The villain lover

The villain lover ।। পার্ট : ২১

দিনগুলো যেন স্বপ্নের মতো কেটে যাচ্ছে,
– ফোনের আওয়াজে ঘুম ভাঙলো রুদ্রের,,,,
– স্যার আমাদের কাজটা কমপ্লিট হয়ে গিয়েছে আমরা আসল খুনিকে পেয়ে গিয়েছি। এখন আপনি আসুন আপনাকে সব প্রমান দিয়ে দিবো।
– আচ্ছা আমি আসছি।
বিছানায় এখনো ঘুমাচ্ছে ছোয়া, মেয়েটা এখন কষ্ট সইছে, কয়েকদিন যাবত কিছু খেতেই পারছেনা। মুখে খাবার দেয়ার সাথে, সাথেই বমি করছে। কাল রাত এপাশ করে অনেক রাতে ঘুমিয়েছে।
ছোয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে, ছোয়ার কপালে আলতো করে ভালোবাসার পরশ দিয়ে উঠে গেলো রুদ্র। বাথরুমে যেয়ে ফ্রেস হয়ে নিলো।
বাথরুম থেকে বের হতেই দেখলো ছোয়া বিছানায় বসে আছে,,
– ঘুম ভেঙে গেছে জানটার?
-হুম,আপনি আমাকে জাগাননি কেনো?
– এমনি কাল অনেক রাতে ঘুমিয়েছো তাই আর বিরক্ত করিনি।
-আমি যদি না জাগতাম? আমাকে না বলেই বের হয়ে যেতেন?
– তুমি জানলে কিভাবে আমি বের হবো,
– আমি না জানলে কি জানবে? ফোনেই তো বলছিলেন কাকে জানো, আমি আসছি!
– তার মানে তুমি তখন জেগে ছিলে?
– হ্যা,আর আপনি আমাকে না বলে আমাকে চুমু দিয়েছেন।
– কি বললা তুমি? আমার জানিকে আমি চুমু দিবো আবার তার জন্য পারমিশন ও নিবো?
– হুম নিতে হবে, হিহি।
– তবেরে,,,,,
বলেই রুদ্র ছোয়ার কাছে এসে ছোয়ার গালে কামড় বসিয়ে দিলো।
– 😭এইটা কি করলেন??
– বউকে আদর দিলাম, চুমু দিতে পারমিশন লাগবে বাট কামড় দেয়ার কথা তো বলোনি।
– আপনি???
– কি আমি??
– খুব পচা,
– হ্যা জানি, এখন যাও ফ্রেস হয়ে নাও একসাথে ব্রেকফাস্ট করে তারপর বের হবো।
– আচ্ছা বলেই ছোয়া ফ্রেস হতে চলে গেলো,
ফ্রেস হয়ে বের হয়ে ছোয়া আর রুদ্র নিচে যেয়ে নাস্তা করে নিলো।
ছোয়া, আমার মানিব্যাগ টা আনিনি একটু রুমে আসোতো মানিব্যাগটা খুজে দাও।
আচ্ছা যাচ্ছি,
ছোয়া রুমে যেতেই মানিব্যাগ খুজতে লাগলো,
– কি খুজছো?
– আরে আপনি তো বললেন মানিব্যাগ খুঁজতে
– কিন্তু মানিব্যাগ তো আমার কাছে( দুষ্টুমি হাসি দিয়ে)
– তাইলে আমাকে আনলেন কেনো ডেকে?
– রুদ্র ছোয়াকে আলতো করে তার কাছে নিলো, আর কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে বললো।বের হওয়ার আগে বউটাকে একটু ভালোবাসা না দিলে কি হয়।
ছোয়া রুদ্র জড়িয়ে ধরে,( পাগল)
রুদ্র বের হয়ে গেলো,,,,,
ছোয়া বসে, বসে বই পড়ছে, ছোয়ার ফোনে একটা কল আসতেই ছোয়া ফোন রিসিভ করলো,
– হ্যালো,,,
– আপনার হাসবেন্ড কে এতো বিশ্বাস করবেন না, সে আপনার এতো বিশ্বাসের প্রাপ্প না।
– কে আপনি? আর আমার হাসবেন্ডের নামে এসব বলার সাহস আপনাকে কে দিয়েছে? আপনি সেই না যে এর আগে আমার আর আমার হাসবেন্ড এর মাঝে ভুল বোঝাবোঝি করাতে চেয়েছিলেন? তাইলে শুনে রাখুন আমি আমার হাসবেন্ডকে অনেক ভালোবাসি। আর আমি ওকে অনেক বিশ্বাস করি।আপনি ওর নামে যতোই খারাপ কথা বলুননা কেনো আমি কিছু বিশ্বাস করবো না।
– আচ্ছা, বিশ্বাস করবেন না তবে আপনাকে একটা ভিডিও পাঠাচ্ছি সেটা দেখে নিন!! আপনার কাছে সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
ছোয়ার আর কিছু না বলে রেগে ফোনটা রেখে দিলো, যাই হয়ে যাক কোনো ফালতু মানুষের কথায় সে রুদ্রকে আর ভুল বুঝবে না।
কিছুক্ষন পর ছোয়ার ফোনে একটা ভিডিও এলো, ছোয়া নিজের অনিচ্ছা থাকা শর্তেও ভিডিওটা ওপেন করলো।
ছোয়া ভিডিওটা দেখছে আর ছোয়া সারা শরীর অবশ হয়ে আসছে,কপালে বিন্দু, বিন্দু ঘাম।
ছোয়া বিশ্বাস করতে পারছেনা এসব
নতুন করে সে রুদ্রকে ভুল বুঝতে চায়,সে বিশ্বাস করতে চায় না এসব সত্যি। যদি এগুলো সত্যি হয় তবে তার কি হবে কি হবে তার অনাগত সন্তানের।
ছোয়া রুদ্রকে ফোন দিলো,
– হ্যালো,,,,,,
– কোথায় আপনি?
– এইতো একটু কাজে,
– এখন আসুন বাড়িতে,
– কেনো কি হয়েছে? তোমার শরীর ঠিক আছে তো? খারাপ লাগছে,
– আমি ঠিক আছি, আগে আপনি আসুন।
ছোয়ার কথায় একটা রহস্যময় কিছু শুনতে পেলো রুদ্র তাই আর দেরি না করে বাড়ির দিকে রওনা দিলো সে।
রুমে বসে আছে ছোয়া, চোখ গুলো ধারন করেছে রক্তবর্ন,
রুমে আসতেই ছোয়াকে দেখেই ভয় পেয়ে গেলো রুদ্র।
– ছোয়া কি হয়েছে তোমার?
ছোয়া কিছু না বলে, রুদ্রের সামনে ফোনটা ধরলো আর সেই ভিডিওটা ওপেন করলো।
রুদ্র ছোয়ার দিকে তাকিয়ে আছে এই ভিডিও ছোয়ার কাছে কিভাবে এলো বুঝতে পারছেনা সে।
– আসলে ছোয়া!
– এসব কি সত্যি?????
– আমার কথা।
– এসব কি সত্যি???( চিৎকার করে বললো ছোয়া)
– ঠাসসসসসসস,রুদ্রকে থাপ্পড় মারলো ছোয়া। কেনো করলেন এমন??? নিজের নংরা জীবনে আমাকে আর আমার সন্তানকে কেনো আনলেন আপনি? আমাদের জীবন নষ্ট করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে( কাঁদতে কাঁদতে বললো ছোয়া)
রুদ্রের চোখে টলমল করছে,
– আমার সন্তান রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে লোকে তাকে কি চোখে দেখবে, আমার সন্তানের দিকে আঙুল তুলবে। এটা কেনো করলেন আপনি?
ছোয়া কাঁদতে, কাঁদতে মাটিতে বসে পড়লো।
– ছোয়া আমার কথা শোনো,,
– ধরবেন না আপনি আমাকে,আপনার মতো মানুষের ছোয়া আমি চাইনা, নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে। এক জীবনে আমি আর কতো কিছু সইবো( অঝোরে কাঁদছে ছোয়া)
– ছোয়া আমার কথা শোনো, প্লিজ একটু।
– এসব বিশ্বাস করতে চাইনি, তবে ভালো যে আপনি স্বীকার করেছেন,নয়তো একটা অমানুষ কে ভালো মানুষ ভেবে ভুল করতাম আমি।
নিজের চিন্তা করিনা আমি,
কিন্তু আমার বাচ্চা, এই নিষ্পাপ শিশুটার কি হবে( জোরে,জোরে কেঁদে যাচ্ছে ছোয়া)
রুদ্রের বুক দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে, ছোয়া বলা কথাগুলো শুনে।
চলবে,
(রমজান মাস তাই পার্টগুলো বড় করতে পারছিনা। তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করছি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *