সবসময় কি এমনই হয়

সবসময় কি এমনই হয় !! Part- 05

দিনগুলো পেরোতে লাগলো। ফারিয়া ইস্কুলে যায় না 17 দিন হয়ে গেছে। ঐদিন ফারহানকে না করার পর থেকেই আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। শুধুমাত্র বাবার কথায় ও ওই কাজটি করেছিল। ফারিয়ার বাবা ফারহানকে তাদের বাসার সামনে থেকে রাত্রেবেলা বাইক নিয়ে যেতে দেখে ফেলেছিল। তখন সাথে সাথে কিছু না বললেও পরে ফারিয়াকে বুঝিয়ে বলেছে। বাবার কথাতেই ফারিয়ার বোধোদয় হয়েছে। আর বাবার কথাতেই সে ফারহানকে ভালো হওয়ার জন্য বলেছে। ফারিয়া জানে এটা তার বাবার কোনো চাল না ফারহানকে তার কাছ থেকে সরানোর জন্য। বরং, এটা ফারহানকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ই একটা পরিকল্পনা। ফারিয়াকে কখনোই তার বাবা অখুশি রাখতে পারেনা। তবে দিন দিন ফারিয়া কেমন যেন মন মরা হয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারেনা। রাতে ঘুম আসে না। বেশিরভাগ সময় ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকে। ফারহান আসবেনা যেনেও চোখদুটো যেন তাকেই খুঁজে।
সেদিন দুপুরবেলাতেই আহমদ সাহেব অর্থাৎ ফারিয়ার আব্বু দুপুরে খাওয়ার সময় বলে উঠলেন,
_কিরে তোর এই অবস্থা কেন? কয়েকটা দিনই অপেক্ষা করতে পারলি না! এই তোর ভালোবাসা!!
ফারিয়া নিরসভাবে বলে উঠলো,
_জি।
ফারিয়ার আব্বু হেসে উঠে আবার বললেন,
_দেখিস না কত মানুষ ভালোবাসা পাওয়ার জন্য মাস বছর যুগ অপেক্ষা করে কাটিয়ে দেয়। আর তুই………..!
_………………………।
_কিরে কথা বলিস না কেন??
_আব্বু…….প্লিজ!
ফারিয়ার কথা তুচ্ছ করে আবারো বলতে লাগলেন,
_রাশেদ ভাই বলল তোর সাথে তার ছেলের বিয়ে নিয়ে নাকি কথা বলবে। তুই বললে তাকে বাসায় আসতে বলি!
_বিয়ে!! কিসের দিয়ে আব্বু? তুমি না কথা দিয়েছিলে………..
_তাই নাকি!! ভালো তো! তুই নিজের শ্বশুরের নাম ও জানিস না!!
_কি?? ফারহান ভাই এর বাবা তোমার রাশেদ ভাই?(আনমনে)
_হু!! তাদের কে কি আসতে বলব? নাকি না করে দিব! (মুচকি হেসে)
ফারিয়া কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইল। তারপর ব্যস্ত হয়ে বলে উঠলো,
_বল! বল আব্বু!! তাদেরকে কালই আসতে বল।
আহমদ সাহেব এবার জোরে হেসে দিলেন। ফারিয়া প্রচুর লজ্জা পেল। সে দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেল।

🖤

চেহারায় কারো গরম নিঃশ্বাসে ফারিয়ার ঘুম ভেঙে গেল। চোখ খুলে চিৎকার করতে নিলেই ফারহান ওর মুখ চেপে ধরল। তারপর “আমি ডাকাত নই” বলে ছেড়ে দিল। ফারিয়া ধুপ করে উঠে বসলো। তারপর ভালো করে তাকাল ফারহানের দিকে……………

(চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *