রাগী বস

রাগী বস – পর্ব- ১০


সিনহা:স্যার প্লিজ ছাড়ুন,আমার ভালো লাগছে না,(কান্না করে)
.
সিফাত:আমারো ভালো লাগে না,যখন তুমি অন্য ছেলদের সাথে কথা বলো হাসো,ওদের সাথে কিসের এতো কথা তোমার হ্যাঁ,কই আমার সাথে তো কথা বলো না অমন হেসে।ওদের সাথে যেনো আর কথা বলতে না দেখি,নাকের সাথে নাক লাগিয়ে বলছি কথাগুলো,সিনহা খুব কান্না করছে,করুক ওকে শিক্ষা পেতেই হবে ও শুধু আমার, আজকের পর যেনো ও কোনো ছেলের সাথে কথা বলার সাহস না হয় আমি ছাড়া ওকে সেটা বুঝিয়ে দিবো ও শুধুই আমার অন্যকারো নয়।
.
সিনহা:কেনো আমি ওদের সাথে কথা বলবো হাজার বার বলবো আপনার কি?কথাটি বলতেই উনি খুব দ্রুত আমার ঠোটে উনার ঠোট মিলিয়ে দিলেন।
.
সিফাত:ওর কথায় রাগ আরো চরমে উঠে গেলো, ওকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওর ঠোটদুটো আমার ঠোটে মিলিয়ে দিলাম।অনেকক্ষন ধরে রাখার পর ছেড়ে দিলাম,ও হাফাচ্ছ,কান্না করছে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।ওকে বললাম তোমার দায়িত্ব আমার সবকিছুর,তোমায় ভালো রাখার,তুমি কিসে ভালো থাকবে না থাকবে সব কিছু আমি সিলেক্ট করবো,আর আমার হাতে তোমার মা তোমায় তুলে দিয়ে গেছে সো আমি যা বলবো সেটাই শুনবে তুমি বুঝেছো?
.
সিনহা:হ্যাঁ আপনার হাতে তুলে দিয়েছে,আপনার সব দায়িত্ব আমার প্রতি,আপনি যা বলবেন আমি সেটাই করবো এমনি যখন আপনার সাথে বিছানায় যেতে বলবেন আমি বিছানাতেই যাবো তাই না,আপননারা তো আমাদের খেলার পুতুল ভাবেন যখন যা ইচ্ছে হবে সেটাই করবেন, আজ প্রয়োজনে কাছে টেনে নিবেন আর কাল প্রয়োজন ফুরালে দুরে সরে যাবেন,চরিত্রহীন আপনি,আমাকে ভোগ করার খুব শখ আপনার তাই না,যা ইচ্ছা করুন আর কোনো বাধা দিবো না,কেনো না দায়িত্ব আপনার,আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন।আপনাদের কাছে একটা অবিবাহিত মেয়েদের পুরুষ স্পর্শ করা মানে আধুনিকতা,আর আমার কাছে সেটা লজ্জার।আপনারা সুশীল সমাজের অশ্বীল মানুষ।কথাগুলো খুব জোরোই বললাম রাগ হয়ে গেছিলাম কি বললাম মাথায় আসেনি।
.
সিফাত:ওর বলা কথাগুলো শেষ হতেই ঠাস করে ওর গালে চড় বসিয়ে দিলাম একটা,আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে,ওকে আমি কি করেছি,বেশি কিছুতো না ও রাগিয়ে দিয়েছিলো জন্য এতোকিছু করেছি,আমি শুধু ওকে ভয় দেখাতে চেয়েছি।আমি ওকে ভোগ করতে চাই,ছিঃ এটা ও বললো যাকে আমি ভালবাসি,ওকে আমি কাছে পেতে চাই ভালবাসি তাই তবে সেটা বিয়ের পর।আমি ওকে এভাবে চাইনি,ও কি বললো আমায় এগুলো,জিবনে কোন মেয়েকে ভালবাসা তো দুর তাকায়ো নি পর্যন্ত,আর আজ আমায় চরিত্রহীন অপবাদ শুনতে হলো ভালবাসার মানুষটির কাছে থেকে।রাগে আমার কান্না এসে যাচ্ছে।চোখের কোনে জল চলে আসছে।টেবিলের সবকিছু ফেলে দিলাম নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে।
.
সিনহা:উনি কেমনজানি পাগলের মতো করছে,রাগে চোখদুটো লাল হয়ে গেছে,চোখে দিয়ে পানি আসছে,আচ্ছা আমি কি ভুল করলাম,কি বললাম আমি এগুলো।
.
সিফাত:ভালো আমি তোমায় বেসেছি তুমি আমারি হবে তবে আজকের শোধ আমি নিবো।আমি চরিত্রহীন তোমায় ভোগ করার ইচ্ছা আছে আমায় আমি তোমায় তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে বুঝিয়ে দেবো সিনহা আমাকে চরিত্রহীন বলার অপরাধটা তোমার,এগুলো মনে মনে বলে সিনহার হাত ধরে টেনে কেবিন থেকে বেরিয়ে বাহিরে যাচ্ছি লাম।সব স্টাফ গুলো দাড়িয়ে গেলো।ওরা হতবাক,আমার আর সিনহার অবস্থা দেখে দুজনের চোখেই পানি,আর ওভাবে টেনে নিয়ে যাওয়া দেখে।
.
সিনহা:আমার হাত এতো জোরে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন কেন উনি,উফ খুব ব্যাথা লাগছে আমার।সোজা নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসালেন।
.
সিফাত:ওকে গাড়িতে বসিয়ে ড্রাইভ করতে লাগলাম,ওর দিকে না তাকিয়ে।রাগে আমার চোখ দিয়ে আগুন ঝড়ছে।
.
সিনহা:উনি যে রেগে আছেন কোথায় নিয়ে যাচ্ছে উনি আমায়,বলবো কিভাবে যে রেগে আছেন যদি আরো রেগে যায়,তারপরো সাহস করে বলি,স্যার কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমায়?
.
সিফাত:নিশ্চুপ কোনো কথা বলছি না ওর কথা কানেই নিলাম না না শোনার ভান করলাম।
.
সিনহা:স্যার বলবেন কোথায় যাচ্ছেন?
.
সিফাত:আবারো চুপ ড্রাইভ করেই যাচ্ছি।
.
সিনহা:এইবার আমার খুব রাগ উঠে গেলো, আমি একটু জোরোই বললাম বলছেন না কেন কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন, ওকে বলতে হবে না গাড়ি থামান আমি নেমে যাবো তা না হলে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিবো বলেই গাড়ির দরজা খুলতে যাচ্ছিলাম তখনি আমার হাত টা উনি সরিয়ে দরজা লক করে দিলেন।
.
সিফাত:চুপ চাপ বসে থাকো তোমায় খুন করতে নিয়ে যাচ্ছি না ভয় পেয়ো না।
.
সিনহা:গাড়ি টা নিয়ে গিয়ে একজায়গায় থামলো,অচেনা এক জায়গা।আশেপাশটা ভালো করে চেনার চেষ্টা করছি কিন্তু এটা আমার চেনা জায়গা নয়,এক ধ্যানে তাকিয়ে আছি। উনি দরজা খোলার শব্দে ধ্যান ভাংলো।উনার দিকে তাকিয়ে আছি।
.
সিফাত:কি নামবে না কি একটু আগে তো চলন্ত গাড়ি থেকে লাফাতে চাইছিলে আর এখন গাড়ি থামিয়েছি তারপরো নামছো না কেন?
.
সিনহা:গাড়ি থেকে নামার সাথে উনি আমার হাত ধরেই একটা রুমের দিকে নিয়ে গেলো।ভিতরে প্রবেশ করার আগেই দেখি ওপরে লেখা কাজি অফিস।তারমানে স্যার আমায় কাজি অফিসে নিয়ে এলো কিন্তু কেনো কার বিয়ে। স্যার কে বলে দেখি,
সিনহা:স্যার কার বিয়ে আজ,আমরা কেন এসেছি এখানে?
.
সিফাত:তোমার বিয়ে।
.
সিনহা:মানে আমার বিয়ে কার সাথে আমি জানি না?
.
সিফাত:একটু পর জানতে পারবে।
.
সিনহা:না স্যার জানার দরকার নেই আমি বিয়ে করবো না।
.
সিফাত:বিয়ে করতে তুমি বাধ্য।
.
সিনহা:কখনোই না আমি বিয়ে করবো না।
.
সিফাত:একটু আগে তোমার সাথে যা যা করেছি সব কিন্তু সিসি ক্যামেরায় আছে,আমি যদি ওগুলো ভাইরাল করে দেই তাহলে কেমন লাগবে?
.
সিনহা:স্যার আপনি কিন্তু আমায় ব্ল্যাকমেইল করছেন?
.
সিফাত:ধরে নাও সেটাই।
.
সিনহা:স্যার এটা কিন্তু ঠিক না,আপনি এটা করবেন না আমি জানি আপনি অনেক ভালো।
.
সিফাত:উহু আমি জানি আমি ভালো না চরিত্রহীন, আর চরিত্রহীনেরা সব কিছু করতে পারে।
.
সিনহা:তখন রাগের মাথায় বলেছি সেই কথা এখন শোনাচ্ছে , সরি স্যার আর বলবো না।
.
সিফাত:চুপচাপ ভিতরে চলো, যা বলবো সেটা করবা?
.
সিনহা:স্যার আপনি কার সাথে আমায় বিয়ে দিবেন,আমি বিয়ে করবো না স্যার।
.
সিফাত:আমার কথা না শুনলে কিন্তু খুব খারাপ হয়ে যাবে চলো বলছি বলে হাত ধরে টেনে কাজির সামনে চেয়ারে ওকে বসিয়ে দিলাম আমিও বসলাম।
.
সিনহা:ভয়ে আমার হাত পা কাপছে,আবিদ ও আছে এখানে,আরো দু একজন অফিসের কলিগ রা।স্যার কার সাথে আমায় বিয়ে দিতে চাচ্ছে,আমি বিয়ে করবো না আমিতো স্যারকে ভালবাসি।আমার খুব কান্না পাচ্ছে।
.
to be continue….
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *