প্রাক্তন

প্রাক্তন 2 !! Part- 19 ( অন্তিম পর্ব )

বলে ই ওখান থেকে চলে এসে।পুরোনো আড্ডায় যেতে চাচ্ছিলাম কে জানি পিছন থেকে আমাকে টেনে নিলো।চ্যেচানোর উপায় নেই মুখ টা ধরে রেখেছে।টেনে এনে গার্ডেন এর ধাক্কা মারলো।ভাগ্য ভালো সামনে নিয়েছে!

কি মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে নাকি?(আমি)
__হ্যা হয়ে গেছে।ভালো থাকতে দিচ্ছিস তুই?(সমুদ্র)
মানে? আমি কি করলাম?
__এই গোলায় কিসের দাগ? লাভ বাইট?
কিহ?
__স্পর্শ এর লাভ বাইট? বাহ উন্নতি দেখি।
আজব কি আবোলতাবোল বকতেছো?

সে আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না নিয়ে পোকার কামড়ে কামড় বসালো!আমি ব্যথায় কোকরিয়ে উঠলাম।

আহহ আমার লাগছে!(আমি)
__খুব লাগছে না? খুব?(আমায় কাছে টেনে)

কথা টা শুনে পুরো কেপে উঠলাম।তার চোখের দিকে তাকালাম চোখ রক্ত বর্ন ওর।আমি এক ধাক্কা মেরে বললাম,

কুত্তা পোকার কামড় এইটা। কারো লাভ বাইট না।কোনো স্পর্শ এর স্পর্শ না।আগে কিছু পোকার কামড় এখন মানুষের ও। মানে তোর কামড়।
রুমে আসতেই সুবহার চোখ পরলো গোলায়,
__আপ্পি কি হয়েছে গোলায়?
পোকা কামড় দিয়েছে।
__ওমা অনেক লাল হয়ে গেছে তো।
কামড় দিয়েছে সুবহা চুমু দেয় নি।
এই জারিফ এন্টিসেফটিক ক্রিম আছে না?
__হুম আমক আনছি দাঁড়াও।(জারিফ)
লাগবেনা আমাকে বল আমি আনছি।
__আরেহ না বোস আমি আনছি।
বললাম না আমাকে বল।(একটু জোরেই বলে ফেলেছি)
__সোজা গিয়ে ডানের রুমে।(গোল গোল চোখ করে তাকিয়ে)
আচ্ছা।

রুমে ঢুকেই বুঝলাম রুম টা সমুদ্রর।ড্রয়ার খুলে এন্টি সেফটিক ক্রিম না পেলেও পেয়েছি এক মেডিকেল ফাইল।তাতে বড় বড় করে লিখা সমুদ্র আহমেদ।আমি পড়া শুরু করলাম।এইটা সাড়ে ৩ বছর আগের ফাইল।পড়ে যা বুঝলাম সমুদ্রর বেইনে ক্লোট হয়েছিলো।আমি পরে ওখনেই বসে গেলাম।মনে হচ্ছে আমার শরীর থেকে কেউ সব শক্তি নিয়ে নিয়েছে।বা আমার পায়ের তলায় মাটি নেই।সমুদ্রর সব ডায়েরী পাতায় রোজ আমাকে নিয়ে কিছু লিখা ছিলো। দিন ক্ষন মাস বছর সময় সেকেন্ড সব লিখা আছে।

হামিংবার্ড,
আমায় ক্ষমা করো গো আজ তোমার সাথে খুব বেশি ই খারাপ ব্যাবহার করে ফেলেছি।আমার কিচ্ছু করার নেই নীরু, আমি নীরুপায়।আমি চাই না আমি যদি চলে যাই তুমি কষ্ট পাও।আজকের খারাপ ব্যাবহার গুলো তোমায় আমাকে ঘৃণা করতে শিখাবে।তুমি কয়েকদিন কষ্ট পাবে কিন্তু দেখো পরে আর কষ্ট হবে না।পরে যদি আমার মৃত্যু ও হয় তুমি কাঁদবে না।আজ আমায় ক্ষমা করো!

আমার চোখ দিয়ে কেনো জানি অনবরত পানি পরেই যাচ্ছে।তার মানে কি সমুদ্র আমাকে এই কারনে……

তুমি? এখানে কি করছো?(সমুদ্র)
__এই গুলো কি সমুদ্র?(শূন্য দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছি)

সমুদ্র কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।আমি তার উত্তর এর আসায় বসে আছি।হাতে ওর ডায়েরী আর রিপোর্টস।
__সমুদ্র আমি তোমার উত্তর এর অপেক্ষায় আছি।(তার দিকে তাকিয়ে)
উত্তর তোমার হাতেই।যা উত্তর তোমার লাগবে সব ওই ডাইরি তে আছে।(অন্য দিকে তাকিয়ে)
__কেনো করলে এমন? এতো টা অবিশ্বাস আমাকে? এত টা?আর আমি পাগলের মত আমার ভুলে খুজে বেড়াচ্ছিলাম।আমার তো দোষ ছিলো না সমুদ্র।আমি তো নীর্দোষ ছিলাম। কেনো শাস্তি দিলে আমায়? কেনো?

দোষ আমার ছিলো।তোমায় জরিয়ে ফেলেছিলাম নিজের সাথে।আমি চাই নি তুমি কষ্ট পাও।আমি যে বেচে যাবো আমি এইটা স্বপ্নেও ভাবি নি।আমি নিজেকে রোজ মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করছিলাম।কিন্তু বেচে গেলাম।তার পর থেকে সুস্থ হওয়া শুরু আর তোমায় হারানোর কষ্ট ভুলতে চাওয়া শুরু।আমার মুখ ছিলো না তোমার সামনে যাওয়ার।তাই অন্য কোথাও তোমাকে খুঁজতে শুরু করলাম।অন্য কারো মাঝে।কিন্তু পাই নি।

আমি পারি নি অন্য কাউকে নিজের ভাবতে।তুমি ভাবিতে।তাই শেষ বেলায় এসে তোমার সামনেই দাঁড়ালাম। (আমার মুখ টা উচিয়ে তার দিকে করে)
__আমাকে বিশ্বাস করতে পারতে না?
তোমার প্রতি বিশ্বাস ছিলো আর এখনো আছে কিন্তু নিজে যে কাজ গুলো করে ছিলাম। তা নিয়ে তোমার সামনে দাঁড়াতে পারছিলাম না।
__এখন কি করে পারছো?এখন লজ্জা লাগছে না? এখন মনে হচ্ছে না তুমি লজ্জিত? (রেগে গিয়ে)

যা সাজা দিবা তাই মাথা পেতে নিবো।
__বিয়ে খাইস তুই আমার সালা ওই স্পর্শ এর সাথে। এবার বুঝবি পেয়ে হারানোর কষ্ট টা কি।আর পাবো পাবো ভেবেও শেষ বেলা শূন্য হাতে থাকার বেদনা টা কি।সে কষ্ট টা কি এইবার বুঝ।রোজ এই কষ্ট নিয়ে আমি ঘুমাইছি।এইবার তোর পালা।(বলেই আমি চলে এলাম)

নিসান আমি বাড়ি যাবো (আমি)
__এখন ই?
হুম এখন ই।
__একটু থাকি?
বাংলা বুঝিস না আমি বাড়ি যাবো!(বেশ চেঁচিয়ে)
__আচ্ছা চল।

বাসায় এসে আমি ঘুম দিলাম।তবে ওষুধ এর সাহায্য নিয়ে।ঘুম থেকে দুপুরে উঠেছি।খাবার টেবিলে গিয়েই দেখি সবাই মুখ দেখা দেখি করছে কিছু বলতে চায় হয়তো।

কিছু বলবে তোমরা?(আমি)
__না মানে আসলে আমরা আমরা বলতে চাচ্ছিলাম যে।না মানে বলবো যে..

কি আমতা আমতা করছো বাবা?সোজা বলো?

__না মানে স্পর্শ রা চাইছিলো যে তোর আর স্পর্শ এর বিয়ে টা যে সুবহার বিয়ের সাথেই হয়।
মানে?(অবাক আমি)
__মানে টানে কিছুনা তুই বিয়ে করবি!(আম্মু)
ভাই জর জবরদস্তি করতেছো কেন?
__আমার কসম তুই বিয়ে করবি!
আজব কসম কই থেকে আসলো?
__যেখান থেকে আসার আসছে। তোরে আমার কসম তুই বিয়ে করবি(মাথার উপর হাত রাইখা দিলো)

সালা আমি আবার আবুল হয়ে গেলাম।আমি আবার বলির পাঠার মত বলি হওয়ার জন্য এইখানে খাইতে আসছিলাম।

বাবা আম্মু রে বুঝাও
__কি বুঝাবো আমিও তো ওইটাই চাই।
আরেহ আজিব!মানে হচ্ছে টা কি?
__এখনো কিচ্ছু হয় নি তবে তুই বিয়ে না করলে আমার মরা মুখ দেখবি।(আম্মু)
খাইছে রে আল্লাহ্‌ আম্মু মরা এত্ত সোজা না বিশ্বাস করো।
__তুই কি ড্যামো দেখতে চাইস?
মরার ও ড্যামো হয়?
__নীরা ফাজলামো করবি না।তুই আমার মাথায় এখনো হাত দিয়ে আছিস।
তো?(অবাক হয়ে)
__তো মানে বল তুই বিয়ে করবি আর সুবহার বিয়ের দিন ই বিয়ে করবি।
কেন বলবো?
__নীরা বল?
আব্বুউউউউউউউ
__বলে দে মা।আজ তোর মা রণচণ্ডী রুপ ধারন করেছে।
আল্লাহ্‌ বাচা😭
__হ্যা বল তাড়াতাড়ি?বল?
হ্যা হ্যা করবো ওই দিন ই বিয়ে করবো।

কথা টা শুনে আম্মু যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পায়ে গেলো কিন্তু আমার কি হবে? আল্লাহ্‌ এখন এক মাত্র স্পর্শ এর যদি খারাপ কিছু থাকে তাইলে ওইটাই আমাকে বাচাবে।নিসান আর আমি মিলে গুরু খুঁজা খুঁজতেছি স্পর্শ এর খারাপ কিছু।কিন্তু পাচ্ছি না।এপাশে আমার সমুদ্রর পাত্তা নাই।সে লাপাত্তা।আজব মানুষ টা গায়েব হয়ে গেলো কেনো।এদিকে হাতে বেশি দিন ও নাই।যদি কিছু না পাই তাইলে আমাকে স্পর্শ কেই বিয়ে করতে হবে।আমি বহু বার স্পর্শ কে বললাম তাকে পছন্দ না কিন্তু সে আমার কথা শোনেই না।কি করবো বুঝতে পারছি না।এদিকে বিয়ে আর ১দিন পর।তাও সমুদ্রর পাত্তা নাই।

যাহ মাথা স্পর্শ রেই বিয়ে করবো যা আছে কপালে দেখা যাবে।এই বলে ঘুমিয়ে গেলাম আজ আমার বিয়ে আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।হঠাৎ করে সকাল থেকে নিসান ও উধাও।যা একটা আশা ছিলো তাও গেলো।সুবহা নাচতে নাচতে কবুল বলতেছে এর পর আমার বলি হওয়ার পালা।হাত পা।ঠান্ডা হয়ে আসতেছে।নীরা পালা।ভালো বুদ্ধু।হ্যা পালাই।ভাবলাম জানালা বেয়ে পালিয়ে যাই।আমার কি আর সেই ভালো ভাগ্য!

নীরা আয়! তোকে ডাকছে(মা)
__হ্যা মা যাই।

আমি গিয়ে বসে গেলাম কবুল বলার জন্য।

মা বলো কবুল??(কাজী)

যেই না কবুল বলতে যাবো কে জেনো আমার কপাল উচিয়ে কপালে ঠোট ছুঁয়ে দিলো।সাথে আবার মুখেও কিছু একটা চেপে ধরলো।

কানে অনেকের ই চেঁচামিচি আসছে।চোখে তুলার আগেই চোখে ঝাপ্সা দেখছি তবে যা মনে হলো আমি চিনি মানুষ টা কে।তারপর আর আমার কিছু মনে নেই।

অন্ধকার একটা ঘর। বাইরের আলো জানালা বেয়ে ঘরে ঢুকছে।তার মানে আমি মরে যাই নাই।কেউ একজন বেলকনি তে বসে সিগারেট খাচ্ছে!

কেউ আছে? হ্যালো কেউ আছেন কি?পানি তেষ্টা পেয়েছে! (আমি)
__ল্যাপ টা অফ করো ওখানে বোতল আছে।
কেহ?
__ঘুমাতে ঘুমাতে কষ্ট চেনার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেললে নাকি?
সমুদ্র?

সে রুমে এলো।ল্যাপ এর আবছা আলোয় তাকে চিনতে আমার সমস্যা হলো না।
__হুম সমুদ্র।সমুদ্র আহমেদ।
আমি এখানে কেনো?
__কিডন্যাপ করা হয়েছে।
আমাকে?কেনো?
__হ্যা তোমাকে। অন্য কাউকে বিয়ে করতে যাও কোন সাহসে তুমি? সাহস তো কম না দেখি। আর এক বার বলেছিলাম না যে যাও খালি অন্য কাউকে বিয়ে করতে তুলে নিয়ে আসবো।মনে পরেছে?

হুম পরেছে।কিন্তু তুমি ঠিকি আমাকে উঠিয়ে নিয়ে আসলে?
__হুম।আসলাম তো।বিশ্বাস হচ্ছে না?
বাবা মা কিছু বলে নি?
__কেম্নে বলবে? তারা তো দেখেই নি।লাইট তো অফফ করে দিয়েছিলাম
এই ওখানে কে?আর কাকে তুলে এনেছো?

সে লাইট টা অন করলো!
দেখি আমার বাবার বয়সি এক ভদ্র লোক।

মাথায় টুপি।সে সোফাতেই ঘুমিয়ে গেছে।

উনি কে?(আমি বেশ অবাক হয়ে)
__কা কা জী( সমুদ্র এক ক্যাবলামো এক হাসি দিয়ে)
উনি ওখানে কেনো?
__উনাকে ও তুলে নিয়ে এসেছি।বেচারা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেছে।দাঁড়াও ডাকছি।

কাজি সাহেব? কাজি সাহেব?উঠুন কোনের ঘুম ভেঙেছে।(সমুদ্র)

কাজি প্রায় হুর মুর করে উঠলো।
কে কোনে কার কোণে?(আমি)
__তুমি কোনে, আমার কোনে।
মানে টা কি ফাজলামো নাকি?
__না তো সিরিয়াস তো।
আমি তোমাকে বিয়ে করবো না।
__কেনো?
প্রথম আমার ফ্যামিলি এখানে নাই আর ২য় আমি তোমাকে বিয়েই করবো না।
__এক মিনিট তোমার ফ্যামিলি আছে।
মানে? কোথায়?
আসছি দাঁড়াও।

আমি ক্যাবলা হয়ে বসে আছি
। আমাকে কাজি সাহেব হয়তো এলিয়ে ভাবছে।সে হয় তো তার জীবনে এমন বিয়ে দেখে নি যেখানে যে কোণের ঘুম থেকে উঠার জন্য অপেক্ষা করতে করতে নিজে ঘুমিয়ে গেছে।
একে একে রুমে সবাই ঢুকলো সমুদ্র,জারিফ,সুবহা,নিসান অবশেষে বাব!
তোমরা ও এখানে?(বেশ অবাক হয়ে)

আমি বাদে রুমের সবাই হ্যা সুচক মাথা নাড়ালো।কাজীও মাথা নাড়ালো।

বাবাহ তোমার মেয়ে কে তুলে নিয়ে এসেছে আর তুমি বসে আছো?(আমি)
__আমাকে ই তুমি নিয়ে আসছে।(বাবা)
হ্যা? সমুদ্র তুমি বাবাকেও…..?

__না আমি তোমার বাবা কে আমি নি?
তাইলে?
__জারিফ এনেছে!
জারিফ?(আমি)
__আমাকে সুবহা বলেছে!
সুবহা?
__আমাকে নিশান ভাইয়া বলেছে!
নিশ?

নিশান তার ডানে খুঁজতেছে সে কেউ আছে নাকি।
__কেউ নাই বাছা আর(আমি)
না আসলে শোন না তোর ওই স্পর্শ একটা সাইকো।ওকে কয়েকদিন আগে এসাইল্যাম থেকে বাসায় এসেছে।ওর একটা ই সমস্যা যা পছন্দ হয় ওর ওইটাই লাগবে সেটা এক টাকার জিনিষ হোক বা পুরো একটা মানুষ।ওর তোকে পছন্দ হয়ে গেছিলো তাই এরকম করছিলো।এখন অবশ্য ওকে আবার এসাইল্যাম এ পাঠানো হয়েছে।কারন তোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এইটাতেও ও আবার পাগল টাইপ্স ব্যাবহার শুধু করে। কি করে এক পাগলের সাথে তোরে বিয়ে দেই বল?

তো এইবার আমরা বিয়ে টা করে ফেলি? কি বলেন আব্বাজান? (সমুদ্র আব্বু কে জিজ্ঞাস করলো)
__হ্যা করে ফেলো।

মা বলো কবুলল ল ল ল?(কাজি)
__না বলবো না।আজব বিয়ে করবো না।(আমি)
কবুল বলবে কেম্নে? ও তো বলতেই জানে না!(সমুদ্র)
__কে বলছে আমি বলতে জানি না?
জানলে তো বলতাই।জানো না বলেই তো বলছো না।
__এই এক দম বাজে বকবা না।কাজী সাহেব আবার বলতে বলেন তো (বেশ রেগে গিয়ে)
মা বলো কবুল?
__কবুল
মা বলো কবুল
__কবুল
মা বলো কবুল
__কবুল
আলহামদুলিল্লাহ বিয়ে সম্পূর্ণ!

__আরেহ আমি তো……..

সবাই আমাকে দেখে হাসছে আর আমি হুতুম প্যাঁচার মত সবার হাসি দেখছি।নীরা তুই একটা আস্ত গাধা।থুক্কু গাধী।হয়েই গেলাম মিসেস নীরা আহমেদ।ধ্যাত ভাল্লাগেনা!!!

গল্প নিয়ে কিছু কথা অবশ্যই পড়বেন!
অনেকেই বলছেন নীরার নাকি আত্মসম্মান বোধ নাই।আচ্ছা আত্ম সম্মান বোধ বলতে অনেকে কি বুঝাইছেন বুঝি নাই।আচ্ছা যেই ফোন টা দিয়ে ফেবু তে লগ ইন করছেন সেই ফোন টার জন্য মায়ের কাছে গালি খান নাই এমন পাব্লিক আছে? বা বাবা অপমান করে নাই এমন পাব্লিক আছে? আচ্ছা তখন কই আত্মসম্মান বোধ থাকে বইন/ভাই?আত্ম সম্মান কারে কয় বুঝেন? বুঝলে আমারে বুঝায় দিয়ে যায়েন।আর ভালোবাসার মানুষের কাছে আত্মসম্মান এর ণাড়া লাগায় বেড়াইলে ছ্যাকা নামক ত্যারা টা খাওয়াই লাগবে।তখন তো আবার পার্টনার এর দোষ সে ভালো না।হ্যান ত্যান!ভালোবাসতে গেলে একটি বেহায়া হতে হয়!সম্পর্ক টা বাঁচিয়ে রাখার জন্য মাঝে মাঝে নিজের মান অপমান বোধ কে একটু মারতে হয়।যাই হোক আপনার চিন্তা ধারা আপনার কাছে আমার টা আমার কাছে।কাউকে পারসোনাল এটাক করি নাই।তার পরেও যদি গায়ে ভাই/বইন ভালো একজন স্কিন স্পেশালিষ্ট এর কাছে যাবেন।আর হ্যা বাসায় থাকুন নিরাপৎ থাকুন।আর নতুন গল্প ৭ দিনেও পেতে পারেন আবার ৭ সপ্তাহেও।তত দিন ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ😍

One thought on “প্রাক্তন 2 !! Part- 19 ( অন্তিম পর্ব )

  • One of the best storys I have ever read
    Just love it😍😍😍
    I also want to read “Parakton 1” whats the link??

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *