পাথরের বুকে ফুল !! Part- 05
ওয়াসেনাত বাসায় গিয়ে তার আম্মুুুু আর ছোটো ভাই আলিফ আর আসিফের সাথে কিছিুক্ষণ গল্প করে তাদেরকে খাবার দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়।তারপর ফ্রেশ হয়ে তার খাটে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে পড়ে।আর শোয়ার সাথে সাথে স্বপ্নের দুনিয়ায় চলে যায়। ওয়াসেনাতের জিবনটাই হাসি মজার।সে সব সময় হাসতে এবং হাসাতে ভালোবাসে।
:
:
:
অরিএানের চোখে ঘুম নাই। চোখ বন্ধ করলেই সেই নীলাভ চোখের অধিকারি ফেড়িপরীর ছবি ভেসে উঠছে।তার কিছু ভালো লাগছে না।তার মনে হচ্ছে নীলাভ ফেড়িপরীকে যদি একটু জড়িয়ে ধরতে পাড়তো তবে মনে হয় ভালো ঘুম আসতো।হঠাৎ করে তার নিজের বুকটা কেমন শূন্য শূন্য লাগছে।কিন্তু যতক্ষণ ওয়াসেনাতের সাথে ছিল তখন তো তার এমন মনে হয় নায়। তবে এখন কেনো এমন মনে হচ্ছে সে বুঝতে পাড়ছে না। এখন সে এই রুমে থাকতে পাড়বে না।এখানে কেনো যেনো তার দম বন্ধ হয়ে আসছে।তাই না পাড়তে রুম থেকে বাহিরে চলে আসে।গন্তব্য রিমনের রুম।কারন এখন এই রিমনই তাকে হালকা হতে সাহায্য করবে।
:
:
:
মাদৌলি সেদিন প্রচুর চেঁচামেচি করেছে।সে তার বাবাকে বলেছে যেকোনো মূল্যে তার অরিএানকে চাই।তার বাবা অনেক বুঝাতে চেয়েছে। তিনি বলেছে অরিএান নিজের থেকে কারও না হলে তাকে পাওয়া অসম্ভব। এটা শুনার পরেও মাদৌলি বলেছে তার অরিএান চাই মানে চাই।এবার এটার জন্যে তাকে যদি নিয়তির সাথে লড়তে হয় তবে সে লড়বে।
:
:
অরিএান সোফায় বসে আছে।তার সামনে বেডের উপড় রিমন হাত পা ছড়িয়ে,ছিটিয়ে শুয়ে আছে।অরিএানের এখন ইচ্ছে করছে রিমনকে ধাক্কা দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দিতে তবে সে এমন কিছুই করবে না এখন।তাই ট্রি টেবিলের উপড়ে থাকা ফুলদানিটা ঠাসসসস করে নিচে ফেলে দেয়।সাথে সাথে এক বিকট সাউন্ডে রিমনের ঘুম ভেঙ্গে যায়।সামনে তাকিয়ে অরিএানকে দেখেই সে চিৎকার করে বলে উঠে……
__ভূত ভূত অরিএান বাঁচা অরিএানের ভূত। ভাই এই পোলা আমারে শান্তিতে ঘুমাতেও দেয় না।কিরে ভূত হয়েও ভয় লাগাছিস কেনো🥺🥺😞😞
অরিএান কিছুক্ষণ রিমনের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে উঠে…..
__ভূত না সয়ং আমি এসেছি।আর পালতু কথা বন্ধ কর। আমার তোর সাথে কথা আছে(বুকে হাত গুঁজতে গুজঁতে সামনে এসে দাঁড়ায়)
__তুই সত্যি অরিএান তো(অরিএানকে চিমটি কেটে)
__আগেই বলেছি পালতু তামি বন্ধ করতে।(ধমকের শুরে)
__ok ok sorry but তুই এতো রাতে এখানে কেনো।তোর যদি আরও মেয়ে লাগতো আমাকে কল করতি তুই তো যানোস তোর জন্যে মেয়েরা নিজে থেকে হাজির থাকে।বেচারা আমাকে দেখ কোনো মেয়েই জুটে না। তবে ভাই কালকের ফেড়িপরীটা জোসসস ছিল।ভাবছি পটামু তারপর সোজা বিয়ে আর তোকে তাড়াতাড়ি চাচ্চু বানাই দিমু কি বলছ??😜😜😜
:
:
অরিএান রাগে ফেটে যাচ্ছে। তার মুখ দেখে মনে হচ্ছে এখনি বোম ফুটবে।জাস্ট ভয়ংকর লাগছে তাকে।রিমন ভালো করে বুঝতে পাড়ছে অরিএান মাএাঅতিরিক্ত রেগে আছে।তাই সে ঢোগ গিলে বলে উঠে………
__ভাই আমি তো মজা করছিলাম।আমি বরং তোর বাচ্চার চাচ্চু হবো তাও নিজেরটার চাচ্চু বানাবো না।এখন বল এখানে এত রাতে কেনো আসা হলো??
__আমার ঘুম আসছে না চোখ বন্ধ করলেই ওই মেয়েকে দেখতে পাই।কি হচ্ছে আমার সাথে বুঝতে পাড়ছিনা।শুধু তার ছবিই ভেসে উঠছে।
__আমার মনে হয় তুই থাপ্পড় দিয়েছিলি তাই তোর এমন লাগছে।
__আরে ভাই তার জন্যে তো আমি sorry ও বলেছি।আমি যতক্ষণ তার সামনে থাকি আমার তখন সব ভালো লাগে আর তার থেকে দূরে গেলেই সব অগোছালো লাগে।বুঝতে পা…………
:
:
কথাটা বলতে বলতে পাশে তাকিয়ে দেখে রিমন বিছানায় শুয়ে আছে।প্রথমে ভেবেছে ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু পরে বুঝতে পরেছে সে সেন্সলেস হয়ে গেছে।অরিএান প্রচণ্ড অবাক+বিরক্ত। অবাক বা বিরক্ত ভাবকে প্রাধান্য না দিয়ে পানির ছিটকা দিতেই রিমন উঠে বসে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে কিছুক্ষণ আগে ভয়াভহ কিছু শুনেছে।তার অবস্থা দেখে অরিএান বলে উঠে………..
__তোকে আমার সমস্যার সমাধান করতে বলেছি সেন্সলেস হতে নয়।
__তুই কি মশহুর বিজন্যাস ম্যান অরিএান???আমার তো মনে হয় না।যে কিনা জীবনে খুন করেও sorry বলে না সে কি না শুধু একটা থাপ্পড়ের জন্যে sorry বলে বসে আছে।ভাই আমার মাথা ঘুড়ছে।🤯🤯🤯🥴🥴🥴
__ what ravished 😡😡 আমার ঘুম কেনো আসছে না তা জিগ্যেস করতে আসছি তোর কাছে তোর এই সব পালতু কথা শুনতে না।😡😡
__প্রেম……
__ what প্রেম….
__তুই প্রেমে পড়েছিস। তাও যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেম।i mean love at first sight 🤕🤕
__মানে কি?(ধমকের শুরু)
__মানে তুই প্রেমে পড়েছিস। 😱😱
__দেখ এটা যে অসম্ভব তা তুইও যানোছ আমি ও। so এসব আজেবাজে কথা বাদদে। আমি আমার রুমে যাই শুধু শুধু তোর কাছে এসেছি।আমার মাথাটাও নিজের মত নষ্ট করার ধান্ধা। যত সব(বলেই সামনে হাটা ধরে কিছু একটা ভেবে আবার পিছনে ঘুড়ে বলে)মেয়েটার সব ডিটেল্স আমার চাই। সকালে ঘুম থেকে উঠেই যাতে পাই।(গম্ভীর গলায় কথা গুলো বলেই অরিএান গটগট করে নিজের রুমে চলে যায়)
:
:
:
:
রিমন মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।তবে তা অরিএানের ব্যবহারের জন্যে না তার ওডারের জন্যে।কারন এখন তার ঘুম আজকের জন্যে শেষ।কিছুক্ষণ এভাবে থেকে সে হু হা করে হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে হাসা শুরু করে।কারন সে কখনো ভাবতে পারে নাই অরিএান খানও প্রেমে পড়তে পাড়ে।আল্লাহ চাইলে কি না হয়।একেই কি বলে #পাথরের_বুকে_ফুল।কথাটা ভেবে আবার এক বেলা ভয়ংকর হাসি হাসে।তারপর কাজে লেগে পড়ে।কালকে যদি সব দিতে না পারে তাহলে তো বেচারার গর্দান যাবে😂😂🤣🤣
:
:
:
অরিএান নিজের রুমে এসে ভাবতে শুরু করে আসলেই কি সে প্রেমে পড়েছে??বেপারটা ভাব বার বিষয়।হঠাৎ তার নিজের মোবাইলের কথা মনে পরে ওই ঘটনার পরে তো মোবাইলটা বন্ধ করে রেখেছে।নিশ্চুই অনেকে কল করেছে।তাই মোবাইলটা open করতেই ওয়াসেনাতের তোলা সেল্ফিটা ভেসে উঠে প্রথমে দেখে অবাক হলেও কিছুক্ষণ ভেবে নিজে নিজেই হেসে উঠে।বাকি রাত সে ওয়াসেনাতের ছবি দেখেই পাড় করে।
:
:
সকালে মাদৌলি ঠিক করে সে আজ অরিএানের অফিসে যাবে।তাই আজ খুব সুন্দর করে সেজেগুজে রেডি হচ্ছে। মাদৌলি আজ নীল রং এর নেটের উপড় কাজ করা শাড়ি পড়ে।আসলে শাড়ি যে পড়েছে কেউ বলবে না।কারন তার শরীরের বেশিরভাগ স্থান দৃশ্যমান।তার ধারনা শরীর দেখিয়ে ছেলে পটানো যায়।হুম যায় তবে সবাইকে না।কিছু কিছু অরিএানের মতো আছে।গাধী যানে না শরীর তো পতিতার কাছেও আছে।😂 নীল শাড়ি পড়ার কারন ছেলেরা নাকি নীল শাড়িতে মেয়েদের উপড় বেশি ঘায়েল হয়।হিমু সিরিজ থেকে বুঝা যায়।তাই সেও আজ নিজেকে নীলে সাজিয়েছে।
:
:
রিমন সকাল থেকে দুবার সেন্সলেস হয়েছে।যখন থেকে শুনেছে অরিএান কালকে তার রুমের মেয়েটাকে বের করে দিয়েছে আর অরিএান কালকে বিরিয়ানি খেয়েছে।বেপাটা ঠিক তার হজম হচ্ছে না তাই তার এই অবস্থা।অরিএানকে সে ওয়াসেনাতের ডিটেল্স দিয়ে দিয়েছে।
:
:
সকাল থেকে নিজের বডি গার্ডস বিহিন ওয়াসেনাতের বাসার সামনে অপেক্ষা করছে অরিএান। কারন একটাই ওয়াসেনাতকে একনজর দেখবে।গাড়ির ভিতরে বসে আছে সেই সকাল ৭.০০টা থেকে আর এখন বাজে ৯.৩০।অরিএান নিজেও অবাক হচ্ছে নিজের ধৈর্য শক্তি দেখে।যেখানে সে ৫মিনিট লেইটের কারনে বড় বড় ডিল ক্যান্সেল করে দেয় সেখানে নির্বিকার ভঙ্গীতে ২.৩০ পর্যন্ত অপেক্ষা করেই চলেছে।অপেক্ষা জিনিসটা যেমন কষ্টের তেমন এক অজানা ভালো লাগা।যা বুঝার ক্ষমতা সব সময় থাকে না।
:
:
ওয়াসেনাতের আজ প্রেজেন্টেশন আছে।সে লেখাপড়া +চাকরির পাশাপাশি ফ্যাশন ডিজাইনের উপড় কোর্স করছে।এটা তার স্বপ্ন বলা যায়।আজ একটা new dress এর প্রেজেন্টেশন আছে।তাই রেডি হচ্ছে। আজ সে ঘাড়ো সবুজ রং এর সিল্ক এর হাতা পুরা গাউন পড়েছে সাথে সিল্কের সবুজ হিজাব। আম্মুুুুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিচে নেমে আসে।ওয়াসেনাতদের দুতালা বিশিষ্ট বাড়ি।এটা তার দাদার বাড়ি যা তিনি মরে যাওয়ার আগে তার বাবাকে দিয়ে গেছে।তারা এখানেই থাকে। নিচের তালা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাউন্ডারির ভিতেরে অনেক ফুলের ফলের গাছ আছে। তবে সব গাছের মাঝে কাঠগোলাপ আর কৃষ্ণচূড়া গাছ তার খুব প্রিয়। ওয়াসেনাত কাঠগোলাপের গাছ থেকে একটা ফুল নিয়ে হেজাবের পিনে গেঁথে নেয়।এটা করতে তার খুব ভালো লাগে।ওয়াসেনাতের ভাই আলিফ এবার বুয়েটে চান্স পেয়েছে।তারা ভাই বোনেরা এক প্রকার পিঠাপিঠি। ওয়াসেনাত ওর ভাইয়ের সাথেই ভার্সিটি যায়।তাই দুই ভাইবোন বের হয়ে আসে।
:
:
:
ওয়াসেনাত গেটের দরজা খুলে বাহিরে এসেই অবাক।কারন তাদের বাসার সামনে বেশ দামি একটা গাড়ি দাড়িয়ে আছে।বেপাটা অবাক হওয়ারই বিষয়।ওয়াসেনাত গাড়ির সামনে দাড়িঁয়ে আছে আর খুটিঁয়ে খুটিঁয়ে দেখছে।আসলে সে বেপারটা বুঝার চেষ্টা করছে।এত দামি গাড়ি তাদের এলাকায় বেপাটা কেমন যেনো লাগছে তার কাছে। আর অরিএান সে তো ওয়াসেনাতকে দেখে হা করে তাকিয়ে আছে।কালো গ্লাস হওয়ায় অরিএান ওয়াসেনাতকে দেখতে পেলেও ওয়াসেনাত দেখতে পাচ্ছে না।অরিএানের মুখ থেকে আন মনেই বেড়িয়ে আসে””সবুজ ফেড়িপরী”।হেজাবে ফুলের বেপারটা অরিএানকে অনেকটা অবাক করেছে কারন এত সুন্দর ফ্যাশন সে আগে দেখে নাই।হঠাৎ গাড়ির দরজা খুলে অরিএান বের হয়ে আসে।এটা দেখে ওয়াসেনাত অবাক হয়ে তাকিয়ে বলে উঠে…………….
__আপনি এখানে কেনো??
__আসেলে একটা কাজ ছিল।এখানে তাই এসেছি।এটা কি তোমার বাসা।(ডাহামিথ্যা কথা🤐🤐)
__হুম।আপনার এখানে কি কাজ??(ভ্রু কুঁচকে বলে উঠে)
__না আসলে মানে না না মানে(আমতাআমতা করে বলছে)
__কি মানে মানে করছেন। আসল কথা বলেন?
__আসলে সামনে একটা কাজ চলছে সেখানে এসেছিলাম।(কাচুমাচু করে)
:
:
ওয়াসেনাতের চাহনি দেখে বুঝা যাচ্ছে সে তেমন বিশ্বাস করতে পারছে না।এর মাঝেই তার ভাই বলে উঠে……..
__আপু ওনি কে???
__আরে কালকের লোকটার কথা বলে ছিলাম না এনিই ওনিই(ওয়াসেনাত তার ফ্যামিলির সাথে অনেক ফ্রি।সে তার প্রতিদিনের সব কথাই মোটামুটি শেয়ার করে সবার সাথে)
__ওও Hi ভাইয়া।(হাত এগিয়ে দিয়ে)
__Hello(হাত মিলিয়ে।হাসিহাসি মুখে)
__আপু চল তাড়াতাড়ি দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।
অরিএান বলে উঠে….
__আমি ড্রপ করে দি।(উৎসাহিত হয়ে)
__No thanks. আমরা যেতে পাড়বো।তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে এই গাড়িটা কি আপনার না কি চুড়ি করেছেন।হুম(সন্দেহ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে)
:
:
:
অরিএান হতবাক। সে ভাবছে এই মেয়ের তাকে কোন দিক দিয়ে চোর মনে হয়।সে একবার উপড়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে……
__না এটা আমার।
__এত দামি গাড়ি আপনার??😮😮
অরিএান পরেছে মহা বিপদে।সে যানে ওয়াসেনাত তাকে সামান্য এমপ্লয় ভাবে। তাহলে এখন এই দামিগাড়ির উৎস কিভাবে বলবে।কিছুক্ষণ ভেবে বলে উঠে……..
__ভালো কাজের কারনে বস gift করেছে।(ভয়ে ভয়ে বলে উঠে)
__ওওও তাই বলেন।আমি তো ভেবেছি আপন,,,না থাক আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে। টাটা
:
:
অরিএান ভয়ে আর কিছু বলতে পাড়ে নায়।ইদানীং সে নিজের ব্যবহারের কারনে নিজেই অবাক হচ্ছে। যেখানে সবাই তাকে ভয় পায়,তার ভয়ে সবাই কাঁপে সেখানে সে নিজে এই মেয়ের ভয়ে শেষ।ভাবা যায় কি ভয়াবহ বেপার🥵🥵🥵।তবে অরিএানের খুব রাগ হচ্ছে ওয়াসেনাতের উপড়ে কেনো ওয়াসেনাত তার সাথে এলো না।রেগে মেগে গাড়ি চালিয়ে অফিসে চলে যায়।
:
:
:
আজ প্রথম অরিএান লেইট করে অফিসে এসেছে।তাকে দেখে সবাই অবাক।তবে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পাড়লো না।অরিএান হনহন করে নিজের কেবিনে চলে গেলো।তারপর চেয়ারে বসে মোবাইলটা বের করে ওয়াসেনাতের ছবি দেখতে শুরু করে।অরিএান নিজেও যানে না সে এক গভীর মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছে। যেখান থেকে বের হওয়া তার জন্যে মহা মশকিল। অরিএান ছবি দেখতে বেস্ত। হঠাৎ মাদৌলি কাঁচের দরজাটা খুলে বিনা অনুমতিতে ভিতরে ডুকে পড়ে।হঠাৎ এমন হওয়ায় অরিএান একটু বিচলিত হয়ে পড়ে।মাদৌলি সোজা অরিএানের সামনে গিয়ে তার গাঁ ঘেঁষে দাড়ায়।সাথে সাথে অরিএান দাঁড়িয়ে যায়।মাদৌলির পা থেকে মাথা পর্যন্ত
একবার দেখে নেয়।তারপর চোখ মুখ লাল করে ভয়ংকর দৃষ্টিতে তাকায়।অরিএান এমন রুপ দেখে মাদৌলি ভয় পেয়ে যায় তারপরেও ও নিজেকে সামলিয়ে বলে উঠে………
__আমাকে কেমন লাগছে??অরিএান
:
:
অরিএান কিছু বলছে না।সে সুধু তাকিয়ে আছে আগের মতই।মাদৌলি এবার অরিএানের সামনে হাটু গেড়ে বসে পরে তারপর তার হাতের একগুচ্ছ গোলাপ অরিএানের সামনে এগিয়ে দিয়ে বলে উঠে….
__অরিএান তোমাকে প্রথম দেখায় আমার ভালো লেগে যায়।তবে অনেক বার বলার চেষ্টা করেছি তবে তোমার দেখা পায়নি তাই তোমার হোটেলে চলে গিয়েছিলাম।আমি আমার সব উজাড় করে তোমাকে ভালোবেসেছি।আর তুমি প্রতি বার অপমান করেছ।আর না তোমাকে আমায় ভালোবাসতেই হবে। I love you arithan.তুমি শুধু আমার।
:
:
অরিএান এবার খুব জড়ে হেসে উঠে তার হাসি দেখে মনে হচ্ছে সে এখন পৃথিবীর সব চাইতে হাস্যকর কথা শুনেছে।হাসি থামিয়ে সে বলে উঠে……….
__অরিএান কার এটা সে নিজে ডিসাইট করে।আর অরিএান খান একাবার ব্যবহার করা জিনিস সেকেন্ড বার ছুঁয়ে দেখে না।নাউ গেটলস্ট।(রাগী গলায় বলে উঠে)
:
:
অরিএানের কথা শুনে মাদৌলি এবার অরিএানের আরও কাছে আসে। তারপর অরিএানের বুকের বাপাশে হাত দিতে নেয়।কিন্তু পাড়ে না কারন তার আগেই অরিএান মাদৌলির হাত ধরে ছুঁড়ে মেরে বলে উঠে…..
__একি ভুল বার বার করা তোমার সভাব ।😡😡but আমার বার বার দেখার সভাব না। get lost from my room and don’t came again. (ধাক্কা দিয়ে বাহিরে বের করতে করতে বলে উঠে)
:
:
মাদৌলি বুঝতে পাড়ছে অরিএান রেগে গেছে এখন কিছু বলে কাজ হবে না।তবে সে অরিএানের কাছে যাওয়ার সময় ওয়াসেনাতের ছবি অরিএানের মোবাইলে দেখেছে। তার এখন রক্ত মাথায় চড়ে বসেছে। তাই চলে যাওয়া ভালো হবে ভেবে চলে যায়।এদিকে অরিএান তার রুমের সব জিনিস ভেঙ্গে ফেলেছে।এটাই এক মাএ তার রাগ কমানোর উপায়।
:
:
:
অরিএানের গাড়ি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।গ্লাসটা নামা নো।সামনের দৃশ্য দেখে অরিএানের মাথায় রক্তে উঠা নামা করছে খুব দ্রুত । সবুজ চোখগুলো লাল হয়ে আছে দেখে মনে হবে রক্ত জমে আছে।রাগে তার সব কিছু ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করছে।হঠাৎ সে গাড়ি থেকে নেমে সামনে চলে যায়।তারপর কিছু না বলেই হুট করে সামনে থাকা ব্যক্তিকে কোলে তুলে সোজা গাড়িতে বসিয়ে দেয়।ঘটনাটা এত তাড়াতাড়ি ঘটেছে যে সামনের ব্যক্তি কিছু বলে উঠার আগেই অরিএান গাড়ি পুনরায় স্টাট দিয়ে দেয়।গাড়ির স্টাটের সাউন্ডে পাশের ব্যক্তির হুশ হয় সে কিছু বলতে নিবে তার আগেই অরিএান বলে উঠে…………
__একা একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে একই গাড়িতে আছে মেয়ে কিছু বলতে চায় তবে ছেলেটা শুনতে চায় না। ছেলেটার কাছে কস্টিভ বা মুখ বাধার কিছু নেই। কিন্তু ছেলেটা মেয়েটার মুখ বন্ধ করতে চায়। তাহলে কিভাবে করবে তুমি কি বলতে পাড়ও ওয়াসেনাত??? (এক হাতে ওয়াসেনাতের ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে বলে উঠে)
:
:
ওয়াসেনাত অরিএানের এমন আচরণের আগা মাথা কিছুই বুঝতে পাড়ে নাই।তবে তার কথা গুলোর মানে সে বেশ বুঝতে পেড়েছে তাই সে চুপ করে ঠোঁট উল্টে বসে আছে আর ভাবছে কি হয়েছে বা কেনো হয়েছে এতক্ষণ……………..
:
: