Childhood marriage

Childhood marriage ! Part- 21

#লেখিকা-সানজিদা সেতু
#পর্ব-২১
ছোঁয়া : সেই ছোটবেলা থেক মা আমাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন,উনিতো আমাকে আমার থেকেও বেশি ভাল করে চিনেন।তাহলে উনি কিভাবে আমাকে এতটা খারাপ ভাবতে পারলেন!
শুনেছিলাম শাশুড়ি কখনও মা হতে পারে না,আজ মনে হচ্ছে কথাটা পুরোপুরি না হলেও কিছুটা হলেও সত্যি…
বাবা : মেয়েটাকে এভাবে দেখে খুব খারাপ লাগছে,ওর কাছে গেলাম তারপর ওর মাথায় হাত বুলাতে লাগলাম।মা রে মন খারাপ করিস না…তোর মাকে তো চিনিস,ছেলের চিন্তায় চিন্তায় মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে।কি বলছে না বলছে হয়তো নিজেও বুঝতে পারছে না…
ছোঁয়া : আমি ঠিক আছি বাবা,তুমি বরং মাকে সামলাও
বাবা : আচ্ছা মা তুই বরং সায়নকে…
ছোঁয়া : তুমি চিন্তা কর না বাবা,আমি উনার খেয়াল রাখব…
সায়ন : ছোঁয়া…
ছোঁয়া : আমার কাঁধে ভর দিয়ে একটু উঠার চেষ্টা করেন…
সায়ন : হুম

ছোঁয়া : উনাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিলাম
সায়ন : ছোঁয়া মার হয়ে আমি তোমাকে সরি বলছি
ছোঁয়া : দেখি হাতটা সরানতো,কাটা জায়গাটা ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে এখনও রক্ত পড়ছে
সায়ন : তুমি আমাকে এভয়েড করছো কেন?
ছোঁয়া : কি হল হাত সরাচ্ছেন না কেন?
সায়ন : আমার কথাগুলোর ঠিকঠাক উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত আমি তোমার কোন কথা শুনব না
ছোঁয়া : শুধু শুধু কেন জেদ করছেন?
সায়ন : জেদ আমি করছি নাকি তুমি?প্লিজ একটু নরমাল হও…
ছোঁয়া : দেখুন আর নাটক করতে হবে না,আমাকে আমার কাজ করতে দিন প্লিজ…
সায়ন : নাটক!আমি নাটক করছি?
ছোঁয়া : নাটক নয়তো কি?আজ আপনার জন্য শুধুমাত্র আপনার জন্য আমাকে মার থেকে এত কথা শোনা লাগল..
সায়ন : আমার জন্য?
ছোঁয়া : হ্যাঁ আপনার জন্য।কি দরকার ছিল একা একা বিছানা থেকে নামার?একবার আমাকে ডাকলে কি এমন ক্ষতি হয়ে যেত?
সায়ন : ওহ্ এখন সব দোষ আমার?আমি তোমাকে কতবার ডেকেছি তুমি জানো?শেষে যখন তোমার কোন সাড়া-শব্দ পেলাম না তখন…
ছোঁয়া : তখন একা একাই বাহাদুরি দেখাতে লাগলেন তাইতো?
সায়ন : তো কি করব?এই মেয়ে তোমাকে না বলেছিলাম,আমাকে একা রেখে কোথাও যাবে না।আমার পাশে বসে থাকতে বলছিলাম না?তাহলে কেন গিয়েছিলে বল…
ছোঁয়া : তো কি করব?আপনিতো ঘুমিয়ে পড়লেন তাহলে আমি বসে থেকে কি করব?আমার কি আর কোন কাজ নাই?
সায়ন : না নাই,মা কি বলল শোননি?আগে আমার দেখাশোনা করবা তারপর অন্যকিছু…
ছোঁয়া : দেখুন এত ভাল মানুষী দেখানোর কোন দরকার নেই,আর মা কি বলেছে সবই আমি শুনেছি আর মনেও আছে
সায়ন : আরে মা তো ওসব রাগের মাথায় বলেছে,তুমি ওসব নিয়ে কোন চিন্তা কর না।একটু পরেই সব ভুলে যাবে দেখে নিও…
ছোঁয়া : উনি হয়তো ভুলে যাবেন কিন্তু আমি?আমিতো চাইলেও ভুলতে পারব না যে আপনার জন্য আজকে আমাকে…সে যাই হোক একটা কথা কান খুলে শুনে রাখুন…
সায়ন : কি?
ছোঁয়া : আজকের পর থেকে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কোন মাতব্বরি করতে পারবেন না।আমি যা বলব তাই করতে হবে,কোন রকম তাল-বাহানা কিন্তু আমি সহ্য করব না…
সায়ন : তুমি যা বলবে তাই করতে হবে!এটা কি মগের মুল্লুক নাকি?
ছোঁয়া : তাই মনে করলে তাই,এখন এখানে চুপ করে বসে থাকেন আমি আপনার খাবার নিয়ে আসছি
সায়ন : এই আমি এখন খাব না,তোমাকে কিছু আনতে হবে না
ছোঁয়া : আগে নিয়ে তো আসি তারপর দেখা যাবে

(কিছু্ক্ষণ পর)
ছোঁয়া : এভাবে বসে না থেকে খাওয়া শুরু করেন বলছি
সায়ন : বললামতো খাব না
ছোঁয়া : খাবেন না তাইতো?
সায়ন : হুম
ছোঁয়া : এটাই ফাইনাল ডিসিশন?
সায়ন : হুম
ছোঁয়া : আচ্ছা ঠিক আছে দেখা যাবে
সায়ন : একি তুমি আবার খাবার মাখছো কেন?কে খাবে?
ছোঁয়া : আমি খাব আপনার কোন সমস্যা?
সায়ন : ও..তাহলে ঠিক আছে
ছোঁয়া : না নেই দেখি হা করেনতো
সায়ন : কেন?বললামতো আমি খাব না শুনতে পাওনি?
ছোঁয়া : চুপ একদম চুপ।আর একটা কথা বললে আপনার খবর করে ছাড়ব,এখন চুপচাপ মুখ খোলেন বলছি…
সায়ন : আর কিছু বলার সাহস পাচ্ছি না,খেয়েই নেই…

বাবা : আসমা…আসমা…
মা : কি?
বাবা : আচ্ছা তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?
মা : কেন আমার মাথা খারাপ হতে যাবে কেন?
বাবা : তাহলে একটু আগে যেই কাজটা করলা সেটার মানেটা কি?
মা : কোন কাজটা?
বাবা : কোন কাজটা বুঝতে পারছো না?মেয়েটার সাথে তুমি আজকে যেই ব্যবহারটা করলে সেটা কি ঠিক করেছো?
মা : কেন কি এমন খারাপ কাজ করলাম আমি?ও যখন আমার ছেলেটার ঠিকমত দেখাশোনা করতে পারবেই না তাহলে দ্বায়িত্ব কেন নিতে গেল?
বাবা : ও তোমার ছেলের ঠিকমত যত্ন নিতে পারছে না!হসপিটালে এই কয়টা দিনে ও সায়নের জন্য কি কি করেছে আর কি করেনি একবার ভেবে দেখেছো?
মা :….
বাবা : আচ্ছা আসমা,তুমিতো মেয়েটাকে ছোট থেকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছো।তুমি জানো না ও কেমন?একজন পর মানুষের দুঃখ কষ্টেও ও কেমন ঝাঁপিয়ে পড়ে তা তো তুমিই আমার চেয়ে ভাল জানো তারপরও তুমি এমন কথা ওকে বলতে পারলে?
মা : তাইতো আসলে কি জানো সায়নকেতো আমি খুব একটা কাছে পাইনি,ছেলেটা এতগুলো বছর পর আমার কাছে ফিরে এসেছে আর এসেই এসব…আমি না ওকে আর হারাতে চাইনা আর তাই হয়তো এসব…
বাবা : দেখ আসমা,সায়ন যদি তোমার ছেলে হয় তাহলে ওরও তো স্বামী আর ওর মত মেয়েরা যে স্বামীর জন্য নিজের সর্বস্বও বিলিয়ে দিতে পারে এটা নিশ্চয় তোমাকে বলে দিতে হবে না।সায়নেে কিছু হলে তুমি তোমার ছেলেকে হারাবে আর ও?ও কি হারাবে ভেবেছো?ও তো ওর সবকিছু হারিয়ে ফেলবে…
মা : আসলেইতো আমি আজকে অনেক বড় একটা অপরাধ করে ফেলেছি।তুমি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও…
বাবা : ক্ষমা আমার থেকে না ছোঁয়ার থেকে চাও
মা: আজকে আমি প্রমাণ করে দিয়েছি যে শাশুড়ী কখনও মা হতে পারে না।কি করে পারলাম আমি এমন একটা কাজ করতে?মেয়েটা কত কষ্ট পেয়েছে!ও কি আমাকে ক্ষমা করতে পারবে…
বাবা : না না তুমি এমন করে বলছো কেন?তুমি যে তোমার ভুল বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক বড় ব্যাপার
মা : কিন্তু অামার ওকে এত কড়া কড়া কথা বলা একদম উচিত হয়নি।কি করে পারলাম আমি এসব বলতে?
বাবা : মন খারাপ কর না সায়নের মা,তখন ছেলেটাকে ঐ অবস্থায় দেখে তুমি রাগের মাথায় ওসব বলে ফেলেছো।অমন হয় এটা নিয়ে এত মন খারাপ করে না।ছোঁয়া মাকে তো তুমি চিনো,ওর কাছে গিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে একবার সরি বললেই সব ভুলে তোমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়বে…
মা : আচ্ছা তুমি বসো আমি আসছি
বাবা : এখন আবার কোথায় যাচ্ছো?
মা : কোথায় আবার,আমার মেয়ের কাছে।ওর কাঝে ক্ষমা চাইতে হবে না?
বাবা : আরে আরে শোন তো,এখন না একটু পরে…যাহ চলেই গেল,বুড়ো হয়ে গেল তবুও ছোট বাচ্চাদের মত পাগলামীটা গেল না…
মা : রুমে উঁকি দিতেই দেখলাম সায়ন ঘুমাচ্ছে আর ছোঁয়া ওর পাশে বসে আছে,ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর মাঝে মাঝে ঝিমাচ্ছে।আস্তে আস্তে ওর দিকে এগিয়ে গেলাম তারপর ওর মাথায় হাত রাখলাম
ছোঁয়া : মা তুমি!
মা : এত ঘুম পাচ্ছে তো ঘুমাচ্ছিস না কেন?একটু ঘুমিয়ে নিলেইতো পারিস
ছোঁয়া : না মা আমারতো ঘুম পাচ্ছে না,আমি একদম ঠিক আছি
মা : মার কাছে মিথ্যে বলছিস!দেখ মা আমি জানি তুই আমার উপর অনেক রেগে আছিস,আসলে রাগারই কথা।বিনা দোষে তোকে এতগুলো কথা শুনতে হল!কিন্তু বিশ্বাস কর মা ওসব আমি মন থেকে বলিনি,রাগের মাথায় মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।তুই কিছু মনে করিস না মা,আমি জানি আমার ছেলেটার জন্য তোর থেকে ভাল কোন পাত্রী হতেই পারেনা।আমারই ভুল হয়েছে রে মা ছেলেটার চিন্তায় চিন্তায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমার একটা মেয়েও আছে…আমাকে তুই মাফ করে দিস মা,আমি একজন ভাল মা হতে পারিনি…

ছোঁয়া : ছি!মা এমন করে বল না প্লিজ
মা : আমাকে মাফ করে দিস মা,আমি খুব বড় একটা অপরাধ করে ফেলেছি
ছোঁয়া : না মা তুমি যা করেছো রাগের মাথায় করেছো,বিশ্বাস কর আমি কিছু মনে করিনি
মা : মিথ্যে কথা
ছোঁয়া : না মা এটাই সত্যি বিশ্বাস কর…
মা: তাহলে এখনও আমার থেকে এমন দূরে সরে অাছিস কেন?সেই ছোটবেলা থেকেই দেখছি তোর রাগ ভেঙ্গে গেলে বা মন খারাপ থাকলে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতি তাহলে আজ কেন…
ছোঁয়া : আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না,মার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লাম…
মা : অনেক রাগ করেছিলি আমার উপর তাইনা?
ছোঁয়া : জানো মা,তুমি যখন বললে আমি উনাকে অবহেলা করছি প্রথম শোনার পর না আমার খুব রাগ হচ্ছিল কিন্তু তারপরই মনে হল তুমিতো কখনো মিথ্যে বল না!তাহলে হয়তো আমি সত্যি সত্যি…
মা : না মা তোর কোন ভুল হয়নি,আমারি ভুল হয়েছে।আমি বুঝতেি পারিনি কি বলতে কি বলে ফেলেছি
ছোঁয়া : সত্যি বলছো?
মা : হ্যাঁ রে মা সত্যি।দেখি এবার চোখ মোছ তো,ইশ রে..কেঁদে কেঁদে চোখ মুখের কি অবস্থা করেছিস দেখেছিস?তোর এই পেত্নীর মত মুখ দেখলেতো আমার ছেলেটা আবার কানাডায় পালিয়ে যাবে…
ছোঁয়া : মার কথা শুনে আর না হেসে পারলাম না
মা : এইতো আমার লক্ষ্মী মেয়ে।আচ্ছা শোন এই কদিনতো ঠিকমত ঘুমাসনি,এখন না হয় একটু ঘুমিয়ে নে
ছোঁয়া : না মা উনি যদি আবার উঠে পড়েন…
মা : উঠলে উঠবে,আমিতো আছিই।কালতো চলেই যাব,আজকের মত নাহয় আমিই ওকে দেখছি
ছোঁয়া : কিন্তু মা…
মা : কোন কিন্তু না,চুপচাপ শুয়ে পড়তো নাহলে কিন্তু আমি আবারো তোর মা থেকে শাশুড়ীমা হয়ে যাব
ছোঁয়া : আচ্ছা ঠিক আছে,আমি ঘুমাব তবে একটা শর্তে
মা : কি শর্ত?
ছোঁয়া : আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে,ঠিক ছোটবেলায় যেমন করে ঘুম পাড়াতে সেভাবে…
মা : আচ্ছা আয়…
ছোঁয়া : খুশিতে লাফাতে ইচ্ছে করছে,ঝটপট মার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম
মা : কতদিন পর মেয়েটাকে এভাবে ঘুম পাড়াচ্ছি!ছোটবেলায় ওকে এভাবেই ঘুম পাড়াতাম,নাহলে ওর ঘুমই আসতো না
ছোঁয়া : মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,আমি সত্যিই অনেক লাকি যে এমন একজন শাশুড়ীমা পেয়েছি।খুঁটিনাটি ঝামেলা সব সংসারেই থাকে কিন্তু সংসারের প্রয়োজনেই সবাইকে সবকিছু ভুলে কাছে টেনে নিতে হয়..তবেই না সংসার সুখের হয়….
বাবা : কি ব্যপার এতক্ষণ হয়ে গেল আসমা এখনও আসছে না কেন?যাই দেখে আসি…
ও…তার মানে এই ব্যাপার!আমাকে একা রেখে বউমার সাথে সময় কাটানো হচ্ছে!
মা : আহ্ বেশি কথা বল না তো,মেয়েটা কেবলই ঘুমালো তোমার বকবকানিতে যদি ওর ঘুম ভেঙ্গে যায় তাহলে কিন্তু তোমার খবর আছে
বাবা : আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে,আমি গেলাম তুমি থাকো তোমার ছেলে বউকে নিয়ে
মুখে কপট রাগ দেখালেও আমি কিন্তু মোটেও রাগ করিনি।বরং ওদেরকে এভাবে দেখে অনেক খুশি হয়েছি।যাক অবশেষে আসমা আমার ছোঁয়া মাকে বুঝতে পেরেছে,বুঝতে কেন পারবে না ওি তো ওকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে!কেন যে মাঝে মাঝে এমন অবুঝের মত কাজ করে ফেলে বুঝিনা…

সায়ন : কতক্ষণ পরে ঘুম ভাঙল জানি না তবে ঘুমটা যে বেশ গভীর হয়েছে সেটা ঠিকই বুঝতে পারছি।মাথাটা কেমন হালকা হালকা লাগছে,চোখ মেলে আস্তে আস্তে পাশে ফিরলাম আর খুব সুন্দর একটা দৃশ্য চোখে পড়ল
ছোঁয়া মার কোলে মাথা রেখে ছোট বাচ্চাদের মত ঘুমাচ্ছে আর মা ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে নিজেও হয়তো বুঝতে পারেনি।মা খাটের সাথে হেলান দিয়ে আর ছোঁয়া মায়ের কোলে ঘুমাচ্ছে,কি সুন্দর দৃশ্য!সব বউ-শাশুড়ীর সম্পর্ক যদি এমন হত তাহলে হয়তো ইর বউ শাশুড়ীর যুদ্ধের মত কোন সিনেমা বানাতে হত না…
ফোনটা হাতে তুলে নিলাম,ধরে রাখতে কষ্ট হচ্ছে তাতে কি?এত সুন্দর একটা দৃশ্য ক্যাপচার না করলে হয়?কাঁপা কাঁপা হাতে কয়েকটা ছবি তুললাম তারপর চুপচাপ শুয়ে পড়লাম।জানি এখন আর ঘুম আসবে না কিন্তু আমি উঠে পড়া মানেই ওদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেওয়া আর ওদের এত সুন্দর ঘুমটা ভাঙ্গানোর কোন ইচ্ছেই আমার নেই।কে বলবে ওরা বউ-শাশুড়ী!মনে হচ্ছে অনেকদিন পর মা-মেয়ে দুজন দুজনকে এভাবে কাছে পেয়েছে,ওরা থাক এভাবেই…
To be continued…