তবু মনে রেখো

তবু মনে রেখো !! Part- 09

আজ আসতে দেরি হওয়ার শিমুল খুব টেনশনে ছিলো, না জানি ইফতি চলে এসেছে কিনা। বাসায় ঢুকেই অথৈ দৌড়ে কোলে উঠলো, কেন দেরিতে আসলো, ওর জন্য চকলেট এনেছে কিনা হাজারো প্রশ্ন তার। কোনো মতে ওকে সামাল দিয়ে সখিনার কাছে রেখে নিজের রুমে গেলো সে। রুমে কোথাও ইফতিকে না দেখতে পেয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। খানিকটা হাফ ছেড়ে বাঁচলো শিমুল। নয়তো আজকে কোনো কথা শুনতে বাদ থাকতো না। ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে যেতেই আফসানা বেগমের সাথে দেখা। উনি বলে উঠলেন,
– আজ এতো দেরি হলো যে?
– মা ওটি ছিলো, সিভিয়ার প্যাশেন্ট। তাই দেরি হয়েছে।
– একটা ফোন করে দিতে, গাড়ি চলে যেত।
– মা আমার এক বন্ধু ড্রপ করে দিয়েছে। সমস্যা হয় নি। চা খাবেন তো? আমি চা করছি।
– খেলে মন্দ হয় না। ইফতির জন্য কফিটা পারলে করো, ফ্রেশ না হয়েই স্টাডিতে গিয়ে যে বসেছে উঠার নাম নেই।
– উনি বাসায়?
– হুম, এইতো তুমি আসার দশ মিনিট আগে এসেছে। এসেই স্টাডিতে বসে আছে।
– ঠিক আছে মা, আমি কফি করে দিচ্ছি।

ইফতি স্টাডিতে খুব কম বসে। খুব কাজের চাপ না হলে ইফতিকে শিমুল স্টাডিতে বসতে দেখে নি। স্টাডিতে উঁকি মেরে দেখলো, ইফতি বেশ কিছু ফাইল নিয়ে বসে আসে। খুব উসখো খুসখো লাগছে ওকে। চোখ মুখ শক্ত, নাক লাল হয়ে আছে। শিমুল খুব ভালো করেই বুঝতে পারলো আজ কপালে শনি আছে। ছোট ছোট পা দিয়ে স্টাডিতে প্রবেশ করলো সে। কফির কাপটা টেবিলে রাখতেই ইফতি একবার মাথা তুলে ওর দিকে তাকালো তারপর আবার কাজে মন দিলো। অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে যখন ইফতির সাড়া পেলো না তখন শিমুল নিজ থেকেই বলে উঠলো,
– ফ্রেশ হবেন না? সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। আযান দিয়ে দিবে।
-….
– আজ কি কাজের চাপ অনেক?
– তোমার আমাকে নিয়ে ভাবার সময় আছে?
– এভাবে বলছেন কেন?
– কিভাবে বললাম?
– উঠে ফ্রেশ হয়ে নিন।

শিমুল খুব ভালো করেই জানে এখন ইফতির কথায় উত্তর দিলে একটা ঝগড়া লেগে যাবার সমূহ সম্ভাবনা আছে। তাই কথা না বাড়িয়ে মানে মানে কেটে পড়ছিলো শিমুল।
– আজ তোমার ঘড়িতে সাড়ে পাঁচটা বোধ হয় এক ঘন্টা পর হয়েছে।

ইফতির কথায় শিমুল দাঁড়িয়ে পড়লো, যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয় টাইপের ব্যাপার ঘটে গেলো। শিমুল দোয়া করছিলো যাতে ইফতি তাকে জেরা না করে। কিন্তু ইফতি তো ইফতি এই টপিক ছেড়ে দেবার বান্দা সে নয়। আমতা আমতা করে বলতে লাগলো,
– আসলে আজকে একটা ওটি ছিলো, সব সেড়ে বের হতে দেরী হয়েছে।
– তা ফোন করে জানানো যেতো না?
– আমি করে ছিলাম, আসলে ওটি শুরু হয়েছিলো চারটায়। ওটি শেষ হতেই আমি আপনাকে ফোন করেছিলাম। আপনি ধরেন নি।
– তাহলে আমার জন্য অপেক্ষা কেনো করলে না, অন্যের বাইকে চড়ে আসতে হলো।
– অন্যের বাইক… ওহ ওইটা নিহাল ছিলো আমার বেস্টফ্রেন্ড যার কথা কাল বলেছিলাম। অন্ধকার হয়ে আসছিলো বিধায় ও আমাকে ড্রপ করে দিয়েছে।

এবার ইফতির কাছে ধোয়াশাটা কাটলো। আসলে ইফতি পাঁচটা থেকে ওখানে বসে ছিলো। প্রতিদিন এটা যেন ওর ডিউটি হয়ে গেছে, শিমুলকে হসপিটাল থেকে আনা। অনেক অপেক্ষা করে যখন পারছিলো না তখন বাইরে পানি কিনতে গিয়েছিলো সে। পানি কিনে ফিরতে চোখে পড়লো শিমুল একটা ছেলের বাইকে চড়ে বসেছে। রাগে জিদে এক মিনিট অপেক্ষা না করে বাড়ি চলে আসে ইফতি। তখন থেকে স্টাডিতে বসা, কেনো রাগ হচ্ছে, কেনো তার বা পাশে তীক্ষ্ণ ব্যাথা অনুভব করছিলো এটা বুঝতে না পেরে আরোও মেজাজ খারাপ লাগছিলো তার। শিমুল তাকে কফিটা দিয়ে অথৈর কাছে চলে গেলো। ইফতি আজকাল তার আশেপাশে এই নারীটাকে খুব করে চায়। শিমুলের হাতের কফি ছাড়া সে কারোর কফি এখন খায় না। দিন শেষে এই নারীর মুখ দেখলে যেন তার সকল ক্লান্তির অবসান হয়। এই নারীর মধ্যে কিছু একটা আছে যা তাকে চুম্বকের ন্যায় আকৃষ্ট করে৷ আচ্ছা সে তো বকুলকে ভালোবাসতো, তবে একজন মানুষ কি আবার প্রেমে পড়তে পারে? একজনের মনে দুই জনের বাস হওয়া কি সম্ভব!

রাতে খাবার পর, রুমে এসে দেখলো শিমুলের হাসিতে রুম মুখরিত হয়ে আছে, এতো সুন্দর করেও কেউ হাসতে পারে। বারান্দার দিকে যেতেই ইফতি মেজাজ আবার খারাপ হয়ে গেলো, কারন শিমুল কারোর সাথে ফোনে কথা বলছিলো আর খিলখিল করে হাসছিলো। এতো কিসের আলাপ আর কার সাথেই বা এভাবে কথা বলে হাসতে হবে৷ ক্ষনিকের জন্য হলেও ইফতির খারাপ লাগছে। ইচ্ছে করছে, যেয়ে ফোনটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিতে। কোথায় তার সাথে তো শিমুল এভাবে মন খুলে হাসে না। তাহলে!! আচ্ছা শিমুল এই বিয়েতে হ্যাপি তো!! এমন নানা প্রশ্ন যেন ইফতির মস্তিষ্ক ঘিরে রয়েছে। নিজেকে অসহায় লাগছে। আচ্ছা যদি শিমুল তাকে ছেড়ে চলে যায় তখন, তখন সে কি নিজেকে সামলাতে পারবে। এই নারীর বিচরণ তাকে যে বিভর করে রাখে।
– আপনি এখানে? ঘুমাতে যাবেন না?
– হুম, অথৈ ঘুমিয়ে গেছে?
– হ্যা, কখন! কি হয়েছে? এমন লাগছে কেনো আপনাকে?
– না, কিছু না। কার সাথে কথা বলছিলে?
– নিহালের সাথে, একটা পাগল ও!
– ও, আচ্ছা তুমি আমাকে তোমার বন্ধুদের সাথে কোনোদিন পরিচয় করিয়ে দাও নি, দিও তো। আমার ও জানা উচিত আমার বউ এর বন্ধু বান্ধব কেমন?
– আমার অনেক বন্ধু নেই, বন্ধুদের মধ্যে নিহাল আর রাহা ই আমার ভালো বন্ধু। রাহা ইউ.এস.এ চলে গেছে এক বছর হতে চললো। আর এখন নিহাল ই রয়েছে। আমাদের বন্ধুত্ব তের বছরের হবে। স্কুল ফ্রেন্ড ও আমার।
– বিয়ে শাদী করেছে ও?

ইফতির প্রশ্নে শিমুল নিমিয়ে যায়, এতোদিন না জানলেও আজ সে জানে কেনো নিহাল এখনো বিয়ে করেনি। আস্তে আস্তে বলে,
– না, সে যাকে ভালোবাসতো সেই নারী অন্য কারোর হয়ে গেছে।
– বুঝি নি!
– কিছু না, ও বিয়ে করে নি। তবে জলদি ওর বিয়ের ব্যাবস্থা করবো।
– হুম ভালো। শুয়ে পড়ো, কাল তো হসপিটালে যেতে হবে তাই না?
– হ্যা, দেরি হয়ে গেছে। আপনিও শুয়ে পড়ুন।
– হুম

শিমুল শুয়ে পড়লে ইফতি সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে বারান্দায় চলে গেলো। একটার পর একটা সিগারেট জ্বালাতে লাগলো, কিছুতেই মনটাকে শান্ত করতে পারছে না। আচ্ছা তবে কি সে শিমুলকে ভালোবেসে ফেললো। কিন্তু কিভাবে, এই মেয়েটা কি করে তার মনে জায়গা করে নিলো? না না এটা শুধু আকর্ষণ। কিন্তু আকর্ষণই যদি হয় তবে শিমুলকে হারিয়ে ফেলার ভয় কেনো মনে জেকে বসেছে। সত্যি যদি ওকে কেউ তার থেকে কেঁড়ে নেয়, কি করবে তখন। এসব আকাশ পাতাল চিন্তা করতে করতে পুরো প্যাকেট সিগারেট শেষ করে ফেললো ইফতি।

তিনটার দিকে শিমুলের ডাকে ইফতি রুমে যায়। হঠাৎ করে শিমুল জোরে ডেকে উঠে ইফতিকে। রুমে যেয়ে দেখে শিমুল অথৈকে কোলে নিয়ে বসে আছে।
– কি হয়েছে?
– পুচকুর প্রচুর জ্বর। একটু থার্মোমিটারটা দেন না।
– হুট করে জ্বর হলো কি করে?
– জ্বরে কাঁপছে মেয়েটা, বুঝতে পারছি না। রাতে তো ভালোই ছিলো।
– এই নাও।

জ্বর মেপে দেখা গেলো ১০২° ডিগ্রি ফারহেনাইট জ্বর। এইটুকু বাচ্চা মেয়ে এতো জ্বর, ঘাবড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। বকুল হলে হয়তো কান্নাকাটি বাধিয়ে দিতো। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার শিমুক খুব শান্ত এবং ঠান্ডা মাথায় কাজ করছে। অথৈকে নাপা সিরাপ খাওয়িয়ে জলপট্টি দিতে লাগলো সে। ইফতি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে শিমুলের দিকে। মুখে চিন্তা স্পষ্ট তাও খুব ধৈর্য করে সে অথৈকে সামলাচ্ছে। এই কয়দিনে এটুকু বুঝতে বাকি নেই ইফতির যে শিমুল অথৈকে তার থেকেও বেশি ভালোবাসে। বড় হলে যদি অথৈকে না বলা হয় যে তার আসল মা বকুল তবে হয়তো অথৈ আলাদা করতে পারবে না কে তার আসল মা। সারা রাত অথৈর সেবাতেই কেটে যায়। সকালে জ্বরটা কমলে শিমুল একটু গা এলিয়ে দেয়। খুব টায়ার্ড লাগছে, মেয়ের জ্বর এখন ১০০° তে নেমেছে। এক রাতেই বাচ্চাটার মুখ শুকিয়ে গেছে। মেয়েকে জড়িয়ে একটা ঘুম দিলে মন্দ হয় না।

সকাল ৯ টা, ইফতির ঘুম ভাঙ্গলো। পাশ ফিরে দেখে দুই মা-মেয়ে ঘুম। মেয়ের কপালে হাত দিয়ে দেখলো জ্বর নেই। কপালে হামি দিয়ে উঠে যাচ্ছিলো, কি মনে করে শিমুলের কপালেও ঠোঁট ছুয়ে দিলো। শিমুলের ঘুমন্ত ক্লান্ত চেহারাটা আজ ইফতির কাছে কোনো সদ্য ফোটা শিমূল ফুলের চেয়ে কম কিছু লাগছে না। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখে নিলো। আজ অফিস যাবে না সে। রুম থেকে বের হয়েই সখিনার সাথে দেখা,
– ভাইজান, ভাবী উঠে নাই?
– কেনো ওকে লাগবে কেনো?
– প্রত্যেকদিন তো ভাবী নাস্তা বানায় তাই খালাম্মায় পাঠায়ছিলো।
– মা কই?
– পাকঘরে
– ঠিক করে বল।
– রান্না ঘরে
– হুম, তোর পড়াশুনার কি অবস্থা?
– ভালা, এই সামনের মাসে পরীক্ষা।
– আচ্ছা, সকালবেলা পড়াশোনা কিছু করছিস?
– জ্বী ভাইজান, ভাবী খুব ভালা করে পড়ায় আমারে।
– হুম?
– ভাবী খুব ভালো করে পড়ায় আমাকে।
– হুম, যা পড়তে যা।

সখিনা মেয়েটা খুব সরলসোজা। কেউ নেই বলে বকুল তাকে এই বাসায় আশ্র‍য় দেয়। আজ মেয়ে কতো বড় হয়ে গেছে। রান্নাঘরে আফসানা বেগম চা বানাচ্ছিলেন। শিমুল এখনো উঠেনি দেখে প্রশ্ন করে উঠেন ইফতিকে,
– বউমার কি শরীর খারাপ রে ইফতি?
– না মা, শিমুল ঠিক আছে।
– তাহলে আজ এখনো উঠে নি যে?
– আসলে অথৈর রাতে জ্বর এসেছিলো। এখন নেই, কিন্তু সারারাত খুব ধকল গেছে শিমুলের। সকালে ঘুমিয়েছে। তাই এখনো উঠে নি।
– ওহ। বেচারি ঘুমাক তাহলে, তুই কি কফি খাবি আমার হাতের?
– হুম দাও। মাথাটা ধরে আছে।

বলে ইফতি রুমের দিকে রওনা দেয়। অথৈকে খাবার খাওয়াতে হবে। রুমে ঢুকতেই দেখে শিমুল উঠে পড়েছে।
– কি গো, উঠে পড়লে?
– হুম, অনেক বেলা হয়েছে না?
– তাতো হয়েছে। তুমি কি আবার হসপিটালে যাবে নাকি?
– না না, দুই দিন ছুটি নিয়েছি। নিহাল এরেঞ্জ করে দিবে।
– অহ

নিহালের কথা শুনতেই ইফতি কেমন জানে চুপচাপ হয়ে গেলো। নিহালকে একদম সহ্য হচ্ছে না ওর। শিমুল ফ্রেশ হয়ে অথৈকে তুলে দিলো। আজ মেয়েটা চুপচাপ। জ্বরের ধকলে দূর্বল হয়ে গেছে। সারাদিন আজ ইফতির খারাপ কাটলো না। শিমুলের সাথে বিয়ের পর থেকে এভাবে সময় কাটানো হয় নি। শিমুল আজ পুরোটা দিন অথৈ আর ইফতির সাথে কাটাতে পেরে বেশ ভালো লাগছে তার। অথৈ বেশ সুস্থ, দুপুরে ইফতির পছন্দের খাবার গুলো রান্না করে শিমুল। ইফতি ও বেশ তৃপ্তি নিয়ে খায়। এই রান্নাগুলো বকুল রাধতো, তারপর থেকে আর সেভাবে খাওয়া হয় নি। শিমুলের রান্নার হাত ভালো, অনেকদিন পর যেন তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছে ইফতি। খাওয়া দাওয়ার পর গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নেয় শিমুল। আজকে কম খাটুনি যায় নি। গোসল করে ফ্রেশ হলে মাথা ফাকা লাগবে। অথৈ তখন ইফতির সাথে খেলছিলো। আজ মেয়েটাকে নিয়ে ঘুরে আসলে খারাপ হবে না, মেয়েটা কতোদিন বাইরে যায় না। শিমুলের ও হাওয়া বদল হবে। গোসল করে একটা হালকা গোলাপি শাড়ি গায়ে দিলো শিমুল। ভেজা চুলে শিমুলকে এতোটা স্নিগ্ধ লাগছিলো, যার মনে কোনো অপবিত্রতা ছুতে পারে নি। ইফতি এক ধ্যানে তাকে দেখছিলো। চোখে মুখে পানির বিন্দুগুলো যেন ইফতি তৃষ্ণার্ত হৃদয়কে শান্তি দিচ্ছিলো। খুব আলতো করে ছুতে ইচ্ছে করছিলো তার সামনের নারীটিকে। আয়নায় ইফতিকে স্পষ্ট দেখছিলো শিমুল৷ ইফতির এমন চাহনি যেন তার ভেতরটাকে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম। খুব লজ্জা লাগছিলো শিমুলের। পালাতেও পারছে না আবার থাকতেও পারছে না। ইফতির ঘোর ভাঙ্গলো কলিংবেলের আওয়াজে। ঘড়িতে ৪ টা বাজে, এই সময় কে আসতে পারে! অথৈকে শিমুলের কাছে রেখে দরজা খুলতে গেলো সে। দরজা খুলে দেখলো একজন পুরুষ কম করে হলেও পাঁচ ফিট এগারো হবে, সুঠাম দেহ তার; পরণে কালো শার্ট, কালো জিন্স,হাতে কালো ঘড়ি। একটা চকলেটের বক্স, কিছু ফলফলাদি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সানগ্লাসটা খুলতে খুলতে জিজ্ঞেস করলো,
– আপনি ইফতি? আপনি আমাকে চিনবেন না। আমি শিমুলের বন্ধু, শিমুল আছে?

ইফতি তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে। আজ দু জন সমপর্যায়ের ব্যক্তি মুখোমুখি। তাদের মুখোমুখি হওয়া কি শিমুলকে কোনো নতুন ঝামেলার সম্মুখীন করবে, কে জানে!!

চলবে