বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ২৩

তারা- উফফ শাড়ি পরে আমি আর থাকতে
পারছিনারে।

মিনু – আচ্ছা ঠিক আছে দিয়ার জামা
পরবি? ?

তারা- হ্যা তাই এনে দে।

মিনু – আচ্ছা দাড়া।

তারা- দুর মানুষ শাড়ি পরে থাকে কেমনে? ।
আচ্ছা ভাল কথা ওই মেঘ ভাল্লুক টা কই? ???
দিয়ার কাছে নাকি? ??

মিনু – নে ধর।

তারা – এইটা আবার কি? ?

মিনু – চোখে দেখিস না।
এইটা লং স্কার্ট
আর টি শার্ট আর এইটা স্কার্ফ। ।
তারা- আরে বাস!!! এতেই হবে। অনেক দিন পর
পরার সুযোগ পেলাম। ।
মিনু – আচ্ছা রেডি হ।
আমি রেডি হয়ে নেই।

তারা- (নিচের পার্ট নীল উপরের টা কালো।
আর স্কার্ফ ও নীল)
রেডি হয়ে বের হলাম।

মেঘ – তারাকে দেখে চোখ সরাতে
পারছিনা।
এত সুন্দর লাগছে।

তারা- এখন ও দিয়ার আর ওর দলবল এর সাথে
কি করে এই পোলা।
শয়তান একটা।

মিনু – দোস্ত সমস্যা হয়ে গেছে? ? ।
আমি যেতে পারছিনা।খুব জরুরি কাজ এসে
গেছে।

তারা- এখন কি হবে? ?

মিনু – দাড়া।
আরে ওই তো মেঘ ভাই।
ভাইয়া! ! ভাইয়া!!

মেঘ – হ্যা বল।

মিনু – আপনি তারার সাথে যান না প্লিজ
শপিং এ।আমি যেতে পারছিনা এখন। ।
তারা- না থাক আমি একাই পারব।ওকে যেতে
হবেনা।

মেঘ – ok as ur wish.আমি তোমাকে
bother করতে চাই না।

তারা- আমি আকাশ থেকে পরলাম। ইনি কি
সত্যি মেঘ! ???
কারন আগে তো জোর করে সব কিছু করত আর
এখন!!!!!
ওহহ অন্য মেয়ে পেয়ে আমার দাম শেষ
তাইনা।
রাগে দু:খে জ্বলতে জ্বলতে আর রুটির মত
ফুলতে ফুলতে আচ্ছা আচ্ছা আমিও বলিনি
আপনাকে যেতে।
আমি একাই পারব।

মেঘ – ওকে যাও।
আমার কি? ?

তারা- বাসা থেকে বের হয় মার্কেট চলে
গেলাম।
শপিং করতে করতে অনেক টা দেরি হয়ে
গেল।
আকাশ এর অবস্থা ও ভাল না। তাড়াতাড়ি
যাই।
আচ্ছা কি যেন ঠিকানা ছিল। আমার ত মনে
পরছেনা।ফোন করে যেনে নেই। ফোন বের
করতে যেয়ে দেখি ফোন নেই। ।
মেঘ – কত দেরি হয়ে গেল।
ওর এখনও খবর নেই।
এত কি কেনাকাটা করছে আল্লাহ জানে। ।
তারা- এখন আমি কি করি? ? কোন দিক
যাই? ? কার ও নাম্বার ও মনে পরছেনা। এখন
কি করব আমি।আস্তে আস্তে বৃষ্টি নামা শুরু
করে দিল।
অনেকে চলে যাচ্ছে।
আমি একা দাড়িয়ে- আছি।
রাত বাড়ছে।
বৃষ্টি কমতেই আমি রাস্তা দিয়ে হাটা শুরু
করলাম।
কোন দিক যাব কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম
না।
বৃষ্টির বেগ আবার বাড়ল। বন্ধ একটা
দোকানের সামনে নে যেয়ে দাড়ালাম।
খুব কান্না পাচ্ছে।
বসে হাটুতে মাথা রাখলাম।

হঠাত কে যেন ডেকে উঠল।

মাথা উচু করলাম।

মেঘ – এই মেয়ে এখানে বসে কি কর। 25
তারা- সাত পাচ ভাবলাম না।দৌড়ে গিয়ে
জরিয়ে ধরলাম।
তার বুকে গিয়ে মনে হল আমার আর ভয় নেই।
সেতো আছে আমাকে বাচাতে।

মেঘ – ওরে আল্লাহ আস্তে আস্তে। এত জরে
ধরে কেউ(কথাটা ওকে হাল্কা ফিল করানোর
জন্য বললাম।
অনেক ভয় পাইছে মেয়েটা।ওকে না দেখে
আমার ও যে কি হইছিল সেটা আল্লাহ আর
আমি জানি)
হইছে আর কাদতে হবেনা।
দেখি দেখি মুখ উচু করে দেখলাম চোখ মুখ
ফুলে সেই অবস্থা।
তার উপর সেই আকারে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায়
চোখে কিছু দেখা যাচ্ছেনা। এই রাস্তায়
আমরা ২ জন এইভাবে দারিয়ে আছি।
মানুষ দেখলে কি ভাববে বল।

তারা- আমি তাকে ছেড়ে দারালাম। কিন্তু
তার হাত ছাড়িনি। শক্ত করে আমার ২ হাত
দিয়ে তার ১ হাত ধরে রেখেছি।
মেঘ – আসো ওই দোকানের সামনে দাড়াই।
রাত ১০ টা এখন সামান্য কমেছে। (১ টা
রিক্সা পেয়ে গেলাম। উঠে পড়লাম ২ জন ই।
তারা এখন ও শক্ত করে আমার হাত ধরে
আছে।
অনেক ভয়ে আছে মেয়েটা।)
কি আর এইভাবে কখন ও বের হবে? ?? আমার
কথা না শুনে? ?

তারা- আমি কিছু বললাম না। কারন ভুল
আসলেই আমার ছিল। আমি এত জিদ কেন করি
মাঝে মাঝে। তার কাধে আস্তে করে মাথা
রাখলাম। ।
মেঘ -( ওরে বাস! মেয়ে লাইনে এসে গেসে।
thank u sylhet. এইখানে না আসলে তারাকে
পেতাম না)

কি ম্যাডাম কিছু বলুন।
চেয়ে দেখি তারা চোখ বন্ধ করে আছে। ।
ওর মাথায় হাত রাখলাম।

এই যে উঠ চলে এসেছি। তারা!!!তারা!”!
যাহ ঘুমিয়ে গেছে।
কোনো উপায় নেই।ভাড়া মিটিয়ে কোলে
তুলে নিয়ে বাড়ির মধ্যে গেলাম। সবাই- কি
হয়েছে ও ঠিক আছে তো। ।
মেঘ – হ্যা। ওই ১টু ভয় পাইছে এই আর কি। ।
মিনু – এই মেয়ে কখন ও কারো কথা শুনেনা।
ভিজে কি অবস্থা। আমি ওর জামা বদলানোর
ব্যবস্থা করি।তুমি ভাইয়া যাও রুমে শুইয়ে
দিয়ে আসো।

মেঘ – রুমে গিয়ে বিছানা তে শুয়ে দিয়া
আসলাম।
উঠতে যেয়ে দেখি শার্ট
শক্ত করে ধরে রেখেছে।

আমি বসলাম খাট এর পাশে নিচে। ওর আজ
কিছু হয়ে গেলে আমি তো মরে যেতাম।
আমার জোর করেই যাওয়া দরকার ছিল। ডোজ
দিতে যেয়ে কেন যে গেলাম না। ।
মিনু – অনেক ভালবাসো না ওকে? ? ।
মেঘ – হঠাত এমন প্রশ্ন তে কি উত্তর দিব বুঝে
পাচ্ছিলাম।
ইয়ে মানে হ্যা মানে।

মিনু – থাক মানে মানে করতে হবেনা। আমি
আগেই বুঝেছি।

মেঘ – কিছু লাগলে আমাকে বল।

মিনু – হুম।

সকালে- সকালে ঘুম ভাংল।
আজ ও ১০ টা উফফ এইটা বিয়ে বাড়ি। কাল
মেহেন্দি।
আজ কত কাজ।
কিন্তু আমার জন্য এদের মনে হচ্ছে কাজের
প্রব্লেম হয়ে যাচ্ছে।
আমার চলে যাওয়াই ভাল।

মিনু – থাপ্পড় একটাও মাটিতে পরবেমা
বুঝলি।
তোকে কে বলছে আমাদের প্রব্লেম হচ্ছে? ?
বেশি বেশি সবসময় তাইনা।

নে ফ্রেশ হয়ে নে।
ফ্রেশ হয়ে এটা পরে আয়।

দিয়ার জামা আমি পরলে ও কি পরবে? ? ।
মিনু – তোমাকে ওত ভাবতে হবেনা। শপিং
করতে যেয়ে যা করেছ। জামা কাপড় কই
গেলে এসেছিস কে জানে। মেঘ ভাইয়া না
থাকলে যে কি হত। ।
তারা- আসলেই তো।
আমি কখন ঘুমিয়ে গেছিলাম???? আমার ত
কিছু মনে পরে না।

আচ্ছা ও কই??

মিনু – ছাদে আছে।

তারা- আচ্ছা আমি যাই।

মিনু – আগে ফ্রেশ হবি খাবি তারপর। ।
তারা- দেরি হয়ে যাবে.

মিনু – কিসের দেরি যা বলছি যা। ।
তারা- ফ্রেশ হয়ে খেতে খেতে দেরি হয়ে
গেল।
এখন ও কি ছাদে আছে নাকি। ছাদের সামনে
গেলাম।
সবাই মিলে নিচে গোল হয়ে বসে আছে।
মেঘের হাতে গিটার।
ও গান গাচ্ছে।
ওর গানের মধ্যে আমি ডুব দিয়েছি।
.
আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে তুমি আনমনে,
বসে আছ
আকাশ পানে দৃষ্টি উদাস
আমি তোমার জন্য এনে দেব
মেঘ থেকে বৃষ্টির ঝির ঝির হাওয়া সে
হাওয়ায় ভেসে যাবে তুমি। আজ তোমার
চোখের কোনে জল বৃষ্টি ও অবিরাম কাদে
তোমার সাথে সাথে (২)
আমার পথে পথে (২)
আমি তোমার জন্য এনে দেব রোদেলা সে
ক্ষণ
পাখি কে করে দেব তোমার আপনজন পরি
তুমি ভাসবে মেঘের ভাঁজে। আজ তোমার
জ্যোৎস্না হারাই আলো প্রজাপতির ডানাই
বিষাদ করে ভোর যখন তখন (২) বিষাদ করে
ভোর
আমি তোমার জন্য এনে দেব অঝোর শ্রাবণ
আকাশ ছোঁয়া জল জ্যোৎস্নায় পরি তুমি
ভাসবে মেঘের ভাঁজে।””
ঘোর ভাংল।

দিয়া- আপি তোমার কি ছাদে আসতে মানা?

তারা- কেন?

দিয়া- সবসময় তো ওইখানেই দারিয়ে থাকো।

তারা- মেঘের দিকে তাকালাম। ও হেসে মুখ
ঘুরিয়ে নিল। ছাদে যেয়ে যেই ওর পাশে
বসতে যাব দিয়ার এক বান্ধবী বসে পরল।
আমি দারিয়ে রইলাম রেলিং এ হেলান
দিয়া।

দিয়া- ভাইয়া গান কিন্তু খুব সুন্দর ছিল।
কাল্কে কিন্তু মেহেন্দি তে আপনাকে গান
গাইতে হবে।

মেঘ – হ্যা অবশ্যই
কারো কারো কাছে পছন্দ নাও হতে পারে
কিন্তু তোমাদের হলেই হবে ( তারার দিকে
তাকিয়ে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *