বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 47

সবার প্রার্থনায় আজ রিতু আর তিথি,,,সবাই দোয়া করছে তাদের রিতু আর তিথি যেন তাদের কাছে সুস্থ ভাবে ফিরে আসে,,এই দিকে রিমান প্রচুর কান্না করছে সীমা একদম রাখতে পারছে না হয়তো তার মনে জানা হয়ে গেছে তার দুই মা আজ মৃত্যুর মুখে,,,
অপরেশন শুরু হয়ে যায়,,নামাজের বিছানায় বসে আছে মা ও মামানি,,আল্লাহর কাছে আজ প্রার্থনা করছে তাদের দুই মেয়ের জন্য,,,রিমানকে কিছুতে রাখতে পারছে না তাই বাধ্য হয়ে সীমা ওকে মেডিকেল নিয়ে আসে,,এই দিকে আমান,আবির,বাবা ওরা নামাজ আদায় করে আই সি ইউর সামনের দাঁড়িয়ে আছে,,,ভয়ে কাঁপছে দুই ভাই,,আমানের পরিবার জানতে পেরে আসে,,আমান তার মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়
আমানঃ মা আমার রিতু ওই আই সি ইউ এর ভিতর মা,,আমি কি ভাবে থাকবো মা ওকে ছাড়া প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দাও আমার রিতুকে,,
আমানের মায়ের চোখে পানি জলজল করছে কি বলবে ছেলেকে,,,এই দিকে আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে সেও কান্না করছে,,আমানের মা আবিরের কাছে যায়
আমানের মাঃ আবির
আবির জড়িয়ে ধরে
আবিরঃ বড় মা আমার তিথি,,
আমানের মা কিছু বুজছে না কি বলনে দুই ছেলের অবস্থা দেখে তিনি নিজেকে সামলে রাখতে পারছে না,,এইদিকে রিমানের কান্না শুনে আমান সীমা থেকে রিমানকে কোলে নেয়,রিমান আমতা করে করে বলে
রিমানঃ মা,,মাম্মা
আমান রিমানকে বুকের সাথে চেপে ধরে,,আমানের মা এসে রিমানকে কোলে নেয় আমান থেকে,,আমানের মাথায় হাত রেখে বলে
আমানের মাঃ কিছু হবে না,,,রিতু আর তিথি সুস্থ হয়ে যাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর আল্লাহ নিরাশ করবে না আমাদের,,,
আজ যেন সময় ও যাচ্ছে না,,আবির আই সি ইউর সামনে দাঁড়িয়ে আছে দরজায় হাত রেখে বুকের ভিতর যে ভয় তা কিছুতে কমছে না,,,আমান সিটে বসে আছে চোখের পানি আটকে রাখতে পারছে না,,,আজ দুইজনের ভালোবাসার মানুষ মৃত্যুর মুখে,,,পুরো পরিবার প্রার্থনা করতে থাকে মহান আল্লাহর দরবারে,,,
রিতুর বড় ভাই পলাশের বউ প্রেগন্যান্ট,,,তাকে চেকাপ করতে মেডিকেলে আসে,,আমানকে দেখে প্রচুর ক্ষেপে যায়,,আবার খেয়াল করে আমান কান্না করছে সাথে অনেক গুলো মানুষ আর বারবার তাকাচ্ছে আই সি ইউ এর রুমের দিকে,,, চারপাশে একটু চোখ বুলায় যদি তার বোন টাকে একটু দেখতে পারে,,যদিও বোনের উপর রাগ অনেক কিন্তু বোন তো,,,আমানের নজর যায় পলাশের দিকে আমান দৌড়ে আসে পলাশকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,পলাশ কিছু বলে না ওর বউ শুধু তাকিয়ে আছে কে এই ছেলে তার স্বামীকে কেন জড়িয়ে ধরে কাঁদছে তা বুজার চেস্টা করছে,,
আমানঃ পলাশ ভাই আমার রিতু(কাঁন্না করে)
রিতুর নামটা শুনে পলাশের চোখ ভিজে উঠে,,বুকের ভিতরে ভয় কাজ করে,,তারপর ও রিতুর প্রতি রাগটার কারণে আমানকে ধাক্কা দেয়,,আর চলে যেতে লাগে তখন আমান চিৎকার করে বলে

আমানঃ আপনার বোন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে তারপর ও কি চলে যাবেন ভাইয়া
পলাশ থমকে দাঁড়ায় তার আদরের ছোট বোনটা যাকে সামান্য আঘাত পর্যন্ত ছোট বেলায় লাগতে দেয় নাই সে মৃত্যুর মুখে শুনে কলিজায় যেন কেউ আঘাত করে,,পলাশ বউ মিথিলা অবাক হয় কথাটা শুনে,,পলাশ আমানের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে
পলাশঃ কি হয়েছে রিতুর?বলো আমায় আমার বোনের কি হয়ছে?
আমান সব বলে পলাশ যেন নিজের মধ্যে নাই,,ফোন টা বের করে তার বাবাকে কল দেয় আর রিতুর কথা বলে কান্না করে করে,,,
আবির দাঁড়িয়ে আছে আই সি ইউর দরজার সামনে,,শুধু আল্লাহ কে ডাকছে তার তিথি যেন সুস্থ হয়ে যায়,,,
এইদিকে রিতুর বাবা-মা বড় বোন ওরা সবাই আসে,,কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে রিতুর মা,,রিতুর বাবার কলার ধরে ধমক এর সুরে বলে
রিতুর মাঃ আজ সব কিছু তোমার জন্য হয়েছে,,আমার মেয়েটাকে ওই সময় রাতের বেলায় ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলে মান সম্মান এর ভয়ে,,আমার বুক খালি করেছিলে,,এতো দিন কিছু বলি নাই ভেবেছিলাম আমার মেয়েটা ভালো তো আছে এখন আমার মেয়ে মৃত্যুর মুখে,,
আমান রিতুর মায়ের কাছে আসে,,হাত ধরে বলে
আমানঃ কিছু হবে না মা,,আমাদের রিতু তিথি ওরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে,,,তিথি আজ ওই রুমে তার বেস্টুকে বাঁচানোর জন্য,,,তার মত কেউ এই কাজ করতে পারতো না মা,,,বন্ধুত্ব নিভাইছে আজ তিথি,,,দোয়া করেন যাতে ওরা সুস্থ হয়ে যায়,,
সবাই দোয়া করতে থাকে,,,,অনেক ঘন্টা হয়ে যায় কোনো খবর নাই ওদের,,নার্স একবার বের হচ্ছে আবার ডুকছে নার্সের দৌড়াদৌড়ি দেখে তো আমানের আর আবিরের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়,,,সবাই চিন্তিত,,,
কয়েক ঘন্টা পর আই সি ইউর লাল বাতিওটা নিভে যায়,,,আমান আর আবির এগিয়ে আসে,,ডাক্তার বের হয়
আমান ও আবিরঃ ওরা ঠিক আছে?
ডাক্তারঃ কি বলবো বুজছি না৷
আমানঃ মানে কি ডাক্তার?
আবিরঃ কি হয়েছে প্লিজ বলুন
ডাক্তারঃ দেখুন মিসেস তিথি সময় মত কিডনি যদি না দিতো তাহলে হয়তো মিসেস রিতুকে বাঁচানো যেতো না,,,
আবিরঃ তিথি ঠিক আছে?
ডাক্তারঃ চিন্তার কারণ আর নাই ওরা দুইজন এখন ঠিক আছে বেহুঁশ আছে,,কয়েক ঘন্টা পর হুশ আসবে,,,আর আমি তো অবাক মিসেস তিথির এমন মহান কাজ দেখে,,,নিজের এক কিডনি দিয়ে বাঁচালো তার বন্ধুকে,,,এমন বন্ধুত্ব তো কেউ ভাঙ্গতে পারবে না,,
রিতুর মা এসে বলে
রিতুর মাঃ আমার মেয়ের সাথে দেখা করতে পারবো প্লিজ
ডাক্তারঃ এখন না ওদের কেবিনে শিপ্ট করা হবে এখন,,তারপর
রিতুর বাবাঃ ঠিক আছে তো ওরা
ডাক্তার চলে যায়,,,আই সি ইউ থেকে একটা বেডে করে প্রথমে রিতুকে বের করে তারপর তিথিকে,,দুইজনে বেহুঁশ,,,আবির তিথির হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে,,
আবিরঃ সব ঠিক হয়ে যাবে তিথি সব
নার্সঃ প্লিজ উনার হাত ছাড়ুন উনাকে কেবিনে নিয়ে যেতে হবে,,
মামানিঃ আবির হাতটা ছাড়ো ওকে কেবিনে নিয়ে যাক তারপর না হয়
আবির তিথির হাত না চাইতে ও ছাড়ে,,,তিথি আর রিতুকে আলাদা আলাদা কেবিনে রাখা হয়,,তারা দুইজন সুস্থ আছে এই জেনে যেন আবির আর আমানের কলিজায় পানি আসে,,,
আবিরঃ সবাই বাসায় চলে যান আর রেস্ট করুন আমি আছি এখানে
আমানঃ হ্যাঁ ছোট মা তোমরা চলে যাও আমি আর আবির এখানে আছি,,
মাঃ কিন্তু আবির তোদের যা অবস্থা এতে তোরা এখানে একা
আবিরঃ মা আমরা আছি,,যখন ওদের হুশ আসবে তখন তোমাদের জানানো হবে,,আর মা অনেক রাত হয়ছে মামা বাসায় একা,,প্লিজ তোমরা রেস্ট নাও,,,
আমান আর আবির ওদের জোর করে পাঠিয়ে দেয়,,কিন্তু পালশ ও থেকে যায়,,,পলাশ কিছু খাবার আনে,,,কিন্তু আমান আবির কেউ মুখে পর্যন্ত নিলো না,,আমান রিতুর কেবিনে যায় রিতুর হাতটা ধরে তাকিয়ে আছে,,,চোখের পানি টপ করে পড়ছে,,
আমানঃ রিতু তোমার ফ্যামিলি তোমার জন্য অপেক্ষা করছে,,,আমাদের রিমান অপেক্ষা করছে আর আমি ও রিতু,,,
আমান রিতুর হাত ধরে অনেক কথা বলে,,,
এইদিকে আবির কেবিনে ডুকে দেখে তিথি শুয়ে আছে,,,আবির তিথির পাশে যায় টুল টেনে বসে তিথির কপালে চুমু দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ তোমার ঘুমান্ত চেহারা আমার খুব পছন্দ কিন্তু এমন না তোতাপাখি,,খুব কষ্ট হচ্ছে তোমায় এমন দেখে,,,আমি ভুল মানুষকে ভালোবাসি নাই তিথি,,,যার মন এতো বড় তাকে যে পেয়েছি তা যে আমার সৌভাগ্য তোতাপাখি,,
আবির তিথির হাতটা বুকে নিয়ে বলে
আবিরঃ মনে আছে আমাদের প্রথম দেখা,,জানো তিথি প্রথম দিনেই তোমায় আমার ভালো লাগে,,,সে ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা,,ধীরে ধীরে তুমি আমার কাছে আসো,,,আমার পুরো মন জুড়ে তুমি ছিলে,,,আমার মনে রাজরানী হয়ে গেলে,,, আমার মন জুড়ে শুধু তুমি আর তুমি,,,হঠাৎ আমায় ছেড়ে গেলে সামান্য কিছু ভুলে,,,তারপর আবার খুজে যাই কারণ আমার ভালোবাসা সত্যি ছিলো,,,আজ তোমায় আমি পেয়েছি আর হারাতে পারবো না তিথি,,,আমার এখন সব তুমি হাসির কারণ সুখে থাকার কারণ সব সব কিছু শুধু কারণ
আবিরের চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে,,আবির তিথিকে সে প্রথম থেকে দিন গুলো বলছে,,,আবির হাসছে ও বলে বলে
আবিরঃ তিথি মনে আছে জঙ্গলের কথা ওই ডাকাত গুলোর খাবার তুমি কি ভাবে চুরি করলে,,
আবির বলে খিলখিল করে হেসে দেয় আবার তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে সে চুপ,,,না চাইতো চোখের পানি এসে যায় তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে ফেলে তিথির সাথে কথা বলতে থাকে,
রাতের ৪ টা বাজে,,,রিতুর হুশ আসে,চোখ মেলে দেখে আমান,,,আমান তার পাশে ঘুমিয়ে আছে,,,আসতে করে হাতটা নাড়ায়,হাত নাড়ানোর সাথে সাথে আমান জেগে উঠে রিতুর হুশ ফিরেছে দেখে আমান খুশিতে রিতুলে জড়িয়ে ধরে,,রিতু মুচকি হেসে দেয় আমানের পাগলামি কান্ড দেখে,,,আমান রিতুকে ছেড়ে দৌড়ে ডাক্তার কে নার্সকে ডেকে আনে,,ডাক্তার এসে রিতুকে চেক করে
ডাক্তারঃ সব ঠিক আছে,,,সকালে আবার চেকাপ করে যাবো,,,
ডাক্তার যাওয়ার সময় রিতুকে বলে যায়
ডাক্তারঃ আপনি আসলে অনেক ভাগ্যবতী এমন হাজবেন্ড পেয়ে ফ্যামিলি পেয়ে আর এমন বন্ধু পেয়ে যে নিজের জীবন দিয়ে আপনাকে বাঁচিয়েছে,,
রিতু ডাক্তার এর কথায় কিছু বুজে না,,তারপর ও আমতা আমতা করে বলে
রিতুঃ মা,,নে?জী,বন দিয়ে,,,

ডাক্তারঃ আপনার দুইটা কিডনি তো নষ্ট হয়ে যায়,,আর মিসেস তিথি আবির রহমান তার একটা কিডনি আপনাকে দিয়ে বাঁচায়,,
রিতু কথাটা শুনে থমকে যায়,,,
রিতুঃ তিথি কই আমার তিথি কই আমান
ডাক্তারঃ চিন্তার কিছু নাই উনি এখন ঠিক আছে কিন্তু এখনও বেহুঁশ,,
রিতুঃ আমান আমাকে তিথির কাছে নিয়ে যাবে প্লিজ
আমান ডাক্তার এর কাছে গিয়ে বলে
আমানঃ ডাক্তার প্লিজ রিতুলে তিথির কেবিনে শিপ্ট করুন,,
ডাক্তার আমানের রিকুয়েস্টে আর রিতুর দিকে তাকিয়ে রিতুকে তিথির কেবিনে শিপ্ট করা হয়,,,
রিতু তাকিয়ে আছে তিথির দিকে,,,ঘুমিয়ে আছে,,আস্তে আস্তে তিথির হাতটা ধরে
রিতুঃ কেন সব সময় এমন করিস,,আমার জন্য কেন ত্যাগ করিস,,,
আবিরঃ রিতু প্লিজ কান্না করিও না আর তিথি ঠিক হয়ে যাবে,,
রিতুঃ আমার জন্য সে সব সময় ত্যাগ করে
আমানঃ রিতু জীবনে এমন বন্ধু পাওয়া অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার,, আর তুমি পেয়েছো যে তোমার জীবনের কাছে কিছু ভাবে নাই,,,
আবিরঃ তোমায় কান্না করতে দেখলে কিন্তু তিথি ঝাড়ু নিবে
রিতু একটু হেসে দেয়,,,নার্স আসে
নার্সঃ দেখুন উনাকে বেশি কথা বলতে দিবেন না,,উনার শরীর অনেক দুর্বল,,,,
আমানঃ ওহ সরি,,,খেয়াল রাখবো
নার্স চলে যায়,,আমান রিতুর পাশে বসে রিতুর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, আর আবির অপেক্ষা করে তিথির হুশ ফিরার৷
সকালে তিথির হুশ ফিরে,,,আসতে করে চোখ মেলে দেখে তার হাতটি ধরে পাশে শুয়ে আছে আবির, পাশের বেডে রিতু,,,আর রিতুর পাশে আমান,, তিথি বুজতে পারে সবার মনের অবস্থা,,,তিথি তাকিয়ে আছে আবিরের ঘুমান্ত চেহার দিকে,,অনেক ক্ষন হয়ে যায়,,,নার্স চেকাপ করতে এসে দেখে তিথির জ্ঞান ফিরেছে,,,
নার্সঃ আপনার জ্ঞান ফিরেছে আমি এখনই ডাক্তারকে খবর দিচ্ছি,,
নার্সের কথা শুনে আবির আর আমান জেগে উঠে,, তিথির জ্ঞান ফিরেছে দেখে অনেক খুশি,,,
ডাক্তার চেকাপ করে যায়,,,ফ্যামিলিকে খবর দেওয়া হয় সবাই আসে,,,রিতু আর তিথিকে দেখতে রান রিতুকে দেখে তার কাছে যেতে চায়,,,রিতুর গালে চুমু দিতে থাকে রিমান,,আবার তিথির কাছে গিয়ে তিথির গালে চুমু দেয়,,সবাই হাসাহাসি করে,,,
রিতুর বাবা-মা ভাই ওদের দেখে রিতু মুখ সরিয়ে নেয়৷,,,,রিতুর মা এগিয়ে আসে কান্না করে দেয়
রিতুঃ কেন এসেছেন এখানে
রিতুর মাঃ আমাদের ক্ষমা করে দে মা,,,আমরা সবাই ভুল করেছিলাম
রিতুর বাবাঃ এই দোষী বাপটাকে মাপ করে মা,,,
তিথি রিতুর দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ তোর বাবা-মা ফিরে এসেছে ওদের কাছে টেনে নে রিতু আমার জন্য হলেও,,,সবার কপালে এমন সুযোগ আসে না রে,,,
আমানঃ যা অভিযোগ তোমার রিতু তা সুস্থ হলে বলিও, এখন সবাই এক সাথে থাকি প্লিজ
সব কিছু যেন মিটমাট হয়ে যায়,,,আবির হাসছে আবার তার হাসি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়,,,কেবিন থেকে বেত হয়ে যায়,,ফোন টা বের করে কল দেয় কাকে,,,কথা বলে পিছনে ফিরে দেখে আমান,,

আমানঃ যার জন্য আজ রিতু আর তিথির এমন অবস্থা তাকে তো এতো সহজে ছেড়ে দেওয়া যায় না আবির,,
আবিরঃ তুই কি ভেবেছিস আমি ওই লোক কে ছেড়ে দিবো যার জন্য আমার তিথির এমন অবস্থা,,,ওকে আমি শেষ করে ফেলবো
আবিরের বাবা এসে আমান আর আবিরকে বলে
আবিরের বাবাঃ দেশে আইন আছে,,,আইনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত
আবিরঃ আইনের হাতে তো তুলে দিবো তার আগে ওকে রাস্তায় তো আনি,,,
আবিরের বাবাঃ কি করবি তুই?
আবিরঃ তা কিছু দিন পর বুজতে পারবে বাবা,,,
আমান আর আবির কেবিনে চলে যায়,,,তিথি আর রিতু আগে থেকে কিছুটা সুস্থ,,,অনেক দিন তাদের মেডিকেল থাকতে হয়,,, রিতু আর তিথি অনেক গল্প করে এক সাথে,,, দুইজনে যেন তাদের ছেলেবেলা ফিরে পায়,,,প্রায় অনেক দিন মেডিকেলে থাকায় তিথির মাথা বিগড়ে যায়,,,তার মোটেও ভালো লাগছে না আর,,
চলবে,,,,,,,,