শূন্যতায় অস্তিত্ব

শূন্যতায় অস্তিত্ব !! Part- 05

বটতলার প্রোগ্রাম শেষে সবাই যার যার মতো করে চলে গেলো। সা’দ আর নুজহাত একসাথে বেড়িয়ে গেলো, আর শুভা, রুহি,দিয়া হোস্টেলে যাওয়ার জন্য গাড়ীর অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়ালো।
আর তিয়াস আমার হাতে ধরে রাখছে বাইকে করে আমার সাথে ঘুরতে যাবে।
আমি অপ্রস্তুত হলেও তিয়াসের কোনো কথায় এখনো না বলিনি। তাই এখানেও মানা করার সাহস হয়নি।
বাইকে বসে আমি একহাতে তিয়াসকে জড়িয়ে বসলাম। সেটা ছিলো প্রথমবার তিয়াসের খুব কাছাকাছি হওয়া, যদিও প্রথমদিকে ওকে ধরতে আমার ভীষণ লজ্জা লাগছিলো কিন্তু পরক্ষণে ওর কথাতেই আমি ওর সাথে লেপ্টে বসলাম।
কিছুদিন আগে রুমমেটদের সাথে পার্লারে গিয়ে চুলে একটা কাটিং দিয়েছিলাম, তবে তিয়াসের জন্য চুল ছোট করতে পারিনি। এই মূহুর্তে বাতাসে সামনের সেই কাটা চুলগুলো আমাকে পেরিয়ে তিয়াসকেও ডিস্টার্ব করছিলো, তবে আমি আয়নায় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম তিয়াস মুচকি হাসিতে বিভোর! মানে তার কোনো বিরক্তি লাগছেনা।
ছেলেদের খুব কাছাকাছি গেলে একটা অন্য রকম স্মিল পাওয়া যায়, সেটা ভালোলাগায় কোনো মেয়েকে পাগল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট , তবে যে আগে থেকেই পাগল হয়ে আছে তাকে আরো কতটা পাগল করতে জানে সেটা আমি এই মূহুর্তে বুঝতে পারছিলাম। তিয়াস আমার কাছে নেশার চেয়ে বেশি কিছু, তার স্পর্শে আমি মাতাল হইনা শুধু, আমার পুরো জগৎটাই পাল্টে যায়।
সেদিন আমরা অনেক্ষণ ঘুরাঘুরি করেছিলাম। আমি ওর কাছাকাছি হচ্ছিলাম ততটাই আসক্তি বাড়ছিলো। আর তার প্রতি আমার ভালোবাসা তীব্র হচ্ছিলো।
সেদিনটা আমার জন্য ছিলো জীবনের সেরা দিনগুলোর একটা! কিন্তু ভেতরের অনূভুতিগুলো প্রকাশ করার দুঃসাহসিকতা তখনও হয়ে উঠেনি।

এর মধ্যে চলে গেলো কয়েকমাস।এখনো কেউ কাউকে কিছুই বলিনি। কলেজের বিভিন্ন পরিক্ষার মধ্যে দেখা যাচ্ছে আমার রেজাল্টের কোনো পাত্তাই নেই। যে আমি প্রথম স্থান ছাড়া কিছু মানতে পার‍তাম না, সে আমি আজকাল এসব কোনো পরোয়া করছিনা। কিন্তু সামনের মাসে আমাদের ইয়ার ফাইনাল পরিক্ষা। আমি নিজেকে ইদানীং পড়ালেখায় সিরিয়াস করার চেষ্টা করছি। তিয়াসের সাথে সন্ধ্যার পরে কথা না বলার প্রচুর চেষ্টা করছি কিন্তু পারছিনা। তারপর আমি একদিন মুখ বুজে বলেই ফেললাম,
___তিয়াস শুনো, সামনে তো পরিক্ষা। আমাকে ভালো রেজাল্ট করতে হবে। একমাস ভালো করে পড়লে ভালো কিছু করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমি ইয়ার ফাইনালে খারাপ রেজাল্ট মানতে পারবোনা। আমি দুইমাস কম কথা বলতে চাই। আইডি ডিএক্টিভ করে দিবো। তুমিও মনোযোগ দিয়ে পড়ো প্লিজ।
জবাবে তিয়াস আমার কথাটাকে কোনো পাত্তা না দিয়ে রিপ্লে দিলো,
___ কাল আমার সাথে মার্কেটে যেতে পারবে?
আমি কিছুক্ষণ ভেবে বললাম,
___আচ্ছা যাবো।
সকালের দিকে বের হলাম। ২০ মিনিট পরে আমরা পৌঁছালাম। তবে আমার মনে হয়েছে দুই মিনিটও হয়নি। সত্যিই তিয়াসের সাথে কাটানো সময়গুলো ভীষণ দ্রুত চলে যায়।
তারপর সে আমাকে নিয়ে একটা শাড়ীর দোকানে নিয়ে গেলো। আমাকে পছন্দ করে দিতে বললো।
প্রথমত আমি ভেবেছিলাম তার মায়ের জন্য হবে হয়তো। তাই আমি ভীষণ হালকা একটা কালারের শাড়ী পছন্দ করে দিলাম। সে আমার কথামতো এইটাই নিলো।
তারপর কসমেটিকসের দোকানে গিয়ে কানের দুল থেকে শুরু করে, গলার,কোমরের,মাথার খোঁপার,হাতের চুড়ি,লিপস্টিক, এমনকি জুতার দোকান থেকে জুতাও মিলিয়ে নিলো।

তারপর আমাকে বললো,
___চলো তোমাকে পৌঁছে দেই।
আমি মাথা নাড়লাম। তারপর সে আমাদের হোস্টেলের সামনে এসে সবগুলো ব্যাগ হাতে ধরিয়ে বললো,
___এই মাসের শেষে আমার জন্মদিন জানোই তো। সা’দের মতো সারপ্রাইজ পেতে চাইনা। তুমি এইগুলা পরে সেজে আমার সামনে আসবে,তাহলে আমি সবচেয়ে বেশি সারপ্রাইজড হবো। বাই বাই!
বলেই তিয়াস বাইক স্টার্ট করে চোখের পলকে চলে গেলো। আমি ব্যাগগুলো হাতে নিয়ে ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তারপর রুমে আসলাম। এসে দেখি নুজহাত রুমে নেই।
নুজহাতের কিছু ব্যপার আমার কাছে ইদানীং ভীষণ অন্য রকম লাগে। সে কেমন জানি আচরণ করে।
এই কয়েক মাসে নুজহাতের সাথে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে নুজহাত একদম বদলে গেছে। সা’দের সাথে দেখা হওয়ার কথাও বেশি শুনিনা। এমনকি কথা বলতেও দেখিনা। নুজহাতের মধ্যে আগের মতো আর প্রাণচাঞ্চল্য নেই।
আমি এতোকিছু ভাবলাম না। ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দিলাম। রাত ৮ টায় উঠে খাইলাম। এরপর তিয়াসের সাথেও অনেক্ষণ কথা বলে অনেক রাত করে আবার ঘুমালাম। আইডি ডিএক্টিভ করার চিন্তাও বাদ দিয়ে দিলাম। আমার পড়ালেখা করার সিদ্ধান্ত আবারও শূন্য মাত্রায়।
কয়েকটাদিন এভাবেই আবার পড়ালেখাবিহীন চলে গেলো। তবে ভালোই কাটলো৷
৯ দিন পরে, তিয়াসের জন্মদিনের আগেরদিন হঠাৎ করেই নুজহাত উধাও হয়ে গেলো। সকাল থেকে সন্ধ্যা ওর কোনো খোঁজ নেই।
নুজহাতের ফোন বন্ধ আমরা ওর বাসায় ফোন করেও খোঁজ নিলাম সে গেছে কিনা, কিন্তু তারা বললো নুজহাত আসেনি।
সা’দের নাম্বারে ট্রাই করে দেখলাম শুধু ব্যস্ত বলে। শুধু আমার না,রুমের সবাই ট্রাই করছে।
পাশাপাশি নুজহাতের একটা দুঃসম্পর্কিত আন্টির বাসা আছে, সেখানেও খোঁজ করে দেখলাম নুজহাত নেই।
তারপর আমি তিয়াসকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম সা’দ কোথায়? তিয়াস বললো সা’দ তার গ্রামের বাড়িতে গেছে সপ্তাহখানেক হলো এবং তিয়াস নিজেই ওকে বাসস্ট্যান্ডে দিয়ে আসছিলো।
আমি ভীষণভাবে চমকালাম। কোথায় যেতে পারে নুজহাত? তাছাড়া সে আমাদের কাছে কিছু শেয়ারও করছেনা। শুধু নিজের আচরণটা উদ্ভট করে ফেলেছে। নুজহাতের নিখোঁজ হওয়ার মধ্যেও আমার ততটা মাথা ব্যথা ছিলো না।
আমার সারাক্ষণ কল্পনা ছিলো আগামীকাল কীভাবে সেজেগুজে তিয়াসের সামনে যাবো। কারণ কাল তার জন্মদিন!
ঠিক এশারের আজানের সময় হঠাৎ গেইটের সামনে দাড়োয়ান চাচাকে জোরে জোরে কথা বলতে শুনলাম। আমরা দৌঁড়ে বারান্দায় গিয়ে দেখলাম নুজহাত কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদতেছে। হোস্টেলে সন্ধ্যার পরে আসা নিষিদ্ধ। চাচা নুজহাতকে ধমকিয়ে বললো,
___চলো স্যারের কাছে। তোমার গার্ডিয়ানকে ফোন করে জানানো হবে।
আমরা সবাই ভয় পেয়ে গেলাম। তখনই রুহি বললো,
___গার্ডিয়ানকে ফোন দিলে দিবে। চিন্তা করিস না, নুজহাতের গার্ডিয়ান আমি।
আমি অবাক হয়ে তাকালাম। আমার তাকানোতে সবাই হেসে বলল,
___লিয়া তোর ক্ষেত্রে হলে নির্ঘাত বিপদে পড়ে যেতি। কিন্তু আমরা আমাদের মধ্যকার নাম্বার একেকজনের গার্ডিয়ান নাম্বার বলে ফরম পূরণ করেছিলাম। কিচ্ছু হবে না, আয় ফোন ধরে একটা এক্টিং করি।
রুহি ফোন হাতে নিয়ে পা ভাজ করে বসলো। দুই মিনিটের মাথায় সত্যি ফোন আসলো। রুহি গলা ঝেড়ে বললো,
___কেডা বলতাছেন?
নিচতলা থেকে স্যার বলছে,
___ আপনি কি নুজহাতের আম্মু বলছেন? আপনার মেয়ে হোস্টেলে এশারের সময় প্রবেশ করেছে, আপনি কি জানেন এই ব্যপারে।
রুহি গলায় ভাঙা ভাব এনে বললো,
___স্যার আমার মাইয়া তাইলে পৌঁছাইছে? আমি কতো করে কইছি কালকে যাইস, কিন্তু হে কইলো সামনে পরিক্ষা, একটা রাতেরও নাকি অনেক দাম। ভালো করে পড়তে হইবো। তাইতো সকালে আইসা বিকালের পরে রওয়ানা দিছে, এতো দূরের পথ স্যার, আমার মাইয়া ঠিকমতো গেছে তো?
বলেই রুহি কান্নার ভান করলো।

স্যার কিছুটা নরম স্বরে বললো,
___ হ্যাঁ ভালোভাবেই আসছে। আচ্ছা আচ্ছা তাহলে রাখি।
বলে ফোন কেটে দিলো। আমরা সবাই হাতের উপর হাত রেখে জোরে হেসে উঠলাম। তারপর গেলাম নুজহাতকে এগিয়ে আনতে। নুজহাত সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারছিলোনা। তাকে ভীষণ ক্লান্ত দেখাচ্ছে। চোখ দুটো ফোলা আর আগুনের ন্যায় লাল। অনেক কান্না করেছে বুঝা যাচ্ছে।
রুমে আসার পরেই সবাই একসাথে জিজ্ঞাসা করতে থাকলাম, কি হয়েছে।
কিন্তু আমার জিজ্ঞাসাতে তার কান্নার বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা সময় আমরা নিজেদের থামালাম। বেচারিকে সময় দেওয়া দরকার।
নুজহাত গোসল করতে গেলো। আমি তিয়াসের সাথে আজকে স্যারের সাথে হয়ে যাওয়া আমাদের কান্ডকারখানার কথা বললাম। তারপর সেও তার জীবনে এই ধরনের অসংখ্য ফাঁকিবাজির কথা বললো। এরপর আমি নুজহাতের হঠাৎ বদলে যাওয়া,কান্নাকাটির বিষয়গুলো বললাম, এটা শুনতেই তিয়াস কেমন যেন কথার মোড় পাল্টাতে লাগলো। দেরিতে জবাব, এই সেই বলতে লাগলো। আমি কিছুই বুঝলাম না।
এদিকে নুজহাত প্রায় এক ঘন্টা পরে গোসল করে আসলো। বুঝতে পারছিলাম সেখানেও কান্না করে আসছে। আমি ফোন হাতেই তিয়াসের জবারের অপেক্ষা করতে করতে নুজহাতের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে আস্তে আস্তে বললাম,
___ সা’দের সাথে তোর কিছু হয়েছে? এভাবে কাঁদতেছিস কেন?
নুজহাত প্রচন্ডবেগে কেঁদে উঠে বললো,
___ লিয়া আমি প্রেগন্যান্ট।
কথাটা শোনার সাথে সাথে আমার হাত থেকে ফোনটা নিচে পড়ে গেলো। দিয়া,শোভা,রুহি লাফিয়ে উঠে নুজহাতকে ঘিরে দাঁড়ালো। আমাদের চোখেমুখে অবিশ্বাস্য চাহুনি। বুঝতে পারছি না এই মূহুর্তে ঘৃণাটা জরুরী নাকি কথা বলে সবকিছু জানতে চাওয়া,
পরক্ষণেই নুজহাত কাঁদতে কাঁদতে বললো,
___আমরা বিয়ে করে ফেলেছি। গত দুইমাস আগে আমার সার্টিফিকেটে ১৮ বছর পূর্ণ হতেই আমরা কোর্টে বিয়ে করেছি।
এইটা শুনে আমরা সবাই একটা আশ্বস্তির দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বসলাম। তবে আমি বাদে সবাই কটু দৃষ্টিতে বললো,
___ তাই আমাদেরকেও এটা জানালি না?
কিন্তু আমার মনে হচ্ছিলো তারা এটা গোপনীয়তার জন্য জানায়নি। তবে এখন নিশ্চয়ই কোনো গোলমাল পেকেছে। আনি নুজহাতের মাথায় হাত রেখে বললাম,
___ বিয়ে করেছিস তাহলে কাঁদছিস কেন? ওর সাথে কথা বল। তারপর তোর পরিবারকে ওর কথা বলে তারাতাড়ি পরিবারকেও মানিয়ে নে। আর এই বয়সে তো অসংখ্য মেয়েরা বাচ্চা নিচ্ছে। তোরা ভুল কিছু তো করিস নি। বিয়ে করেছিস না?তাহলে এতো ভেঙে পড়ছিস কেন? পরিবার না মানলে তোরা কোথাও পালিয়ে গিয়ে সংসার কর,দেখবি এক দুইবছর পরে সব ঠিক হয়ে গেছে।
আমার কথা শুনে নুজহাত আমাকে হুড়মুড় করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে বললো,
___সা’দ আমার সাথে প্রতারণা করেছে। সে বাচ্চার দায়ভার নিতে অস্বীকার করেছে লিয়া। আমার থেকে পালানোর জন্য সে নিজের গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। সে স্পষ্ট বলে দিয়েছে এই বয়সে সে এত দায়ভার নিতে পারবেনা।
আমি ওর মাথা তুলে রেগে বললাম,

___এই বয়সে দায়ভার নিতে না পারলে আকাম করলো কেন? ওর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকবি, ওরে জেলের ভাত খাওয়াবি। কতো ভালো ভাবছিলাম সা’দ কে, ছি! সে এমন!
নুজহাত ফোঁপাতে ফোপাঁতে বললো,
___কেউ ভালো না। কেউ কথা রাখেনা। এই জগতে সবাই প্রতারক। আর লিয়া তুই কি বলছিলি মামলা করবো? কি হবে বলতো? আমার কি হবে? আমি না হয় বাচ্চা নষ্ট করলাম কিন্তু আমার পরিবার আমাকে কি ভাবে নিবে? আমার পরবর্তী জীবনটা কোন দিকে মোড় নিবে? আমার সবকিছু এভাবে শেষ হয়ে যাবে আমি ভাবতে পারিনি লিয়া।
বলতে বলতে আবার হুহু করে কাঁদতে লাগলো। আমার পুরো মাথা ঝিমঝিম করছে। এক মূহুর্তের মধ্যে আমার আগামীকালের দিন নিয়ে পুরো কৌতুহল পাল্টে গেলো। বুকের ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে, সত্যিই কি মানুষ পরে এভাবে বদলে যায়? তিয়াস তো সা’দেরই বন্ধু। সেও এই ধরনের প্রতারণা করবেনা তার কি গেরান্টি? কি করতে যাচ্ছি আমি?
না না আমি এই মোহ থেকে বের হয়ে আসবো। আমাকে সব ভুলে যেতে হবে। একটা ছেলের পাল্লায় পড়ে আমার এতো বছরের রেকর্ড বদলে আজ আমি ফার্স্ট থেকে লাস্ট পর্যায়ের স্টুডেন্টেও নিজেকে ভাবতে পারিনা। এটা তো চাইলে এখন বদলাতে পারবো কিন্তু নুজহাতের মতো পরিণতি হলে আমার কি হবে? আমাকে শোধরাতে হবে সবকিছু। সব শোধরাতে হবে!
আমি শক্ত মনোবল নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। আমাকে যেভাবেই হোক এই ঘোর থেকে বের হতে হবে। এবং হতেই হবে। আমি নুজহাতকে কোনোভাবে শান্ত করে বই নিয়ে বসে গেলাম।
সেইরাতে সা’দের কার্যকলাপের কথা শুনে তিয়াসের প্রতি আমার যে একটা চিন্তাচেতনা জাগ্রত হয়েছিল সেটা ধরে রেখে যদি আমি সামনে আগাতে পারতাম তাহলে হয়তো জীবনটা তখনও সার্থক হওয়ার ছিলো। কিন্তু পরেরদিনই কেটে গেলো আমার সব বাজে ধারণা।
হয়তো তিয়াসের প্রতি আমাকে আরো দূর্বল করার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় কারণ ছিল!
চলবে…..
আগামীকাল রহস্য উন্মোচন হবে!