Addition

Addition !! Part- 04

অনেক ভেবে মায়া সিদ্ধান্ত নিল। মায়া ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলে দেখলো আমায়রা এবং সালমা বেগম দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেস করছে। মায়া দৌড়ে গিয়ে মাকে জরিয়ে ধরে। নীল পাশেই পকেটে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। মায়া মাকে ছাড়ছে না দেখে মায়ার আম্মু বললেন
-মামোনি কি হয়েছে তুমি ঠিক আছো তো। সোনা
-আম্মু আমি মনে করেছিলাম আমি আর দেখতে পাবোনা তোমাকে।
-সোনা এমন বলছো কেন।
-আম্মু আমি বাসায় যাবো।
-হ্যা মা যাবো তো। কিন্তু যে তোমকে বাচালো তাকে ধন্যবাদ জানাবো না।
মায়া তার আম্মু কথায় কোন কথা বললো না। ( আম্মু যদি জানতে আমার এই অবস্থা কে করেছে 🥴।)
সালমা বেগম নীলের কাছে এগিয়ে গিয়ে বললেন।
– তুমি নীল বাবা
-হ্যা আন্টি আমি নীল। কেমন আছেন আপনারা? আসতে কোনো সমস্যা হয় নিতো।
-না বাবা তুমি জানোনা তুমি আমাকে কি ফিরিয়ে দিলে। আমার কলিজা টাকে তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিলে কি বলে তোমাকে ধন্যবাদ জানাবো জানি না। আমার মেয়ে টাকে আমি এখন নিয়ে যায় তুমি সবসময় ভালো থাকো আসা করি।
-হ্যা আপনার কলিজা আপনি নিয়ে যাচ্ছেন আমার কলিজা ছিঁড়ে।( ফিসফিসিয়ে।)
-কিছু বললে?
-না আন্টি আপনাদের আমার ড্রাইভার পৌছে দিবে প্লিজ এতে না করবেন না।
-আচ্ছা ঠিক আছে 🙂
সালমা বেগম তার মেয়েদের নিয়ে যেতে গেলে নীল মায়াকে ডাক দিলো। মায়া নীলের ডাক শুনে মনে হচ্ছে আত্মাটা এখনি বের হয়ে যাবে।
-মায়া তুমি একটু দাঁড়িয়ে যাও তোমার একটা জিনিস আছে নিয়ে যাও।
-থাক আমার লাগবে না।
– মায়া কি জিনিস নিয়ে এস। (আামায়রা)
আপুর কথা শুনে মায়া কোনো উপায় না পেয়ে নীলের কছে জেতে নীল
-আমি জানতাম তুমি এমন টাই করবে আগে আগে শুধু দেখ কি হয়। (আস্তে মায়ার কানে) ।
এই নাও তোমার ব্যাগ।
(সাদা কাউয়া এখান থেকে বেরতে পারলে আর আামাকে খুঁজে পাবি না তোর বৌ হবো আমি হুহ কানতেছে)
মায়া ব্যাগটা নিয়ে চলে আসে। ওরা নীলের গড়িতে করে বাসায় চলে যায়।
এদিকে নীল ঘরে এসে মায়া মায়া মায়া। জিনিস পত্র ভাংচুর করতে করতে তোমাকে আমি ভালো করে বলেছি মানলা না এবার তুমি আমার হিংস্রতা দেখবে আমি কতটা খারাপ সেটা বুঝবে তোমাকে তো আমার হতেই হবে at any cost Course i’m #addicted to you
তোমাকে একবার আমার করে পাই তার পর অসল শাস্তি শুরু৷। 🤬🤬 আমাকে চিট করা বলেই পশে থাকা আয়নাটা হাত দিয়ে ভেঙে দিতে নীলের হাত কেটে রক্ত পরতে লাগলো। খুব বেশি দিন নয় তুমি আমাকে ভুলতে শুরু করলে আমি তোমাকে আাবার দেখা দিবো।
নীল কাটা হত নিয়ে বাইরে চলে যায় গড়ি নিয়ে অচেনা পথের উদ্দেশ্যে নীলের রাগ উঠলেই এমন করে। নীলের রাগ উঠলে ভয়ে ওর কাছে কোন মেড আসতে পারে না।
এদিকে মায়া বাসায় এসে মহা খুশি নিজের রুমে এসে তাধিং তাধিং ড্যান্স দিচ্ছে। 💃💃
-মায়া এতো খুশি কেন। (আমায়রা)
-ও আপু কখন এলে। এমনি ভালো লাগলো এই আরকি।
-আচ্ছা মায়া লোক টাকে তুই চিনিস? ।
-নাতো আপু কেন?
-না এমনি। ( আমায়রার নীলকে সন্দেহ হয় কারন মায়া এক্সিডেন্ট করেছে এতে ওকে হসপিটালের না নিয়ে বাসায় নিলো কেন এটা ভেবে। কিন্তু মায়ার কথায় কিছু বললো না)
মায়া রাতে খাবার খেয়ে গুমিয়ে পরে সাকালে উঠে কলেজে যায়। কলেজে যেতেই রিচি
-কিরে বান্ধবী কেমন আছিস । আমি কতে ভয় পেয়ে গেছিলাম সেই দিন। মায়াকে জরিয়ে ধরে।
-হুম এখন টিক আছি।
-সেদিন কি হয়েছিলো?
মায়া একে একে সব বললো রিচিকে রিচির কাছে লুকানোর কিছু নেই৷
-কি বলিস এসব। মায়া আমি ওনাকে চিনি মেগাজিনে ওনাকে দেকেছিলাম বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান বিসনেস ম্যান হিসাবে।
-বাদ দে তো আমি আর ওনাকে নিয়ে ভাবতে চাি না জাস্ট ভুলতে চাই।
-হুম কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি।
-হুম বল।
– আমার মনে হয়না উনি তোকে এতো সহজে ছেড়ে দিবে সুধু একটা ছেলের সাথে কথা বললে জে বেক্তি এমন হতে পারে সে কিনা করতে পারে।
-রিচি আমি ভুলতে চাি প্লিজ।
-ওকে চল ক্লাসে যায়।
২ মাস পর,
এভাবে কাটতে থাকে দিন মায়া এ কয় দিনে নীলকে ভুলেই গেছে।
রাত ১১ টা মায়া পরছে এর মধ্যে মায়ার কানে বেলকনি থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। মায়া বেলকনিতে গিয়ে দেখে আমায়রা কাদছে।
-আপু কি হইছে কাদছো কেন আপু। (আমায়রাকে আকরে ধরে)
-মায়া তোর ভাইয়া কিভাবে এমনটা করলো মায়া। আমি কি করেছি তার। ও আমাকে বিশ্বাস করছেনা কেন মায়া আমি মারা জাবো মায়া ওকে ছাড়া। (কাদতে কাদতে)
-আপু শান্ত হ। কি হয়েছে খুলে বলো আমাকে।
-তোর অনিক ভাইয়ার সাথে আজ দেখা করার কথা ছিলো আমি টাইম মোতো সেই জায়গায় পৌঁছে যায়। কিন্তু আমি যেয়ে দেখি ও আন্য একটা মেয়ের সঙ্গে বাজে ভাবে মিশে আছে আমি প্রথম বিশ্বাস করি নি। ওর কছে জাবার মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম। নিজেকে সামলে ওর কছে যেয়ে দেখি ও আমাকে বলছে আমায়রা এটা আামার হবু বৌ। এটা সোনার পর ওকে বলালম তুমি মিথ্যা বলছো ও বললো না ও সত্যি বলছে। আমি ওখানে না দাড়িয়ে বাসায় চলে আসি এখন ভাবলাম তের ভাইয়াকে ফোন দি ও আমাকে সব জাগয়া থেকে ব্লক করেছে শেষ ম্যাছেজ দিছে ওকে কোন রকম ডিসটার্ব না করি জেন আমি।
আপু বলে কেঁদে যাচ্ছে আপুকে সামলে মাথায় হত বুলিয়ে ঘুম পারিয়ে দিলাম। মাতা কাজ করা বন্ধ করে দিছে। এমন সময় মায়ের ডাক পরলো। মায়ের রুমে গিয়ে দেখি মাও কাঁদছে ।
-মা কি হইছে। ।
-মায়া তোর বাবাকে চুরির দায়ে কোম্পানি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিছে এটা হলে তো হতো আমি জানি তোর বাবা চুরি করেন নি কিন্তু তাও। তোর বাবা বাংলাদেশে আসতে ওনাকে পুলিশ ধরে এবং কাল নাকি কোটে চালান দিবে। তোর উকিল কাকুকে বললাম তিনি কিছু করতে পারবেন না।
মায়ার মাথা কাজ করছে না এমন সময় মায়ার ফোনে করোর পোন আসে মায়া ফোনটা ধরতে নীল ফোন করেছে।
কি জান পাখি দেখলে তো কি হলো এবার তুমি বলো কি করবা তেমার বাবকে মাকে বেনকে এখন সামলাতে পারবা তো।
-কি চান আপনি?
-এইতো আমার জানটার বুদ্ধি এসেছে। কালকে সকালে তোমার বাসায় আসবো আমি যা যা বলবো তার শুধু হ্যা উত্তর দিবা।
বলেই ফোনটা কেটে দিলে মায়া পাথর হয়ে গেছে। রাতে মায়া আর ঘুমোয় নি মাকে আর আপুকে দেখে কাটিয়ে দিয়েছে।
কিছু ভাবাটা যেন বোকামি।
রাত গরিয়ে দিন হলো।
মায়া……….
চলবে, ।