Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 9

প্লিজ মারবেননা ওনাকে ছেড়ে দিন।কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুহী।কালো একটা লোক রুহীকে সরাতে চেয়ে ও পারছিলোনা।লোকটা রুহীকে খুব জোরে থাপড় দিয়ে ফেলে দিলো।যার কারনে রুহীর ঠোঁট ফেটে গেছে।রুহী আবার ও উঠে লোক গুলোকে সরাতে চাইলো।যার কারনে আরো একটা থাপড় ওর গালে পড়ার আগেই লোকটার হাত রোয়েন ধরে ফেলল।ডোন্ট টাচ হা,,,,,,,,,,ঠিক তখনই ওর বুকের মাঝটায় এসে বন্দুক লাগলো।রোয়েন আর দাঁড়াতে পারলোনা। লোকটার হাত ছেড়ে নিচে পড়ে গেলো।রুহী খুব জোরে চিৎকার করলো রোয়েনের বুকে বন্দুক লাগতেই।রোয়েনের কাছে বসে পড়লো রুহী।রোয়েনকে ধরে ঝাঁকাতে শুরু করলো রুহী।প্লিজ উঠুন।শুনছেন?উঠে যান।কাঁদতে কাঁদতে ডাকছিলো রুহী।লোকগুলো রুহীকে টানতে টানতে নিয়ে বেরিয়ে এলো।রুহী যেতে চাইছিলো না কিন্তু লোকগুলো ওকে টেনে হেচড়ে নিয়ে গাড়ির সামনে আসতেই তাদের সামনে আরেকটি গাড়ি দেখতে পেলো।গাড়ির ওপর রোয়েন শুয়ে আছে।ওর এক গাড়ির ওপর ভাজ করে রাখা আরেক পা নিচে।গাড়ির ওপর পা টাকে হালকা দুলাচ্ছে রোয়েন।লোকগুলো ভুত দেখার মতো দাঁড়িয়ে আছে।একটু আগে যাকে তারা মেরে রক্তাক্ত করে দিয়েছিলো এমন কি ওর বুকে শুট করেছিলো সেই তাদের সামনে।রোয়েন কিছু বলছেনা।
এই তোকে না শুট করেছিলাম।বেঁচে ফিরলি কেমন করে?একজন প্রশ্ন করে উঠলো।
ঠিক তখনই রোয়েন উঠে বসলো।মুখে বাঁকা হাসি এনে বলে উঠলো।তোদের মতো ব্যাঙ্গরা আমাকে মারবে?
হাউ ফানি।হাসি এসে ও চলে যাচ্ছে।কিছুটা বিদ্রুপাত্মক হাসি দিয়ে কথাটা বলে উঠলো রোয়েন।
লোকগুলো একে অপরের দিকে চাওয়া চাওয়ি করছে।ঠিক তখনই যে লোকটা রুহীর হাত ধরেছিলো তার কপাল বরাবর রোয়েন শুট করলো।রুহীর হাত ছেড়ে পড়ে গেলো।বাকি লোকগুলো পালিয়ে গেলো।রুহী দৌড়ে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।রোয়েন খুব আস্তে রুহীর মাথায় হাত রাখলো।প্লিজ বাসায় চলুন।আমার এখানে ভালো লাগছেনা।কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুহী।রোয়েন আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলোনা।তাই রুহীকে ধরে কোনমতো গাড়িতে বসিয়ে দিলো।রোয়েনের লোকেরা ওকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিলো।রুহীর ঠোঁটে ও ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়েছে।রোয়েন কেবিনের খাটে শুয়ে আছে আর রুহীর পাশের একটি চেয়ারে বসে আছে।রোয়েনের লোকেরা রুহীর জন্য কিছু খাবার নিয়ে এলো।কিন্তু রুহী আগে হাসপাতাল থেকে দেয়া খাবার গুলো রোয়েনকে খাইয়ে নিজে খেয়ে নিয়েছে।এভাবে বেশ কয়েকদিন চলে গেলো।রুহীআর আগের মতো জেদ করেনা। তবে রোয়েনকে ভয় পায়।রোয়েনের কথা ও শুনে এখন।কিছুদিনের মাঝে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়ার পর রোয়েন রুহীকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসে।ঠিক তার পর দিন রুপনতী রোয়েনের বাসায় এলো ড্রাইভার কে নিয়ে।রুহী এতোদিন পর বোনকে দেখে রুহী কিছুটা ইমোশনাল হয়ে যায়।দুই বোন একে অপরকে জড়িয়ে মনের দুঃখ কষ্টগুলো শেয়ার করতে থাকে।রোয়েন দাঁড়িয়ে ওদের দেখছে।ওর মাথায় চলছে অন্য কথা।ওদের কুয়াকাটায় যাওয়ার কথা স্করপিয়নদের কানে কিভাবে গেলো।ভেবে পায়না রোয়েন।ওর দলের মাঝে স্করপিয়নদের কেউ ঢুকে পড়েছে নাকি জানতে হবে। তার আগে রুপন্তীর সাথে কথা বলা উচিৎ।কথাটি ভেবেই রুপন্তী আর রুহীর কাছে এসে দাঁড়ালো রোয়েন।রুপন্তী আমার সাথে এসো কিছু কথা আছে।গম্ভীর কন্ঠে বলল রোয়েন।জ জি ভাইয়া আসছি।কিছুটা ভয় পেয়ে কথা গুলো বলে রোয়েনের পিছু পিছু
ডাইনিং রুমে চলে এলো ওরা।
রুপন্তী তোমার কাছে কিছু প্রশ্ন করবো। সেগুলোর এক্সেক্ট এ্যান্সার চাই।
জি বলুন ভাইয়া।কাঁপা গলায় বলছিলো রুপন্তী।
তোমার আপুর এমন কোন ফ্রেন্ড আছে বা তোমাদের এমন কেউ আত্মীয় আছে যাদের সাথে তোমাদের বা তোমার আপুর ঝগড়া হয়েছিলো?কথা গুলি একনাগাড়ে জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
চুপ করে আছে রুপন্তী।
রুপন্তী প্লিজ চুপ থেকোনা।তোমার বোনের ওপর এ নিয়ে অনেক গুলো এটাক হয়েছে এমনকি কুয়াকাটায় ও ওরা আমাদের ছাড়েনি।
ভাইয়া আসলে মা,,, ,,,,,,,কথাটা শেষ করার আগে আনিলা বেগম রোয়েনের বাসায় ঢুকলেন।রুপন্তী তুই এখানে?রুহী কই?প্রশ্ন করে উঠলেন আনিলা বেগম।
রুপন্তী কিছু বলার আগেই আনিলা বেগম রুপন্তীর হাত ধরে রুহীর রুমের দিকে এগোলো।
একটা জিনিস রোয়েনের বেশ অবাক লেগেছে তা হলো রুপন্তী আনিলা বেগমের হাত ছাড়াতে চাইছিলো।রোয়েন কিছুটা ভাবনায় পড়ে গেলো।
রুহী মাকে দেখে কেঁদেই দিলো।আনিলা বেগম মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন।রুহীর হাল চাল জিজ্ঞেস করতে থাকলেন।রোয়েন ভ্রু কুঁচকে ওদের দেখছে।মেয়ের সাথে কথা শেষ করে রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালেন আনিলা বেগম।বাবা আমার মেয়ের জন্য যা করছো সেটার জন্য থ্যাংকস দিয়ে ছোট করতে চাইনা।রুপন্তী এসে তোমাকে বিরক্ত করেছে।ওকে নিয়ে গেলাম আমি।কথা গুলি বলে আনিলা বেগম রুপন্তীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন।রোয়েন নিজের দলের লোকদের মাঝে খুঁজতে থাকে।কোন স্করপিয়ন এসে গোপন ভাবে থাকছে নাকি।কিন্তু সে ব্যার্থ তেমন কেউ নেই।রোয়েন আরো খোঁজ নিতে থাকে।
আজিজ রায়হান আর আনিলা বেগমের ফোন ট্রেস করায় রোয়েন। বাসার কেউ স্করপিয়নদের সাথে যোগাযোগ করছে কিনা।
কিন্তু কোন কিছুই পেলোনা।রুপন্তী ও ফোন ও ইউজ করে।ওর নাম্বার ব্যবহার করে কেউ স্করপিয়নদের খবর দিচ্ছে না তো?
(বাসায় মেহমান।তাই সারাদিন কাজ করতে হয়েছে রোজার মধ্যে।সবাই কষ্টটা বুঝবেন?
চলবে