না বললেও ভালোকিন্তুবাসি

না বললেও ভালোকিন্তুবাসি !! Part- 30

সাগর রুমে গেলো। গিয়ে দেখলো মোহনা শুয়ে আছে ।
সাগর : ঘুমিয়ে পরেছে… এই কারনেই চুপচাপ… ত… oh no…
সাগরের মনে পরলো যে চুপ থাকার মানেই মহা ঝামেলা। সাগর দৌড়ে গেলো মোহনার কাছে।
সাগর : মোহো… মোহো… এই মোহো ….
সাগর মোহনাকে ডাক দিয়ে রেসপন্স পেলোনা। সাগর blanket টা টেনে সরালো । blanket সরাতেই সাগরের নজর পরলো মোহনার হাতে। কিছু ১টা আছে ওর হাতে । সাগর তারাতারি মোহনার হাতের মুঠি টা খুলল । দেখলো poison এর ছোট বোতল। সাগরের মাথায় বাজ পরলো। মোহনা হাটুগেরে বসে পরলো।
সাগর : মমমোহো… 😢। মোহো…
.
তখন সাগর হাসির শব্দ পেলো। মাথা তুলে দেখে মোহনা হাসছে । হাসতে হাসতে মোহনা উঠে বসলো।
মোহনা : কেমন দিলাম …
বলেই সাগরকে চোখ মেরে হাহা করে হাসতে লাগলো। সারা রুমে মোহনর হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। আর সাগরের রাগের চোটে মাথা ফেটে যাচ্ছে । হাতে থাকা ছোট কাচের বোতলটা ঠাস করে ভেঙে ফেলল। সাগরের হাত থেকে রক্ত ঝরতে লাগলো। হাসতে হাসতে মোহনার নজর গেলো সাগরের হাতে । দেখে সাগরের হাত থেকে রক্ত পরছে ।
.
মোহনা : একি আপনার হাত থেকে দেখি রক্ত পরছে । দেখি দেখি দেখি …
মোহনা সাগরের হাত ধরতেই সাগর হাত টান দিলো। সাগরের ১ধ্যানে মোহনার দিকে তাকিয়ে আছে। আগুনের গোলার মতো হয়ে আছে ওর চোখ। মোহনার আত্মা শুকিয়ে গেছে। সাগর কোনো কথা না বলে সোজা washroom এ চলে গেলো ।
মোহনা : এইরে … বেশি করে ফেলেছি মনে হয়? কককিন্তু আমাকেও তো থাপ্পর মেরেছিলো… তাই তো … punishment টা একটু বেশিই হয়ে গেছে । sorry বলতে হবে… কিন্তু জল্লাদ বেরই হচ্ছে না … ধুর জল্লাদ কোথকার…
.
একটুপর….
সাগর washroom থেকে বেরিয়ে লাইট বন্ধ করে সোজা বেডে গিয়ে শুয়ে পরলো । মোহনা গুটি গুটি পায়ে বেডের দিকে গেলো ।
মোহনা : শুনুন.. আমি না অননেকগুলো sorry… আ….
সাগর : রাত ৩টা বাজে। drama বন্ধ করো। আর ঘুমাতে দাও ।
মোহনা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে গেলো । সাগর কপালে হাত দিয়ে চোখ বুঝে শুয়ে পরলো। সাগরের কাটা হাতের রক্ত পরা বন্ধ হয়েছে ঠিকই কিন্তু মেডিসিন না দিলে সেপটিক হয়ে যাবে। তাই মোহনা first aid box বের করে আসতে করে বেডে বসে ধীরে ধীরে সাগরের হাতটা ধরলো। সাগর ছারিয়ে নিলো মোহনা আবার হাতটা ধরলো। সাগর হাত টান দিয়ে এমনভাবে উঠে বসলো যে মোহনা ভয় পেয়ে গেলো।
সাগর : সমস্যাটা কি হ্যা সমস্যাটা কি? ঘুমাতে দিবেনা ? আমাকে কি তোমার একটুও শান্তি দিতে মন চায় না? হাত নিয়ে টানাটানি শুরু করেছো কেন? সমস্যাটা কোথায়?
মোহনা : ব্যান্ডেজ না করলে সেপটিক হয়ে যাবে।
সাগর : তো? তাতে তোমার কি? সেপটিক হলে আমার হবে। তোমার তো কিছু হবেনা … তুমি তোমার মতো থাকো। আমাকে আমার মতো থাকতে দাও। শান্তি দাও ।
সাগর শুয়ে পরলো।
মোহনা মনে মনে : আমাকে কথা শোনানো? দেখাচ্ছি মজা। ভালোভাবে ঔষধ লাগাতে আসছিলাম ভালোলাগেনি।
মোহনা সাগরের হাতে গপগপ করে hexisol ঢেলে দিলো। সাগর লাফিয়ে উঠে বসলো ।
সাগর : আহ…
hexisol ক্ষতের জন্য উপকারী হলেও ক্ষতে লাগলে জানটা বেরিয়ে যায় ।
সাগর : তুমি কি মানুষ?
মোহনা : মিসেস নাগিন …. good morning …
বলেই মোহনা শুয়ে পরলো ।
.
পরদিন ….
সাগর মোহনাকে ফেলেই হসপিটালে চলে গেলো । সাগর পুরোপুরি মোহনাকে ignore করা শুরু করলো।
দুপুরে ক্লাস করে এসে একটু rest নিয়ে পিংকুদের ফ্ল্যাটে গেলো ।
পিংকু : ভাবি আপু … খেলবে ?
মোহনা : হামম। চলো ছাদে যাই।
ওরা ছাদে খেলতে লাগলো । পাশের ছাদে কতোগুলো ছেলে উঠে এলো । মোহনাকে নানা ভাবে disturb করতে লাগলো ।
মোহনা : পিংকু চলো ক্রিকেট খেলি।
পিংকু : ok ভাবি আপু ….
মোহনা : তোমরা দে দানা দান বল মারতে থাকবে আর আমি ব্যাটিং করবো। কেমন ?
পিংকু : আচ্ছা ভাবি আপু …
পিংকু , তুরাগ , রিক্তা , টিমটিম , মুগলি ৫জন ৫বার বল মারলো । আর মোহনা ব্যাট করলো । ৫টা বল ৩জনের গায়ে সপাত সপাত লাগালো ।
মোহনা : মোহনার সাথে পাঙ্গা … huh… সাহস কতো ….
.
রাতে …
মোহনা রুমে বসে পড়ছে । তখন সাগর এলো ।
মোহনা : হাইই …
সাগর জবাব না দিয়ে washroomএ গেলো ।
মোহনা : মনেহয় বোবায় ধরেছে । sorry তো বললামই … huh… আমিও আর বলবোনা।
সাগর বের হলো । বের হয়েই ল্যাপটপ নিয়ে বসলো । একটুপর শিখা খাওয়ার জন্য ডাকতে এলো ।
সাগর : আসছি মামনি …
মোহনা লাফাতে লাফাতে চলে গেলো। সাগর একটুপর গেলো ।
.
টেবিলে…
সাগর : বাবা …
রেদোয়ান : হ্যা …
সাগর : বাবা ট্যান্টম মেডিকেল সাইন্স ইউনিভার্সিটি মানে যেখান থেকে D.P..M এর degree টা নিয়ে এলাম সেখান থেকেই D.T.M & H ডিগ্রির জন্য offer এসেছে। তখনই এসেছিলো। but আমি refuse করেছিলাম। কিন্তু এখন আমি এই degree টা কমপ্লিট করতে চাই ॥
রেদোয়ান : ok করবে।
সাগর : বাবা ওটা কমপ্লিট করে আমি ওখানেই জব করে settle হতে চাই …
কথাটা শুনে শিখা-রেদোয়ান তো অবাক হলোই তবে তার থেকেও বেশি অবাক হলো মোহনা … চোখ গোল গোল করে সাগরের দিকে তাকালো।
রেদোয়ান : settle হবে মানে? ডিগ্রি নিতে যাবে ডিগ্রি নিয়ে চলে আসবে। settle হবে কেন? settle হওয়ার কথা বাদ দাও ।
সাগর :বাবা এটা আমার career এর বিষয়। যে সুযোগ সুবিধা আমি ওখানে পাবো সেগুলো এখানে পাবোনা।
রেদোয়ান : দরকার নেই। তুমি যাবে ডিগ্রি নিয়ে চলে আসবে। আর সবাই যদি দেশ ছেরে চলে যায় তবে দেশ কিভাবে আগে বারবে?
সাগর : দেশের কথা অন্য কারো কথা ভেবে আমি আমার life আর waste করতে চাইনা। আমি এবার নিজের জন্য বাঁচতে চাই … চাই মানে চাইই …
বলেই সাগর চলে গেলো। শিখা-রেদোয়ান বুঝতে পারলো যে মোহনার ওপর অভিমান করেই সাগর এ কথা বলছে। ৩-৪দিন গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
.
মোহনা রুমে গেলো।
মোহনা : আপনি কি সত্যি সত্যি লন্ডনে settle হতে চান …?
সাগর : …
মোহনা : গেলে কি সত্যি ওখানেই থেকে যাবেন ?
সাগর : ….
মোহনা : ও জল্লাদ জামাই বলুন না … আপনি কি সত্যি লন্ডনে settle হতে চান?
সাগর : না …
কথাটা শুনে মোহনার মন আনন্দো ভরে উঠলো ।
মোহনা :তাহলে বাইরে বললেন কেন? হামম হামম…
সাগর : কারন আমি লন্ডনে settle হবো।
মোহনা : কি পাগলের প্রলাপ বকছেন বলুন তো …
সাগর : ঠিকই বলছি। আমার দেশ ছেরে বিদেশে জব করে settle হওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই … তবুও হবো।
মোহনা : মানে? কেন?
সাগর : তোমাকে বলতে বাধ্য নই ।
বলেই সাগর শুয়ে পরলো ।
মোহনা কিছুই বুঝতে পারলোনা ।
.
কিছুদিনপর …
সাগরের অবহেলায় এই কয়েকটা দিন খুব বাজে ভাবেই কেটেছে মোহনার । মোহনার যেখানে যা লেগেছে সব মোহনাকে দিলেও মোহনার সাথে খুব দরকার ছারা কোনো কথাই সাগর মোহনার সাথে বলেনি। আর না রাগ করেছে। এমনকি মোহনার কোনো দুষ্টুমিে সাগর react ও করেনি । মোহনা কতো চেষ্টা করেছে তাও সাগর normal হয়নি । আজকে সাগরের কথায় মোহনা বুঝতে পারলো যে সাগর সত্যিই লন্ডনে settle হতে চলেছে ।
মোহনা : আপনি কি সত্যি সত্যি লন্ডনে settle হবেন ?
সাগর : ….
মোহনা :বলুন না …
সাগর : …
মোহনা : কিন্তু আপনি যে বলেছিলেন যে আপনি settle হতে চান না… তবে?
সাগর : …
মোহনা : বলুন না … না চাওয়া সত্তেও কেনো এমনটা করছেন?
সাগর : ….
মোহনা : বলুন ….
সাগর : তোমার জন্য …
মোহনা : আমার জন্য ? আমার জন্য মানে?
সাগর : হ্যা তোমার জন্য। তোমার জন্য আমি সব ছারতে পারলেও আমি তোমাকে ছারতে পারবোনা। তাই দেশ , পরিবার সব ছেরে চলে যাবে সেদিন ফিরবো ।
মোহনা : আপনার কথা আমি কিছই বুঝতে পারছিনা।
সাগর : ছোটবেলা থেকে কখনো বুঝোনি আর আজও বুঝবেনা।
মোহনা : …
সাগর : ছোটবেলা থেকে তুমি বুঝে না বুঝে , জেনে না জেনে আমাকে অনেক আঘাত দিয়েছো … কখনো গায়ে মাখিনি। খারাপ লাগলেও ভুলে গিয়েছি। কিন্তু সেদিন তুমি আমাকে যে ২টা কষ্ট দিয়েছো তা কোনোদিনও ভুলবোনা। অনেক কষ্ট দিয়েছো। অনেক বেশি… ভুলতে পারবোনা। তাই চলে যাবো অনেক দূরে … সব ছেরে। তোমাকেও ছেরে …
মোহনা : …
সাগর : এখানে থাকলে তোমার সব দাবির সাথে হয়তো ২য় বিয়ের আবদারও আমাকে পূরন করতে হবে… তুমি হয়তো এমন কিছু করবে যে আমাকে তোমার কথা মানতেই হবে … আমি তোমার ভালোবাসা ছারা থাকতে পারবো …
তোমার থেকে দূরেও থাকতে পারবো …
কিন্তু তোমাকে ছারানা … মিসেস সাগর চৌধুরী আর কাউকে বানাতে পারবোনা।
এর থেকে ভালো তোমার থেকে দূরে চলে যাই …. একটু কষ্ট হবে ।
কিন্তু তোমার দেয়া কষ্ট গুলো মেনে নেয়ার ক্ষমতা আর ধৈর্য্য আমার নেই …
বলেই সাগর শুয়ে পরলো।
এরপর থেকে মোহনা আর সাগরকে ডিস্টার্ব করেনি ।
.
৫দিনপর …
শিখা : মা রে … আমার ছেলেকে তুই যেতে দিসনা …যে করেই হোক তুই ওকে আটকা। আমি জানি তুইই পারবি …
মোহনা : হামম।
সাগর কথাগুলো শুনলো ।
একটুপর মোহনা রুমে গেলো । গিয়ে দেখে সাগর সোফায় চোখ বুজে বসে আছে ।
মোহনা : সসসাগর …
সাগর : …
মোহনা : সাগর…
সাগর : বলো …
মোহনা : আপনি তো জানেন মোহনা যেমনই হোক কথা দিয়ে কথা রাখে …
সাগর : …
মোহনা : সাগর আমি আপনার হাত ধরে কথা দিচ্ছি যে আমি আর কখনো দুষ্টুমি করবোনা , কোনো অন্যায় আবদার actually কোনো আবদারই করবোনা … প্লিজ আপনি যাবেন না। মানে ডডডিগ্রি নিয়ে চলে আসবেন। শাশুড়িআম্মুর অনেক কষ্ট হবে । অনেক বেশি ভালোবাসে আপনাকে । প্লিজ … যাবেন না…
সাগর : আমার মা যে আমাকে ভালোবাসে সেটা আমি জানি … যেটা জানিনা সেটা জানতে চাই ….
মোহনা : মানে?
সাগর : মানে এটাই যে আমি পরশু যাচ্ছি এটাই final … nobody can stop me… আমারও অধিকার আছে নিজেকে নিয়ে ভাবার… তাইনা মোহনা …?
“মোহনা” … এই ভাবে কখনো সাগর মোহনাকে ডাকেনি। মোহনা বলে সাগর কখনোই ডাকেনি । মোহনা অবাকও হলো আর কষ্টও পেলো ।
মোহনা : হামমম…
.
যাওয়ার দিন…
সাগর : মামনি… এমন করছো কেন বলো তো? আমি অজ্ঞাতবাসেও যাচ্ছিনা আর বনবাসেও যাচ্ছিনা যে তুমি এমন react করছো। যাবো ছুটিতে আসবো … & don’t worry তোমার ছেলে তোমার বউমাকে রেখে কোনো বিদেশী ম্যামকে বিয়ে করবোনা … 😁
রেদোয়ান : সাগর আরেকবার ভেবে দেখতে পারতে …
সাগর : বাবা … not done কিন্তু … এখন মেলোড্রামা বন্ধ করে সবাই একসাথে খেয়ে নেই চলো। আরে মোহনা কোথায়? মনে হয় রুমে …. বসো আমি ডেকে নিয়ে আসি ।
.
সাগর মোহনাকে ডাকতে গেলো।
সাগর : মোহনা …
মোহনা ঘুরলো । মুচকি হেসে
বলল : হামম।
সাগর : চলো । সবাই একসাথে খেয়ে নেই।
মোহনা : হামম। চলুন ।
সাগর : মোহনা …
মোহনা : হামমম …
সাগর আজকেও credit card , check book আর টাকা দিলো।
সাগর : রাখো।
মোহনা : হামমম।
সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করলো ।
অর্থি : জল্লাদ মামা জল্লাদ মামা …
সাগর : yes princess …
অর্থি : তুমি কিন্তু আমাল দন্য ১টা awwwe ki cute doll আনবে…
সাগর : ok…
.
যাওয়ার সময়…
সাগর মনে মনে : প্লিজ মোহো … ১টা বার ভালোবেসে না করো … আমি কোথাও যাবোনা। তোমাকে ছারা থাকতে ভীষন কষ্ট হবে … ১টা বার বাধা দাও। কোথাও যাবোনা …
মোহনা মনে মনে : প্লিজ জল্লাদ যাবেন না। আপনি যে আমার অভ্যাস হয়ে গেছেন। খুব কষ্ট হবে আপনাকে ছেরে থাকতে …
সাগর চলে গেলো। ২জনের ১জনও বুঝলোনা না বলা ভালোবাসা। কেউ কারো মনের কথা বুঝলোনা যে #না_বললেও_ভালোকিন্তুবাসি …
.
৪বছরপর …
চৌধুরী বাড়িতে আজকে ধুম পরেছে কারন সাগর ফিরছে । শিখা কি করবে ভেবেই পাচ্ছেনা। কারন মোহনা তাকে বসিয়ে রেখেছে।
শিখা : এই মিষ্টি আমাকেও কিছু রান্না করতে দেনা মা …
মোহনা : না মামনি …. আমার জামাই আসতেছে তাই আমিই রান্না করবো। আর এমনিতেও তুমি বুড়ো হয়ে গেছো… 😁…
শিখা : পাগলি … রান্না তো হলো। যা গিয়ে গোসল করে আয়।
মোহনা : যাচ্ছি।
মোহনা আজকে ধূসর রঙের ১রঙা শাড়ি পরলো।
অর্থি : মামপাখি …
মোহনা : হ্যা princess …
অর্থি : জল্লাদ মামা চলে এসেছে। গাড়ি মাত্র থামলো । চলো।
মোহনা : হ্যা চলো …
.
সাগর সিড়ি দিয়ে উঠছে। আর বুকটা ধুকধুক করছে । অবশেষে ঢুকলো। সবাই আছে কিন্তু চোখটা পরলো মোহনার ওপর … চুলগুলো কোমড় ছারিয়েছে। শাড়ি পরেছে। গলায় ছোট ১টা চেইন । কানে ছোট দুল। ২হাতে ১টা করে চুরি । নাকে নাকফুল। ঠোটে হাসি । কেন যেন ওকে দেখতে গিন্নি গিন্নি লাগছে। মোহনাও সাগরকে দেখলো। কালো রঙের ১টা লং কোট পরা। যার বোতাম সব গুলোই খোলা … ভেতরে ধূষর ডেনিম প্যান্ট নেভি ব্লু রঙের শার্ট । চোখে চশমা। mature doctor লাগছে। সাগর সবার সাথে কথা টথা বলল।
সাগর: তা নতুন মানুষটা কোথায়?
মোহনা : নতুন মানুষটাকে দেখতে হলে তো gift দিতে হবে।
সাগর : gift?
মোহনা : হ্যা gift…. তা না হলে কি মামা হয়ে ভাগনের মুখ খালি হাতে দেখবেন বুঝি ?
সাগর : তো সামনে না আনলে উপহারই দিবো কি করে আর চাঁদমুখ দেখবোই বা কি করে?
মোহনা: বসুন আমি অর্নবকে নিয়ে আসছি .
মোহনা অর্নভকে নিয়ে এলো। সাগর অর্নবকে স্বর্নের চেইন পরিয়ে কোলে নিলো । সবাইকে সবার gift দিয়ে fresh হতে গেলো। রুমে ঢুকে দেখে এটা ১টা ভিন্নগ্রহে এসেছে। সাজানো গোছানো ।
.
একটুপর…
সাগর fresh হয়ে বেরিয়ে দেখে মোহনা ১টা ট্রে নিয়ে দারিয়ে আছে। মুখে মিষ্টি হাসি।
সাগর : হাতে কি ?
মোহনা : জুস আর হালকা খাবার নিয়ে গেলো।….
বলেই মোহনা টেবিলে ট্রেটা রাখলো।
মোহনা : বসুন আমি ২মিনিটে আসছি …
সাগর : মোহনা…
মোহনা : হামম।
সাগর : না মানে আমি আসলে ….
মোহনা : আপনি এখন মিষ্টি খাননা।। আর তই এগুলোসব suger free…
সাগর : ?!?!?!
মোহনা : বসুন আমি আসছি …. আপনার কি কিছু লাগবে বর মশাই …
সাগর : না …
মোহনা : আচ্ছা আপনি ৫মিনিট বসুন আমি আসছি।
.
চলবে…..