1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃপারফেক্ট ভিলেনলেখাঃ মোহনা

পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! লেখাঃ মোহনা

পারফেক্ট ভিলেন 2

☆: hello…. ওরা দেশে ফিরবে তো?
রনি: yes boss… আপনার plan কি কখনো fail হতে পারে?
☆: কবে ফিরবে?
রনি: স্যার… next month এর ৯তারিখ।
☆: মানে আর ১৫দিন পর…
রনি: জী স্যার…
☆: good… মনে থাকে যেন মেরিন বন্যা খান যেন ওই ভার্সিটিতেই admit হয়….
রনি: of course sir… the কবির ফয়সাল খানের মেয়ে তো best varsity তেই admit হবে…. আর best মানে তো এইটাই…
☆: good… রাখছি….
রনি: জী স্যার…
bye sir…
রনি ফোন রেখে দিলো।

(বিঃ দ্রঃ “ পারফেক্ট ভিলেন !! লেখাঃ মোহনা ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

☆: মিস্টার কবির ফয়সাল খান… এখন তুমি কাদার পালা…. তোমার count down শুরু …
তোমার জীবনের সব সুখ-শান্তি সব কেরে নেবো। যেমন করে তুমি কেরে নিয়েছিলে…
তোমার জন্য…. আমাদের আনন্দের পরিবার ছারখার হয়ে গেছে।
মেরিন তো তোমার কলিজা… তাইনা?
তোমার কলিজার জীবন থেকে আমি সুখ ধংব্স করে দিবো… খান পরিবার আমি খান খান করে দিবো…
.
১৫দিনপর…
মেঘ: মিষ্টি কলিজা…
মেরিন: হ্যা ভাইয়া…
মেঘ: এই ভার্সিটিতে তুমি comfortable হবে তো? পছন্দ হয়েছে তো?
মেরিন: হ্যা ভাইয়া…. ভীষন সুন্দর ক্যাম্পাস টা।
মেঘ: law পড়ার জন্য এটাই best varsity…
মেরিন: তবে ১টা কথা আছে।
মেঘ: হ্যা বলো…
মেরিন: আজকে 1st day… তাই তুমি যাচ্ছো। কিন্তু কালকে থেকে কিন্তু আমি একাই যাবো ।
মেঘ: কিন্তু কলিজা…
মেরিন: কোনো কিন্তুনা… আমি একা যাবো মানে একা যাবো… না হলে আমি রাতে খাবোনা…
মেঘ: হায়রে… blackmailer… huh….
মেরিন: 😁
.
মেঘ মেরিনকে নিয়ে ভার্সিটিতে পৌছালো। মেরিনকে দেখে দোলা দৌড়ে এলো। দোলা মেরিনের ছোটবেলার বন্ধু।
মেঘ: কেমন আছো আপুমনি?
দোলা: ভালো ভাইয়া। আপনি ভালো আছেন?
মেঘ: হামম। আচ্ছা তোমরা classএ যাও। আমি আসছি।
দোলা: ok… ভাইয়া…
মেঘ চলে গেলো।
.
দোলা: কি রে… তুই দেখি আরো সুন্দরি হয়ে গেছিস….
মেরিন : আলুপাম বন্ধ কর তো।
দোলা: আচ্ছা যারা সুন্দরি তাদেরকে সুন্দরি বললে পাম মনে করে কেন?
মেরিন: হাহাহাহা… চল classএ যাই…
দোলা: চল…জানু…
মেরিন: হায় মেরে প্রাণু…
ওরা যাচ্ছে। তখন কলেজের লিডার gang রা এসে সামনে দারালো।
রাব্বি: hi.. my ললিপপ(দোলা)…
দোলা তো ভয়ে কাজুমাজু…
আকাশ : ললিপপ দেখি সাথে করে রসগোল্লা নিয়ে এসেছে।
ইমান : আরে রসগোল্লানা…. পরীর বাচ্চা…
সূর্য: আহা কি রূপ…
ওদের কথা শুনে মেরিনের রাগ লাগলো তবুও শান্তভাবে
বলল: ভাইয়ারা… আপনাদের যদি তারিফ করা শেষ হয় তবে একটু সরে দারাবেন please … আমাদের class আছে।
ইমান: class আছে? 😞
মেরিন: জী…
রাব্বি: যাবে? যাও….
মেরিন: আপনারা না সরলে যাবো কি করে?
সূর্য : এই সর সর… ওদেরকে যেতে দে…
বলেই ওরা ২ইঞ্চি জায়গা ফাক করলো।
আকাশ : যাও যাও…
মেরিনের মাথা গরম আরো হলো। দোলা বুঝতে পারছে যে মেরিন ক্ষেপছে।
ওর কানে কানে
বলল: please চুপ থাক…ওরা অনেক বিচ্ছু… ওদের সাথে লাগলে ওরা আরো ঝামেলা করবে… please …
মেরিন: আপনারা সরবেন কি সরবেন না?
আকাশ : না সরালে সরবো কি করে?
মেরিন: মানে?
ইমান: কিছু পেতে হলে কিছু দিতেও যে হয়…
মেরিন : মানে?
আকাশ : মানে হলো তোমাকে আমাদের মধ্যে থেকে যে কারো সাথে couple dance করতে হবে।
মেরিন: আর যদি না করি?
সূর্য: না করলে class ভুলে যাও।
মেরিন: ভালোভাবে বলছি যেতে দিন। না হলে কিন্তু ভালো হবেনা…
রাব্বি: বাবারে.. ললিপপ.. তোমার বান্ধবি… তো দেখি fire…. but মিস আগুন… couple dance না করলে তো পথ খুলবেন…
তখন নীড় পেছন থেকে
বলল: এই তোদের raging বন্ধ করতো….
তখন সবাই side হলো।
মেরিন-নীড় ২জন ২জনকে দেখলো। মেরিন কালো রঙের ১টা dress পরেছে। আর উচু করে ঝুটি বেধেছে। হালকা পাতলা সাজ। চোখে চশমা।
কিন্তু নীড়কে crush খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট। আর নীড় পরেছে কফি কালারের t-shirt… ওপর দিয়ে জ্যাকেট আর কালো ডেনিম প্যান্ট। চুল গুলো ছরিয়ে আছে। পিছে ছোট্ট একটু ঝুটি… সুন্দর লাগছে। মেরিনও crush খেলো।
দোলা মনে মনে: oh no…. এখন বাচা অসম্ভব… বিশ্ব বজ্জাত হাজির।
.
নীড় এগিয়ে এলো ।
নীড়: এই তোরা কি করছিস?
ইমান: raging… 😁।
নীড় : কাজটা কি ঠিক করছিস? এটা ঘোর অন্যায়। আরেকবার এমন করলে তোদেরকে পিটিয়ে তক্তা বানাবো। বেয়াদব। তোদেরকে বলেছিনা ragging করবিনা… যত্তসব অসভ্যতামী…
মেরিন মনে মনে: বাহ এই লোকটা তো বেশ ভালো ।
দোলা মনে মনে : এর আবার কি হলো?
রাব্বি:😕😖।
নীড়: তোদের সাহস কিভাবে হয় আমার কথার অমান্য করার?
৪জন:🤫।
নীড়: তোরা ওকে তোদের মধ্যে থেকেই কেবল কারো সাথে couple dance করতে বললি কোন সাহসে?
৪জন: 😔।
নীড়: তোদের সাহস কিভাবে হয় ragging করার…. আমাকে ছারা….
নীড়ের কথা মেরিন ঠিক বুঝতে পারলোনা। খানিকটা অবাক হলো। আর ওরা ৪জন হা হা করে হাসতে লাগলো।
নীড়: তোরা আমাকে ছারা ragging করিস কিভাবে? আমি করবো। কারন আমি gang leader … আমার সাথেও তো couple dance করতে পারে। 😏।
ইমান: ভাবলাম তোর তো আবার মেয়েতে allergy … তাই… 😜…
নীড় : মেয়েতে allergy হলেও raggingএ তো energy … so miss new comer… আপনি কার সাথে dance করবেন? dance না করলে কিন্তু অনন্তকাল এখানেই এভাবেই দারিয়ে থাকতে হবে।
বলেই হা হা করে হাসতে লাগলো।
নীড়: নাচবে?
মেরিন: in your dream …. সরতে বলছি সরুন। না হলে …
নীড় : না হলে…
মেরিন ব্যাগ থেকে mobile বের করতে নিলো। কিন্তু নীড় ওর হাতে ব্যাগটা ছো মেরে নিয়ে নিলো। এরপর ওরা মেরিন-দোলাকে ঘিরে দারিয়ে গেলো। ওদের ৪দিকে ঘুরতে লাগলো। মেরিন ১টা বাকা হাসি দিলো। কারন হলো ও কাউকে দেখেছে। যার নাম নির্ঝর মাহমুদ । যে এই ভার্সিটির ভিপি। সেই সাথে মেরিনের fiance… যে মেরিনকে পাগলের মতো ভালোবাসে।
.
নির্ঝর এগিয়ে এলো।
নির্ঝর: এখানে কি হচ্ছে?
নীড়রা সাথে সাথে দারিয়ে গেলো।
নীড়: আসসালামু আইকুম বস…
নির্ঝর: ওয়ালাইকুম আসসালাম। এখানে কি হচ্ছিলো?
মেরিন: its ragging নির honey ….
মেরিন নির্ঝরকে ভালোবেসে “নির” ডাকে।
( বি:দ্র: কেউ নীড় & নির নিয়ে ঝামেলা করবে না। নীড় = পাখির বাসা & নির = পানি। 🙄 ) ।
নির্ঝর: what?
তোমাদের কতোবার বলেছি ragging না করতে। তাও করছো তো করছো আমার জানের সাথে?
সবাই:😱।
মেরিন: কি করার নির বলোতো, এদের may be কানে সমস্যা… varsity তে medical sector তো আছে। এদের check up করালেই তো পারো।
বলেই মেরিন নির্ঝরের পাশে গিয়ে দারিয়ে ওর কাধে হাত দিয়ে দারালো। এরপর চশমা style মেরে মাথায় ওঠালো। যাতে মেরিনের চোখ উন্মুক্ত হলো। যা দেখে নীড় আরো ঘায়েল।
নির্ঝর: নীড়-ইমান last warning to you… যদি আর কখনো ragging করতে দেখি… mind it…..
৫জন: sorry boss…
নির্ঝর: now go…
মেরিন: wait wait… ওরা আমাকে কি বলছিলো সেটা শুনবেনা?
নির্ঝর: কি?
মেরিন: ওদের মধ্যে থেকে কারো সাথে couple dance করতে বলেছিলো।
নির্ঝরের মাথায় যথারীতি আগুন জ্বলে গেলো। চোখ ২টা ভয়ংকর হয়ে গেলো। নীড়রা ঢোক গিলতে লাগলো।
নির্ঝর দাতে দাত চেপে
বলল : আমার জানের সাথে এতো বড় অসভ্যতামী… তোমাদের কে আজকে আমি fire করিয়ে ছারবো।
মেরিন: নির নির নির.. don’t do this…
নির্ঝর : but why জান?
মেরিন: you know না আমি অনেক দয়াশীল… কারো student life বরবাদ হোক সেটা আমি চাইনা ।
নির্ঝর:তাই বলে ওদের শাস্তি দিবোনা?
মেরিন: of course … মেরিন বন্যা খানের অপরাধী অথচ শাস্তি পাবেনা? তবে আমার মন মতো।
নির্ঝর: ok… জান। বলো কি?
মেরিন: খুব সহজ। ক্যাম্পাসে উপস্থিত সবার সামনে এই বাদর গ্যাং কানে ধরে আমাকে sorry বলবে।
৫জন: what….
মেরিন: yes… ragging করার নামে মেয়েদেরকে haras করার মজা এবার বুঝবেন।
নীড় : no way…. আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন…. কখনো এমনটা করবেনা। boss… বারাবারি হয়ে যাবে কিন্তু।
নির্ঝর : তুমি কার সামনে কথা বলছো জানো?
নীড় : but boss…
নির্ঝর: আমার জান যখন বলেছে এটাই তোমাদের শাস্তি তখন এটাই। না হলে fire….
বাধ্য হয়ে ওরা সবার সামনে কানে ধরে মেরিনকে sorry বলল।
.
নীড় মনে মনে: আমি তোমাকে দেখে নেবো মিস মেরিন বন্যা খান। যতোই তোমাকে দেখে crush খাইনা কেন। ছারবোনা তোমাকে। এতো বড় অপমান?
কি লজ্জা কি লজ্জা… কলা গাছের সাথে ফাসি দিবো…😭
মেরিন মনে মনে: শালা… আমার পিছে লাগতে এসেছিলো। তবে ছেলেটা কে দেখে crush খেলাম। ছিঃ ছিঃ… আমি না কারো বাগদত্তা। but crush তো খাওয়াই যায়… প্রেম না খেলে থুরি প্রেম না করলেই হলো।😜।
crush আর প্রেম তো আলাদা। 😁।
সবাই নিজ নিজ classএ গেলো।
.
{{{
নীড় ভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগের 5th & final year ছাত্র॥ মেরিন law বিভাগের 1st year এর ছাত্রী। politician science বিভাগের ছাত্র। MBA করছে। সেই সাথে ভার্সিটির ভিপি। মেরিনরা কোনো ১টা কারনে লন্ডন থেকে দেশে move করেছে। সেটা পরে জানা যাবে। মেরিন 2nd semister এ admit হয়েছে। নীড়-নির্ঝর same age হলেও নির্ঝর ভিপি বলে সম্মানিত। নীড়রা একটু-আধটু ragging করলেও মেয়েদেরকে কিন্তু যথেষ্ট সম্মান করে। মেরিন লন্ডনে বর হয়েছে । তাই western dress পরে।
}}}
.
off time এ…
ক্যান্টিনে….
মেরিন: কিরে তুই অমন করে তাকিয়ে আছিস কেন?
দোলা: তো কি করবো? তুই জিজুর কথা আমাকে বলিস নি কেন?
মেরিন: আরে… সে যে তোর জিজু হবে সেটা আমিই ২মাস আগে জানলাম।
দোলা: ২মাস? মানে ৬০দিন… তাও আমাকে বলিসনি?😡। কেন?
নির্ঝর: কারন আমি না করেছিলাম।
নির্ঝর এসে টেবিলে বসলো।
দোলা : না করেছিলে কেন?
নির্ঝর : তোমাকে surprise দেয়ার জন্য।
দোলা: ঘোড়ার ডিম। এখন কিন্তু আমার বড় সরো ট্রিট চাই।
মেরিন: ok… তোকে বস্তা ভরে ট্রিট দিবো। happy ?
দোলা: আবার জিগায়?😎।
নির্ঝর: আর class না থাকলে চলো বেরিয়ে পরি। for treat ..
মেরিন-দোলা: lets go….
ওরা বেরিয়ে গেলো…
.
পরদিন…
আকাশ : কি রে নীড় তুই আজও গাল ফুলিয়ে আছিস কেন?
ইমান: দেখ অপমান তো আমরাও হয়েছি…
রাব্বি: আরে রাখ তোর অপমান। আমার তো বিরহ যন্ত্রনা উঠে গেছে।
সূর্য: মানে?
রাব্বি: মানে বোঝোনা মামমা… আমার ললিপপের bestu হয়েছে ওই ভিপির বউ.. যার সাথে শুরুতেই ঝামেলা হলো। সে কি আর আমাকে দোলাকে পেতে দিবে? এমনিতেই দোলা দূরে দূরে ভাগে । তারওপর ওই ভিপির বউর power …
“ভিপির বউ” কথাটা শুনেই নীড়ের মেজাজ কেন যেন গরম হয়ে গেলো।
নীড়: ওই কি ভিপির বউ ভিপির বউ শুরু করেছিস? চুপ থাকতে পারিসনা সবাই ?
বলেই নীড় উঠে চলে গেলো।
আকাশ : যাহ বাবা এর আবার কি হলো?
.
নীড় রেগে হনহন করে হেটে যেতে লাগলো। হঠাৎ মেরিনের সাথে ধাক্কা লাগলো। নীড় পরে যেতে নিলো…. মেরিন ওর হাত ধরে ফেলল। যার জন্য নীড় পরলো না। নীড় ড্যাবড্যাব করে মেরিনকে দেখছে। কারন সাদা রঙের লেডিস জিন্স তার লাথে নীল রঙের লেডিস শার্ট পরেছে। ভীষন কাছে থেকে আজকে মেরিনকে দেখছে।
মেরিন: আমায় দেখা হয়ে গেলে বলে দিবেন… ছেরে দিবো….
নীড় তারাতারি দারালো।
নীড় : তোমাকে দেখার কোনো শখও নেই আমার.. you idiot..
মেরিন: আপনার সাহস দেখে অবাক হচ্ছি। আপনি আমাকে idiot বলছেন? আমাকে?
নীড়: yes তোমাকে। তুমি কোনো মন্ত্রী-মিনিস্টার নও যে তোমাকে idiot বলা যাবেনা । আম কেবল আমার এই ভার্সিটি & আমার study কে ভালোবাসি আর সেই সাথে bossকে respect কর। তাইজন্য কালকে অতোবড় অপমান মেনে নিয়েছি। তবে এর শোধ আমি তুলবোই।
মেরিন: in your dream …
নীড় চলে গেলো।
.
মেরিন: আবাল পাবলিক…
২কদম আগে বারার পরেই শুনতে
পেলো: আসসালামু আইকুম ভাবি….
মেরিন সামনে তাকিয়ে দেখে দেখে ইমান-আকাশ-রাব্বি-সূর্য ওকে সালাম দিয়েছে। সেই সাথে বোকা বোকা মুখ করে রেখেছে। যা দেখে মেরিনের ভীষন হাসি পেলো। সালাম নিয়ে চলে গেলো।
মেরিন : আরে… দোলা কোথায়? oh হ্যা ও তো বলেছিলো যে ওর কি ১টা বই লাগবে। তাই মনে হয় লাইব্রেরীতে গেছে। কিন্তু লাইব্রেরীটা কোথায়?
মেরিন ১টা মেয়েকে জিজ্ঞেস করলো লাইব্রেরী কোথায়। সে দেখিয়ে দিলো। মেরিন ভেতর ঢুকে পুরো থ…..
.
চলবে….?

 

বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ মোহনা” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

👉আমাদের ফেসবুক পেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *