ধ্রুবতারা

ধ্রুবতারা !! Part- 16 (Last-Part)

নিলাঞ্জনা রহমান

তারা আস্তে আস্তে চোখ খুললো। সব কিছু কেমন ঝাপসা ঝাপসা লাগছে। চোখ খুলতেও কষ্ট হচ্ছে। চোখগুলো ভারি ভারি লাগছে।চোখ খুলে পাশে তাকাতেই দেখলো ধ্রুব বসে আছে।
তারা উঠার চেষ্টা করতে লাগলে
ধ্রুব বলে উঠে- আরে আরে উঠা লাগবে না। শুয়ে থাকো। ডক্টর তোমাকে রেস্ট নিতে বলেছে।
তারা ঃনা আমি বসবো।
ধ্রুবঃআচ্ছা।
ধ্রুব তারাকে ধরে খাটে বসিয়ে দিলো।
তারা উঠে বসলো।

তারাঃআ….আমি বাসায় ক…..কখন আসলাম।(কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।)
ধ্রুবঃতুমি পুলিশ স্টেশনে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলে।ওখানে তোমাকে ডক্টর চেক করে বললো তুমি খুব দূর্বল হয়ে আছো। তোমার রেস্ট এর প্রয়োজন। তাই আমি তোমাকে ওখান থেকে বাসায় নিয়ে চলে আসি।
তারাঃ নি….নিলয় কোথায়?
ধ্রুবঃনিলয়কে জেলে রাখা হয়েছে। ওর বিরুদ্ধে সব তথ্য প্রমান দেওয়া হয়েছে। ওর শাস্তি নিশ্চিত।
তারা এটা শুনে কোনো এক গভীর চিন্তায় ডুবে গেলো।
ধ্রুব তারাকে এভাবে দেখে জিজ্ঞেসা করলো কি হয়েছে তারা কি ভাবছো?
তারাঃভাবছি কতটা বোকা আমি। নিলয় এর মতো মানুষকে আমি আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ভাবতাম। ওর সাথে আ…আমার মনের সব কথা বলতাম। আমি যখন চট্টগ্রামে চলে গিয়েছিলাম আমার সাথে কথা বলা আমার খেয়াল রাখা সব করতো ও। আমার সাথে তো ওর বিয়ে হওয়ারও কথা ছিলো।আচ্ছা আমার যদি ওর সাথে বিয়ে হয়ে যেতো তাহলে আমার কি হতো?ও তো আমাকেও বিক্রি করে দিতো। বাজারের পণ্যের মতো আমিও বিক্রি হয়ে যেতাম তাই না?😢😢😢😢😢
ধ্রুব তারার হাত ধরে বললো-তারা চুপ করো। আর বলো না । তুমি ঠিক আছো।
তারাঃনাহ নাহ নিলয় এর সাথে যদি আমার বিয়ে হতো ও আমাকে বিক্রি করে দিতো। আমি বিক্রি হয়ে যেতাম। বিক্রি করে ফেলতো আমায়। বিক্রি😭😭😭😭😭😭😭😭
তারা চিৎকার করে কান্না করতে শুরু করলো।
ধ্রুব জলদি তারাকে এসে ধরে ফেললো আর জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো -তারা তুমি ঠিক আছো। তোমার কিছু হইনি, তারা তুমি ঠিক আছো। ইউ আর অলরাইট তারা।
তারা তবুও বলেই যাচ্ছে।
ধ্রুবঃতারা! তারা! তুমি ঠিক আছো তারা তুমি…………
তারা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!(চিৎকার করে)
তারা চুপ হয়ে গেলো।আর মাথা নিচু করে আছে।😢😢😢😢
ধ্রুব দু’হাত দিযে তারার গাল ধরে মাথা উপর করে।
তারা ধ্রুবর দিকে তাকালো।
ধ্রুবঃতোমার কিছু হইনি। তুমি একদম ঠিক আছো। যতদিন আমি আছি ততদিন কেউ তোমার কিছু করতে পারবে না। যতবার তোমার ক্ষতি করার জন্য কেউ আসবে তোমার ঢাল হয়ে আমি তোমার সামনে থাকবো। কেউ তোমার বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে আসলে আমি তাকে বরবাদ করে দিবো। কেউ কখনো তোমার ক্ষতি করতে পারবে না। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত তোমাকে আমার কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবেনা।
তারাঃ😢😢😢😢 নিলয় এমন কেনো করলো?আমার বন্ধুত্বের এই পুরুষ্কার দিলো। আমি তো কখনো কাউকে কষ্ট দিইনি তাহলে আমি কেনো বারবার কষ্ট পাই। আমাকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় কেনো? কেনো?কেনো?😭😭😭😭😭😭😭
ধ্রুবঃ চুপ করো তারা। আমি বুঝতে পারছি তোমার কষ্ট হচ্ছে । নিলয় যে এমন কাজ করবে তুমি ভাবতে পারোনি। কিন্তু এর জন্য নিজেকে কেনো শাস্তি দিচ্ছো। প্লিজ এভাবে আর বলো না। চুপ করো।
অনেক হয়েছে তুমি শুয়ে পড়ো। প্লিজ তুমি শুয়ে পড়ো।
তারা বিড়বিড় করতে করতে শুয়ে পড়লো।
ধ্রুব তারার পাশে বসে ওর চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে।
ধ্রুবঃজানি তারা তোমার মনে এখন কি চলছে। প্রিয় বন্ধু যাকে মানুষ সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে সে যদি তাকে ধোঁকা দেয় তাহলে মানুষটা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ে। আর তোমার ক্ষেত্রে তো এটা ২বার হয়েছে। একবার আমি তোমাকে অপমান করেছি আরেকবার নিলয়, তোমার বন্ধুত্বকে অপমান করেছে।
আমি জানি তারা আমি তোমার সাথে অনেক বড় অন্যায় করেছি, তোমাকে বিশ্বাস না করার অন্যায় যার শাস্তি প্রতিদিন একটু একটু করে পাচ্ছি। তোমার অবহেলায় তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছি আমি। আর কত অপেক্ষা করতে হবে আমায় তোমার ভালোবাসার জন্য।
কিন্তু এই অপেক্ষাতেও এক নির্মল শান্তি আছে কারণ একটা আশা আছে হয়তো হটাৎ তোমার মনে আবার জায়গা করে নিতে পারবো। আবার তারার ধ্রুব হবো। #ধ্রুবতারা হবো।(মনে মনে)
ধ্রুব মুচকি হেসে তারার চুলে বিলি কাটতে লাগলো আর তারা চুপচাপ শুয়ে আছে।

৭দিন পর………………..
এই ৭দিনে তারার মাঝে তেমন পরিবর্তন আসেনি৷ তারা আবার চুপচাপ হয়ে গেলো। ধ্রুবর সাথেও কাজ ছাড়া কথা বলে না। বারান্দায় একা বসে থাকে। আসলে তারা ভেঙে পড়েছে। কোনো এক অজানা ভয় তারাকে গ্রাস করে ফেলেছে৷ এখন কাউকে বিশ্বাস করতেও তারার ভয় লাগে। মনে হয় আবার অবিশ্বাস এর তীর এসে ওকে ওর মনকে ক্ষত বিক্ষত করে দিবে।ধ্রুব নিজের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারাকে হেপি রাখার৷ ওর সাথে কথা বলে,ছাঁদে দুজন মিলে হাটা, সন্ধ্যায় চা খাওয়া সব কিছুই ধ্রুব করছে তারার জন্য কিন্তু কিছুতেই তারার মন ভালো করতে পারছে না।
তাই ধ্রুব একদিন প্রিয়াকে বাসায় আনলো হয়তো বান্ধবিকে পেয়ে তারা একটু নরমাল হতে পারে।ধ্রুব প্রিয়াকে সব বলেছে।

তারা একা বারান্দায় বসে ছিলো এমন সময় প্রিয়া এলো।
প্রিয়াঃকি খবর ডাইনি?
তারাঃপ্রিয়া তুই???
প্রিয়াঃহুমম আমি তো কি ভেবেছিলি তোর জন্য রাণী ভিক্টোরিয়া আসবে😂😂😂
তারাঃ😁😁😁তো কি খবর তোর?
প্রিয়াঃভালোই আমি তো অলওয়েজ বিন্দাসই থাকি জানস তো?
তারাঃহুমম😊😊😊

তারা আর প্রিয়া কথা বলতে লাগলো।এতোদিন পর মন খুলে কথা বলছে, হাসছে তারা। দরজার আড়ালে দাড়িয়ে সব দেখছে ধ্রুব।খুব খুশি লাগছে ধ্রুবর। আজ এতোদিন পর তারাকে হাসতে দেখেছে সে। এতোদিন এই তারাকেই খুজছিলো ধ্রুব। তারার ঠোঁটের এই এক চিলতি হাসির জন্য ধ্রুব সব করতে পারে।😊😊😊ধ্রুব আর দাড়িয়ে না থেকে চলে গেলো।

সন্ধ্যার দিকে………………….
প্রিয়াঃআচ্ছা আমি যাই রে অনেক লেট হয়ে গেছে।
তারাঃকি বলস কোথাও যাওয়া লাগবে না থাক তুই এখানে আজকে।
প্রিয়াঃনা রে আজকে যেতেই হবে কাল আসবো আর কি।জানস তো পল্লব(প্রিয়ার হাজবেন্ড)আমাকে ছাড়া একটা দিনও থাকতে পারে না। আমি বাবার বাসায় গেলেও আমাকে রাতে নিয়ে চলে আসে। আমাকে ছাড়া নাকি থাকতে পারে না।
তারা মুচকি হাসলো।
প্রিয়াঃওকে বলেও দোষ নেই ওকে ছাড়া আমিও থাকতে পারি না। যদি কোনোদিন রাগ করেও বাবার বাসায় যায় আবার ফিরে আসি আসলে ওকে ছাড়া থাকতে কষ্ট হয়।
তারা মনোযোগ দিয়ে প্রিয়ার কথা শুনছে।
প্রিয়াঃআমি যে এখানে এসেছি তা হলো স্যার এর জন্য৷ স্যার নিজে আমার বাসায় গিয়ে বললো তোর নাকি মন খারাপ আর তোর মন ভালো নাকি আমিই করতে পারবো আর তার জন্য আমাকে এনেছে। পল্লবও তোর কথা শুনে আমাকে আসতে দিয়েছে নইলে আজকে আমাদের বিয়ের ২ মাস পূর্তিতে এই মানুষ আমাকে যেতে দিতো?স্যার এর কথা আর তোর প্রতি স্যার এর ভালোবাসা দেখেই তো দিয়েছে।
জানিস তারা তুইও না আমার মতো লাকি।অনেক ভালো বর পেয়েছিস।স্যার তোকে কত ভালোবাসে। তোর জন্য সব করতে রাজি।
তারা চুপচাপ শুনছে।
প্রিয়াঃআচ্ছা তারা স্যারকে কি ক্ষমা করা যায় না?
তারা অবাক হয়ে প্রিয়ার দিকে তাকালো।
প্রিয়াঃআমি সব জানি তারা। জানি স্যার তোকে অনেক কিছু বলেছে অনেক অপমানও করেছে৷ তুই চলে যাওয়ার পর স্যার তোর খোজে আমার কাছে আসে আর তখন সব জানতে পারি। কিন্তু স্যার তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাহলে?দেখ তারা স্যার তোকে কতদিনই বা চিনতো?স্যার তোকে তখন ধীরে ধীরে ভালোবাসতে শিখেছিলো। তোর প্রতি এক আলাদা অনুভুতি জন্ম নিয়েছিলো ওনার মনে। তখন হটাৎ যদি কেউ এমন ছবি পাঠিয়ে বলে তুই খারাপ। তাহলে যে,কেউই রিয়েক্ট করবে। আমি বলছিনা স্যার যা করেছে ঠিক করেছে কিন্তু স্যার তো অনেকটায় শাস্তি পেয়েছে৷ আর কত শাস্তি পাবে স্যার। একটা ভুলের জন্য এতোদিন ধরে মানুষটা তোর কাছে ক্ষমা চাচ্ছে। তোর জন্য যা পারছে তা করছে আর কি করবে বল? একটাবার কি সুযোগ দেওয়া যায় না?স্যার তো তোর জন্যই তোকে জোর করে বিয়ে করেছে।তোকে বাঁচাতে।
তারা চুপ করে আছে।
প্রিয়াঃসরি তারা যদি বেশি কিছু বলে ফেলি তাহলে সরি আসলে স্যারকে দেখে খারাপ লাগছিলো।তবুও তুই একটু ভেবে দেখিস। আসি
তারাঃহুমমম বাই।
প্রিয়া চলে গেলো। তারা রুমে একা বসে আছে। প্রিয়ার বলে যাওয়া কথাগুলো ভাবছে। আসলেই কি তারা ঠিক করছে?ধ্রুবকে কি মাফ করা যায় না?কিন্তু ধ্রুবকেতো আমি অনেক আগেই মাফ করেছি। যেদিন সব সত্যি জানলাম সেদিনই হ্যা এটা ঠিক কখনো বলা হয়ে উঠেনি।
.
.
.
.
রাতে….
তারার ঘুম আসছেনা অস্থির লাগছে। বারবার প্রিয়ার কথাগুলো মনে পড়ছে। তারা একবার খাটের এপাশ হচ্ছে আরেকবার ওপাশ। ঘুম আসছেনা ওর।
হটাৎ তারার চোখ গেলো সোফায় ঘুমিয়ে থাকা ধ্রুবর দিকে৷ধ্রুব ঘুমিয়ে পড়েছে। ডিম লাইটের মৃদু আলোতে ধ্রুবকে দেখতে ভালো লাগছে মনে হচ্ছে এভাবে দেখে দেখে সারাটারাত কাটিয়ে দেওয়া যায়।😍😍😍
.
.
.
.
.

সকালে…….…
ধ্রুব নিউজপেপার পড়ছিলো। তারা আসলো
তারাঃএকটা কথা ছিলো।
ধ্রুবঃহুমম বলো।
তারাঃআমি আসলে ভাবছিলাম আজ একটু বাবার বাসা থেকে ঘুরে আসবো। যদি কোনো প্র………
ধ্রুবঃআচ্ছা ঠিক আছে তুমি রেডি হও আমি তোমাকে দিয়ে আসবো ।কিছুদিন থেকে আসো। (ওখানে গেলে হয়তো মন ভালো হবে)
তারাঃ(এটা কি হলো। এতো জলদি মেনে গেলো৷ আমাকে যেতেও বলে দিলো। থামাচ্ছেও না)আপনি থাকবেন না?
ধ্রুবঃনা আমার কাজ আছে তাই তোমাকে দিয়ে চলে আসবো।(আমি না থাকলে তোমার সুবিধা হবে নইলে স্পেস পাবে না।তোমার একটু স্পেস এর দরকার)
তারাঃআচ্ছা।😟😟😟
.
.
.
.
.
.
.
.
.তারার বাড়ির সামনে গাড়ি থামালো ধ্রুব।
ধ্রুবঃনাও চলে এসেছি তোমার বাসা।
তারাঃ(এতো জলদি😣😣)আপনি আসবেন না?
ধ্রুবঃআসলে না তোমার বাসায় গেলে আমাকে আর বের হতে দিবে না জোর করে রেখে দিবে। তাই তুমি যাও। তোমার যেদিন আসতে ইচ্ছা হবে আমাকে ফোন করে জানিয়ে দিবে নিতে চলে আসবো।
তারাঃআচ্ছা।
তারা গাড়ি থেকে নেমে পড়লো।
ধ্রুবঃআচ্ছা তাহলে আসি!বাই।
তারাঃবা…বাই।(কেনো যেনো ইচ্ছা হচ্ছে না বাই বলতে)
ধ্রুব চলে গেলো। তারা ধ্রুবর যাওয়ার পানে চেয়ে রইলো।

তারা বাসার দরজার সামনে এসে কলিং বেল বাজাতেই তারার মা দরজা খুললো।
তারার মাঃআরে তারা তুই?😲😲এতোদিন পর?
ভিতরে আয় মা ভিতরে আয়।।তারা ভিতরে ঢুকলো।
তারার মাঃকেমন আছিস মা? কতদিন পর এলি বাসায়। জানিস কালকেই তোর বাবা আর আমি তোকে দেখতে যাওয়ার কথা বলছিলাম আর তুই আজকে চলে আসলি।তুই কেমন আছিস?আর ধ্রুব কোথায়?ও আসেনি? সব ঠিক আছে তো?
তারাঃউফফ মা একসাথে এতো প্রশ্ন? একটা একটা করে জবাব দিচ্ছি। আমি খুব ভালো আছি। অনেক হেপি আর ধ্রুব অফিসে।ওর কি একটা জরুরি কাজ আছে তাই ও আসতে পারেনি। ও ভালো আছে।
তারার মাঃযাক বাবা শুনে খুশি হলাম।
তারাঃমা বাবা প্রবল ওরা কোথায়?. ওদের দেখছিনা তো?
তারার মাঃআরে তোর বাবা বাজারে আর প্রবল খেলতে গেছে আসবে একটু পরে
তারাঃওহহহ আচ্ছা জলদি কিছু খেতে দাও প্রচন্ড ক্ষুধা লাগছে।
তারার মাঃতুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খাবার দিচ্ছি।
তারাঃওকে😊😊
.
.
.
.
.
.
.
রাতে………………………………..

ধ্রুব মাত্র বাসায় আসলো।ফরিদ সাহেব ঘুমাচ্ছেন। ডক্টর তাকে রাত জাগতে মানা করেছেন।
ধ্রুব রুমে আসলো।রুমের লাইট অন করতেই চারপাশ আলোকিত হয়ে গেলো।
আজ রুমটা কেমন যেনো খালি খালি লাগছে। লাগবেই তো।তারা তো আজ নেই। সকালে রুমটা যেমন ছিলো এখনো আছে। রুম ভর্তি জিনিস তবুও খালি লাগছে রুমটা। একটা মানুষের উপস্থিতি যে এতোটা ম্যাটার করে ধ্রুব জানতো না৷ যে না থাকার কারণে রুম ভর্তি জিনিস থাকা সত্ত্বেও রুম ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।
ধ্রুব এসব ভাবছিলো।এমন সময় মুন্নি আসলো।
মুন্নিঃস্যার খাবার রেডি খাবেন না?
ধ্রুবঃনা মুন্নি।আসলে খাওয়ার ইচ্ছা নাই। আজ খাবো না তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো আর তার আগে আমার রুমে পানির জগটা রেখে দিও।।
মুন্নি ঃআচ্ছা স্যার। মুন্নি চলে গেলো।
ধ্রুব ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াসরুমে গেলো।
ওয়াসরুম থেকে এসে। টেবিল রাখা পানির জগ থেকে পানি খেয়ে নিলো।
তারপর খাটে এসে বসলো।মোবাইলটা হাতে নিয়ে তাতে তারার ছবি দেখতে লাগলো। এই ছবিগুলো তারার অজান্তে তোলা। লুকিয়ে লুকিয়ে ধ্রুব এই ছবিগুলো তুলেছে।বেশিরভাগই তারার ঘুমের মধ্যে তোলা।কেনো যেনো তারাকে খুব মিস করছি। এতোদিন তারা পাশে না থাকলেও দূর থেকে তো দেখতে পেতাম।আজকে তো তাও নেই।
ধ্রুবঃআচ্ছা একটা কল করবো?
না থাক ডিস্টার্ব করে লাভ নেই। ঘুমাক ও।
ধ্রুব ফোনটা টেবিলে রেখে লাইট অফ করে শুয়ে পড়লো।
.
.
.
এদিকে……
তারাও শুয়ে আছে কিন্তু ঘুম আসছেনা। কি করেই বা আসবে এতোদিন ঐ ঘরে থাকতে থাকতে এই রুমে ঘুম আসছেনা কেমন একা একা লাগছে । তার উপর ওখানে থাকলে ধ্রুবকে তবুও সোফায় দেখা যেতো এখানে তো তাও নেই।কি অস্বস্তি লাগছে।
তারাঃআমার ঘুম আসছেনা আর এই ধুমকেতু আরাম করে ঘুমাচ্ছে।একটা কল পর্যন্ত করলো না। কি আজিব লোকটা। হনুমান একটা।এখন আমি কি করবো? ঘুম তো আসছেনা😣😣😣।
আচ্ছা একটা কল করে দেখবো?না থাক ব্যাটা হাঁদারাম ঘুমাক।নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাক।😤😤😤
তারা ঘুমানোর চেষ্টা করছে। হটাৎ মোবাইলে মেসেজ আসলো।
তারা বিরক্ত হয়ে বললো এতো রাতে কোন বলদ ম্যাসেজ দিতাসে?😡
ম্যাসেজ চেক করে দেখলো ধ্রুবর ম্যাসেজ।
ওমা এটা তো সেরা বলদটা। কি ম্যাসেজ পাঠালো আবার।
তারা ম্যাসেজ ওপেন করলো।তাতে লিখা-

“তারা বারান্দায় আসো।”
তারাঃএই ব্যাটা বলে কি আমি ওনার বারান্দায় কেমন আসমু?
তারা ম্যাসেজ দিতে লাগলো আবার বললো মারে মা এতো লিখতে পারমু না ডিরেক্ট কল দি।।তারা কল দিলো।
ধ্রুবঃহ্যালো।
তারাঃআপনি কি ম্যাসেজ পাঠাইলেন?
ধ্রুবঃকেনো পড়ালেখা সব ভুলে গেসো নাকি?পড়ো নাই।
তারাঃনা মানে পড়সি কিন্তু আমি আপনার বারান্দায় কি করে আসবো?
ধ্রুবঃঐ তোমারে আমি বলসি আমার বারান্দায় আসতে?নিজের বারান্দায় আসো।
তারাঃআমার বারান্দায় মানে?আপনি কি এখানে?.
ধ্রুবঃআসো আগে তারপর দেখবা।
তারা ফোন কেটে দিলো। খাট থেকে উঠে বারান্দায় গেলো।
দেখলো ধ্রুব দাড়িয়ে আছে। গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে ধ্রুব।গায়ে সাদা,টি শার্ট,আর ব্লাক প্যান্ট। দেখতে জোস লাগছে।
তারাঃআপনি!!(জোরে)একটু থেমে… আপনি এতো রাতে এখানে কি করছেন?(আস্তে আস্তে বললো,)
ধ্রুবঃআগে নিচে আসো।
তারাঃকি??
ধ্রুবঃকথা আছে,নিচে আসো। জলদি তা না হলে আমি পাইপ বেয়ে তোমার রুমে উঠবো।।
তারাঃনা না না লাগবে না আমি আসতেসি। ওয়েট।
তারা রুমে আসলো। একটা ওড়নাটা নিয়ে শরীরে সম্পূর্ণ জড়িয়ে নিলো। আয়নায় নিজেকে একবার দেখেনিলো।ঠিকঠাক আছে,কি না। এরপর মোবাইলটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।

ধ্রুব রাস্তায় দাড়িয়ে আছে।
তারা নিচে আসলো।
তারা ধ্রুবর পাশে এসে দাড়ালো।
ধ্রুব তারাকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কি সুন্দর লাগছে । খোলা চুল, চোখে লেপ্টানো হালকা কাজল, সাদা ওড়না কি অপূর্ব লাগছে।
তারাঃকি হলো বলুন?
তারার কথায় ধ্রুবর ধ্যান ভাঙে।
তারাঃকি হলো বলুন এখানে কেনো এসেছেন?
ধ্রুবঃ
তারাঃকি হলো চুপ কেনো?
ধ্রুবঃ
তারাঃএতো রাতে আপনি কি আমার আমার সাথে মজা করতে এসেছেন?কিছু বলছেনও না। ওকে আমি চলে যাচ্ছি।
তারা চলে যেতে লাগলে ধ্রুব তারার হাত ধরে ফেলে।। তারা পিছনে তাকাই।
ধ্রুবঃআসলে… আসলে তোমাকে ছাড়া ভালো লাগছিলো না। তুমি না থাকাতে রুমটা কেমন যেনো খালি খালি লাগছিলো। একা একা থাকতে দমবন্ধ হয়ে আসছিলো। ঘুমও আসছিলো না। তোমার ছবিও দেখেছি কিন্তু হচ্ছে না। তোমাকে সামনাসামনি না দেখলে ঘুম আসবে না। তোমাকে প্রতি রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখা একটা অভ্যাস এ পরিণত হয়েছে যা সহজে যাবে না।আর আমি চাইও না এই অভ্যাস যাক। তোমাকে না দেখে ঘুমও আসছেনা। আর তোমাকে ছাড়া ভালো লাগছেনা। তাই তোমাকে নিতে এসেছি৷ তুমি যদি যেতে চাও তোমাকে নিয়ে যাব। আর যদি যেতে না চাও……
তারাঃতাহলে???.
ধ্রুবঃযদি না যেতে চাও তবুও নিয়ে যাবো।
তারাঃজোর করে??
ধ্রুবঃহুমমমম।
তারাঃতো আপনি আপনার ঘুমের জন্য আমাকে নিয়ে যাচ্ছেন?
ধ্রুবঃহুমমমম। আমি আমার ঘুমকে খুব ভালোবাসি তাই।
তারাঃআর আমাকে….????
ধ্রুব চুপ করে রইলো।দুজনই দাড়িয়ে আছে।
দুজনই চুপ। কেউ কিছু বলছে না।
হটাৎ তারা ধ্রুবর গাড়ির দরজা খুলে সিটে বসে পড়লো।আর বললো-আমি আইসক্রিম খাবো।খাওয়াবেন?এখানে সামনে একটা দোকান আছে। এসময় খোলা থাকে।
ধ্রুব মুচকি হেসে গাড়িতে বসে পড়লো।
আর গাড়ি চালাতে শুরু করলো।
ধ্রুব গাড়ি চালাচ্ছে আর মুচকি হাসছে। খুব খুশি লাগছে ধ্রুবর৷ কেমন যেনো একটা অন্যরকম অনুভুতি হচ্ছে।। তারাও বাইরের দিকে তাকিয়ে হাসছে। কেনো হাসছে তারার নিজেরও জানা নেই তবে আজ কেনো যেনো মনটা অন্যরকম ভাবনায় মগ্ন।

ধ্রুব আইসক্রিম এর দোকানের সামনে গাড়ি থামালো।
ধ্রুবঃতুমি বসো আমি আইসক্রিম আনছি।
তারাঃহুমমম
ধ্রুব নেমে পড়লো।
তারা একা বসে আছে হটাৎ একটা ম্যাসেজ এলো।
তারা ম্যাসেজটা খুললো।ধ্রুবর ম্যাসেজ-
“আপনার প্রশ্নটা যেনো কি ছিলো”?
তারা মুচকি হেসে লিখলো-
“ মনে নেই। তবে উত্তরটা পেলে প্রশ্নটা মনে আসার সম্ভাবনা আছে।”
“এটা কেমন কথা?”
“এটা আমার কথা।তারার কথা। এখন উত্তরটা বলেন.।নাহলে এক্ষুনি পালিয়ে যাবো”।
“আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন?”
“যদি বলি হ্যা।”
“তাহলে পালিয়ে যান তবে আমার সাথে। অন্য কারো সাথে বা একা পালানোর চিন্তাও করবেন না। পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো”.
“উপসসস ভয় পেলাম”
তারা পরের ম্যাসেজ এর জন্য অপেক্ষা করছে।
দেখলো ধ্রুব চলে এসেছে আইসক্রিম নিয়ে।
ধ্রুব গাড়িতে বসলো। আর বললো-এই নাও তোমার আইসক্রিম।
তারা আইসক্রিম নিয়ে বললো না আমার ঠান্ডার প্রবলেম আছে।। তারাঃওহহহহহহহ।
তারা আইসক্রিম খেতে শুরু করলো।
ধ্রুব মোবাইলে কিছু একটা চেক করে গাড়ি চালানো শুরু করলো।
তারার মোবাইলে আবার ম্যাসেজ আসলো।
তারা ম্যাসেজ খুলে দেখলো। তাতে লিখা।

“তোমাকে দেখতে দেখতে কাটে
আমার সমগ্ররাত
তোমার অপেক্ষায় থাকি
প্রত্যেকটা প্রভাত
তোমার কান্নায় মন ভাঙে
তোমার হাসিতে মন কাড়ে।
তোমার জন্য এক আকাশ ভালোবাসা
তুমি আমার তারা।
ধ্রুবরতারা
#ধ্রুবতারা “ -(নিলাঞ্জনা)
💚💛💜
ম্যাসেজটি পড়ে তারা হেসে উঠলো। মোবাইল রেখে ধ্রুবর দিকে তাকালো।ধ্রুব গাড়ি,চালাচ্ছে আর মুচকি হাসছে।
তারা জানালার দিকে মুখ ফিরালো হাসতে লাগলো।

কিছু সময়,পর ধ্রুব বললো-তো ম্যাডাম এবার কোথায় যাবেন?
তারাঃযেখানে আপনি নিয়ে যান।
ধ্রুবঃআমাকে এতো বিশ্বাস?এতো বিশ্বাস ভালো না কিন্তু! আমি ভালো মানুষ না।কিছু করে বসলে😉😉😉
তারাঃআমার হাসবেন্ড থেকে ভালোই আছেন তাই তো আপনার সাথে পালাচ্ছি😂😂😂এখন আপনি যেখানে নিয়ে যান।
ধ্রুবঃযাওয়ার ইচ্ছা তো অনেক দূর পর্যন্ত আছে যাবেন নাকি?
তারাঃযাবো তবে সারাজীবন আমাকে এভাবে আইসক্রিম আর ফুচকা খাওয়াতে হবে।পারবেন?
ধ্রুবঃআরে,কি যে বলেন। কাল থেকে নিজ হাতে ফুচকা বানিয়ে খাওয়াবো। ইউটিউব থেকে শিখেছি।
তারাঃবাহ বাহ নট ব্যাড। তাহলে তো আপনার সাথে যাওয়া যায়😂😂😂😑
ধ্রুবঃ😂😂😂😂

নির্মল রাতে, স্নিগ্ধ চাঁদের আলোতে নির্জন পরিবেশে এগিয়ে যাচ্ছে দুজন নতুন পৃথিবীর দিকে। হয়তো হয়নি বলা সরাসরি ভালোবাসার কথা কিন্তু চোখের ভাষায় বুঝে নিয়েছে একে অপরের মনে কথা। কখনো কখনো মনের কথা বলতে ভাষা লাগে না চোখের ভাষায় বোঝা হয়ে যায় একে অপরের চাওয়া পাওয়া।

সমাপ্ত……….

(ইয়াহুুু!!!!!আজকে আমারে গল্পের হাফ টেনচুরি হলো(টেনচুরি হলো ১০টি)মানে এই নিয়ে ৫নম্বর গল্প।সবাই শুভ কামনা জানাও।🎉🎉🎊🎊🎊🎉
আজকের মতো এই গল্প এখানেই শেষ।
আমার কথাঃএই গল্পটা লিখা হয়েছে খুব সিম্পল একটা কাহিনীর উপর।খুব কমন কাহিনী। এমন বস পিএ গল্প আপনারা অনেক পড়েছেন। আমার ইচ্ছা ছিলো এই কমন কাহিনী নিয়ে নিজের স্টাইলে একটা গল্প লিখার। জানি না আপনাদের কেমন লেগেছে।চেষ্টা প্রচুর
করেছি যাতে আপনাদের ভালো লাগে।কমন কাহিনী নিয়ে আনকমন কিছু একটা লেখার প্রচেষ্টা এটা।আর এই গল্পের ম্যাসেজ হলো-প্রিয় মানুষটাকে বিশ্বাস করা। যদি বিশ্বাস করে ঠকেন তাতেও ভালো কিছু আছে।ভেবে নিন ভালো কিছু অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

আপনাদের প্রশ্নঃ
১/ গল্পটার নাম স্টার জলসার নাটকের মতো?
উঃআসলে গল্পটা লেখার কথা যখন ভাবি তখন এই নামটায়,মাথায় আসলো।আমি স্টার জলসার তেমন কোনো সিরিয়াল দেখিনা। তাই জানতাম না এই নামের সিরিয়াল আছে। যখন কমেন্ট পড়লাম সেদিন চেক করলাম আর দেখি সেম নামে একটা সিরিয়াল আছে।তাই নামের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ কাকতালীয়।আর আশা করা যায় যারা সিরিয়ালটা দেখেন আমার গল্পের সাথে মনে হয় মিল নাই।
২/গল্পের নিচে its yoo yoo nilu baby rocks লেখার কারণ?
উঃ আমি যখন প্রথম গল্প লিখি আমার মাথায় একটা কথা ছিলো যাতে মানুষ আমার গল্প দিয়ে আমাকে চিনে।তো নিলাঞ্জনা নামের আরো রাইটার থাকতে পারে তাই ভাবলাম এমন কিছু একটা দিয়ে মানুষ আমার গল্পকে মনে রাখুক যা ইউনিক। তাই এই লাইনটা দি আর দেখা গেলো অনেকজনেই আমার এই ট্যাগলাইনটা পছন্দ হয়েছে আর ঐ ট্যাগলাইনের কারণে মনেও রেখেছে।আরেকটা কারণ যখন এই ট্যাগলাইন নিয়ে কেউ কমেন্ট করে তখন বুঝি মানুষটা লাস্ট পর্যন্ত আমার গল্পটা পড়েছে। তার মানে মোটামোটি ভালোই লিখি😂😂😂😂।আরেকটা কথা হাস্যকর যে যখন এই লাইনটা লিখি না অনেকে কমে্ন্ট করে লিখি নাই কেনো।😂😂
৩/আমি vsমোবাইল এটা কেনো লিখি?
উঃএর কারণ আমি অনেক সময় মোবাইলের সমস্যার কারণে গল্প লিখতে পারিনা৷ তাই আমি যদি বলি মোবাইল নষ্ট তাই গল্প দি নাই। খুব সিম্পল হয়ে যায়। তাই ভাবলাম নিলুর মতো বিন্দাস একটা গল্প দি যাতে একটু মজা পাওয়া যাক।
আর এমন নয় যে আমি গল্প ছোট করে এই গল্প দি এটা আমি গল্প শেষ করার পর একটু ইচ্ছা করে বাড়তি লিখি। তাই এটা আজাইরা বলা যায় না।
৪/একজনের প্রশ্ন আমি মোবাইলের সাথে কথা বলি?
উঃহুমমম,আমি গাছ,মোবাইল এই দুইটার সাথে কথা বলি।যদিও ওরা কথা বলে না।😂😂😂 আসলে আমি প্রচুর বকবক করি।আর যে গল্পটা লিখি ঐটা কল্পনা স্বরূপ মোবাইলের মুখ থাকলে এটাই বলতো হয়তো।
৫/একজন লিখেছিলো আমার মন খারাপ কেনো?
উঃআসলে দেশের অবস্থা দেখে।
৬/গল্প দিতে লেট হয় কেনো?
উঃআমি আসলে স্টুডেন্ট তাই পড়ালেখার পাশাপাশি গল্প লিখি। আর সব কিছু সামলিয়ে গল্প দিতে লেট হয়ে যায়। গল্প লিখা আমার ভালো লাগা।আমার ইচ্ছা,আমার স্বপ্নও বলা যেতে পারে।গল্প লিখে আনন্দ পায়।মজা লাগে। হৃদয় থেকে খুশি আসে।
৭/ গল্পের পার্ট ছোট হয় কেনো?.
উঃআসলে এটা লেখা আর মনের উপর ডিপেন্ড করে। মন ভালো হলে আর হাত ব্যাথা না হলে এবং মাথায় গল্প থাকলে বড় করা যায়।আর তা না হলে লিখা ছোট হয়।
আমার প্রশ্নঃ.১/,গল্পটা কেমন লাগলো?
২/কোন চরিত্রটা ভালো লাগলো?
৩/আজকে কি কমেন্ট পাবো?
৪/…….আর মনে পড়ছেনা।
আরেকটা কথা আমি কমেন্ট চাই তার কিছু কারণ আছে। আমি গল্প লিখতে ভালোবাসি।আনন্দ পায়। যখন আপনারা আমার গল্প পড়েন আমার কাছে ভালো লাগে৷ এতো কষ্ট করে লেখার পর একটা কমেন্ট আশা করা অপরাধ তো নয় মনে হয়।আর আমি যে পার্ট লিখতে ১ঘন্টা লাগায় আপনারা তা ৫মিনিটে পড়ে ফেলেন তা আপনাদের বুঝতে হবে।আর কমেন্ট চাওয়া যদি লোভী হয় তাহলে বলা যায় আমি লোভী রাইটার😂😂
নিজের গল্প নিয়ে কোনো স্বপ্ন থাকলে আপাতত ফেসবুক থেকে তাহলে বলবো নিজের গল্পে 3k react pawa in one day.
এটা আপাতত এফবি থেকে স্বপ্ন।ইনশাআল্লাহ দেখা যাক।
ওকে অনেক কথা বললাম। গল্প কেমন হলো জানাবেন। আর সবাই ভালো থাকবেন।
(বানান ভুল হলে সরি)
stay safe stay happy
Its yoo yoo nilu baby rocks✌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *