The villain lover

The villain lover ।। পার্ট : ১৮

সকালে পাখির কিচিরমিচির ডাকে ঘুম ভাঙলো ছোয়ার,
রাতে রুদ্রের বুকে কাঁদতে কাঁদিতে কখন ঘুমিয়ে পরেছে নিজেও জানে না,
মাথা উঠাতেই দেখলো রুদ্র অঘোড়ে ঘুমাচ্ছে, আস্তে আস্তে উঠতে যাবে তখনি।
– এই কোথায় যাচ্ছ?
– আপনি জেগে?
– হুম
– তাহলে ঘুমানোর অভিনয় কেনো করছিলেন?
– আসলে কি জানো ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বউটাকে অনেক সুন্দর লাগে,তাই দেখছিলাম কিন্তু তোমার ঘুম ভাঙতেই ঘুমানোর অভিনয় করলাম যাতে আমাকে না জাগানোর জন্য তুমি আমার বুকেই শুয়ে থাকো। কিন্তু তুমি করলা তার উলটো এইযে উঠে যাচ্ছিলে।
– হুম অনেক দেখা হয়েছে এখন, ছাড়ুন আপনাকে খেয়ে মেডিসিন নিতে হবে এখন উঠতে দিন।
– আমার তো মেডিসিন নেয়া হয়ে গিয়েছে জান!
– মানে??
– এইযে আমার বুকেই আছে আমার মেডিসিন।
– (ছোয়া মুচকি হাসলো,) এই মেডিসিন আবার পরে নিবেন এখন যেতে দিন। প্লিজ,,,,,
– রুদ্র কপার কুচিয়ে ছোয়াকে ছেড়ে দিলো,,,
– আপনি বসেন আমি গোসল করে আসছি!
– এতো সকালে গোসল করবা?
– হুম লাস্ট দুদিন গোসল করিনি গা গুলাচ্ছে আমার,
– আচ্ছা যাও,
ছোয়া গোসলে ঢুকে গেলো আর রুদ্র ফোন বের করে গেম খেলতে লাগলো।
২০ মিনিট পর ছোয়া বের হলো, একটা কালো সিল্ক এর শাড়ি পরে চুলগুলো ভেজা,
সেই কালো শাড়ি যা পড়লে ছোয়াকে আরো বেশি রূপবতী লাগে।
ছোয়া চুল মুছছে, আর রুদ্র হা করে তাকিয়ে আছে ছোয়ার দিকে,,,
রুদ্র বিছানা থেকে উঠতে যাবে কিন্তু উঠতে পারছে না, হেলেদুলে পরে যাচ্ছে,
ছোয়া দৌড়ে যেয়ে রুদ্র ধরলো,
– কি করছেন আপনি? কি লাগবে আমাকে বললেই তো হতো!
– (রুদ্র মুচকি হাসলো) একটানে ছোয়াকে বিছানায় ফেলে দিলো,
আমার যা চাই আমি তা পেয়ে গিয়েছে বলেই ছোয়ার গলায় নাক ঘষতে লাগলো,
– ছোয়ার কথা বলার শক্তি যেন কমে আসছে,
– রুদ্র কি করছেন?
– মেডিসিন নিচ্ছি।
– ছোয়া ক্রমশ রুদ্রের পিঠে আচর বসাচ্ছে,
– রুদ্র দোহাই লাগে আমাকে ছাড়ুন,
– নাহ,আজ ছাড়বো না।
রুদ্র ছোয়ার গলায়, ঘাড়ে ক্রমশ কিস করে যাচ্ছে,
আস্তে, আস্তে নিচে নামছে রুদ্র পেটের থেকে শাড়ির আচল সরিয়ে মুখ গুজে দিয়েছে সেখানে,
ছোয়া আরো শক্ত করে বিছানার চাদর আকরে ধরছে,,,
ঠিক তখনি দরজায় নোক করার শব্দ পেয়ে দুজনে বাস্তবে ফিরে এলো, রুদ্র সরিয়ে ধড়ফড়িয়ে উঠে শাড়ি ঠিক করতে লাগলো ছোয়া,
শাড়ি ঠিক করতে,করতে দরজা খুললো, রোজা দাঁড়িয়ে আছে,
– আপু আপনি ভেতরে আসুন।
– রুদ্রের কি অবস্থা ঠিক আছে ও?
– হ্যা ঠিক আছে, খাবার খেয়ে এখনি মেডিসিন নিবে,
রোজা দুজনের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে, কালকের সাথে আজকের কিছুই মেলাতে পারছে না। কাল তো রুদ্র ছোয়াকে দেখতেই পারতো না। এক রাতে কি এমন হলো যে এতো স্বাভাবিক লাগছে দুজনকে।
রোজা আর কিছু বললো না,
– রুদ্র আমি একটু বের হচ্ছি,তাই বলতে আসলাম। নিজের খেয়াল রেখো।
– আচ্ছা,সাবধানে যাও।
রোজা বেড়িয়ে গেলো,
– এই রোজা বেড়িয়ে গেছে আসো বাকি কাজটা করি।( দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বললো রুদ্র)
– হুম করবোই তো রান্না করবো তারপর খাবো, টাটা( মুখ ভেংচি দিয়ে বললো ছোয়া) তার পর আর না দাঁড়িয়ে রান্না ঘরে চলে গেলো।
ছোয়া রুটি, ভাজি,ডিম যা যা সে রাধতে পারে সব রান্মা করে আবার রুদ্রের কাছে গেলো।
– এইযে চলুন ফ্রেস হয়ে নিবেন! খাবার রেডি ফ্রেস হয়ে খাবেন।
– তুমি এতো আনরোমান্টিক কেনো ছোয়া?
– মানে?
– মানে,এইযে কথাটা বললা একটু রোমান্টিক ভাবেও তো বলা যেত তাইনা, যেমন ওগো শুনছো খেতে চলো।
– আমার এতো রোমান্টিক এর দরকার নেই, আমি আনরোমান্টিকই ভালো আছি।( মুখ বাকিয়ে)
এখন চলুম নয়তো একা,একা খেয়ে নিবো হুম!!
– কি মেয়ে রে বাবা, ওকে চলো যাচ্ছি।
তারপর ছোয়া রুদ্রকে ফ্রেস করিয়ে, বিছানায় বসিয়ে খাবার আনতে চলে গেলো,
– এই নিন আপনার খাবার খেয়ে নিন,
– কি???
– কি মানে কি? খাবার খেতে বলেছি!
– আমি অসুস্থ!
– সো হোয়াট,অসুস্থ হলেই তো বেশি, বেশি খেতে হবে।
– মানে আমি অসুস্থ আর আমাকে নিজের হাতে খেতে বলছো?
– তা এখন কি করতে হবে?
– আমাকে খাইয়ে দিতে হবে,
– ইস সাধ কতো,
– ওকে যাও খাইতে দেয়া লাগবেনা, আমি খাবোনা বলেই রুদ্র শুয়ে পড়লো।
– এই না না, আমি খাইয়ে দিচ্ছি প্লিজ উঠুন আপনাকে মেডিসিন ও নিতে হবে।
– এইতো এখন লাইনে এসেছো।
ছোয়া রুদ্রের পাশে বসে রুদ্রকে খাইয়ে দিচ্ছে।
আর রুদ্রও খাচ্ছে,
– তুমি খাবে না?
– হুম খাবো আপনি আগে খেয়ে নিন!
-দাও আমার কাছে প্লেট টা দাও আমি খাইছে দিচ্ছি।
তারপর রুদ্র ও ছোয়াকে খাইয়ে দিলো,
– ছোয়া আমার ল্যাপটপ টা দাও, একটু কাজ করবো।
– এখন কাজ করা লাগবেনা, রেস্ট নিন।
– বাহ আমার বউটা দেখি অনেক কেয়ারিং হয়ে গিয়েছে।
আচ্ছা বেশি কাজ করোবা একটা জরুরী কাজ আছে সেটা করে নেই প্লিজ, ল্যাপটপটা দাও।
ছোয়া রুদ্রকে ল্যাপটপ এনে দিলো, রুদ্র ল্যাপটপে কাজ করছে আর ছোয়া, আস্তে কতে রুদ্রের কাধে মাথা রেখে পাশে বসে আছে,
– ছোয়া,
– হুম।
– আমার সব স্বপ্ন মনে হচ্ছে,
– কেনো?
– এইযে তুমি আমার কাধে মাথা দিয়ে আছো, আমাকে এতো কাছে আছো। আমাকে মেনে নিয়েছো।
– আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, আপনি আমাকে মাফ করে দিন প্লিজ।
– ধুর পাগলি আমি এসব শুনতে চাইনা,
– তবে কি শুনতে চান??
– ভালোবাসার কথা শুনতে চাই,নতুন জীবনটা কিভাবে শুরু করবো সেই স্বপ্ন বুনতে চাই,
– হুম, ছোয়া রুদ্রকে আরো শক্ত করে ধরলো,
– আচ্ছা, আপনি কাল কি জানো বলছিলেন? আমাদের গোপন শত্রু?
– হ্যা ছোয়া গোপন শত্রু যে তোমার বাবাকে খুন করেছে আর দোহাকে মেরে আমার ওপরে দোষ চাপাতে চেয়েছিলো, প্লেন মাফিক কাজটা করেছে আর তুমিও ওদের পাতা ফাদেই পা দিয়েছো।
– কিন্তু কে হতে পারে??
– আমি জানিনা,তুমি চিন্তা করোনা যেই হোক না কেনো তাকে আমি খুজে বের করবোই।
ছোয়ার কপালে একটা চুমু দিয়ে রুদ্র আবার কাজ করতে শুরু করলো,,
৩/৪ দিন এভাবেই কেটে গেলো, রুদ্র অনেকটা সুস্থ এখন। রুদ্রের অসুস্থতার জন্য দোহার কাছে যেতে পারেনি ছোয়া। ফোনে খোঁজখবর নিয়েছে।
আজ রুদ্র একটু সুস্থ তাই রুদ্র নিজেই ছোয়াকে নিয়ে ওর মামাবাড়ি যাচ্ছে,,,,,
গাড়িতে বসে আছে রুদ্র আর ছোয়া,
– বার বার রুদ্র লুকিং গ্লাস ভেদ করে দেখছে ছোয়াকে, ছোয়ার কাছে বিষয়টা আজব লাগছে,সারাটাদিন দেখার পরেও এখন আবার লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখার কি দরকার বুঝতে পারছেনা ছোয়া,
– এই সারাদিন দেখে হয়না?
– নাহ হয়না, তোমাকে দেখার যে শেসে নেই গো বউ।
– হুম পরে দেখবেন মন দিয়ে ড্রাইভ করুন এখন।
আমি আমার মন শুধু তোমাকে দিয়েছে, ড্রাইভে মন দেয়া সম্ভব না।
– আপনি ও না, সব সময় মজা।
-তোমার ব্যাপারে আমি সিরিয়াস কোনো মজা না।
– ওকে হয়েছে এখন ভালো করে ড্রাইভ করুন।
কিছুক্ষন পর রুদ্র আর ছোয়া পৌছে গেলো তাদের মামা বাড়ি ছোয়া সবাইকে আগেই সব বুঝিয়ে বলেছিলো তাই সবাই খুব ভালো ভাবেই রুদ্রকে মেনে নিয়েছে,
রুদ্র আর ছোয়া অনেকটা অনেকটা পথ এসেছে তাই দুজনেই ক্লান্ত।
বিছানায় গা এলিয়ে দুজনি বিশ্রাম নিচ্ছে,
এর মাঝেই শুরু হলো তুমুল আকারে বৃষ্টি ছোয়া তো লাভ দিয়ে উঠলো বৃষ্টিতে ভেজার জন্য।
– চলুন না ভিজি,
– না, এর আগেরবার তোমার জ্বর হয়েছিলো,
– প্লিজ, প্লিজ আমি ভিজবো,না ভিজতে দিলে কিন্তু
– কিন্তু কি,
– না ভিজতে দিলে নিজেই একা ভিজবো অনেক ভিজবো যাতে অনেক জ্বর আসে,
– হুম বুঝেছি তোমাকে মানানো যাবে না, আচ্ছা চলো,
তারপর ছোয়া আর রুদ্র দুজনেই ছাদে গেলো,
ছোয়া তো লাফালাফি করছে আর ভিজছে, খুব মজা করছে আর রুদ্র তাকিয়ে ওর সব পাগলামি দেখছে,
রুদ্র ছোয়াকে দেখতে,দেখতে ওর অনেক কাছে চলে গেলো, ছোয়াকে একটানে নিজের কাছে নিয়ে আসলো, ছোয়া অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলো পেছন থেকে এমন হেচকা টানের জন্য একদম প্রস্তুত ছিলোনা ছোয়া,
ছোয়া একদম রুদ্রের বুকের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেলো,,,,
-রুদ্র ছোয়া আবার বুকে থেকে উঠিয়ে গালে হাত রেখে বলতে লাগলো,
এই দিনটা আমি চেয়েছিলাম ছোয়া, যেদিন তুমি আমার হবে, বৃষ্টির প্রতিটা ফোটা জানবে তুমি শুধু আমার,
তোমার সবটুকু জুরে থাকবো আমি।
ছোয়ার ভেজা ঠোটে আজ রুদ্র আবার মাতাল হচ্ছে,
আবার ছোয়ার ভেজা ঠোট যেন টানছে রুদ্রকে,
রুদ্র ক্রমশ ছোয়ার ঠোটের দিকে এগোচ্ছে,
একটা সময় রুদ্র তার নিজের ঠোট দিয়ে ছোয়ার ঠোটকে আবদ্ধ করে নিলো,
আজ ছোয়াও যেন তাল মেলাচ্ছে রুদ্রের সাথে, বাধাহিন ভাবে মাতাল হচ্ছে দুজন।
৫ মিনিট পর রুদ্র ছোয়ার ঠোট ছেড়ে ছোয়াকে কোলে তুলে নেয়, ছোয়া লজ্জায় চোখ বুজে ফেলে, আর হারিয়ে যায় রুদ্রের মাঝে।
রুদ্র ছোয়াকে কোলে করে রুমে চলে যায়, বিছানায় শুইয়ে ছোয়াকে চুমু দিতে থাকে,
একটা সময় রুদ্র ছোয়ার প্রতি পূরোটা মাতাল হয়ে যায়, ছোয়ার শাড়ি একটানে খুলে ফেলে আর ডুব দেয় ছোয়ার মাঝে,
আজ নেই তাদের মাঝে কোনো বাধা, ছোয়াও যেন রুদ্রের প্রতিটা ছোয়াকে ভালোবেসে গ্রহন করছে এক আলাদা আবেশে।
আজ দুজন – দুজনার মাঝে ডুব দিয়েছে,
পরম ভালোবাসায়।
( এর পরেটুকু নিজ দায়িত্বে বুঝে নিন🙈)
( এ সুখ কি চিরস্থায়ী হবে?)
( আপনাদের লেখিকার কিন্তু খুবই চিন্তা হচ্ছে।
কিন্তু সে চায় শুধু রুদ্র আর ছোয়া না, সবার সত্যিকারের ভালোবাসা পূর্নতা পাক)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *