বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 20

তিথি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,মা চলে যায় রুমের দরজা লাগিয়ে দেয় আবিরের কথা গুলো কেন জানি খুব গায়ে লাগে তিথির কাছে,,,খুব কান্না পাচ্ছে আবিরের ব্যবহারে আবির এইভাবে কথা কথা বলবে ভাবতে পারে নাই,,,চোখের পানি মুছে নেয় আর ভাভে আবির কেন এমন করছে সে সত্যি জেনেই নিবে তিথি,,তার দোষ কি যার জন্য আবির এমন করছে,,,
আবির ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে তিথি বসে বসে কি ভাবছে,,,,তিথিকে তেমন পাত্তা না দিয়ে বের হয়ে যায়,,,তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে ভাবছে কিছু বলবে কিন্তু না বলেই চলে গেলো এইভাবে,,,,
তিথি নিচে নামে দেখে আবির নাই অইখানে,,,
তিথিঃ খাদিজা তোমার ভাইজান কই জানো???
খাদিজাঃ ভাবিমনি ভাইজান তো বের গয়ে গেছে গাড়ি নিয়া,,,খালাম্মা নাস্তা করতে কইছে কিন্তু উনি না খাইয়া গেছে গা,,,,
তিথি কিছু বলে না চুপ করে আছে,,,নাস্তা খেতে গিয়ে ও কেন জানি আজ খেতে পারছে না,,আবিরের বলা কথা গুলো কেন জানিবকানে ভাসছে আবির কি বুজাতে চেয়েছে তাকে আর কেন এমন করছে সব কিছু যেন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে,,,,
কিছু ক্ষন পর আরিশার এক ফ্রেন্ড আসে আহাদ,,আহাদ এসেই তিথিকে সালাম দেয়,
তিথিঃ কে আপনি??
আহাদঃ আমি আরিশার ফ্রেন্ড আহাদ,আসলে ওর কোনো খুজ খবর নাই অনেক চিন্তা হচ্ছে তাই কল মেসেজ অনেক দিয়েছি কিন্তু রিপ্লাই দেই নাই,,তাই চলে আসলাম,,
তিথিঃ অহ আচ্ছা আরিশা রুমে আছে,,,
আহাদঃ আপনি কে? ঠিক চিনতে পারলাম না,,,
তিথিঃ আমি আরিশার ভাবি,,
আহাদঃ মানে আবির ভাই বিয়ে করছে??
তিথিঃ হুম
আহাদঃ ওহ এই জন্য আরিশা কলেজ আসে না,,,
তিথিঃ আচ্ছা আসেন আমি নিয়ে যাই,,,
আহাদঃ আরিশার ভাবি মানে আমার ভাবি,,আমাকে আপনি তুমি করে বলতে পারেন,,,
তিথিঃ ওহ তাই তাহলে তো ভালোই,,,
তিথি আহাদ কে নিয়ে আরিশার রুমে যায়,,আরিশা ছবি আকঁছে,,৷ হাতে ব্যান্ডিস করা তবুও সে ছবি আকঁতে ব্যস্ত,,,,
তিথিঃআরু
আরিশা পিছনে ফিরে বলে
আরিশাঃ আরে ভাবি তুমি,,,
তিথিঃ তোমার সাথে দেখা করতে একজন এসেছে,,,
আরিশাঃ কে??আমান???
তিথি আরিশার মুখে দেখে এক রাশ খুশি,,,আমান এসেছে ভেবেই আরিশা এগিয়ে এসে বলে
আরিশাঃ কই আমান???
আহাদ এগিয়ে এসে বলে
আহাদঃ আমি এসেছি আরু,,,তোর সাথে দেখা করতে,,,
আরিশাঃ ওহ তুই,,,কেন এসেছিস??
আহাদঃ আমার চিন্তা হচ্ছিলো তোর জন্য তাই এসেছি,,,
তিথিঃ আচ্ছা তোমরা গল্প করো আমি নাস্তা পাঠাছি,,,
তিথি চলে যায়,,,
আহাদঃ তুই সব সময় আমান আমান করা বন্ধ করবি আরু,,,
আরিশাঃ তোর এতো সমস্যা কোথায় হ্যাঁ??? সব সময় তুই এতো বিরক্তি হস কেন আমানের নাম শুনে,,আমি আমানকে অনেক ভালোবাসি ওকে,,,
আহাদঃ আর আমান কি তোকে ভালোবাসে???দেখ আরু যে তোকে ভালোবাসে তাকে ভালোবাসতে শিখ,,অযথা এমন ভালোবাসা এর উপর নির্ভর হইস না যা কখনো হবে না,,
আরিশা প্রচুর রেগে যায়,,,
আরিশাঃ এই তোর সমস্যা কি হ্যাঁ লেকচার দিতে এসেছিস যা তো এখান থেকে,,,,
আহাদঃ তুই আগে আমাকে বল তুই পাগলামি গুলো কবে বন্ধ করবি,,,,আর কত দিন এইভাবে নিজে নিজে কষ্ট পাবি,,,
আরিশাঃ আমি কষ্ট পাই যা ইচ্ছে পাই এতে তোর কি?দেখ আহাদ বন্ধু বন্ধুর মত থাক বুজলি,,,
আহাদঃ আমার সমস্যা আছে বলে তো পাগলের মত ছুটে আসলাম আমি,,,
তিথি খাদিজাকে দিয়ে নাস্তা আনায়,,,রুমে ঢুকে দেখে আহাদ আরিশার হাত ধরে বলে
আহাদঃ কেন বুজিস না আরু আমি তোকে অনেক ভালোবাসি,,,সত্যি আরু আমার থেকে কেউ তোকে বেশি ভালোবাসতে পারবে না,,,
আরিশাঃ হাজার বার বলছি আজ আবার বলতেছি আমি তোকে বন্ধু ভাবি এর চেয়ে বেশি না,,, আর আমি আমানকে ভালোবাসি,,,আমান ছাড়া আর কাউকে ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব না,,,,
তিথিঃ আরু আহাদ তোমরা নাস্তা করে নাও,,

আহাদ রেগে চলে যেতে লাগে,,,
তিথিঃ আহাদ নাস্তা তো করে যাও
আহাদঃ না ভাবি পেট ভরে গেছে আমার,,,,
আরিশাঃ ভাবি যেতে দাও ওকে,,,
আহাদ আরিশার কাছে এসে বলে যায়
আহাদঃ অনেক আফসোস করবি অনেক,,, কিন্তু মনে রাখবি আরু যত বার ধাক্কা খেয়ে পিছনে যাবি ততবার এই আহাদ কে পাবি,,,আমি তোর জন্য সব সময় অপেক্ষা করবো সব সময়,,,
আহাদ চলে যায় আরিশা তেমন পাত্তা না দিয়ে ছবি আকাঁতে ব্যস্ত হয়ে যায়,,তিথি আরিশার সামনে আসে ছবি আকাঁর ব্রাশ গুলেো তিথির সামনে এগিয়ে দিয়ে বলে
তিথিঃ ভালো জীবন সাথীর মাঝে আমরা বন্ধুত্ব আগে খুজি,,কারণ একজন ভালো বন্ধু কিন্তু ভালো জীবন সাথী হতে পারে,,,
আরিশাঃ মানে???
তিথিঃ একজন ভালো বন্ধু যেমন তোমায় জানবে,,বুজবে সব সময় সার্পোট করবে,,,আর সব চেয়ে বড় কথা যখন অই বন্ধু টি তোমায় অনেক ভালোবাসে,,,,
আরিশাঃ ভাবি প্লিজ যা জানো না তা নিয়ে কথা বলিও না,,,আমি আমান কে ভালোবাসি ছোট থেকে আর আমি আমানকেই চাই
তিথিঃ হুম আমি জানি না হয়তো অনেক কিছু,,কিন্তু আরু যে তোমায় ভালোবাসে তাকে ভালোবাসতে শিখিও তাকে নয় যে তোমায় কখনো অই নজরে পর্যন্ত দেখে নাই,,,আমার কথায় খারাপ লাগলে সরি,,,কিন্তু ভেবে দেখিও ভালো বন্ধু কিন্তু ভালো জীবন সাথে হতে পারে,,আর হয়তো তাকে ভালোবাসা উচিত যে তোমায় ভালোবাসে তাকে নয় যে তোমাকে কখনো চায় নাই,,,
তিথি চলে যায় আরিশা ভাবতে থাকে তিথির কথা গুলো,,,,
এইদিকে তিথি রুমে গিয়ে আমানের ফোন কল দেয় আমানের কি অবস্থা জানার জন্য কিন্তু আমান রিসিভ করে নাই,,,তিথির চিন্তা হচ্ছে তিশাকে কি পেয়েছে,,
মা রুমে এসে তিথির কাছে গিয়ে বলে
মাঃ তিথি কিছু কথা ছিলো৷
তিথিঃ জ্বি মা বলুন,,,
মাঃ কাল তোমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান,,,সবাই আসবে কিন্তু তোমার ফ্যামিলি এর মধ্যে কাউকে তো জানানো হলো না আর না তাদের আমরা জানি,,
পরিবার এর কথা শুনেই তিথির চোখে পানি এসে যায়,,সে তো জানে ও তার বাবা কেমন আছে কি অবস্থায় আছে,,,মা বাবা ভাই সবাই কে যে অনেক মিস করছে,,,চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে
মাঃ মিস করছো বুজি ওদের?
তিথিঃ আমার ভুলের কারনে আজ তারা আমাকে ঘৃনা করে মা,
মাঃ বাবা-মা কখনো সন্তানকে ঘৃনা করতে পারে না যত কিছু হোক,,,হয়তো কিছু টা অভিমান করে আছে কিন্তু কেটে যাবে তা
তিথিঃ আমি যে অনেক বড় ভুল করেছি,,,তাদের না জানিয়ে বিয়ে করেছি,,,,
মাঃ রাগ আমার ও হয়েছে কিন্তু সত্যি বলতে আমি অনেক খুশি,,,,তোমার বাবা-মা তোমাকে অনেক ভালোবাসে তারা হয়তো কিছু টা অভিমান করে আছে কিন্তু দেখবে সব কিছু আগের মত ঠিক হয়ে যাবে,,তাদের ঠিকানা আর নাম্বার দাও আমি নিজে গিয়ে ঠিক করবো সব ওকে,,,,
তিথিঃ সত্যি বলছেন মা??আপনি সত্যি যাবেন?
মাঃ হুম আমার এই মেয়েটার খুশির জন্য তো করতেই হবে,,,কিন্তু একটা শর্ত আছে
তিথিঃ(এরা কি সব কিছু করাতে শর্ত দিয়ে করায়,,,যখন দেখি সবাই শর্ত দেয়)
মাঃ কি হলো চুপ যে?
তিথিঃ না না বলেন কি শর্ত?

মাঃ আমাকে এক কাফ চা যদি বানিয়ে খাওয়াও,,,
তিথি মুচকি হেসে বলে
তিথিঃ শুধু চা?আমি তো অনেক কিছু পারি চলেন চলেন আজ আমি বানিয়ে খাওয়াচ্ছি,,,
তিথি আর মা চলে যায়,,ফোন টা রুমে রেখে যায়,,,অনেক বেলা হয়ে যায় আবির বাড়ি ফিরে এসে দেখে সবাই গল্প করছে আর তিথি ও সবার সাথে হেসে হেসে গল্প করছে,,তেমন একটা পাত্তা না দিয়ে রুমে চলে যায়,,,
রুমে গিয়েই বসে ফোন টা বের করে রাখে ভাবে কি করবে এখন,,,তিথির ফোন পাশে রাখাই ফোনে রিং বেজে উঠে আবির তেমন পাত্তা না দিয়েই নিজের মত নিজের ফোন নিয়েই ফেসবুকের নিউজফিড ঘুরতে থাকে,,,,তিথির ফোন বেজেই যাচ্ছে সে কখন থেকে আবির কিছু টা বিরক্তি হয়ে যায় ভাবে এতো কল কে দিচ্ছে
আবিরঃ এই মিস বকবক কে কল কে দিচ্ছে এতো,,,হয়তো তার মা দিচ্ছে একবার কি দেখবো না না দেখবো না পরে আবার ক্যাচক্যাচ করা শুরু করবে যা বিরক্তিকর,,,
ফোনের রিং আবার বেজে উঠে আবির ফোন টা নিয়ে ভাবে তিথিকে দিবে কিন্তু স্কিনে ভেবে উঠা নাম টা দেখেই যেন আবিরের রাগ উঠে যায় প্রচুর পরিমাণ রাগ উঠে রক্ত যেন মাথায় উঠে যায় জিদে তিথির ফোনটা ফ্লোরে আছাড় মারে,,ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়,,,প্রচুর রাগ লাগে আমানের কল দেখে আবিরের জিদ বেড়ে যায় এইভাবে যে বিয়ের পর ও তিথির সাথে আমানের যোগাযোগ আছে,, রুম থেকে রেগে বের হয়ে যায় ছাদে গিয়ে বসে আছে
এই দিকে তিথি রুমে আসে এসেই দেখে তার ফোন ভাঙ্গা নিচে পরে আছে,,ফোন টা নিয়ে ভাবতে থাকে এমন হলো কিভাবে,,
তিথিঃ আমি তো ফোন বিছানার উপর রেখেছি কিন্তু এইভাবে ভাঙ্গলো কিভাবে?? রুমে কে এসেছিলো??
আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নাই,,কিন্তু আবিরের জুতা দেখে বুজতে আর বাকি রইলো না যে আবির এসেছে আর তার ফোন ভেঙ্গেছে,,
তিথিঃ এই লোকের সমস্যা কোথায় আসলে??সব সময় কেন আমার সাথে এইভাবে ব্যবহার করে,,,,
তিথির কেমন যেন খারাপ লাগছে,,,আবির সব সময় তিথির সাথে বাজে ব্যবহার করে এইভাবে তার ফোন টা ভেঙ্গে দিলো যে তিথির বেশি কান্না পায়,,,ফোনে তার বাবা-মা ভাইয়ের অনেক গুলো ছবি,,,সামিরের জন্মদিনের ছবি গুলো ও রয়েছে যা দেখে দেখে হয়তো অনেক টা সময় কাটায় কিন্তু এখন কিভাবে সে ছবি গুলো দেখবে,,,
তিথিঃ আপনি অনেক খারাপ মিস্টার আবির রহমান অনেক ((কান্না করে করে)
তিথি রুমের এক পাশে বসে বসে কান্না করতে থাকে,,,অনেক ক্ষন পর আবির রুমে আসে এসে দেখে তিথি কান্না করছে,,,হাতের মধ্যে ফোন দেখেই ভাবে
আবিরঃ(আমানের সাথে কথা বলা অফ হয়ে গেছে বলে এখন কান্না করছে,,,)
তিথি আবিরকে দেখে উঠে আসে,,,
তিথিঃ আপনার সমস্যা টা আসলে কি বলবেন হ্যাঁ? কেন আমার ফোন টা ভেঙ্গে ফেললেন??আপনি কি আসলেই মানুষ???
তিথি চিল্লাই কথা গুলো বলে,,,আবির তিথির গাল চেপে ধরে হাত একটা পিছনে মুচড়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ আমার সাথে নেক্সট টাইম কথা বললে গলা নামিয়ে কথা বলবে ওকে,,আর গলা উঁচু করে কথা বলার সাহস পাও কই তুমি হ্যাঁ????
তিথির হাতে অনেক টা ব্যাথা লাগে,,আবির এইভাবে হাত মুচড়ে আছে যে তিথির হাতে অনেক টা ব্যাথা লাগছে,,,খুব রাগ লাগছে তিথির আবিরের উপরে আবিরকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে

তিথিঃ আপনি আসলে একটা অমানুষ সব সময় নিজের মন মত করেন ভাবেন টা কি আপনি হ্যাঁ,,,আপনার যখন ইচ্ছে হবে বিয়ে করবেন যখন ইচ্ছা হবে কাছে টেনে নিবেন আর যখন ইচ্ছে হবে ছুড়ে দূরে সরিয়ে দিবেন,,
তিথির কথা গুলো আবিরের কাছে অনেক টা বিরক্তি লাগে,,,,তিথির মুখ চেপে ধরে বলে
আবিরঃ তুমি মেয়ে বলে বেঁচে গেলে না হলে থাপ্পড় মেরে দাঁত সব ফেলে দিতাম,,আমার যা ইচ্ছে আমি করবো চুপচাপ তাই করবে যা আমি বলবো,,,,আমার কথার উপর যদি আর একবার কথা বলো তাহলে দেখবে কি করি অইদিন,,,
তিথি আবিরকে এইবার জোরেই ধাক্কা দেয়,,,
তিথিঃ কি করবেন মেরে ফেলবেন তো??এই ছাড়া আর কি করতে পারবেন আপনি?আপনি শুধু পারবেন অযথা বিনা কারনে মানুষকে অত্যাচার করতে,,,
আবিরঃ আমি অযথা কিছু করছি না ওকে,,তোমার কর্মের ফল তুমি পাচ্ছো,,,
তিথি আবিরের শার্টের কলার ধরে বলে
তিথিঃ আজ আপনি উত্তর দিবেন আমার সাথে কেন করছেন আপনি?? এইভাবে কিভাবে চলবে বলুন
আবির তিথিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়,,,তিথির গাল চেপে ধরে বলে
আবিরঃ আজ যে সাহস দেখালে তা নেক্সট টাইম যেন আর না করো,,,,,তুমি আমাকে যে থাপ্পড় মেরেছিলে তার প্রতিশোধ ভেবে নাও বুজলে,,,আর হ্যাঁ আজকের পর আমার সাথে গলা নামিয়ে কথা বলবে না হলে হয়তো অনেক টা খারাপ হবে,,,,,,
আবির রুম থেকে গেস্ট রুমে চলে যায়,,তিথি বসে আছে আর কান্না করতে থাকে,,,আবির কেন তার সাথে এতো বাজে ব্যবহার করছে,,,হাতে অনেক টা লাল হয়ে যায়,,,,ব্যাথা ও করছে হাতটা,,,আবিরের প্রতি আজ তিথির রাগ লাগছে আবির কি চাচ্ছে আসলে আজ,,,,
চলবে,,,,,,,,,