1. নতুন গল্পঃ3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃঅন্য অন্য লেখকঘর জামাই

ঘর জামাই ——-পর্ব-০১ থেকে ০৮ (শেষ)

ঘর জামাই হয়েছি বলে তুমি যা খুশি তা বলবে। আর
আমার সেইটা মেনে নিতে হবে তা কিন্তু ঠিক নয়।
আজ আমাদের বিয়ের প্রথম রাত, আর আজকে
এমন কথা বলছো?
হ্যা বলছি আর শুনতে হবে, আরে আমিত
তোমাকে বিয়ে করতে চায়নি। বাবার জন্য এই
বিয়েতে রাঝি হয়ছি। এখন তুমি যাও?
বাসর ঘরে ডোকে এমন পরিস্থিতে পড়তে হবে
আমি ভাবতে পারিনি, যদি জানতাম তাহলে আমি জীবনে
এই বিয়েটা করতাম না। তোমার মাথা ঠিক আছেত জুুই
নাকি গেছে? তুমি রাঝি হয়ছো বলেত আমি এই
বিয়েতে রাঝি হয়ছি। তোমার আব্বু বলছে তুমি
আমাকে তোমার জীবনে মেনে নিবে তাই আমি
বিয়ে করেছি।
রাঝি হয়ছি শুধু বাবা মার কথা রাখার জন্য, এখন আমি
তোমাকে স্বামি হিসাবে মেনে নিতে পারবোনা।
কারনটা আমি তোমাকে সুন্দর বাংলা দিয়ে বুঝায়
দিতেছি।
বল কেন, মেনে নিতে পারবেনা?
তুমি আমার বাবা মার পসন্দ, আর আমার পসন্দের
একজন আছে সে হচ্ছে শাওন ইসলাম। আমি ওকে
অনেক ভালোবাসি, আমি ওকে বিয়ে করতাম। কিন্ত
শাওন ঘর জামাই থাকতে রাঝি নয়, আর আমাকে বাবা
অন্য কোথাও বিয়ে দিবেনা। দিবে তার কাছে যে
আমাদের বাড়ীতে থাকবে। আর তুমি রাঝি হয়ছো
ঘর জামাই থাকতে তোমার সাথে আমাকে বিয়ে
দিয়েছে।
তুমি আরেক জনকে ভালোবাসো, এই কথা
আমাকে তোমার বাবা বলেনি কেন? আর তুমি
বলতে তাহলে আমি বিয়ে করতাম না। এখন এত কিছু
বুঝিনা আমরা স্বামি স্ত্রী এত পেচাল না পেরে
আসো একটু কোলা কোলি করি। ঠাসসস করে
একটা থাপ্পড় দিয়ে আমাকে বলছে।
জুই:- তোমাকে না করা সত্যে আমাকে জড়িয়ে
ধরতে আসো। তোমার সাহুস দেখে বাচিনা, এখুনি
এই রুম থেকে বেড়িয়ে যা বলছি, ছোট
লোকের বাচ্ছা কোথাকার। তোর এত বড় সাহুস
আমার অনুমতি ছারা আমাকে জড়িয়ে ধরতে
আয়ছোস।
আমি:- ঠিক আছে তোমার আব্বাজানকে মানে আমার
শ্বশুড় মসায়কে গিয়ে সব বলে দেয়। আর থাপ্পড়টা
তোলা রইল, সময় মত ফিরিয়ে দেবো। যদি কোন
সময় শাওন নাকি টাওনের সাথে কোথাও দেখিনা,
তাহলে ঠেঙ ভেঙে ঘরে ফেলে রাখবো।
জুই:- কি তোর এত বড় সাহুস, দ্বারা দেখাচ্ছি
তোকে, বলে খাটের উপড় থেকে নেমে
এসে। আমার পান্জাবির কালার টেনে ধরছে। আর
বলছে, শোন সৌরভ আমি তোকে আমার স্বামি
হিসাবে মেনে নিবনা। প্রয়োজনে আমি মরে
যাবো তাও তোকে আমার স্বামি হিসাবে মেনে
নিবনা। যদি ভূল করে আমাকে টাচ্ করার চেষ্টা করিস,
তাহলে আমি বউ নির্যাতন মামলা দিয়ে তোকে। আর
তোর পরিবারের সবাইকে থানায় ডোকিয়ে
দেবো।
আমি:- ঠিক আছে টাচ্ করবোনা, এবার পান্জাবির
কালারটা ছারো। এই পান্জাবিটা আমার না, যদি ছিরে যায়
তাহলে জরিমানা দিতে হবে। আর জরিমানা দেওয়ার
মত ওত টাকা আমার কাছে নেই।
জুই:- কি বললে তুমি, পান্জাবিটা তোমার নয়। তাহলে
এইটা কার শুনি?
আমি:- বুন্ধর কাছ থেকে দ্বার আনছি, বলছি এক
সাপ্তাহ পরে দিয়ে দেবো, আর বিনিময়ে ওকে
দুইশত টাকা দিবো। এখন যদি ছিরে যায় তাহলে আমার
(১০) দশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
জুই:- তোমার কাছে একটা শেরওয়ানি কিনার মত টাকা
নেই। আর তোমার সাথে আমাকে বিয়ে
দিয়েছে। যাও তুমি রুমে থাকতে পারবেনা, এখন
থেকে তুমি বাহিরে ঘুমাবে।
আমি:- বাহিরে ঘুমালে তোমার বাবা মানে আমার
শ্বশুড় মসায়। যদি জিগ্যাসা করে আমি বাহিরে ঘুমায়ছি
কেন? তাহলে এর উত্তরটা কি দিবো একটু বলবে?
জুই:- ঠিক আছে রুমে শুইতে পারবে, তবে
বারান্দায় ঘুমাবে, রুমে ভীতরে নয়।
আমি:- ঠিক আছে, বলে আমার শরিলের কাপড়
খোলতে আরম্ব করলাম, তখনি।
জুই:- আরে কি করছো? এখানে কাপড়
খোলছো কেন? বাথরুমে গিয়ে ফ্রেসহয়ে
হয়ে এসো।
আমি:- ঠিক আছে তবে বাথরুম কোথায়?
জুই:- ঐ পর্দাটা শরালে পাবে।
আমি:- যাচ্ছি, বলে আমি গিয়ে পর্দাটা শরিয়ে দরজাটা
দাক্কা দিতেছি, কিন্তু খোলছেনা। আর তখনি আমি,
কোন শালারে ভীতরে বসে আছিস। বেরহ বলছি
তানা হলে কিন্তু কপালে খারাপি আছে তোর। আমার
বাসর ঘরে আমি কিছু করতে পারিনি। শালা শাওনের বাচ্ছা
তুই মজা নিবি, বলে দরজায় জোড়ে জোড়ে দাক্কা
দিতে লাগলাম। তখনি,,, দরজাটা ভেঙে গেলো,
আর জোড়ে একটা শব্দ হলো। আর সাথে সাথে
জুই খাটের উপড় থেকে লাফ মেরে উঠে
গেলো। দরজা ভাঙছে ভাঙগুক তাতে আমার
খেয়াল নেই। আমার খেয়াল হচ্ছে বাথরুমে কেও
আছে কিনা তা দেখার। আমি বাথরুমের ভীতরে
ডোকে দেখছি কেও আছে কিনা, কই কেওত
নেই। তখনি রুমের বাহির থেকে দরজায় ঠক ঠক
আওয়াজ হতে লাগলো।
জুই:- তুমি দরজাটা ভেঙে ফেললে? দ্বারাও আমি
এখুনি বাবাকে সব বলে দেবো, তোমার পান্জাবিটার
কথা বলে দেবো। তখনি গিয়ে দরজাটা খোলে
দিল। তারপর শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি, দুজনে রুমে ভীতর
এলো।
শ্বশুড়:- এত জোড়ে কিসের শব্দ হলো?
জুই:- বাথরুমের দরজাটা ভেঙে ফেলছে
তোমাদের ঘর জামাই। এমন একটা ছেলের সাথে
আমাকে বিয়ে দিলে, যে কিনা একটা পান,,,,, তখনি,,
জুইয়ে কথার মাঝে আমি টান মেরে কথা নিয়ে বলি,,
আমি:- আব্বাজান আসলে ঠিক তানা, আমি দরজাটা
খোলার জন্য দাক্কা দিতেছি। কিন্তু খোল ছিলনা,
ভাবলাম কেও আবার ইতরামি করে ভীতরে বসে
আছেনাকি। তাই জোরে দাক্কা দিয়েছি, আর তখনি
ভেঙে গেছে।
জুই:- বাবা আমি তোমাকে আগে বলছি এই ছেলে
আমার যোগ্য নয়? এখন তার প্রমান পেলেত?
শ্বশুড়:- আজ কাল ঘর জামাই পাওয়া যায়না, আর সৌরভ
যেহেতু ঘর জামাই থাকতে রাঝি হয়ছে। এমন একটু
ক্ষতি করলে দুস কি? তারপরও ঘর জামাই ত পেলাম?
ঠিক আছে তোরা ঘুমিয়ে পড়। বলে আমার
আব্বাজান মানে শ্বশুড় মসায় চলে গেলো? আর
জুই চোখ গুলো বড় বড় করে আমার দিকে
চেয়ে আছে, আর তখনি জুইকে হঠাত করে একটা
কিস করে এক দৌরে বারান্দায় চলে এসে দরজাটা
লক করে দিয়েছি, আর তখনি,,,,,

চলবে,,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *