজ পড়ে এসে আবার ঘুমদিলাম হঠাত কেউ
ডাকছে,,
আম্মু: কিরে কখোন দরে ডাকছি উঠতেছিস না যা
ফ্রেসহয়ে নাস্তা করতে আয়,,?
আমি: নামাজ পরে এসে শুইছিলাম চুখটা
লেগেগেছে হয়তো,,,
আম্মু: আজ যে তুর বিয়ে এইটা কি ভুলে গেছিস যা
তারাতারি রেডিহয়ে নিছে আয় বলে আম্মু চলে
গেলো
তারাতারি করে ফ্রেসহয়ে নিছে নামলাম সবাই কত
আনন্দ করছে আমার এইসব দেখে গা জলছে
নাস্তা করে নিলাম রুমে জাবো তখনি,,,,,,,
আব্বু: শুন রিয়াদ,,,
আমি: জি,,
আব্বু: জানি তুই জারাকে পসন্দ করতে পারিসনাই তবে
দেখবি একদিন তুর জারা ছারা আর কাওকে ভালো
লাগবেনা,,,, চল এখন আমরা সবাই মিলে জারাদের বাসায়
জাবো,,,,তারপর সবাই মিলে জারাদের বাসায়
গেলেম বিকাল হয়েগেছে আমাকে নিছে
বসিয়ে সবাই চলে গেছে আমি একা বসে আছি
নিছে তবে কোন বুন্ধদের জানাইনি আমি আজ
বিয়ে করবে ওরা যদি কোন রকম জানতে পারে
আমি সিনিয়র মেয়ে বিয়ে করছি তাহলে আমাকে
পচিয়ে ছারবে তাই একটা হারামিকে বলিনি আজ আমি
বিয়ে করবো,,,তখনি
ভাবি: কি দেবর জি কেমন লাগছে তুমার,,?
আমি: খোব নার্ভাস লাগছে ভাবি তুমি একটু এখানে
বসোনা পিলিজ,,,
ভাবি: আমার অনেক কাজ আছে তুমি এখানে বসো
একটু পর কাজি সাহেব আসবে তুমার বিয়ে
পড়াতে,,,এই বলে ভাবি চলে গেলো,,, কিছুখন পর
কাজি আর মোলভী এসে আমার বিয়ে পড়িয়ে
গেলো সবাই অনেক খুশি কিন্ত আমি নয় জারা
দেখতে কেমন হবে কালো নাকি ফর্সা তাও জানিনা
আম্মু আমাকে জারার ছবি দিয়েছিলো কিন্ত আমি
দেখিনি,,একটু পর একটা মেয়েকে নিয়া আসছে
মেয়েটা বৌ সেজে আছে দেখতে কিন্ত দারুন
ঠিক জেন রাজকন্যার মত সুন্দর আমার কাছে এনে
দার করিয়েছে তখনি আমার
শুশুর: জারা মা তুর হাতদেতো তারপর শুশুর আমার
হাতের উপর জারার হাতটা রেখে
শুশুর: বাবা তুমি আমার মেয়েকে কোনদিন ছেরে
যেয়োনা আর দেখে ও জেন কোনদিন তুমার
দারা কোন কষ্ট না পাই,,
আমি: হে আমি চেষ্টা করবো জারাকে সবসময়
ভালো রাখতে,,,
আব্বু: আপনি চিনতা করবেন না আমরা আপনার
মেয়েকে নিজের মেয়ের মত করে রাখবো
শুশুর: আমি জানি আপনারা আমার মেয়েকে অনেক
শুখে রাখবেন,,
আমি: (কেমন শুখে রাখবো পরে বুজবেন
আগে বাসায় নিয়া নেই আমার সাথে নিজের বুইরা
মেয়েকে বিয়ে দিছেন পরে ঠেলা বুজবেন
মনে মনে কথা গুলো বললাম) সবার কাছথেকে
বিদায় নিয়ে চলে আসছি জারা অনেক কান্না করছে তা
দেখে আমার একটু খারাব লাগেনি বরং হাসতে ইচ্ছে
করছে রাত ১১টা আমরা বাসায় আসলাম আম্মু আমাদের
বরন করে নিলো ভাবি জারাকে সবার সাথে একটু
পরিচয় করিয়ে দিলো তারপর জারাকে আমার রুমে
নিয়ে গেলো মানে বাসর ঘড়ে আর আমি সাদে
গেলাম একা একা সাদে বসে আছি মনটা খোব খারাব
লাগছে এই ভেবে যে বুইরা একটা মেয়েকে
বিয়ে করতে হলো আমার তখনি কারো পায়ের
শব্দ শুনতে পেলাম তাকিয়ে দেখি ভাবি আসছে,,
ভাবি: চলো রিয়াদ রুমে চলো জারা তুমার জন্য
অপেক্ষা করছে,,,
আমি: করুক তাতে আমার কি,,
ভাবি: এখন কথা না বলে কাল সকালে কথা বলবো
কিভাবে জারাকে তারানো যায়,,
আমি: সত্যি বলছো ভাবি তুমি হেলপ করবে আমাকে
জারাকে তারানোর জন্য,,,
ভাবি: হে করবো এখন চলো রুমে যাবে রাত ১২টা
বাজে,,,,
আমি: চলো,,,( ভাবি আমাকে রুমে এনে দিয়ে
গেছে) আমাকে দেখে জারা খাটের উপর
থেকে নিছে নামলো আর আমার কাছে এসে
আমার পায়ে হাতদিয়ে সালাম করতে জাবে তখনি,,,
আমি: কি করছেন আমাকে সালাম করছেন কেন,,,?
জারা: আম্মু বলছে বাসর ঘড়ে স্বামীকে সালাম
করতে হয়,,,
আমি: আমি আপনার স্বামীনা আর আপনি আমার বৌ না
আর কোনদিন স্রীরির অধিকার ফলাতে আসবেন না
জারা: তাহলে বিয়েটা করছেন কেন,,,?
আমি: আপনাকে বিয়ে না করলে আমাকে
বাড়ীথেকে বের করে দিতো
জারা: তাহলে আমাকে বলতেন আমি না করে দিতাম,,,
আচ্ছা একটা কথা বলবো,,,
আমি: না কোন কথা শুনার ইচ্ছা নাই আর এখন আমি
ঘুমাবো বলে খাটের উপর শুয়ে পরলাম আর জারা
আমার দিকে রাগী চুখে তাকিয়ে রইলো,,, একটু
পর জারা তার পরনের গয়নাগাটি খোলতেছে তখনি
জোরে চিল্লাইয়া উঠলো,,,,,,,
।
।
চলবে,,,,,