তোমাকে খোঁজে

তোমাকে খোঁজে !! Part- 09

নেহাল এগিয়ে আদিবার সামনে এসে দাড়ায়।তারপর বলে, অনেক ছলনা করেছো তুমি আমার সাথে।অনেক অপমান করেছো আমার ভালোবাসাকে।তারপরও তোমাকে আমি ভালোবেসেছি।কিন্তু না!এখন মনে হচ্ছে, তোমার মতোন মেয়ে আমার ভালোবাসা পাবার যোগ্যই না।আমার থেকে দূরে যাওয়ার জন্যই তো তোমার এতো প্লান, তাই না? ঠিক আছে চলে যাও আমার সামনে থেকে। বলেই নেহাল আদিবাকে জোড়ে এক ধাক্কা দেয় আর আদিবা ধাক্কার তাল সামলাতে না পেরে পরে যেতে লাগলে আদিবার বাবা ধরে বসে।

আবির চৌধুরী রেগে গিয়ে নেহালকে এসে মুখ বরাবর একটা ঘুষি বসিয়ে দেয়।আর বলে, তোমার সাহস হয় কি করে আমার মেয়েকে স্পর্শ করার? এভাবে ধাক্কা দেওয়ার? আজ পর্যন্ত আমি আমার মেয়েকে একটু নখের আচরও লাগতে দেয় নি।আর তুমি আমার মেয়েকে মেরে ফেলতে চেয়েছো? বলেই আবির চৌধুরী মারতে থাকে নেহালকে।আঘাতে আঘাতে নেহালকে আবির চৌধুরী রক্তাক্ত করে দেয়।পুলিশও কিছু বলে না।কারণ আবির চৌধুরীর অনেক পাওয়ার।ভাইকে এভাবে মাইর খেতে দেখে মিতি অনেক কস্ট পায়। কান্নাজড়িত কন্ঠে মিতি আদিবাকে অনুরোধ করে তার ভাইকে যেন আর না মারা হয়।আদিবার পায়ে অবদি পরে।কিন্তু আদিবার মনে একটুও দয়া হয় না।আদিবা নিজের মুখটা ঘুরিয়ে নেয় অন্য দিকে।কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় নেহালকে ফেলে রেখে চলে যায় আদিবাকে নিয়ে আবির চৌধুরী।আর পুলিশও একটা এ্যাম্বুলেন্স ডেকে নেহালকে উঠিয়ে দিয়ে চলে যায়।

এ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে সেন্সলেন্স অবস্থায় বিড়বিড় করে বলছে আবির, যেও না তুমি। আমি রেগে তোমার সাথে এমনটা করেছি।প্লিজ যেও না।আমি বাঁচবো না তুমি ছাড়া।ভাইয়ের এমন অবস্থা দেখে মিতির খুব কস্ট হচ্ছে। ছেলেবেলা বাবা-মা এক্সিডেন্টে মারা যাবার পর থেকে নেহাল মিতিকে কখনো বাবা-মায়ের কস্টটা বুঝতে দেয় নি।আর আজ নেহালের কস্ট দেখে মিতি পুরোপুরি ভেঙে পরেছে।

ওদিকে সায়ানের কাছে খবর আসে আদিবার খোঁজ পাওয়া গেছে।আদিবা যেটা বলেছে সবাইকে ঠিক সেটাই সায়ানকে বলা হয়েছে। শুধু নেহাল আর আদিবার বিয়ের কথাটা গোপন রেখেছে।সায়ান খবর পেয়েই ছুটে আসে চৌধুরী মঞ্জিলে।আদিবা তার রুমে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে।

সায়ানকে দেখে আদিবা উল্টো দিকে মুখ করে শুয়ে থাকে।সায়ান আস্তে করে এসে আদিবার পাশে বসে।আর আদিবাকে ডাকে।আদিবা না ফিরলে সায়ান টেনে আদিবাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। দেখে আদিবার চোখে পানি।

আদিবা তুমি কাঁদছো?

আদিবা উঠে বসে সায়ানের হাতটা ধরে বলে, বিশ্বাস করো সায়ান আমি কখনো নেহালকে ভালোবাসিনি! আমি তো শুধু তোমাকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম।

সায়ান আদিবার চোখ থেকে পানি মুছিয়ে দিয়ে বলে, আমিও। কখনো তোমাকে বলা হয়ে ওঠে নি! আজ একটা কথা বলবো শুনবে?

কি?

ছোটবেলা থেকেই তোমাকে আমি ভালোবাসি।তোমার জীবনে কে ছিলো আর কে ছিলো না তাতে আমার কিছুই যায় আসে না।তবে নেহাল যেটা করেছে তার শাস্তি ওকে অবশ্যই পেতে হবে।আর…

আর কি?

তোমার যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে তুমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলেই আমি তোমাকে বিয়ে করবো।

সায়ানের দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আদিবা।আর ভাবে, যেই সায়ানকে এতো বছর ধরে ভালোবেসে এসেছে।আজ সেই সায়ান তাকে ভালোবাসে।আদিবার সায়ানের কথাটা শুনে মনটা খুশীতে ভরে ওঠে।আদিবা মাথা ঝাঁকিয়ে সায়ানকে বিয়ের জন্য সম্মতি জানায়।আর মনে মনে ঠিক করে নেয় বিয়ের পরই সায়ানকে নিজের ভালোবাসার কথাটা জানাবে।
,
,
,
,
,
,
,
,
চলবে,,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *