বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ২৪

তারা- হুহ আমিকি বলেছি তার গান খারাপ।
মুখ ভাড় করে রাখলাম।

দিয়া- এইযে ভাইয়া শুধু গান হলে হবেনা।
আমার সাথে নাচতেও হবে।

মেঘ – না না ও সব আমার দ্বাড়া হবেনা

তারা-( কিহ নাচ! !!!! এহহহ। সাহস কত মেয়ের
ওর সাথে নাচবে)
ও নাচতে পারেনা।

দিয়া- আমি শিখিয়ে দিব আপি নো প্রব্লেম।

তারা( প্রব্লেম আবার তোর নাকি।
প্রব্লেম তো আমার)
না ও……

মেঘ – ঠিক আছে ডান আমি নাচব।

তারার দিকে তাকালাম। মনে হচ্ছে এখনি
কেদে দিবে।
( সোনা আরেক্টু কস্ট কর।যত দিন মুখ খুলবানা
তত দিন ডোজ এর উপর ডোজ পাবা।

মিনু – তারাকে ও নাচতে হবে কিন্ত
মেহেন্দি আর হলুদ এ।

তারা- না না আমি ওইসব পারব না।

মেঘ – আরে মিনু রাখোতো।
ও কিছু পারে নাকি।
জিদ দেখানো ছাড়া।
নন-ট্যালেন্টেড মেয়ে একটা।

তারা- ঠোট ফুলিয়ে চলে আসলাম।
মিনু – ভাইয়া আপনিও না।
এহন ভ্যা ভ্যা করে কাদবে।

মেঘ – ইশ বেশি বলে ফেললাম নাকি?
তারা- রুমে বসে বসে
আমি ….. আমার কোনো ট্যালেন্ট নাই না।
তাহলে আমার পিছন এত দিন ঘুড়ছে কেন
হ্যা???
জোর করে বিয়ে করতে চাচ্ছিল কেন।

কেন জোর করে আদর করত।
এখন মন ভরে গেছে না। জোর করে বিয়ে
করতে তুলে নিয়ে যাবে এখন কই গেল সেসব
কথা।

মেঘ – মানুষ মাত্রই ভুল।

তারা- অবাক হয়ে কি? ??

মেঘ – হুম।
আমি বুঝেছি তুমি আমাকে পছন্দ করনা।
আর তাছাড়া এইখানে তোমার থেকেও অনেক
সুন্দরি মেয়ে আছে।
যারা আমাকে পছন্দ করে।
তাই ভাবছি তোমাকে জোর করে বিয়ে করে
লাভ নাই।
তুমি তো আর আমাকে ভালবাসবা না।

তারা- অবাক হয়ে শুধু কথা গুলা শুনে গেলাম।
কি বলে গেল সে??
আমাকে এখন তার দরকার নেই! !!???এই ছিল
তার আমার জন্য ভালবাসা! !?

মেঘ – ( তারা আরো ডোজ তো বাকি ই আছে।
তাড়াতাড়ি মুখ খোলো। নাহলে আমার ডোজ
সহ্য করতে পারবানা।)(মেয়েদের বুক ফাটে
তবু মুখ খোলে না)

সন্ধা তে-

মিনু – কিরে এইখানেই বসে আছিস কেন।
ছাদে সবাই কত মজা করছে।
গান, নাচের প্রেক্টিজ হচ্ছে আর তুই।

তারা- আমার ভাল লাগছেনা।

মিনু – কেন রে কিছু হইছে।

তারা( মনের মধ্যে কেউ মনে হচ্ছে ছুড়ি
দিয়ে আঘাত করছে।
না বলা যায় না সয়া)
না কিছু না

মিনু – চল তো এইভাবে থাকলে আরও খারাপ
লাগবে।
চল চল।
হাত ধরে ছাদে নিয়ে গেলাম।

তারা- এক পাশে দাড়িয়ে- ছিলাম।

সপ্না- আরে আপু এইখানে বসেন।
এখন মেঘ ভাই আর দিয়া নাচবে।

মেঘ – তারার দিকে তাকালাম মুখ দেখে বুঝা
যাচ্ছে খুব কেঁদেছে।
কিন্তু আমি আমার কষ্ট টা এখনি ওকে বুঝতে
দিলাম।
আমার ও যে বুক পুরে যাচ্ছে।
কস্টে।
ওর মুখের ম্লান হাসি দেখে।
এটা সত্যি টলারেট করা যাচ্ছেনা।
কিন্তু উপায় নেই।
ওকে কস্ট টা বুঝতে হবে।
কস্ট পেয়ে পেয়ে আমার ভালবাসাটা বুঝতে
হবে।
অনেক ভালবাসি তারা তোমাকে।
তোমাকেও ভালবাসতে হবে আমাকে। আমি
জানি তোমার মনে আমার জন্য জায়গা তৈরি
হচ্ছে।
আরেক্টু কস্ট করো সোনা।
এরপর তোমাকে আমার মনের রানি করে
রাখব।

দিয়া- ভাইয়া কোথায় হারিয়ে গেলেন? ?

মেঘ – না তো।
চল শুরু করি।

তারা- কি যেন ১ টা হিন্দি গানে ওরা
নাচছে।
কিন্তু মনে হচ্ছে আমার হার্টের উপর কেউ
পাড়া মারছে।
থাকতে পারলাম না।
নিচে চলে আসলাম।
বাহ বাহ এখন নাচা ও হচ্ছে।
ভালো তো ভালো না।
হুহ।
আমার কি।
মেয়েতো জুটিয়েই ফেলেছে।

মেঘ – কি বক বক করছ?

তারা- আপনি এইখানে কেন? ?
নাচা শেষ।

মেঘ – হ্যা তা তো শেষ ই।
দিয়া খিব ভাল নাচে।

তারা- উনার পাঞ্জাবিরর কলার ধরে।
তো ওর কাছে যান না। এইখানে কি করেন।

মেঘ – তা ত যাবই।
।তোমার কাছে থেকে কি লাভ

তারা- কিহ।
আর ওরা যখন সত্যি টা জানবে তখন।?

মেঘ – কি সত্যি বিয়ে ত আর হয়নি।
ঠিক হয়েছিল।
তাও তুমি ভেগেছ।
এইখানে এসেছ।
তারমানে তুমি রাজিনা।
সো নো প্রব্লেম।

তারা- তাকে ছেড়ে খাটে বসলাম।
তাহলে যান এইখান থেকে।

মেঘ – মেয়েটা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদছে।
মনে হচ্ছে জরিয়ে ধরে বলি আমি শুধু
তোমার।
চোখের পানি মুছে দেই।
কিন্তু না। আমি জানি ও ওর মনের কথা
আমাকে বলবেই)
চলে আসলাম।
বেশি ক্ষন দারিয়ে থাকলে হয়ত নিজেকে
সামলাতে পারব না।

মিনু – ডোজ বেশি দিয়ে দিও না।
মেয়েটা যেমন জেদি তেমন অভিমানি।
কি যে করে বসবে? ?

মেঘ – ওর কিছু হতে দিলে তো।
ওকে দেখো।
আমি যাই।

মিনু – কিরে কাঁদছিস কেন?

তারা- মিনু কে জরিয়ে ধরে আমি আর পারছি
নারে।
সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।

মিনু – কি শেষ হয়ে যাচ্ছে?

তারা- না না কিছুনা।
বাবাকে মনে পরছে।

মিনু – এই কথা তো ফোন দে।

তারা- না না আমার দ্বারা হবেনা।

মিনু – আচ্ছা দিতে হবেনা।
ঘুমা।
কাল কিন্তু মেহেন্দি।

তারা- হুম।

সকালে –
তারা-
সবাই ব্যস্ত।
আমি মেঘ কে খুজে বেড়াচ্ছি আর কাজ
করছি।
ওর কোনো দেখা নেই।
পিছন থেকে :হাই

তারা- পিছনে ঘুড়লাম।
আপনি কে?

নাবিল – নাবিল।

তারা- চিনলাম নাতো।

নাবিল – সপ্নের বন্ধু

তারা- ও আচ্ছা।
আমার একটু কাজ আছে বাই।

মেঘ – ছেলেটাকে অনেক ক্ষন ধরে দেখছি
তারার পিছন পিছন ঘুড়তে।

তারা- হঠাত মেঘের সামনে পরলাম।
ও এইখানে কাজ দেখাচ্ছে।

নাবিল – আরে আপনার সাথে একটু কথা আছে।

তারা( মেঘ কে দেখিয়ে দেখিয়ে)
হ্যা বলুন।

মেঘ – কি এত কথা বলছে।
কিন্তু রিয়েক্ট করা যাবেনা।

তারা- ওমা একি।
উনি তো রিয়েক্ট করছেন না।
উল্টা চলে গেল এইখান থেকে।
দুর।

নাবিল – হ্যালো কই হারায় গেলেন।

তারা- আমার কাজ আছে আপনি থাকুন।

(যেটার জন্য কথা বললাম সেটা তো হলনা)

সন্ধা –
মিনু – কিরে রেডি হইস নি কেন?

তারা- কি পরব বল তো।
শাড়ি তো সামলাতে পারিনা।

মিনু – আরে নো টেনশন।
এইনে।

তারা- এটা কি?

মিনু – কথা না বলে রেডি হয়ে আয়।

তারা- বাহ সুন্দর ১ টা লেহেংগা।
নিচের পার্ট সবুজ। উপরের টা হলুদ।
ওড়না টা সবুজ।

রেডি হয়ে বের হলাম।
মিনু দোস্ত ফিতাটা বেধে দে না।
পারছিনা।

থ্যাক্স বলে পিছন ঘুড়ে দেখি——-
আপনিইইইই!!!
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *