তুই যে শুধুই আমার

তুই যে শুধুই আমার ! সিজন- ২ !! Part- 24 (Last-Part)

ইমা বেগম ঘুম থেকে ডাইনিং এ যেতেই চমকে উঠলেন। কেন ডাইনিং এ বসে আছে সায়রা , আরুশ , জান্নাত আর আয়ান। সকলের মুখে এক অদ্ভুত গম্ভীরতা। সায়রার চোখ দুটো ছল ছল করছে। এইসব দেখে ইমা বেগম বেশ ঘাবড়িয়ে যায়। ইমা বেগমকে দেখার সাথে সাথেই সবাই দাড়িয়ে যায়। এগিয়ে আসে তার দিকে।

🍁

ইমা বেগমকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে সায়রা , আরুশ , জান্নাত আর আয়ান। চারদিকে হাল্কা নিরবতা আর সকলের মুখেই এক কৌতূহলী ভাব। সকলেই এক দ্বিধায় ভুগছে। কি থেকে শুর‍্য করবে বুঝতে পারছে না। সায়রা সকল দ্বিধা পেড়িয়ে বলে উঠে।

সায়রাঃ এমন কেন করলে মা?

ইমা বেগমঃ আআমি আআবার কি ককরলাম?? কিছুটা তোতলিয়ে।

আরুশঃ ড্রামা বন্ধ করুন মিসেস ইসলাম। আমরা সব জেনে গিয়েছি তাই এইসব ড্রামা এখন বন্ধ করুন।

সায়রাঃ আমাদের ভালবাসার এই প্রতিদান দিলে তুমি? আমার সাথে কিভাবে পারলে এইসব করতে?? বাবার সাথে এমন করতে? কিভাবে পারলে নিজের মেয়েকে এক নারীর পাচার কারীর কাজে বিক্রি করে দিতে কিভাবে?? কেন করলে তুমি এইসব কেন?

ইমা বেগমঃ শুধু মাত্র তোর জন্য!!

সায়রাঃ আমার জন্য!!

ইমা বেগমঃ হ্যাঁ হ্যাঁ শুধু মাত্র তোর জন্য। তুই আমার মেয়ের খুনি। তোর জন্য আজ আমার মেয়ে এই পৃথিবীতে আজ নেই আমার সাথে নেই।

সায়রাঃ মানে!! কি বলছো এইসব!!

ইমা বেগমঃ যা বলছি একদম সত্যি। ঘৃণা করি তোকে আমি। তাই এইসব করেছি।

আরুশঃ ক্লিয়ারলি বলুন মিস ইসলাম।

ইমা বেগম এক দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বলে

ইমা বেগমঃ আমি সায়রার আসল মা নই। তোর সৎ মা। সায়রার যখন ১ বছর তখন ওর মা মারা যায়। তখন সায়রা বাবা মানে আমিনুল সাহেব আমায় বিয়ে করে আনেন। আমার স্বামী এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আমার ঘরে এক সন্তান ছিল। আর সে হলো সাহিবা। আমি কখনোই সায়রা আর সাহিবাকে পৃথক চোখে দেখি নি। সায়রাকে কখনো বুঝতে দেয়নি সায়রা আমার সৎ মেয়ে। উল্টো নিজের মেয়ের থেকে বেশি ভালবেসেছিলাম ওকে।
কিন্তু এর প্রতিদানও আমায় কি দিল? কেড়ে নিল আমার মেয়েকে আমার কাছ থেকে। মেরে ফেললো ওকে৷ খুনি ছিলি তুই আমার মেয়ের। যেইদিন আমি আমার মেয়ের মরা মুখ দেখি সেই থেকেই আমি তোকে ঘৃণা করি। আমি আমার মেয়ের মরা মুখ দেখে শপথ নিয়েছিলাম ওর খুনিকে নির্মম শাস্তি দিব। তাই সুযোগ ও সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
এরই মধ্যে নারী পাচারকারীর এক সংবাদ দেখি। তখনই মাথায় আমি তোর শাস্তি ঠিক করি যে তোকে নারী পাচারকারীর হাতেই তুলে দিব। এর চেয়ে কঠিন শাস্তি আর কিছুই ছিল না তোর জন্য। তাই নারী পাচারকারীর এক দালালকে লেগে পড়ি আর পেয়েও যাই। সে আমায় রিসাবের নাম্বার দেয়। দুবাইতে নাকি ও এই ব্যবসায়ই করে। আমি রিসাবের যোগাযোগ করে সব ঠিক করি৷ কিন্তু আমি যেহেতু সব কৌশলে করতে চেয়েছি তাই এই মিথ্যে বিয়ের আয়োজন করি। রিসাবকে নিজের বান্ধবীর ছেলে বলে উপস্থাপন করি৷ আমাদের মধ্যে এই চুক্তি ছিল যে বিয়ের পর রিসাব তোকে দুবাই নিয়ে গিয়ে পাচার করে দিবে। আর সেই অনুযায়ী সব কাজ হচ্ছিল কিন্তু মাঝ পথে বিপত্তি হয়ে আসলো আরুশ।
তোর আর আরুশের মধ্যে যে কিছু চলছে তা আমি বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
এরই মধ্যে আমি সেইদিনের অফিসের ঘটনা জানতে পারি যেইদিন তোর এক্সিডেন্ট হয়। আর তাই ওটাকেই অস্ত্র বানিয়ে তোর বাবার কান ভরি আমি। তাকে বুঝাই যে আরুশের জন্য তোর ক্ষতি হয়েছে। কেন না আমি জানতাম তোদের ভালবাসার কথা শুনলে তোর বাবা রাজী হয়ে যাবে। তাই তহ এইসব করা।

আরুশঃ কিন্তু তাও আপনার প্লেনে বিপত্তি ঘটে কেন না সেইদিন আঙ্কেল আমার আর সায়রার বিয়ের জন্য মেনে গিয়েছিল। মেনে নিয়েছিল আমায়। তাই আপনি রিসাবকে তাকেও সরিয়ে দিলেন নিজের রাস্তা থেকে।

ইমা বেগমঃ হুম ঠিক তাই। সেইদিন যখন তুমি আসলে তখনই মনের মধ্যে এক ভয় ঢুকে গিয়েছিল। আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল আমিনুল সাহেব তোমাদের বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যাবে আর ঠিক তাই হলো। তাই আমি আগেই রিসাবকে সব বুঝিয়ে দিয়েছিলাম আর ওকে আসতে বলে দিয়েছিলাম। তুমি যখন একটা ফোন কলের জন্য বারান্দায় গেলে তখন আমি আস্তে করে গিয়ে দরজা খুলে দেই আর রিসাব ভিতরে এসে পড়ে। আমি ইশারা করতেই রিসাব পাশে থাকা ফ্লাওয়ার ভ্যাসটা নিয়ে আমিনুল সাহেবের মাথায় বারি দেয় আর সাথে সাথে মুখ চেপে ধরে যাতে আওয়াজ না করতে পারে। তারপর যত তারাতারি সম্ভব বেড়িয়ে যায়। আমিও দ্রুত দরজা আটকিয়ে রান্না ঘরে চলে যাই।

আরুশঃ আর আমি যখন আসি তখন আমিনুল সাহেব নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে এগিয়ে যাই আর যখন ফ্লাওয়ার ভ্যাসটা হাতে নেই তখনই আপনি এসে চিৎকার দেন আর এইসব ড্রামা করেন। আর পরে রিসাবকে সায়রার চোখে ভালো বানিয়ে দেন তাই তহ!

ইমা বেগমঃ হুম।

সায়রা এইসব শুনে দুই কদম পিছিয়ে যায়। আরুশ ধরতে গেলে সায়রা বাঁধা দেয়। সায়রা কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে বলে।

সায়রাঃ এতটা ঘৃণা করো আমায়!! এতটা যে আমাকে পাচারকারীর হাতে বিক্রি করে দিলা। তুমি এইটা কিভাবে ভাবতে পারলে আপুকে আমি মেরেছি?? আমি!! তুমি তহ জানতে আমি আপুকে কতটা ভালবাসতাম!! নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসতাম, তাহলে আমি কিভাবে??

ইমা বেগমঃ যতই যাই বলোস না কেন সত্যি কখনো পাল্টাবে না। তুই আমার মেয়ের খুনি। তোকে তহ আমি শেষ করে দিব।

এই বলে ইমা বেগম সামনে আসতে নিলে আরুশ সামনে এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। আর বলে।

আরুশঃ ভুলেও এই ভুল দ্বিতীয়বার করবেন না। তা না হলে আমি ভুলে যাব আপনি আমার মুরব্বি হন।

জান্নাতঃ আন্টি আপনি কিভাবে এত নিচে নামতে পারলেন?? আপনি তহ জানতেন সেইটা একটা এক্সিডেন্ট ছিল। সেখানে চাইলে সায়রারও জান চলে যেতে পারতো!! কিন্তু সে বেঁচে গেছে আর তার বদলে সাহিবা আপুর জান চলে গিয়েছে। সবই ভাগ্যের খেল ছিল। তাহলে এইখানে সায়রার দোষ কেমনে হলো??

ইমা বেগমঃ ও যদি সেইদিন নিজে ড্রাইভ না করতো তাহলে এইসব কিছুই হতো না।

আয়ানঃ বুঝদারকে বুঝানো যায় অবুঝদারকে নয়। আরুশ তুই পুলিশকে ফোন দে।

ইমা বেগম এইবার কিছু না বলে চুপ হয়ে থাকে। আরুশ যেই না ফোন হাতে নিতে নেয় তখন সায়রা বলে উঠে।

সায়রাঃ কাউকে ফোন করার দরকার নেই।

আরুশঃ মানে!! অবাক হয়ে।

সায়রা সামনে ইমা বেগমের সামনে এসে বলে।

সায়রাঃ তুমি তোমার জায়গায় ভুল নও মা। হয়তো সত্যি আপুর মৃত্যু কারণ আমি। আমি সেইদিন জোর না করলে হয়তো এইসব হতো না। কিন্তু ভাগ্যে হয়তো এইটাই ছিল তাই এইটাই হয়েছে। এখন তুমি যদি আমায় দোষারোপ করে শান্তি পাও তাহলে তাই হোক।
কিন্তু তুমি যা করেছ তার কি মা?? তুমি কিভাবে পারলে একটা মা হয়ে নিজের মেয়েকে পাচার করে দিতে?? হোক না সৎ মা, মা তহ!!

সায়রা একটু চুপ হয়ে আবার বলা শুরু করে।

সায়রাঃ তুমি যা করেছ তা ক্ষমার যোগ্য নয় জানি। কিন্তুও তাও তোমায় আমি এর কোন আইনি শাস্তি দিব না। পারবো দিতে আমি। যতই হোক ছোট থেকে তোমায়ই মা মেনে এসেছি আর ভালবেসে এসেছি। কিন্তু একবারে শাস্তি দিব না তা না।
তোমার শাস্তি হলো আজ থেকে তুমি এইখানে একাই থাকবে। তোমার সাথে আমার আর বাবার আজ থেকে কোন সম্পর্ক নেই। আজ থেকে তুমি আমার জন্য অপরিচিত।
আরুশ প্লিজ আমাকে এইখান থেকে নিয়ে যান আমি আর পারছি না।

আরুশ আর কিছু না বলে সায়রাকে নিয়ে যায়। তারপর আস্তে আস্তে আয়ান আর জান্নাতও চলে যায়। একাই রয়ে যায় ইমা বেগম।

🍁

রাতে,
আরুশের বুকে মাথা রেখে ফুপিয়ে কেঁদেই চলেছে সায়রা। আরুশ ওকে শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে রেখেছে। সে চায় সায়রা আজকে কাদুক। এত বড় সত্য হজম করতে ওর যে সময়ের প্রয়োজন।

সায়রাঃ আমি খুব পঁচা তাই না??

আরুশঃ একদম না কে বলেছে তুমি পঁচা? তুমি একদমই পঁচা না। তুমি অনেক ভালো তাই তহ এতকিছুর পরও তাকে ছেড়ে দিলে।

সায়রাঃ অনেক কষ্ট দিয়েছি আপনাকে তাই না!! ভুল বুঝেছি।

আরুশঃ দেখ তোমার এইখানে দোষ ছিল না তুমি চোখের সামনে যা দেখছ তাই বিশ্বাস করেছ। আমি তোমার জায়গায় হলেও হয়তো একই কাজ করতাম।

সায়রাঃ এত কেন বুঝেন আমায়? এত বিশ্বাস কেন??

আরুশঃ ভালবাসি যে তাই। আর যাকে ভালবাসা যায় তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়।

সায়রাঃ আমার প্রতি কি একটু অভিমান নেই আপনার?

আরুশঃ হয়েছিল কিন্তু তা বেশিক্ষ্ণের জন্য না। কেন জানো কারন আমি জানতাম যে #তুই_যে_শুধু_আমারই।
আরেকটা কথা মাথায় রাখবে যদি দেখো ভালবাসার মানুষটিকে তোমায় কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছে না তাহলে ভেবে নিবে যে তোমার মনের মধ্যে কখনো তার জন্যে ভালবাসা ছিলই না। কারন ভালবাসার মানুষ যতই কষ্ট দিক না কেনো তার ওপর রাগ করে থাকা যায় না।।অভিমান করা যায় কিন্তু তাও ক্ষনস্থায়ী। হয়তো কিছু সময় রাগ অভিমানের জন্য ভালবাসার প্রকাশ করা যায় না কিন্তু তাই বলে ভালবাসা কমে গেছে তা ভাবা বোকামি।

সায়রাঃ ভালবাসি আপনাকে!! খুব বেশি ভালবাসি!

আরুশঃ আমিও। মুচকি হেসে।


🍁🍁🍁


দেখতে দেখতে কয়েক মাস কেটে যায়। আজ জান্নাত আর আয়ানের বিয়ে। আরুশ আর সায়রা আজ সেখানেই এসেছে।
জান্নাত স্টেজে বসে বসে চকলেট খাচ্ছে আর আয়ান জান্নাতের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। আরুশ আর সায়রা স্টেজে উঠে ওদের দুইজনকে দেখে ফিক করে হেসে দেয়। সায়রা জান্নাতের পাশে গিয়ে বসে।

সায়রাঃ কিরে সবাইকে দেখেছি বিয়ের লাড্ডু খেতে তুই চকলেট খাচ্ছিস কেন?

জান্নাতঃ বিয়ের লাড্ডু তহ সবাই খাই তাই আমি একটু উনিক ট্রাই করলাম।😎 আহা কি যে গর্ব লাগতাসে। আমি আমার বাচ্চা পোলাপাইনদের বলতে পারুম আমি বিয়ের লাড্ডু খাই নি বরং বিয়ের চকলেট খেয়েছি😋

সায়রাঃ তুইও না।
এই বলে দুইজনেই হাসিতে মেতে উঠে।

এইদিকে আয়ান মুখ বাংলা পেঁচার মত করে আছে। আরুশ ওর পাশে গিয়ে বসে।

আরুশঃ কিরে মুখ এমন করে আছিস কেন??

আয়ানঃ তহ কি করতাম। আমি এখনই আমার ফিউচার অন্ধকার দেখতাসি।😵

আরুশঃ তহ বিয়ে করিস না।

আয়ানঃ এহহহ কত কষ্টে পোটাইসি ওরে এত সহজে ছাড়ুম না। সব কষ্ট উসুল করুম।

আরুশঃ তাইলে আর কি! লেগে যা কাজে।

দেখতে দেখতে বিয়ে সম্পন্ন হলো। আরুশ আর সায়রাও আয়ান আর জান্নাতের কাছ থেকে শেষ বিদায়ী নিয়ে এসেছে। কেন না আজকেই তারা ইউরোপ চলে যাচ্ছে। রাত ১ টাই তাদের ফ্লাইট। আমিনুল সাহেবকেও নিয়ে যাচ্ছে। তাকে সেখানেই উন্নত মানের চিকিৎসা করানো হবে। এর মধ্যে সায়রা একবার ইমা বেগমের খোঁজ নিয়েছিল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তিনি তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি নাকি যখন তখন পাগলামি শুরু করে দেন তাই আশে পাশের মানুষ তাকে একটা পাগল গরাদে দিয়ে এসেছে। তিনি এখন সেখানেই আছে। সায়রা একবার দেখতে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আরুশ দেয় নি। কেন না আরুশ জানে সায়রা তাকে দেখতে গেলে হয়তো তাকে মাফ করে দিবে। যা আরুশ চায় না। সায়রাও এরপর আর কথা বাড়ায় নি।


🍁🍁


বারান্দায় দাড়িয়ে আছে সায়রা। বাইরে হাল্কা স্নোফোল হচ্ছে। সায়রা বা হাত দিয়ে তা স্পর্শ করার চেষ্টা করছে। এই প্রথম সে স্নোফোল দেখছে। তার খুশি আর দেখে কে!! চোখে মুখে এক স্নিগ্ধ হাসি।
ইউরোপে এসেছে প্রায় মাস খানিক হলো। আর আজই কড়া শীতের আহবান নিয়ে হাজির হয়েছে তুষারপাত। সায়রা তহ সেই তুষারপাতেই নিজেকে বিলিন করতে প্রস্তুত। সায়রা মুগ্ধ হয়ে তুষাপাত দেখছে।
এমন সময় আরুশ এসে সায়রাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। সায়রা খানিকটা চমকে উঠে। আরুশ সায়রা কাধে ছোট একটা চুমু একে দেয়। সায়রা কেপে উঠে। আরুশ সায়রাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিজের আগে নিতেই সায়রা কিছু বলতে যায়। কিন্তু তা আর বলা হয়ে উঠে নেই কেন না আরুশ সায়রার মুখে হাত দিয়ে দেয়। আরুশ এইবার করুন কন্ঠে বলে।

আরুশঃ আমি জানি তুমি এখন কি বলবে।। কোথ থেকে কোন গন্ধ বের করবে কে জানে। সব সময় তুমি আমার রোমেন্সের মাঝে গন্ধ আনো আর আমার রোমেন্সের তেরোটা বাজাও। সো আজকে আমি কোন রিস্ক নিব না।

আরুশের এই কথায় সায়রা ফিক করে হেসে দেয়। সাথে আরুশও। সায়রা আরুশের বুকে মাথা রেখে বলে।

সায়রাঃ যান বলবো না আজ কিছু।

আরুশঃ এক আবদার করি!

সায়রাঃ করেন।

আরুশঃ তুমি করে বলো না প্লিজ। আমি তোমার মুখে তুমি ডাকে ভালবাসি শুনতে চাই। শুনাবে।

সায়রা আরুশের বুকে মুখ লুকিয়ে বলে।

সায়রাঃ ভালবাসি তোমায়।

আরুশঃ আমিও অনেক অনেক বেশি ভালবাসি আমার সায়ুপাখিকে। এই বলে সায়রারকে কোপালে এক ভালবাসার স্পর্শ একে দেয়। নিজের বুকের মাঝে জরিয়ে নেয় ওকে। অতঃপর সায়রাকে কোলে করে রুমে নিয়ে যায় আর পারি জমায় এক অজানা ভালবাসার রাজ্যে।

আজ তাদের ভালবাসায় নেই কোন বাঁধা নেই কোন গ্লানি। দুইজনেই হারিয়ে যাবে সেই ভালবাসার রাজ্যে যেখানে থাকবে না কোন সংশয়, না থাকবে কোন অবহেলা, না থাকবে কোন ভুল বুঝাবুঝি।। শুধু থাকবে তাদের দুষ্টু মিষ্টি ভালবাসা।
বেঁচে থাকুক তাদের ভালবাসা মধুর হোক তাদের জীবন।


🍂🍂🍂🍂 সমাপ্ত 🍂🍂🍂🍂

👉বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ আসফিয়া ইসলাম জান্নাত ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন…

👉 আমাদের ফেসবুক পেজ
তুই যে শুধুই আমার তুই যে শুধুই আমার তুই যে শুধু