ভালোবাসার অন্যরুপ

ভালোবাসার অন্যরুপ ! Part- 33

ব্যালকনি তে দাঁড়িয়ে আছে শবনম! আকাশে আজ খুব সুন্দর গোল চাঁদ উঠেছে, সেটার দিকেই একমনে তাকিয়ে আছে শবনম। ভাবছে এক মুহুর্তে জীবন টা কতটা বদলে গেলো, কতটা রঙিন হয়ে গেলো। যাকে ছোটো থেকে ভালবেসেছে আজ তাকে স্বামী রূপে পেয়েছে। কথাটা গুলো মনে করতেই একটা শীতল শিহরণ বয়ে যাচ্ছে সারা শরীর দিয়ে। চোখের কোণে হাল্কা পানি জমেছে যদিও এটা সুখের। হঠাৎই শবনমের ভাবনায় বাঁধা পরলো নিজের কোমরে শীতল ছোঁয়ায়। শবনম পিছন ফিরতে চেয়েও ফিরতে পারলো না।
আঁধার– একদম নড়বে না। যেমন আছো সেভাবেই থাকো। তুমি ঐ চাঁদ কে দেখো যে এই অন্ধকার আকাশ কে আলোময় করে তুলেছে, জোছনাময় করে তুলেছে, আমি আমার নক্ষত্র কে দেখবো যে আমার জীবনের আলো, আমার অস্তিত্ব।
কথাটা বলেই আঁধার শবনমে গালে ঠোঁট ছোঁয়ালো আর তারপর শবনমের কাঁধে থুতনি রাখলো। শবনম আসতে করে নিজের মাথাটা পিছন দিকে হেলিয়ে দিয়ে আঁধারের বুকে মাথা ঠেকালো। মনোরম একটা পরিবেশ। এরম পরিবেশে নিজের প্রিয় মানুষ নিজের সাথে থাকলে, আর কিছু দরকার পরে না। শবনম ব্যস্ত চাঁদ দেখতে, আর আঁধার ও ব্যস্ত নিজের চাঁদ দেখতে। বেশ কিছুক্ষণ পর শবনম সোজা হয়ে দাঁড়ালো।
শবনম– ঘরে যাবে না??
আঁধার– হমম।
শবনম আঁধারের দিকে ফিরতেই দেখলো আঁধার ওর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, শবনম চোখ নামিয়ে নিলো তা দেখে, আঁধার আস্তে করে শবনম কে জড়িয়ে ধরলো। তারপর সোজা হয়ে বললো।
আঁধার– পছন্দ??
আঁধারের কথায় শবনম নিজের গলার দিকে চোখ নামিয়ে দেখলো একটা নেকলেস, যেটা জ্বল জ্বল করছে।
শবনম– এটা??
আঁধার– ডায়মণ্ডের। আমার নক্ষত্রকে তো নক্ষত্রের মতই উজ্বল কিছু দিতে হবে তাই না??
শবনম– খুব পছন্দ!
আঁধার শবনমের কপালে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো তারপর শবনম কে কোলে তুলে নিলো। শুরু হলো আরেক জুটির নতুন অধ্যায়।
মীরা– ওফফ!! আমানন!!
আমান– এতো বিরক্তি কিসের?? আমি নেই তোমার পাশে??
মীরা– চোখ বন্ধ করে রাখতে বলেছো কেনো?? এখন তো নিজে হাত দিয়ে ধরে রেখেছো। ভালো লাগছে না আমার।
আমান– আরেকটু জান!
মীরা– হুহ! কখন থেকেই তো এই এক ক…
আমি কথাটা শেষ করার আগেই আমান আমার চোখ উন্মুক্ত করে দিলো আর আমি সামনের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমান আমার কাঁধে থুতনি রেখে বলতে শুরু করলো।
আমান– এই সব কিছু তোমার জন্য! আমার লাইফের সবচেয়ে স্পেশাল অ্যান্ড ইম্পরট্যান্ট পারসনের জন্য। অ্যাকচুয়লী আমার লাইফের জন্য!
সামনে একটা পুল আর তার মধ্যে লাল আর সাদা গোলাপের পাপড়ি ভেসে রয়েছে, আশে পাশে সারা জায়গায় লাল, সাদা বেলুন দিয়ে সাজানো। পুলের ঠিক ঐপারে একটা সাদা রাউন্ড বেড, বেডের মধ্যে লাল গোলাপের পাপড়ির সাথে নীল গোলাপের পাপড়ি বিছানো। বেডের দুই সাইডে ল্যাম্পসেড, সেগুলো ও সাদা। বেড টাকে গোল করে সাদা কাপড় দিয়ে ঘেরা। কাপড় টা সেট করে উপরে তুলে রাখা, কেউ বসলে যদি দড়ি টা টেনে দেয় তাহলে সেটা নেমে গিয়ে পুরো বেডটাকে ঘিরে ফেলবে। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানেও নীল পাপড়ি বিছানো।
আমান– তুমি জানো আমি কেনো তোমাকে চোখ বন্ধ করে নিয়ে এলাম??
মীরা– সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য!
আমান– নাহ! আমি তোমাকে এভাবে নিয়ে এসে একটা জিনিসই ফীল করাতে চেয়েছি, চোখ বন্ধ করে যেমন তোমার অসস্তি লাগছিল বিরক্ত বোধ হচ্ছিল তেমন আমার ও তোমাকে ছাড়া নিজের জীবনটাকে এমন মনে হয়। আমি যেমন তোমাকে ভরসা দিয়ে নিয়ে এলাম, তেমন তুমিও আমার ভরসা। যার দ্বারা আমি জীবনে এগিয়ে যেতে পারবো।

আমি আমানের কথা শুনে ঝট করে পিছন ফিরে আমান কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।
মীরা– কেনো এতো ভালোবাসো আমান?? এতো ভালোবেসো না! আমি যোগ্য নই এতো ভালোবাসার। (চোখে পানি নিয়ে)
আমান– শশশশ!! তুমি ছাড়া আমার ভালোবাসার যোগ্য আর কেউ নেই। আর আজকের দিনে আমি তোমার চোখে পানি নয়, তোমার ঠোঁটে হাসি দেখতে চাই।
আমানের কথা শুনে আমি হেসে দিলাম।
আমান– কেক কাটবে না??
মীরা– কেক কেনো??
আমান– বাহ! কি সুন্দর! সবাই বলে রিলেশন এ অলওয়েস মেয়েরা তারিখ পুঙ্খানুপুঙ্খ মনে রাখে। আমার ক্ষেত্রে তো পুরোই উল্টো।
আমানের কথা শুনে আমি অসহায় দৃষ্টি নিয়ে তাকালাম ওর দিকে। আমান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো।
আমান– আজকে রাত বারোটা বাজতে ২ মিনিট বাকি। ২ মিনিট পর আমাদের বিয়ের ১ মাস সম্পূর্ণ হবে।
মীরা– (জিভ কেটে) ভুলে গেছিলাম।
আমান– কোনদিন দেখা যাবে আমাকেও ভুলে গেছ…
মীরা– সেটা হতে গেলে আমাকে আবার জন্ম নিতে হবে। কারণ আগের জনমের কথা তো মানুষের মনে থাকে না।
আমান– ওয়াও মৃত্যুর কথাটা কি সুন্দর ঘুরিয়ে বললে।
মীরা– হিহিহিহি!
আমান– এবার কি কেক টা কাটা যাবে??
মীরা– জিইইইই!
আমান– আবার??
আমি হাসতে হাসতে পুলের পার দিয়ে দৌঁড়াতে লাগলাম, আমি দৌঁড়াচ্ছি আর পায়ে কোমল পাপড়ি গুলো বারি খাচ্ছে। দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে আমান আমার হাত ধরে এক ঝটকায় নিজের কাছে নিয়ে এলো আর ইশারা করলো কেকের টেবিলের দিকে। আমরা দুজন একসাথে কেক কাটতেই আকাশে আতসবাজির শব্দ এলো, আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম “HAPPY ANNIVERSARY” লেখা। তারপরে আমি আমান কে কেক খাইয়ে দিলাম। আমান আমাকে কেক খাইয়ে নিজের হাতের ক্রিম টা আমার গলায় লাগিয়ে দিলো। তারপর আস্তে আস্তে সেখান থেকে ক্রিম টা খেয়ে নিলো। আমানের ঠোঁটের স্পর্শ পেতেই আমি কেঁপে উঠলাম। দুরে সরে যেতে চাইলে আমান আবারও আমাকে টেনে নিয়ে নিলো নিজের কাছে আর ঘুরে আমার পিছনে এসে সামনে তাকাতে বললো। সামনে তাকাতেই দেখলাম সেদিনের ছবি যেদিন আমি রাস্তা থেকে আমার কাগজ গুলো কুরাচ্ছিলাম। তারপর যেদিন আমি আমান কে থাপ্পড় মেরে ছিলাম। এক এক করে সব ছবি গুলো প্রজেক্টর দ্বারা দেয়ালের সাদা কাপড়ে প্লে হচ্ছে, পুরো জায়গাটা এখন অন্ধকার শুধু ছবি গুলো দেখা যাচ্ছে। আসলে আমরা একটা রিসোর্ডে আছি। খুব সুন্দর জায়গা টা।
আমি নিজের পিছন থেকে আমানের স্পর্শ না পেতেই ঘুরে তাকালাম, সঙ্গে সঙ্গে আমার উপর স্পটলাইট পরলো, আর দেখলাম আমান আমার সামনে হাঁটু গেড়ে হাতে একটা রিং নিয়ে বসে আছে।

আমান– আমি তোমাকে কোনদিন প্রপোস করিনি, ভালোবাসার জন্যেও না আর বিয়ে করার জন্যেও না। ইউ নৌ না আই অ্যাম দ্য গ্রেট আমান খান। আমি যেমন স্পেশাল আমার কাজগুলোও তেমন স্পেশাল। লোকে যা করে আমি তা করিনা। আমার জীবনে তোমাকে দরকার ছিলো তাই আমি তোমাকে হাসিল করে নিয়েছি, কারণ সময় থাকতেই বুঝেছিলাম তোমাকে ছাড়া আমি অচল। তুমি আমাকে ভালোবাসো আর না বাসো, সেচ্ছায় থাকো বা অনিচ্ছায় কিন্তু তোমাকে আমার হয়েই থাকতে হবে তাই আর প্রপোস করিনি, কারণ আমান খান রিজেকশন পছন্দ করে না। আমি আজকে তোমাকে প্রপোস করছি, লাইফে ফার্স্ট অ্যান্ড লাস্ট।
” উইল ইউ বি উইথ মি ফরেভার?? টিল মাই লাস্ট ব্রেথ আই উইল স্টে উইথ ইউ, আই উইল স্ট্যান্ড বাই ইউ, ক্যান ইউ অলসো ডু দ্যাট উইথ মি??”
মীরা– ইয়েস! আই ডু! আই উইল অলওয়েস বি উইথ ইউ! ফরেভার অ্যান্ড এভার অ্যান্ড এভার!
আমান আমার হাতে রিং টা পড়িয়ে দিলো, রিং টাও আলাদা রকমের, একটা হার্ট শেপের ডায়মন্ড বসানো। আর বাদ বাকি পুরো রিং টা ছোট ছোট স্টোন দিয়ে কভার করা। রিং টা পড়িয়ে আমান আমার হাতে ঠোঁট ছুঁইয়ে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে বেডের দিকে হাঁটতে শুরু করলো, আর আমার কানে কানে বললো।
আমান– অনেক হয়েছে! নাও আই ক্যান্ট ওয়েট এনিমোর।
আমি ওর কথা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলাম, আর ওর বুকে মুখ গুঁজে নিজের নাক ঘসলাম। আমান আমাকে বেডে শুইয়ে আমার উপর ঝুঁকে এক হাত দিয়ে বেডের দড়ি টা টেনে দিতেই পুরো বেড একটা সাদা কাপড় দিয়ে কভার হয়ে গেলো, আমান নেশাক্ত চোখ আমার দিকে এগিয়ে এলো, ওর নিশ্বাস আমার চোখে ঠোঁটে পরতেই আমি ওর শার্ট খামচে ধরে চোখ বন্ধ করে নিলাম। আজ হয়তো কোনো বাঁধা কাজ করবে না, করবেই বা কেনো?? সকল বাঁধা পেরিয়ে এসেছি আমরা, এখন সময় একে অপরের অধিকার পাওয়ার। আমান আস্তে আস্তে আমার ঠোঁট দখল করে নিলো, রাঙিয়ে দেবে আজ আমায় ওর “ভালোবাসার অন্যরুপে 🌸❤”।
[ অনেক রোম্যান্স দিয়ে ফেলেছি, আর পারতেছি না।🥵 আর কেউ রোম্যান্স ওয়ালা পার্ট চাইলে ঝাড়ু নিয়া তাড়া করুম আমি 😤]
সকালে……………………………………..
আমান– নীল জেদ করিস না। আমি যখন বলেছি তুই যাবি না, মানে যাবি না।
অর্নিল– ভাই প্লিজ! আমার কাজ থেকে আমাকে কেনো বঞ্চিত করছিস তুই?? আমিও বলে দিলাম আমি যাবো মানে যাবোই।
আঁধার– নীললল!! ইউ আর টু মাচ নাও। তুই জানিস না কতটা রিস্ক আছে কাজটায়??
অর্নিল– জানি বলেই যেতে চাইছি ভাইয়া। প্লিজ ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড।
আমান– নো ওয়ে! নিউস টা দেখ একবার।
ইন নিউস…………………….
রিপোর্টার– আজ সকালেই দেখা গেছে জেল থেকে পালানো কুখ্যাত আসামি লিটনকে। কিন্তু সে চোখের নিমিষেই গায়েব হয়ে যায়। লিটন কে ধরার জন্য সমস্ত পুলিশ, সিবিআই সবাই ফাঁদ পেতে বসে আছে। এইবার কি সফল হবে এই ফাঁদে??
আমান– তুই যাবি না।
অর্নিল– আমাকে যেতেই হবে, নাহলে লিটনকে এবার ও হাতছাড়া করবো আমরা। আমার এতদিনের অভিনয় বিফলে তো আমি কিছুতেই যেতে দেবো না। ও আসছে আমাকে মারার জন্য, দেখি কেমন পারে।
আঁধার– মানে??

অর্নিল– ও জেনে গেছে, আমি এতদিন ওর সাথে বন্ধুত্বর অভিনয় করে, সব কথা আদায় করে ওর ডলের সবাই কে শেষ করে দিয়েছি। এবার ওর পালা।
আমান– লিটন অনেক ডেঞ্জারাস নীল। ভুলে যাচ্ছিস ও আমাকে মারতে চেয়েছিল, এখন ও জানতে পেরেছে তুই আমার ভাই। ও সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে চাইবে।
অর্নিল– আমি তো ওকে সেই সুযোগটাই দিতে চাই। বললাম তো এতদিনের অভিনয় আমি বিফলে যেতে কিছুতেই দেবো না। দরকার পরলে ওকে মেরে মরবো।
অর্নিলের কথা শেষ হতেই “ঝন ঝন” শব্দ হলো বাসনের। সবাই পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখলো ইসমি সহ মীরা, আকাশি দাঁড়িয়ে আছে। আঁধার আর আমান একে অপরের দিকে তাকিয়ে ওদের দিকে তাকালো কিন্তু অর্নিলের দৃষ্টি ইসমির দিকে। অর্নিল শুধু ভাবছে ” ইসমি যাতে ওকে ভুল না বোঝে, গত রাতের কথাগুলো জানো একটু ভাবে। ”
আঁধার ভাইয়া আর আমান আমাদের দিকে এগিয়ে আসতেই ইসমি বললো।
ইসমি– ওকে আটকাও। প্লিজ ওকে আটকাও, আমি বাঁচবো না ওর কিছু হয়ে গেলে।
সুমির কথা শুনে সবাই পিছন ফিরে দেখলাম অর্নিল নেই। তারমানে সুমির দিকে সবার নজর আসতেই অর্নিল বেরিয়ে গেছে।
আমান– কিছুতেই শুনল না আমার কথা।
আঁধার– বরাবর নিজের জেদ কে প্রাধান্য দেবে। আফটার অল তোর ভাই।
আমান– শাট আপ ভাই! আমার জেদ জায়েজ। আমি জেদের বশে ভুল ডিসিশন নিই না।
আঁধার– আমার ভীষণ টেনশন হচ্ছে, ও একা পারবে তো??
আমান– নেগেটিভ থিঙ মাথায় আসছে আমার, এই ফার্স্ট টাইম।
সকাল গড়িয়ে, দুপুর গড়িয়ে এখন সন্ধ্যা গড়াতে চলল কিন্তু অর্নিলের কোনো খবর নেই। সুমি সেই যে মূর্তির ন্যায় বসেছে তারপর থেকে কিছু মুখে তোলেনি। একইভাবে বসে আছে।
রিপোর্টার– আজকের ব্রেকিং নিউস! লিটন যেই গাড়িতে ছিলো সেই গাড়িটি একটি খাদে পরে ব্লাস্ট হয়ে গেছে। সবাই এটাই ধরে নিচ্ছে যে লিটন আর বেঁচে নেই। কিন্তু একটি দুঃখের বিষয় জানা গেছে, যে লিটন কে মারতে সাহায্য করেছে, অর্থাৎ এতদিন যে লিটনের দল কে শেষ করেছে, বিসনেস টাইকুন আমান খানের ভাই অর্নিল খান, লিটনের সাথে সেই গাড়িতে উপস্থিত ছিলো। সম্ভবত অর্নিল খানও লিটনের সঙ্গে সঙ্গে……
আর কিছু টিভি তে বলবে তার আগেই আমান রিমোট টা ছুড়ে টিভির মধ্যে মারলো, সঙ্গে সঙ্গে টিভি টা ভেঙে গেলো। আঁধার ভাইয়া পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিউস শুনে। আমি আর আকাশি আপু কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না, কিন্তু সুমির কোনো পরিবর্তন নেই, আমি সুমি কে ধাক্কা দিতেই সুমি পাশে ঢলে পরলো।
মীরা– সুমিইইইই!!
আমান মীরার আওয়াজ শুনে সুমির দিকে তাকিয়ে হাত মুঠ করে নিলো।
আমান– বলেছিলাম যাস না। ফার্স্ট টাইম আমার মাথায় শুধু নেগেটিভ থিং আসছিল। নীলললললল!! (চিৎকার দিয়ে বসে পরলো)