1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃপাথরের বুকে ফুললেখাঃ হাফসা আলম

পাথরের বুকে ফুল !! লেখাঃ হাফসা আলম

পাথরের বুকে ফুল ……………..
:লিনি ম্যাম আজ এই মেয়েটাকে স্যারের রুমে পাঠাবো। আপনি একটু দেখে নিন সব ঠিক আছে কিনা।
_মিস.লিনি ভালোভাবে মেয়েটাকে দেখে নিলেন।তারপর তার সামনে দাড়িয়ে থাকা মহিলাকে বললেন…..
:
:
লিনি:হুম ঠিক আছে। মনেত হয় স্যারের পছন্দ হবে। তবে আর একটু সাজিয়ে দেও নাহলে যদি কোনো কারনে স্যারের চুলপরিমানও অপছন্দ হয় তাহলে আমাদের কপালে কি আছে আসা করি তুমি বুঝতে পাড়ছ হেনা।(গম্ভীর ভাবে বললেন)
:
:
হেনা বেশ বুঝতে পড়েছে তাই ডোগ গিলে বলল্ল:হুম। বলেই আবার মেয়েটাকে হালকা সাজালো।তারপর লিনির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মেয়েটাকে পাইভ স্টার হটেলের 155number রুমে রেখে আসার সময় বলে এলো………..
:
:
(বিঃ দ্রঃ “ পাথরের বুকে ফুল !! লেখাঃ হাফসা আলম ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

হেনা:দেখ স্যারের সাথে টোটালি বেয়াদোপি করবানা।উচ্চ শ্বরে কথা বলবানা,স্যার যেভাবে যাযা করতে চাইবে খবরদার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবানা নাইলে জীবিত থাকতে পারবা না।স্যারকে কোনো ভাবে রাগাবানা আর যতই ব্যাথা পাওনা কেনো চিৎকার চেঁচামেচি বা স্যারকে আঘাত করবা না।স্যার এগুলো মটেই পছন্দ করেনা।কথাগুলো যাতে মাথায় থাকে।(কথা গুলো বলেই রুম থেকে চলে গেলেন। আর মেয়েটা বসে বসে ভয়ে কাঁপছে। নাম তার মাদৌলি।এত ভয় কাজ করছে তার মনে তারপরও মনে একটা শান্তি শান্তি ভাব হচ্ছে। স্বপ্নের পুরুষের সাথে একটা রাত কাটাবে বলে কথা।ভাবতেই তার আনন্দ লাগছে সাথে খুশিত আছেই।)
:
:
:
রাত 1.25 মিনিটে দরজার আওয়াজে মাদৌলি সোজা হয়ে বসে পরে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারচ্ছে সে 5 ঘন্টা একটানা বসে আছে। তার চোখে তেমন ঘুম নেই।হঠৎ দরজার আওয়াজে তার মলিন মুখ খানি হাসিহাসি হয়ে উঠেছে।মনে হচ্ছে বহু প্রতিক্ষিত কিছু পাওয়ার আসা জেগেছে।তার স্বপ্ন পুুরুষ নিশ্চুই এসে গেছে।
:
:
:
যে ব্যক্তি দরজা খুলেছে সে ভিতরে প্রবেশ করে তার গায়ের ব্লেজারটা খুলে পাশের সৌপায় ছুড়ে দেয় তারপর তার দমি ঘড়িটা খুলে পাশের টেবিলে রেখে ব্রান্ডের শার্টের বুতাম খুলতে শুরু করে তারপর তা খুলে নিচে পেলে দেয় আর ধিরে ধিরে খাটে বসে থাকা মাদৌলির কাছে যায়।মাদৌলিত লোকটির বডি ফিট ন্যাস দেখে ফিদা। সে তো একনজোর দেখে ছিল লোকটাকে যা দেখেছে লোকটাতো তার চাইতেও হট,হেন্ডস্যাম,সুদর্শন, ওসাম, টাইপের দেখতে। এত সুন্দর যে কোনো ছেলে হয় তা তার যানা ছিলনা। দুধেআলতা গায়ের রং,তুর্কি স্টাইলের হেয়ার কার্ট এবং দাড়ির সাইজ।ওওওওহ সাস্ট পাগল করার মত।আর চোখগুলো ডার্ক গ্রিন রঙ্গের,ঠোঁট জোড়া রক্তের মত লাল।জিম করা বডি। ওপসস আর কিছুকি লাগে একটা মেয়েকে ঘায়েল করার জন্য।হঠাৎ কারোও উষ্ণ স্পশ ঠোঁটের উপর পরায় মাদৌলির হুস ফিরে।ভাবনায় ডুবে থাকতে থাকতে কখন যে লোকটা তার এত কছে চলে এসেছে ভাবতেই পারেনি।লোকটা কিছুক্ষণ পরে তার ঠোঁট ছেড়ে তার দিকে তাকায়।তার চাহনি বলছে…. হুম আজ রাতের জন্য চলবে।তারপর আবার তার ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়।মেতে উঠে তার নিত্য রাতের চাহিদা মেটাতে।ঠোঁট থেকে গলায়,চুমুর বর্শন থেকে কামর একের পর এক দিয়ে চলেছে মাদৌলিকে।প্রথমে আনন্দের সাথে গ্রহন করলেও এখন লোকটার ছোঁয়ায় হিংস্রতা প্রকাশ পাছে।যা মাদৌলির কষ্ট বাড়িয়ে দিচ্ছে।বেচারি ব্যাথায় কুকঁড়ে যাচ্ছে কিন্তু একটু আওয়াজও করতে পারছেনা।ব্যাথায় এবার লোকটির পিঠে তার নখের দাগ দিতে শুরু করেছে।লোকটির পিঠ অসংখ্য আছড় দিচ্ছে। তবে লোকটির এতে কোনো হেলদুল নেই সে নিজের কাজে মগ্ন। তার অন্যদিকে তেমন নজর নেই।এবার মাদৌলি অধিক ব্যাথায় শব্দ করে বসলো।আহহ বলে হালকা আতর্নাদ ভরা চিৎকার করে উঠলো।তাতেও কাজ হলো না লোকটি তার প্রতি বিন্দু মাএ দয়া দেখালোনা। একটা সময় লোকটি ক্লান্ত হয়ে পাশে শুয়ে পরলো।মাদৌলি ভাবেছে লোকটি তাকে তার বুকে একটু জায়গা দেবে কিন্তু এমন কিছুই হয় নাই উল্ট লোকটি বলল…………
:
:
:
হে ইউ তোমার নাম জানা নেই।কি নাম তোমার??
:
:মাদৌলি (নিচু গলায় বল্ল)
:
:
মাদৌলি?? নট বেড নেইম।আচ্ছা তোমার কাজ শেষ এবার যেতে পারোও। আমি ঘুমাবো।আর টেবিলে একলক্ষ টাকা আছে ওগুলো তোমার নিয়ে যেও। আজ অন্যরাতে চাইতে বেশি ভালো ছিলো। আম ইনপ্রস আপ ইউ।তাই ওগুলো তোমার পুরুষ্কার। এবার গেট লস্ট।যাও
:
:
:
মাদৌলি উঠে টাকাটা নিলোনা। তার নিজের টাকার কোনো আভাব নেই। এখানেত স্বপ্ন পুুরুষের সাথে রাত কাটাতে এসেছে। তবে এখন কষ্ট হচ্ছে। লোকার মনে একটুও দয়া মায়া নেই কেমন আনুভুতি হিন মানুষ যেন#পাথর।তানা হলে মাঝ রাতে তাকে বের করে দেয়। মাদৌলি কিছুক্ষণ ছলছল চোখে লোকটির দিকে তাকিয়ে থেকে উঠে নিজের জামাকাপড় গুলো নিয়ে ওয়াসরুম থেকে পরে আসলো।তারপর আবার লোকটির দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে চোখের পানি নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
:
:
:
এতক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকলেও এবার চোখখুলে তাকায় লোকটি তারপর একটা বাকা হাসি দিয়ে বলে উঠে……..
:
:
_বকা মেয়ে। #পাথরের_বুকে_ফুল ফুটাতে এসেছে।আসলেও বড্ড বকা তুমি।কি যেনো নাম তোমার ওওও হে মাদৌলি। (এটুকু বলেই আবার বাকা হাসি দেয় আর বলে……)
:
:
অরিত্রান খানের বুকে ফুল ফুটানোর মত মেয়ে জন্ম নেয় নাই এ পৃথিবীতে।সিংহ শিকার করতে পারে তবে কারো শিকার হয় না। তবুও মেয়ে গুলো বিথা স্বপ্ন নিয়ে আসে ৫ঘন্টা আপেক্ষা করে আর ২ঘন্টা কষ্টে কাটায় তারপর ভাঙ্গা মন নিয়ে চলে যায়।so sad,so sad(বলতে বলতে আবার ঘুমিয়ে পরে)
:
:
:
অরিএান খান দ্যা মাশুর বিজনেসম্যান ইন দ্যা ওয়ালড।পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় দেশে তার অধিপতিত রয়েছে।বিশ্বে অনেক বড় বড় ফ্যাসেন হাউজ রয়েছে তার।সে একপ্রকার বেস্ট ফ্যােসেন আইকন দের মধ্যে একজন।মেয়েরা তো অরিএান বলতেই ফিদা।কিন্তু তার কাছে মেয়েরা সুধু ভোগের পণ্য ছাড়া কিছুনা। আগে কার যুগে রাজা বাদসাদের হেরেম ছিলো যেখানে অসংখ্য সুন্দরী হাতুন মানে মেয়েদের রাখা হতো ঠিক তেমনি এক সংগ্রহ সালা রয়েছে অরিএানে। তবে হরেমে মেয়েদের জোড় করে আনা হতো কিন্তু এখানে ইচ্ছায় আসে, হেরেমে মেয়েদের সব সময় রাখা হতো আর এখানে এক রাত অরিএানের সাথে কাটানোর পর আর রাখা হয় না।এখানের মেয়েরা কেউ টাকার জন্য কেউবা অরিএানের জন্য আসে।একটা রাত তার সাথে কাটানোর জন্য। তবে বেশির ভাগ মেয়ে তাকে পটাতে আসে।যা অসম্ভব। তা যেনও শেষ চেষ্টা করতে আসে।অরিএান ঠিকি বলে এরা বড্ড বকা☺।প্রতিরাতে তার জন্য একটি সুন্দরি মেয়ে বরাদ্দ মাঝে মাঝে আবার দুটিও থাকে। তবে এক মেয়ে দ্বিতীয় বার তার ছোঁয়া পায় না।তার কাছে মেয়েরা ওয়ানটাইম জিনিসের মত যা সে সেকেন্ড বার ইউস করেনা।তার প্রচণ্ড রাগ আর ভয়ংকর হিংস্র ব্যবহারের কারনে তার আশেপাশে খুব কম মানুষ ঘুড়ে।প্রয়োজন ছাড়া কেউ কথা বলে না তার সাথে।কম কথাই তার পছন্দ। উগরো টাইপের সভাব, তাকে কখনো কেউ প্রান খুলে হাসতে দেখে নায়।মন বলতে যে কিছু হয় তা তার অজানা।তার ধারনা এমন কিছু হয় না।(পরিবারের সম্পর্কে পরে যানানো হবে) আমেরিকার বিখ্যাত বাইক রেইস,কার রেইস,হর্স রেইসে চেম্পয়ান সাথে বক্সার, বাস্কেট বল,ফুটবলের উপরও সে অধিক পারদর্শী। গাড়ির প্রতি তার প্রচণ্ড নেশা রয়েছে। তাই মোটামোটি সব নামিদামি ব্যান্ডের গাড়ি কাল্কেশন রয়েছে তার। বাড়িরও অভাব নাই বিশ্বের সকল উন্নত দেশে তার বাড়ি রয়েছে।তবে বাড়িত সে থাকেনা যেখানেই যায় পাইভ স্টারে,বা নামিদামি হোটেলে থাকে।( তারও রহস্য আছে ধিরে ধিরে ক্লিয়ার করা হবে)। তার যেমন প্রচুর অর্থ ভান্ডার রয়েছে তেমন দান করার জন্য দুটি হাতও আছে যা দিয়ে প্রচুর অর্থ দান করে তবে গোপনে নরমালি কেউ যানেনা।তবে তার খারাপ গুনগুলো ভায়াবহ। সে এক প্রকার সিড়িয়াল কিলার।আসলে যার কথা তার অপছন্দ তার পক্ষ আর দুনিয়ায় থাকা সম্ভব না।আল্লা ছাড়া কেউ বাচাঁতে পারবেনা।এক প্রকট ভয়ংকর ব্যক্তিত্বের অধিকারি সে। মনটা সম্পর্ণ পাথর।সে এক রহস্যময় ব্যক্তি। ধিরে ধিরে যানা যাবে।
:
:
:
:
:
:
_ মাদৌলি সম্পর্কে বলি এবার।অতন্ত রুপবতি যদি কারকে বলা যায় তবে সে মাদৌলি। অধিক সুন্দরী সাথে অধিক অহংকারি। তার বাবা বাংলাদেশর বিজন্যাস জগৎে দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে। তবে প্রানপন চেষ্টায় আছে প্রথম স্থান অর্জনের জন্য।কিন্তু অরিএানের জন্য তা পারছেনা। সামনা সামনি সে অরিএানের সাথে শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে ব্যবহার করলেও মোটেই তাকে পছন্দ করেনা। কারন যবে থেকে অরিএান এদেশের শেয়ারবাজারে পা দিয়েছে তবে থেকে তাকে অরিএানের অধিনে চলতে হচ্ছে। মাদৌলি তার বাবার এক মাএ মেয়ে।ছোটো থেকেই তার বাবা তার সব চাহিদা না চাইতেই পুরন করেছে।তাই একরোখা টাইপের মেয়ে সে।অরিএানের সাথে তার এক পার্টিতে দেখা গয়েছিল। সেই থেকে তার প্রমে হাবুডুবু খাচ্ছে।অনেক বার বলতে গেছে but পারে নায়।বাবাকে বলেও লাব হলোনা।তার বাবা বলে দিয়েছে ওকে পাওয়া অসম্ভব। তাই নেজেই খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেচ্ছে অরিএানের দেখা পাওয়া যায় রাতে। মানে তার বেটপাটনার হয়ে।তাই চলেগেলো।আর বাকিটা সবার জানা।তবে সে হারমানার পাএি না। তার যা চাই তা চাইচাই।সে যেকোনো মূল্যে অরিএানকে হাসিল করবেই।তবে নিয়তি যদি অন্য কিছু চায় তবে তার কি হবে???তা না হয় পরে যানা যাবে। তবে নিয়তির উপর কিছু নেই।…………….।।।।
:
:💞চলবে…….

One thought on “পাথরের বুকে ফুল !! লেখাঃ হাফসা আলম

  • Rajib Das

    পাথরের বুকে ফুল

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *