Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 20

রায়না রহমান কে দেখে রোয়েন দাঁড়িয়ে একনজরে তাকিয়ে রইলো।রোয়েন এটা রুহীর মামী।পাশ থেকে বলে উঠলেন সাইফ রহমান।
রোয়েন কিছু বলছেনা। নিষ্পলক ভাবে রায়না রহমানকে দেখেই যাচ্ছে।রায়না রহমান যেন বুকের মাঝে রোয়েনের জন্য আলাদা টান অনুভব করছেন যেন খুব আপন কেউ।রহান রোয়েনকে হাত ধরে ঝাঁকালো ভাইয়া এটা আমার মা।রোয়েন রেহানের ডাকে কিছুটা চমকে উঠলো।চোখ জোড়া জ্বলছে ওর।রায়না রহমান আচমকাই রোয়েনকে বুকে জড়িয়ে নিলেন।রোয়েন যেন নিজ দুনিয়ায় ফিরে এলো।রায়না রহমান কে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে।রায়না রহমান ও রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে নিজ অজান্তেই কেঁদে দিলেন।রোয়েন আর নিজেকে শক্ত রাখতে পারলোনা। কেঁদে দিলো।রুহী থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।এভাবে কাঁদার কারন কেউই বুঝতে পারছেনা।সবাই অবাক। কেউই বুঝতে পারছেনা কি হচ্ছে? বেশ খানিক্ষন পর রোয়েন সরে এলো রায়না রহমান থেকে।মাথা নিচু করে চোখ মুছে নিলো রোয়েন।ভাইয়া আর ইউ ওকে।রোয়েনের কাঁধে হাত রাখলো রেহান।মাথা ঝাঁকালো রোয়েন।ইয়াহ আম ওকে।রোয়েন কি হয়েছে?সাইফ রহমান প্রশ্ন করলেন।নাহ আঙ্কেল মা নেই তাই ওনি যখন জড়িয়ে ধরলেন মনে হচ্ছিলো আমার মা।
আর রায়না কাঁদছিলে কেন তুমি?প্রশ্ন করলেন সাইফ রহমান।ওকে দেখে মনে হচ্ছিলো খুব আপন কেউ।চোখ মুছতে মুছতে বললেন রায়না রহমান।সাইফ রহমান থেকে চোখ সরিয়ে রোয়েনের দিকে তাকালেন রায়না রহমান।রোয়েন কে বলল তোমার নেই? আমি আছিনা?মা বলো আমাকে আর সাইফ আঙ্কেলকে বাবা।রোয়েনের মাথা মুছে দিয়ে বললেন রায়না রহমান।জি। বলে উঠলো রোয়েন।
আরে আরে সবাই খেতে চলো।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।হুম চলো রোয়েন খেতে চলো।আজ তুমি সবার মধ্যমনি বাবা।বলে উঠলেন সাইফ রহমান।মুখে হাসি ফুঁটে উঠলো রোয়েনের। তবে ওর নজর রায়না রহমানের দিকে।ডাইনিং টেবিলের দিকে এগোচ্ছিলো ওরা।রুহী এসে লুকিয়ে রোয়েনের আঙ্গুলের ভাজে নিজের আঙ্গুল গুলো ঢুকিয়ে দিলো।কাঁদলেন কেন?রোয়েনের কানে ফিসফিসিয়ে প্রশ্ন করলো রুহী।বললামই তো দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রুহী কিছুটা রেগে রোয়েনের হাত টেনে একটা পিলারের পিছনে নিয়ে এলো।কি হলো কি?রাগী গলায় ফিসফিসিয়ে বলল রোয়েন।রোয়েনের গলা দুুহাতে জড়িয়ে ধরলো রুহী।রোয়েনের গালের সাথে গাল মিলালো রুহী।খুব রোমান্টিক হচ্ছো?ঠোঁটে বাঁকা হাসি এনে বলল রোয়েন।হুম রোয়েনের গালে ঠোঁট বুলাতে বুলাতে বলল রুহী।রোয়েন দুহাতে রুহীর মুখ সামনে আনলো।আমার রোম্যান্স শুরু হয়ে গেলে ছুটতেই পারবেনা।সো ডোন্ট বি ভোরি রোমান্টিক।রুহী রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আছে।রোয়েন বাঁকা হাসি দিয়ে রুহীর সামনে থেকে সরে গেলো।হাহ আমার রোমান্টিক দুষ্টুমি গুলো আপনাকে ছাড়লে তো।মনে মনে কথাটা বলে ডাইনিং রুমের দিকে পা বাঁড়ালো রুহী।সবাই খেতে বসলো।রোয়েনের পাশের সিটটা খালিই ছিলো।রুহী বসতে যাবে ঠিক তখনই রেহান বসে পড়লো।রুহী রাগী চোখে রেহানকে দেখতে দেখতে রুপন্তীর পাশে বসলো।
রুহী পা এগিয়ে দিয়ে কারোর পায়ে পা রাখলো।রুহীর পা স্লাইড করছে সেই পায়ে।রেহান হঠাৎ কেঁশে রুপন্তীর দিকে রাগী চোখে তাকালো।রোয়েন মন দিয়ে খাচ্ছে।রুহী বুঝতে পেরে পা সরিয়ে নিলো।রুপন্তী রেহানের দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাঁটলো।রোয়েন গ্লাসের পানি টুকু খেয়ে সামনে রাখলো।রুহী সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে গ্লাস টা নিয়ে রোয়েন যে দিক দিয়ে চুমুক দিয়েছিলো।সেদিকে ঠোঁট লাগিয়ে দিলো।রোয়েন আড় চোখে রুহীর দিকে তাকালো।মেয়েটার মাথায় কি চলছে বুঝতে পারছেনা রোয়েন।রুহীর কাজে নিজেরই কিছুটা লজ্জা লাগছে তবে ভালো লাগা ও কাজ করছে।সেজন্যই এতেটা ভালোবাসে ওর মায়াবতীকে।বড্ড বেশি ভালবাসে ওর মায়াবতীকে।সবার চোখকে উপেক্ষা করে রুহীর দিকে তাকিয়ে চোখ মারলো রোয়েন।রুহীর গলায় ভাত আটকে গেলো।রোয়েন বাঁকা হেসে উঠে পড়লো খাবার সেড়ে।রোয়েন যতক্ষন আজিজ রায়হানের বাসায় ছিলো ততক্ষন রুহী ওর আশেপাশে থেকে রোমান্টিক দুষ্টুমি গুলো করে গেছে সবার চোখ উপেক্ষা করে।রোয়েন ও মিটমিটিয়ে হেসে গেছে।বিকেল নাগাদ বেরিয়ে গেলো রোয়েন।যাওয়ার সময় রুহীর ছলছল চোখ জোড়া রোয়েনের চোখ এড়ালো না।রোয়েন যাওয়ার সময় রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে মাথা নেড়ে কাঁদতে বারন করলো।
রুহী মাথা নেড়ে রুমে চলে গেলো।ঘরে না ফিরে নিজের কাজে চলে গেলো রোয়েন।সেখানে রায়না বেগমের ইনফরমেশন বের করতে বলল সবাইকে।সব কাজ সেড়ে ঘরে ফিরে এলো রোয়েন।ঘরে ঢুকতেই রোয়েন ওর ডানপাশের রুমটির দিকে তাকালো।রুমটি সবসময় তালাবদ্ধ থাকে।রুমটির তালা খুলে সে রুমটিতে ঢুকে পড়লো রোয়েন।বেশকিছুক্ষন রুমে কাঁটিয়ে রাতে বেরিয়ে এলো রোয়েন।রুমে এসে ফোন চেক করে দেখলো ভাইবারে রুহীর ভিডিও কল আর মেসেজ এসে আছে।রোয়েন ফোনটা টেবিলের ওপর রেখে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
রাত ১২টা।!ফিসফিসিয়ে গভীর প্রেম চলছে দুটি লাভ বার্ডসের।দুজনে দুজনকে মন ভরে দেখছে আর মাঝে মাঝে দুএকটা কথা বলছে।মানে কথা কম দেখা বেশি হচ্ছে।কিছু বলেননা কেন?রুহী বলে উঠলো।দেখিনা একটু চাঁদটাকে?নেশাভরা কন্ঠে বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী মুচকি হেসে সায় দিলো।হঠাৎই রুপন্তী রুমে ঢুকলো চিৎকার করতে করতে।পিছু পিছু রেহান এসে অট্টহাসিতে ফেঁটে পড়লো।ভাইয়া আর যদি এমন করেছো?চিৎকার করে বলল রুপন্তী।কি করবি হুম?হাসতে হাসতে প্রশ্ন করলো রেহান।রুপন্তীর চুল গুলো আউলিয়ে গেছে।রুহী কি হয়েছে?কে চিৎকার করছে এমন?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।আর বলবেননা রেহান আর রুপন্তী সারাদিন ঝগড়া করে।রেহানের কাজ হলো রুপন্তীকে খোঁচানো আর রুপন্তী শুধু রেগে যায়।রুহী ক্যামেরা ঘুরিয়ে রুপন্তী আর রেহানকে দেখালো রোয়েনকে।রোয়েন মুচকি হাসছে।পাগলদুটোকে একসাথে ভালোই লাগে।ভাবছে রোয়েন।
চলবে