Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 94

কাঁচ ভাঙ্গার শব্দে আজিজ রায়হান আর রোয়েন পিছু ফিরে তাকায়।চায়ের কাপ দুটির টুকরো গুলো গড়াগড়ি করছে।সাদা ফ্লোর চা দিয়ে মাখামাখি হয়ে গেছে।
রোয়েন ফ্লোর থেকে চোখ সরিয়ে উপরে তাকায়।রুহী কাঁদতে কাঁদতে পিছনে যাচ্ছে।মুখে হাত চেঁপে কাঁদছে।
হঠাৎ আজিজ রায়হান রোয়েনের কাঁধে হাত রেখে ডাকে।
-রোয়েন দেখো।
রোয়েন আজিজ রায়হানের দিকে মাথা ঘুরায়।আজিজ রায়হান রুহীর পায়ের দিকে ইশারা করছে।
রোয়েন সেদিকে তাকায়।রুহী যতো পিছাচ্ছে ওর ফ্লোরে ওর রক্ত মাখা পায়ের ছাপ পড়ছে।
রোয়েন দৌড়ে রুহীকে ধরে।রুহী ধাক্কা মেরে রোয়েনকে সরায়।
-কথা বলবানা আমার সাথে।এতো কিছু হয়ে গেলো কেন কেউ জানাও নি?
-আমার কি এগুলো জানার অধিকার ছিলোনা রোয়েন।আর বাবা তুমি কেন আমার থেকে লুকালে কথা গুলো?আমি তো তোমার মেয়ে নাকি?কাঁদতে কাঁদতে কথা গুলো বলছিলো রুহী।
আজিজ রায়হান মাথা নাড়ায়।
রোয়েন রুহীকে জোর করে কোলে তুলে খাটে বসায়।রোয়েন খাটে বসে রুহীর পা ধরতে গেলে রুহী রোয়েনের হাত সরিয়ে দেয়।
-না ধরবানা।এতো কিছু হয়ে গেলো আর একবার ও জানাও নি কেন?কাঁদছে রুহী।
-রোয়েন এবার রুহীর গাল ধরে শক্ত করে।রুহী আমার কথাটা শুনো।শান্ত গলায় বলে রোয়েন।
-মাথা নাড়ায় রুহী,নাহ শুনবোনা।কাঁদতে থাকে রুহী।
-রুহী প্লিজ বুঝার চেষ্টা করো।তোমার শরীর ভালো না।এসময়ে তোমাকে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।কোন ধরনের স্ট্রেস দেয়া যাবেনা তোমায়।
-তোমাকে জানাতাম কিন্তু চাইনি এভাবে জানো।কারন এখন টেনশন কান্নাকাটি বাবুর জন্য রিস্কি।আর এখানে এসেছি রুপন্তীকে ফিরিয়ে আনার জন্য।বলে উঠে রোয়েন।
-রুপন্তীর পিছনে এভাবে লেগেছে কেন ঐ লোক?কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করে রুহী।
-দেখো রুহী রুপন্তী ওনারই মেয়ে।আনিলা বেগমের সাথে চাচ্চুর বিয়েটা মিথ্যা ছিলো।আনিলা বেগমের সাথে প্রনয় খানের সম্পর্ক অনেক আগের থেকেই ছিলো।
ওনি যখন প্রেগন্যান্ট হয় তখন প্রনয় খান বাবুটাকে নষ্ট করতে বলে।কিন্তু আনিলা বেগম সেটা করেনা।এদিকে প্রনয় খান কোন একটা কারনে আনিলা বেগমকে চাচ্চুর সাথে মিথ্যা বিয়ের নাটক সাজাতে বলে।বলে উঠে রোয়েন।
-কি কারন?কান্নারত অবস্থায় জিজ্ঞেস করে রুহী।
-রোয়েন মাথা নিচু করে।কিভাবে বলবে রুহীকে যে ওর কারনেই আনিলা কে আনা হয়েছিলো।যেন রুহী বড় হলেই প্রনয় খানের কাছে পাঠাতে পারে।আর প্রনয় রুহীকে নিজের শয্যাসঙ্গী,,,,,,,রোয়েন আর ভাবতে পারেনা।রাগে শরীর ফেঁটে যাচ্ছে।
রোয়েনকে এভাবে চুপ থাকতে দেখে রুহী বলে উঠে
-কি হলো বলো!!!!
চাচ্চুর বিজনেস হাতিয়ে নেয়ার জন্য।আর এখন জানলো প্রনয় নিজের মেয়ের কথা।তখন রুপন্তীকে নিতে চেয়েছিলো।কিন্তু রুপন্তী ওনার সাথে যেতে রাজি হয়নি।তাই চাচ্চুর অতীতের সব কিছু রাসেল কে দিয়ে বলায়।
-প্রনয় খান রুপন্তীকে বলেছিলেন ও যদি ওনার কাছে ফিরে যায় তাহলে চাচ্চু নিজের চাকরী ফিরে পাবে।একনাগাড়ে কথা গুলো বলে রোয়েন।
রুহী কাঁদতে শুরু করে আবার।মানুষ এতোটা নিচু মানসিকতার কেমনে হতে পারে?
আজিজ রায়হান মেয়ে কে জড়িয়ে ধরে।
-কাঁদিস না মা।রুপন্তীকে রোয়েন খুব জলদি ফিরিয়ে আনবে।মেয়ের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলেন আজিজ রায়হান।
রোয়েন রুপন্তীর নম্বরে কল দিতেই অপরপাশ থেকে কল রিসিভ হয়।
রুহীর দিকে ফোন ধরে রোয়েন।
-নাও কথা বলো ওর সাথে।বলে উঠে রোয়েন।
রুহী বারবার থেকে সরে এসে ফোন নিয়ে কানে ধরে।
-হ্যালো!!!কিছুটা অসুস্থ গলায় বলে উঠে রুপন্তী।
-রুপন্তী কি হলো?ভালো আছিস তো?বলে উঠে রুহী।
-বোনের কান্নামাখা কন্ঠে আঁৎকে উঠে রুপন্তী।আপি ঠিক আছি।কাঁদছিস কেন তুই?
-আমার বোন এতো কষ্টে আছে জেনে ও কিছু করতে পারছিনা আমি। কেমন বড় বোন হলাম ছিঃ।কেঁদে বলে রুহী।
-না আপি।এভাবে বলিস না তুই নিজেই অনেক অসুস্থ।আর আমি ঠিক আছি।খুব জলদি ফিরে আসবো প্রমিজ।বলে উঠে রুপন্তী।
দুইবোনের অনেকক্ষন কথা চলতে থাকে এভাবে।
আধঘন্টা পর রুপন্তী হঠাৎ বলে উঠে,
-আপি পরে কথা হবে।ঘুম পাচ্ছে আমার।
-সব ঠিক আছে তো রুপন্তী?জিজ্ঞেস করে রুহী।
-জি ঠিক আছে আপি।পরে কথা হবে বায়।বলযেই কল কেঁটে দেয় রুপন্তী।সিড়িতে পায়ের শব্দ পাচ্ছে রুপন্তী।নিশ্চয় আনিলা বেগম আর প্রনয় খান ফিরেছে।
রুহী কান থেকে ফোন সরিয়ে রোয়েনের হাতে ফোন টা রাখে।
-কি বলল ও?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
-ঠিক আছে ও।কিন্তু মন মানছেনা আমার।ও ভালো নেই।মন খারাপ করে বলে রুহী।
-রোয়েন তুমি ওর পায়ে ব্যান্ডেজ করে দাও।আমি আসছি।বলে বেরিয়ে যান আজিজ রায়হান।
রোয়েন রুহীর ডান পা নিজের রানের ওপর রাখে।পায়ে কাঁচ ঢুকে গেঁথে গেছে।
রোয়েন একটু জোরে টেনে কাঁচ গুলো বের করতে লাগলো।আস্তে টানলে ভীষন কষ্ট হতো রুহীর।
তারপর সেখানে ঔষধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো রোয়েন।
রুহীকে কোলে করে রুমে নিয়ে এলো রোয়েন।রুহীকে শুইয়ে দিয়ে ওর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয় রোয়েন।
মায়ায় চোখ বুজে আসতে চায় রুহীর।
রোয়েন রুহী চোখজোড়ার পাতায় চুমু দিলো।
রুহী রোয়েনের পিঠ খামচে ধরলো।ব্যাথার মাঝে ও ভীষন নেশা কাজ করছে রোয়েনের।
♦♦♦♦
রুহীর থেকে নিজেকে সরিয়ে উঠে দরজা লাগিয়ে দেয় রোয়েন।তারপর এসে রুহীর পাশে শুয়ে ওকে কাছে টেনে নেয় রোয়েন।
রুহী একটু মুখ উঠিয়ে রোয়েনের থুতনি তে ঠোঁট ছোঁয়ায়।আবেগে চোখ বন্ধ করে রোয়েন।
রুহী রোয়েনের গালে কানে নাকে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে।
রোয়েন রুহীর মুখ সামনে এনে শক্ত করে ধরে।তারপর রুহীর গালে কপালে চুমু দিয়ে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবায়।
রুহীর লম্বা সাদা একটি শার্ট পরেছে।
রোয়েনের এক হাত রুহীর শার্টের বোতাম গুলো খুলে ওর গলায় মুখ ডুবায়।
জানালা ভেদ করে আসা ঠান্ডা বাতাস পরিবেশটাকে আরও নেশাময় করে তুলেছে।প্রেম সাগরে ডুবন্ত এই যুগল যেন একে অপরের প্রেমের গভীরতায় ডুব দিচ্ছে।
একে অপরের ঘ্রানে ডুবে থাকে রোয়েন আর রুহী।
আর এভাবেই রাতটা কাঁটিয়ে দেয় ওরা।
পরদিন রুহীকে রুমে নাস্তা করায় রোয়েন।পায়ে কাঁচ ঢুকার কারনে হাঁটতে পারছেনা রুহী।
রুহীকে নাস্তা খাইয়ে সাইফ রাহমান আর আজিজ রায়হানের সাথে নাস্তা সেড়ে নেয় রোয়েন।
নাস্তার টেবিলে যখন গল্প করছিলো সবাই তখনই রেহান ঘরে ঢুকে।
রেহান কে একদমই ভালো দেখাচ্ছেনা।খুব মনমরা হয়ে আছে ও।রায়না রাহমানকে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে নেন।
রোয়েন আর বাকিদের সাথে কথা বলে রেহান।তারপর কিছুক্ষন রেস্ট নেয় রুমে গিয়ে।বিকেলে রেহান বেরিয়ে যায় রুপন্তীর সাথে দেখা করার জন্য।
প্রনয় খান আর আনিলা বেগম ঘুরতে বেরিয়েছেন।সেই সুযোগে ঘরে ঢুকে পড়লো রেহান।তারপর খুঁজতে খুঁজতে রুপন্তীর রুমটাও পেয়ে গেলো।
রুমে ঢুকে রুপন্তীকে দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনা রেহান।
দৌড়ে গিয়ে রুপন্তীর পাশে বসে পড়ে রেহান।
মেয়েটা অচেনতন অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে।
গায়ে ও বেশ জ্বর।রুপন্তীকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে যায় রেহান।
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় প্রনয় খানের বডিগার্ডরা রেহানকে আটকায়।
কে আপনি?(বডিগার্ড)
-ওর হাসবেন্ড। বলে উঠে রেহান।
-আপনি ওনাকে নিয়ে বের হতে পারবেননা।স্যার আগে আসুক তারপর ওনার পারমিশন নিয়ে যাবেন।
-ওর কন্ডিশন ভালো ভালো না যেতে দিন আমায়।কড়া গলায় বলে রেহান।
-দেখুন স্যার না আসা পর্যন্ত আপনাকে ছাড়ছিনা।বলে উঠে বডিগার্ডরা।
-রেহান লোকটির নাকে ঘুষি মারতেই সে যন্ত্রনায় চিৎকার করে উঠে।অন্য বডিগার্ডরা রেহানের পিছু নিতে থাকে।
রেহান রুপন্তীকে নিয়ে গাড়িতে বসে স্টার্ট দেয়।য়কুব স্পীডে চলতে শুরু করে গাড়ি।যার কারনে বডিগার্ডরা ওদের আটকাতে পারেনা।
রেহান হাসপাতালে পৌছে রোয়েনকে কল দিয়ে রুপন্তীর খবর জানায়।
রোয়েন জানালো কিছু সময়ের মাঝেই আজিজ রায়হানকে নিয়ে আসছে ও।
রুপন্তীকে হাসপাতালে এডমিট করা হলো।
ডাক্তার রেহানের কাছে এসে দাঁড়ায়।
-ওনার গায়ে অনেক জ্বর বেশ কিছু দিন যাবৎ হয়ত না খেয়ে আছে।তাই এমন হয়েছে ওনার।একটু খেয়াল রাখবেন।একনাগাড়ে কথা গুলো বলে ডাক্তার সাদিক।
-মাথা ঝাঁকায় রেহান।
প্রনয় খান আনিলার সাথে দুষ্টুমিতে মেতে ছিলেন গাড়িতে।হঠাৎ রিংটোনের শব্দে বাঁধা পড়লো দুজনের দুষ্টুমিতে।দুজনের মুখেই বিরক্তির ছাপ।
শালা বডিগার্ডের বাচ্চাদের খেয়ে দেয়ে কাজ নেই।শুধু ফোন করার তালে থাকে।রাগী গলায় বলে ফোন রিসিভ করে কানে রাখেন।
-হ্যালো স্যার!!!!একজন বডিগার্ড বলে উঠে।
-সমস্যা কি তোদের?জানিসনা বিজি আছি।কল দেয়ার কি হলো? আসছিই তো?রেগে গেলেন প্রনয় খান।
-স্যার রুপন্তীর ম্যামরে একটা পোলা আইয়া নিয়া গেছে।কয় হের হাসবেন্ড।(বডিগার্ড)
-হোয়াট!!!চিৎকার করে উঠেন প্রনয় খান।
-জি স্যার।ধানমন্ডি স্কয়ার হাসপাতালে আছে হেরা অহন।বলে উঠে বডিগার্ড।
প্রনয় খান ফোন কেঁটে ড্রাইভারকে স্কয়ার হাসপাতালে যেতে বলে।
কিছুক্ষনের মাঝে রোয়েন আজিজ রায়হান আর সাইফ রাহমান হাসপাতালে পৌছায়
ডাক্তার বেরিয়ে এসে বললেন পেশেন্টের বাবাকে?
আজিজ রায়হান এগিয়ে আসেন।
-আমি ওর বাবা।
-ডাক্তার হাসেন।আপনার মেয়ে আপনাকে ডাকছে।
আজিজ রায়হান রুপন্তীর পাশে এসে বসে ওর ডান হাত হাতে নিয়ে কেঁদে দিলেন।
রুপন্তী আরেকটি হাত এগিয়ে বাবার চোখের পানি মুছে দিলো।
-বাবা কেঁদোনা আ আমি ঠিক আছি।অসুস্থ গলায় বলে রুপন্তী।
এদিকে প্রনয় খান আর আনিলা বেগমকে দেখে লুকিয়ে যায় রোয়েন।প্রনয় খান রুমে ঢুকতে নিলে ডাক্তার বাঁধা দেয়।
-একজন রুমে আছেন।এখন যাওয়া যাবেনা।বলে উঠেন ডাক্তার।
-আশ্চর্য আমি পেশেন্টের বাবা।আমাকে যেতে দিন।বলে উঠেন প্রনয়।
-পেশেন্ট বলল ওনি ওর বাবা।বলে উঠেন ডাক্তার সাদিক।
প্রনয় খান রেগে বেরিয়ে যেতে নিলে ওদের সামনে এসে দাঁড়ায় রেহান।
রেহানকে দেখে আনিলা বেগম প্রনয় খানকে বলেন,
-প্রনয় ও রেহান তোমার মেয়ের হবু বর।
-প্রনয় খান খুশি হয়ে রেহানকে জড়িয়ে ধরতে চাইলে থামায় রেহান।তারপর আনিলা বেগমের দিকে রাগী চোখে তাকায় রেহান।
-সবসময় নিজেকে মা মা বলেন।এই তার নমুনা!!!আজ যদি সত্যি আপনি মা হতেন তাহলে রুপন্তীর সাথে এমন হতো না।মেয়েটা না খেয়ে আছে জ্বরে ভুগছে সেসবের কি কোন আইডিয়া আছে আপনার?
চিৎকার করে বলে রেহান।
-প্রনয় খান রেগে যান।এই ছেলে এতো সাহস হয় কি করে আনিলার সাথে এভাবে কথা বলার?ভদ্রতা শিখায় নি বাপ মা?চিৎকার করে উঠেন প্রনয়।
-ভদ্রতা শিখিয়েছে তবে কাদের সাথে কেমন আচরন করতে হবে সেটাও ভালো জানা আছে আমার।রাগী গলায় বলে রেহান।
-এই ছেলে রুপন্তীর মা আনিলা।ওর যথেষ্ঠ কনসার্ন আছে নিজের মেয়েকে নিয়ে।এতো কৈফিয়ত চাওয়ার তুমি কে হ্যা?চিৎকার করে উঠেন প্রনয় খান।
-আমি ওর হাসবেন্ড।একবার না একহাজার বার কৈফিয়ত চাইবো।বাহিরের মানুষ বাহিরের মানুষই থাকেন।আমাদের মাঝে ইন্টারফেয়ার করার কোন প্রয়োজন নেই।
আর ফুপু নাহ আপনি ফুপু বলতেই ঘিন্না লাগছে আমার।কখনো আমাদের সামনে আসবেননা।আমার বৌয়ের থেকে দূরে থাকবেন।রাগী গলায় বলে রেহান।
আনিলা সাইফের দিকে তাকাতেই সাইফ রাহমান অন্য দিকে সরে যান।
অপমানিত হয়ে প্রনয় খান আর আনিলা বেগম বেরিয়ে যায়।
রোয়েন বেরিয়ে আসে।প্রনয় খান যদি জানতো ও এখানে তাহলে রুহীর ক্ষতি করার চেষ্টা করতো।
চলবে