মায়াবিনী

® মায়াবিনী—– পর্ব- ৬

লেখাঃ নিলয় রসূল
সাথী: ওই বাঁদর ফোন ধরিসনা কেন..? তোর এই অভ্যাসগুলো কবে ছাড়বি বলতো ভালো লাগেনা। আর তুই কোথায় কি করছিস..? শিশির কে ফোন দিলাম বললো তুই নাকি হাসপাতালে নাই….!
নীল ফোন ধরার সাথে সাথেই সাথী নীলকে কথাগুলো বললো তারপর শ্বাস নিলো।
নীল: আপা সব প্রশ্নের উত্তর তো একসাথে দেওয়া সম্ভব না। আমি বরং একটা একটা করে দিই কেমন…
সাথী: বাড়িতে আজ আইনা তোর পাকা পাকা কথা বলা বের করবো। তোর খবর আছে আজ…
নীল: সত্যি…!
সাথী: হু,,,এখন বল..
নীল: আপু আমি একটা মেডিকেল ক্যাম্প এ আসছি। ঝড় হওয়ায় একটা প্রত্যন্ত গ্রাম খুব ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম।
সাথী: বদমাইশ কোথাকার এই কথাটা বোনকে একবারও জানানো যায়না….! আর এই তোর ফোন বন্ধ কেনো..?? হুম..ফোন বন্ধ কেনো বল…!
নীল: আরে বন্ধ না, নেটওয়ার্ক নাই গ্রামে কিছু।
সাথী: ওও…তাহলে এখন কথা বলছিস কি করে…!
নীল: এখন তো ফিরে আসছি। সবাইকে সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। আর শিশির বলছিলো কি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবে…
সাথী: হু আমার সাথে যখন ফোনে কথা হলো বলছিলো কি একটা যেনো ভাবছিলো….মনে হচ্ছিলো,,,
নীল: আর শেষের প্রশ্নগুলোর উত্তর একসাথে বলি না হলে উত্তর মানাবে না….!
সাথী: তোকে আজ…..! আচ্ছা বল..
নীল : গতকাল বাসায় ফিরছিলাম শিশিরের গাড়িতে। হঠাৎ আমার ফোন আসে যে আমি যেনো দ্রুতো মেডিকেল টিম নিয়ে চলে যায়… আর,,
সাথী: থাক শুনতে ভালো লাগছেনা। এমনিতেই যে টেনশন গেলো…! তারাতারি চলে আয়।
নীল: হু,,,
টিনা রিসিপশনে এসে জিজ্ঞেস করলো,
: ” আচ্ছা স্যার কোথায়…?”
: কোন স্যার
: শিশির স্যার
: মানে যিনি এখন ওই পেশেন্টের অপারেশন করলেন…!
: হু
: ওও,,উনি বারবার নীল স্যারের খোঁজ করছিলেন
: নীল স্যার…!
: হুম,,,বলছিলো পেশেন্টের বিষয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিলো উনার সাথে ।
: ও আচ্ছা ঠিক আছে। ধন্যবাদ
: জ্বী স্বাগতম
টিনা বুঝতে পারছেনা অয়নীর সাথে আবার নীল স্যার আর শিশির স্যার কিভাবে জড়িতো…….!
নাহ্ কেনো হিসেবই মিলছেনা…! আমি এখন আর কিছুই বুঝতে চাইছিওনা। ইশ সুপ্তর মুখ চোখ ছিলে গেছে। চেনারই উপায় নেই…!
শিশির নীল কে ফোন দিলো
: নীল..
: হুম. বল
: কোথায় তুই..
: এইতো রওনা দিলাম
: কতক্ষণ আগে…
: বেশ কিছুক্ষণ আগে। এই তোর কণ্ঠ এমন শোনাচ্ছে কেন শিশির
: বন্ধু অনেক কিছু হয়ে গেছে…
: কি…?
: আজকে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে চলেছে ,,, কিছুই বুঝতে পারছিনা
: তোকে আর বুঝতেও হবেনা। কি হয়েছে সেটা বল…!
: বাদ দে। তুই তারাতারি হাসপাতালে চলে আয়। তোর জন্য সারপ্রাইজ আর খারাপ খবর দুইটোই অপেক্ষা করছে
: মানে কি…! সারপ্রাইজ আর তার সাথে খারাপ খবর। এই হেয়ালি না করে বলবি…কি হয়েছে…! তোর স্বভাবটা গেলোনারে..
: তুই আগে আয়
: না তুই বল কি খবর,,
: খারাপ খবর এই যে একটা মেয়ে আজ সকালে এক্সিডেন্ট করেছে আর তারপর একটা অপারেশন হয়েছে কিন্তু ভূলে ভিতরে বেশ কিছু জায়গাতে ক্ষত ছিলো আমাদের নজরে আসেনি…এখন রক্ত জমে গেছে ভিতরে..এখন হয়তে আবার..!
:বুঝেছি….!
: হুম তারাতারি চলে আয়
: আসছি..!
: দ্রুত আয়
: সারপ্রাইজ টা
: আসলেই দেখতে পাবি।
: ওকে….! পেশেন্টেরর বাড়ির লোকের কাছে বন্ড পেপার সাইন করে নে। অনেক রিস্ক আছে
: কেও নেইতো,,
: মানে কি,,,তাহলে আসলো কিভাবে
: বাড়ির কোনো লোককে পাওয়া যাচ্ছেনা তো..
: তাহলে পুলিশ কে ইনফর্ম কর। নয়তো কেস খেয়ে যাবে…
: এখন ওদের ডাকা মানে একটা মেয়েকে নিজ হাতে মৃত্যুর দুকে ঠেলে দেওয়া।
: কিন্তু,,
: বন্ধু ওরা এসে কাজের কাজ কিছুই করবেনা শুধু এই ওই বলে ফাল পাড়বে…!
: হ্যা, কিন্তু সবাই তে একই রকম নয়…! তাই নয় কি..
: সব হবে পরে….ভাই পেশেন্টের ছোট্ট একটা বাচ্চা আছে,,, উনি কে কোথা থেকে এসেছে জানিনা বাট বড্ড মায়াবী চেহারা…
: তো..
: নীল আরেকটা কাজ করতে হবে ভাই
: বল
: তিন ব্যাগ রক্ত লাগবে…! আমরা খুব কষ্ট করে ২ ব্যাগ জোগাড় করতে পেরেছি..এই গ্রুপের রক্ত খুব রেয়ার…পাওয়া যায়না রে…
: নাম কি..!
নীল বিস্তারিত শুনে বললো
: সমস্যা নায় সাথী আপুরও একই রক্তের গ্রুপ।
: ও
: আমি রাজি করাচ্ছি। তুই ওটি রেডি কর..
: হুম…!
কিছুক্ষণ পর সাথীর মোবাইলে নীল এর মেসেজ,
” আপু তুই সোজা হাসপাতালে চলে যা। একটা মেয়ে এক্সিডেন্ট করেছে। রক্ত দরকার আর্জেন্ট। তুই চলে যা তোর সাথে ম্যাচ করেছে। নেটওয়ার্ক ভালো না বিধায় তোকে মেসেজ দিলাম। আর আপু আমি সোজা হাসপাতাল যাচ্ছি ওখানেই তোর সাথে মিট করবো…..!”
সাথী মেসেজ পড়ে রেগে গিয়েছিলো তারপর আবার ভাবলো
” আমার মতই নীলও পরোপকারই। ও সবইকে জীবন দিয়ে হলেও ভালবাসতে। পাঁচ বছর আগে ও এমন ছিলো তবে ওতটা নয়। ওই ঘটনার পর থেকে থেকে তো পাথর হয়ে গেছিলো। আর শিশিররা ছিলো বলেই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছে ও। হয়তো আল্লাহরই সব ইশারা। নয়তো আমার ভাইটির জীবনেই কেনো এমন হবে বারবার…! যাই হাসপাতালে নাহলে পাগলা আবার রাগ করবে,,,আর আমার সাথে কথা বলবেনা কিছুক্ষণ। আবার খাওয়া দাওয়া করবেনা। ওর যত রাগ অভিমান ভালবাসা আবদার ক্ষোভ সবই আমার কাছে….!”
সাথী চোখের কোণে জল মুছে হাসপাতালে চলে গেলো।
নীল : শিশির সব রেডি তো
শিশির: হুম। বোন আসলে শুধু রক্ত নেওয়া বাকী।
নীল: ওটি কি রেডি। বুঝতে পারছিস কতটা সিরিয়াস অপারেশন।
শিশির: হু..সেজন্যই তো তোকে ডাকা একা হাতে সামলানো সম্ভব নয় সব।
নীল: হু…
শিশির: ওই তো বোন চলে এসেছে…!
নীল: কিরে এতক্ষণ লাগে আসতে…!
সাথী: তোর জন্য খাবার আনতে গিয়েই তো..
নীল: তুই ও না…!
সাথী: হয়েছে,,,হয়েছে,,,রক্ত কেথায় দিতে হবে।
নীল: শিশির তুই বোনকে নিয়ে যা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
রক্ত দেওয়া শেষে সবাই বসে আছে নীলের চেম্বারে
নীল: আর কতক্ষণ,, ওটি কি এখেনো রেডি হয়নি
শিশির: হু রেডি বাট পেশেন্টকে তৈরি করা হচ্ছে।
নীল: ওকে…!
সাথী: শিশির মেয়েটাকে বাইরে থেকে দেখলাম ভালেই তো এক্সিডেন্ট হয়েছে রে,,
শিশির: জ্বী আপা।
সাথী: কিভাবে হলো কিছু জানিস..
শিশির: হু আমাদের ভোলানাথ বাবা জয় এর গাড়িতে..!
সাথী: কি…
নীল: মানে কি। ওকে ডাক
শিশির: বোন জানতে পারলে ওকে বকা দেবে তাই ভয়ে আসছেনা সামনে,,
নীল: ডাক ওকে
শিশির: হু
কিছুক্ষণ পর জয় আসলো
সাথী: ভোলা তুই নাকি একটা মেয়েকে রাস্তায় ইচ্ছা করে ধাক্কা মেরেছিস।
জয়: আঁ…!
সাথী: (গম্ভীর ভাবে) কথা কি সত্য…!
জয়: না আপু
সাথী: তাহলে সত্যিটা বল,,
জয়: হু…বলছি
সাথী: বল…!
জয়: গতকাল অফিসের সব কাজ শেষ করে ভোররাতে বাসায় ফিরছিলাম। এমন সময় হঠাউ একটা মেয়ে গাড়ির সামনে এসে পড়লো।
সাথী: কি…! তুই কি করলি তখন আর অতো রাতে মেয়েই বা আসলো কি করে
জয়: বলছি
নীল: তারাতারি বল। ওদিকে পেশেন্টকে মনে রেডি করা শেষের পথে…
জয়: বলছি,,, বলছি..
শিশির: তো বল না
জয়:কতোগুলে বাজে লোক মেয়েটাকে তাড়া করেছিলো..মেয়েটা মনে হয় প্রাণ নিয়ে দৌড়াচ্ছিলো।
সাথী: হায় আল্লাহ্‌,,, তারপর…
জয়: আমি দ্রুতো নামতেই ওরা সব কি ভেবে চলে গেলো।
সাথী: আর মেয়েটা…!
জয়: আচমকা গাড়ির সামনে আসাতে পরে গেছিলে। মনে হয় ধাক্কাও লেগেছিলো। আর মাথা ফেটে রক্ত পড়ছিলো আপু..!
সাথী: তারপর
জয়: তারপর অনেক কিছু ভাবনা চিন্তা করলাম। তারপর ডিসিশন নিলাম মেয়েটাকে এখানে আনি…ভালো করিনি বলো আপা
শিশির: না..
জয়: মানে
শিশির: এ ভোলা তোকে তখন ওতো ভাবতে বলেছে কেও। তখনই যদি আনতিস তাহলে লাইফ রিস্ক হয়ে যেতো না…
নীল: বাদ দে। যা হওয়ার হয়ে গেছে। তবে আশেপাশে কাওকে দেখতে পাসনি মানে মেয়াটার স্বামী বা আত্মীয়…
জয়: না তবে জানিস একটা জিনিস খেয়লা করছিলাম
নীল: কি..?
জয়: মেয়েটার মুখ খুব চেনা চেনা লাগছিলো। দেখতে একবারে…
বলার আগেই নার্স এসে বললো,
” স্যার সব রেডি। অপারেশন শুরু করা যাক। মেয়েটির অবস্থা ক্রিটিকাল…!
নীল: হুম..চলেন,,শিশির আই,,,
বলে কফির কাপটা টেবিলে রেখে অপারেশন থিয়েটরে গেলো দুজন। ওখানে টিনা আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলো।
অপারেশন শুরু করবে এমন সময় নীল পেশেন্টের মুখ দেখে বুক কেপে উঠেছে…!
থ মেরে দাড়িয়ে আছে।
অবাক আর আশ্চর্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
শিশিরের দিকে তাকতেই ও মাথা নাড়লো। আর আস্তে করে বলল,” বলেছিলাম না সারপ্রাইজ আছে…!”
নীল: এমন সারপ্রাইজ তো জীবনেও চাইনি আমি।
শিশির: এখন অপারেশনটা ঠিকভাবে কর।
নীল: হুম…
অনেক্ষন পর অপারেশন শেষে নীল শিশির আর টিনা বের হয়ে আসলো…!
সাথী: কিরে
শিশির: হুম সাকসেসফুল..!
নীল কোনো কথা না বলে চলে গেলো
সাথী: শিশির কি হলো ওর..!
শিশির: মেয়েটি আর কেও নয় আপা, ও অয়নী….!
নামটা শুনে সাথি চমকে উঠলো
সাথী: কিহ্
শিশির: আগে বলিসনি কেনো…!
শিশির: আগে বললে ও আরে ভেঙ্গে পড়তো আর অপারেশন করাটাই মুশকিল হয়ে যেতো। মারা যেতো ও….!
সাথী: তাই বলে…।
শিশির: কিছুই করার ছিলনা আমার….!
টিনা একটু দূরে দাড়িয়ে ছিলো। কথাগুলো ওর মাথায় ঢুকছেনা। কি হচ্ছে এরা কি বলছে সব যেনো স্বপ্নের মতে লাগছিলো।
কিছুক্ষণ পর। সাথী নীলকে, শিশিরকে আর টিনাকে সকালের জন্য হালকা নাস্তা এনেছিলো তা দিলো। কারণ অনেক্ষণ ধরে কেও কিছু মুখে দেয়নি..
সাথী খেয়াল করলো সবার মুখ শুকিয়ে গেছে তবে টিনাকে বিদ্ধস্ত লাগছে।
সাথী: টিনা তুমি বাচ্চাটাকে আমাকে দাও। আর কিছু খেয়ে নাও,,,
টিনা: না আপু সমস্যা নাই
সাথী: সমস্যা আছে। তুমি ওকে দাও আর নাস্তাটা করে নাও। পাগলী কোথাকার।
টিনা খাবার সামনে বসেছিলো। কিছু খেতে পারছিলনা। মনে হাজারে প্রশ্ন জমে আছে যে।
এমন সময় বাচ্চাটার মানে সুপ্তর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আর টিনাকে দেখতে না পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে লাগলো,
” তিনা….তিনা…তিনা…..!।”
তরপর সাথীর চুল চেপে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
” আমাল তিনা তোতায়(কোথায়) তিনা..তিনা…..!”
বলেই কান্না শুরু করে দিলো।
সবাই চমকে উঠলো। সাথীও কম অবাক হলোনা। সবাই বুঝতেছিলো তিনা বলতে সুপ্ত টিনাকেই মিন করছে..!
নীল: টিনা তুমি কি বাচ্চাটাকে তেমার নাম বলেছো….
সাথী: কিন্তু বাবুটার ডাক শুনে মনে হচ্ছে তোমাকে অনেক দিন ধরে চেনে…
নীল: তারমানে তুমি কি অয়নীকেও চেনো। আগে বলোনি কেনো
টিনা: আমাকে বলতে দিন আগে…এতে প্রশ্ন করলে কিভাবে বলবো..
শিশির: টিনা তুমি কি মেন্টালি ডিস্টার্ব,,, কোনো কারনে
টিন: কেনো স্যার হঠাৎ এরকম প্রশ্ন…?
শিশির: তুমি তো এভাবে কথা বলোনা..!
টিনা: সরি স্যার। আসলে হয়েছে…!
শিশির: বাদ দেওও। চেনো নাকি সেটা বলো
টিনা: হুম চিনি….!
নীল:কিভাবে….!
টিনা: স্যার অয়নী আমার ভাবি ছিলো..!
সাথী:ভাবি ছিলো….!
নীল: তারমানে….
সাথী: ভাবি ছিলো বাট এখন আর নেই….!
নীল: তার মানে রাজীব তোমার ভাই
টিনা: জ্বী। কিন্তু আপনি চিনলেন কেমন করে
নীল: আমি চিনবনা তে কে চিনবে ওকে..!
সাথী: পুরোনো কতা বাদ দে।
নীল: টিনা বলো ভাবি ছিলো মানে…!
টিনা কিছু বলার আগে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো।
সাথী কিছু বলতে যাবে এমন সময় নীল চোখের ইশারতে থামিয়ে দিলো।
একটা নার্স ঠিক করে এসে নীল সাথী টিনা আর সুপ্ত। নীলের বাসায় আসলো। দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর সাথী বললো
সাথী: এবার বলো।
টিনা: ( চোখ মুছতে মুছতে) আজ ভোর রাতে ভাবি সুপ্তকে নিয়ে পালিয়ে যায় বাড়ি থেকে।
নীল: কিহ্…কিন্তু বাড়ি থেকে পালালো কেনো ও তো রাজীব কে খুব ভালেবাসতো…
টিনা তাচ্ছল্যের হাসি হেসে উঠলো।
টিনা: ভালবাসা…! রাজীব যে আমার ভাই সেটা বলতেই আমার লজ্জা লাগে এখন। ছিঃ মানুষ এতে খারাপ হয় কিভাবে…
নীল: Did anything wrong with her…..?
টিনা: (কাঁদতে কাঁদতে) স্যার একটু নয় পুরেটাই
ভূল ছিলো
সাথী: মানেহ্
টিনা: হুম…
তারপর টিনা সবকিছু খুলে বললো ওদের। কি কি অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে অয়নীকে। কিভাবে মানসিক, শারীরিক, অত্যাচার করা হয়েছিলো
নিরীহ মেয়েটাকে।
নীল নির্বাক হয়ে নির্বিকচিত্তে বসে আছে। চোখের কোন দিয়ে জল পড়ছে ওর। বুকটা বারবার হাহাকার করে উঠছে ওর জন্য। একটা রহস্য ঘেরা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেললো…
টিনা: কিন্তু স্যার আপনি ভাবিকে কিভাবে চেনেন…
নীল বলতে যাবে এমন সময় হাসপাতাল থেকে ফোন আসলো..
: হ্যালো স্যার আজকে সকালে পেশেন্ট উনার বাচ্চাকে দেখতে না পেয়ে অস্থির হয়ে উঠেছেন
: কিহ্
: জ্বী স্যার….! এমন চলতে থাকলে উনাকে বাঁচানো সম্ভব হবেনা। মাথায় আবার রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যাবে..উনি স্যালাইন খুলে ফেলেছেন অক্সিজেন মাস্কটাও। স্যার এমন চললে উনি মারা যাবে….
: সাট-আপ। পেশেন্ট এর কিছু হবেনা। আমি আসছি..
নীল ফোন রেখে বললো,
” টিনা বোন সময় এলে সব জানতে পারবি। অয়নী আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে সুপ্তকে না দেখতে পেয়ে। দ্রুতো যেতে হবে আমাদের….!
< << চলবে>>>

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *