গিরগিটি বর তাও আবার চুক্তি

গিরগিটি বর তাও আবার চুক্তি —পর্ব-১০

রাজুর সাথে যা কিছু হইছে তার জন্য দায় তো আমার
বান্ধবী, কিন্তু সৌরভ আমার ছবিটা কেন মার্ক করে
রাখছে? তাহলে কি রাজু সৌরভকে কিছু বলে
গেছে নাকি যায়নি? দেখিত কি লিখা আছে।
লিখা আছে, আজ আমি আমার প্রিয় বুন্ধটাকে হারিয়ে
ফেললাম। রাজুর জন্য আমি সব কিছু ফিরে পাইছি আর
সেই আমাকে একা রেখে চলে গেছে। তবে
তার জন্য এই মেয়েটা সবচেয়ে বেশি দায়, তবে
ঐশি প্রথম রাজুর সাথে এই মেয়েটাকে পরিচয়
করিয়ে দিয়েছিল। আমি এই মেয়েটাকে কোন দিন
ক্ষমা করবোনা। আর ঐশিকে যদি কোন দিন পাই
তাহল ওর অবস্তা খারাপ করব।
আমি:- হায় হায় এ আমি কি দেখছি? আমি কবে রাজুর
সাথে তাসলিকে পরিচয় করিয়ে দিলাম। তাসলিত
আমাকে রাজুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। তখনি ধরজায়
কেও নক করছে। আমি গিয়ে ধরজাটা খুলে দেখি
তাহমি:- ঐশি তোমার কি শরিল খারাপ করছে নাকি? এমন
সময় ধরজা বন্ধ করে শুয়ে আছো কেন?
আমি:- না আপু, আমার ভাল লাগছেনা তাই। কিছু বলবেন?
তাহমি:- না তেমন কিছু বলবনা। তবে সকালে
তোমাকে যেই কথা গুলো বলছি আসলে
ঐগুলো এভাবে বলা ঠিক হইনি যদি কিছু মনে করে
থাকো তাহলে সরি।
আমি:- আরে আপু তুমি কি বলছ? আমার কাছে
তোমার কোন ক্ষমা চাইতে হবেনা। তুমি যা বলছ
সব ঠিক বলছ।
তাহমি:- ঠিক আছে চল আজ আমরা একটা অনুষ্টিনে
যাবো। সৌরভ সরাসরি ঐখানে চলে আসবে।
আমি:- হ্যা যাবো, বলে আমি গিয়ে ফ্রেসহয়ে
নিলাম। আজ একটু বেশি সাজু গুজু করছি, তারপর আমি
তাহমি আর আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ি সবাই এক সাথে একটা
গাড়ীতে করে অনুষ্টানে গেলাম। আমাকে তাহমি
আপু সৌরভের বউ বলে পরিচয় করিয়ে দিল ওনার কিছু
বান্দবীর সাথে। আমি দ্বারিয়ে আছি, কিছুক্ষন পড়ে
সৌরভ এসেছে।
সৌরভ:- ঐশি তুমি এখানে এসেছো কেন?
তোমাকে এখানে আসতে কে বলছে?
আমি:- তাহমি আপুত আমাকে নিয়ে এসেছে। আর
এখানে আসাতে কি হইছে?
সৌরভ:- আমি ভাল করে বুঝতে পারছি তুমি এখানে
কেন এসেছো? তবে তোমার এই আশা সহজে
পূরন হবেনা। বলে তাহমি আপুকে বলছে,, আপু তুই
ঐশিকে এখানে সাথে করে নিয়ে আসলি কেন?
তাহমি:- ভাই ঐশি একা একা বাসায় থাকবে তাই আমি ওকে
সাথে করে নিয়ে এসেছি।
সৌরভ:- ঐশি তুমি চল আমার সাথে, বলে আমার হাত
ধরে টেনে নিয়ে আসতেছে। সবাই আমার
দিকে তাকিয়ে আছে, একটু খানি আসতে সৌরভ
দ্বারিয়ে গেল।
আমি:- আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন একটু
জানতে পারিকি? তখনি দেখি তাসলি আমাদের সামনে,
আমি একদম অবাক হয়ে গেলাম। আমাকে দেখে
তাসলিও থমকে গেল। কিরে তাসলি কেমন আছিস?
সৌরভ:- কে তাসলি?
আমি:- কিরে তাসলি কথা বলছিসনা কেন? এদিক সেদিক
তাকাছিস কেন?
সৌরভ:- ওর নাম তাসলি? কিন্তু ওর নামত অন্য কিছু।
আমি:- মানে আপনার মাথা ঠিক আছেত নাকি গেছে?
ও হচ্ছে আমার বান্দবী তাসলি।
তাসলি:- ঐশি আমি ভাল আছি। আর আমার নাম তসলি।
সৌরভ:- তার মানে তোমরা দুজনে প্লান করে
এখানে এসেছো? আবার আমাকে বোকা বানাতে
তাইনা ঐশি?
আমি:- আপনি আমার কথাটা একটু শোনেন প্লিজ। আমি
জানতামনা এখানে তাসলি থাকবে।
সৌরভ:- তোমার জন্য আজ সব কিছু হইছে, আবার তুমি
নতুন করে প্লান করছো?
তাসলি:- কিন্তু ঐশি তুই সৌরভের সাথে কি করিস।
আমি:- সৌরভ আমার স্বামি।
তাসলি:- মানে, তা কি করে সম্বব? তুই সব জেনে
শোনে কেন এই কাজটা করতে গেলি?
আমি:- মানে, আমিত কিছুই জানিনা। আর আমি কি করে
জানবো সৌরভ যে রাজুর বুন্ধ।
সৌরভ:- বাহ, ঐশি তুমি এত দিন বলছ কিছু যাননা আর এখন
সব কিছু জানো। তার জন্য তোমাকে প্রস্তাতে
হবে। বলে সৌরভ চলে গেল। আর আমি ওর পিছু
পিছু যেতে ছিলাম। তখনি,,
তাসলি:- শোন ঐশি, তুই সৌরভ কে কেন বিয়ে
করতে গেলি? এই কথাটা বলে যা? তুই আমার সাথে
এমনটা করতে পারলি?
আমি:- তোকে বলব কেন? বলে চলে এলাম,
দেখি সৌরভ বাহিরে দ্বারিয়ে আছে। আমি সৌরভের
কাছে যেতেই।
সৌরভ:- নতুন করে প্লান করে আসছো তাইনা ঐশি?
আমি:- আপনি আমাকে জানি বিশ্বাষ করবেননা? তাও
বলছি ঐদিন রাজুর সাথে যা কিছু হইছে তার জন্য আমি
দায় নয়।
সৌরভ:- তাহলে কে দায়?
আমি:- তাহলে শোনেন। আমার রাজুর সাথে প্রথম
পরিচয় করিয়ে দেই তাসলি মানে আপনারা যাকে অন্য
নামে চিনেন। তারপর থেকে রাজু আমার খোব ভাল
বুন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সব গরমিল করে দেই তাসলি,
রাজু আমাকে আপনার সাথে দেখা করাবে বলছিল।
কিন্তু যেইদিন দেখা করার কথা সেইদিন রাজু
এক্সিডেন্ট করে। কিন্তু আমি এর বেশি কিছু জানিনা।
তবে এই টুকু জানতে পারছি তাসলির জন্য।
সৌরভ:- মিথ্যাকথা বলবেনা একদম বলে দিলাম। রাজু
যেইদিন এক্সিডেন্ট করে সেইদিন তোমরা
তিনজন এক সাথে ছিলে। কিন্তু তোমরা ইচ্ছে
করে ওকে এক্সিডেন্ট করিয়েছো।
আমি:- আপনি আমাকে বিশ্বাষ করেন। আমি ছিলাম না,
ঐদিন আমার আব্বু অসুস্থ হয়ে যায়। আর আমি সাড়া দিন
দৌরা দৌরি করি আব্বুকে নিয়ে হাসপাতালে।
সৌরভ:- তুমি জানো তোমাদের জন্য একটা পরিবার কি
ভাবে কষ্ট পেয়েছে? তখনি,,,
তাহমি:- ভাই তোরা এখানে চল বাসায় যাবো আব্বু
ডাকছে।
সৌরভ:- হ্যা চল, তারপর আমি সহ ভীতরে গিয়ে সবার
কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিলাম, ওরা সবাই চলে
আসছে আমি একটু পরে আসতেছি, তখনি,,
তাসলি:- ঐশি তুই আমার কথাটা একবার শোন?
আমি:- হ্যা বল তবে তারা তারি বল?
তাসলি:- তুই কি জানিস সৌরভ এই পরিবারের কেও নয়?
আমি:- তুই কি বলছিস এইটা?
তাসলি:- হ্যা আরেকটা কথা শোন তাহলে,,
আমি:- হ্যা বল কি কথা,, কিন্তু তাসলি যেই কথাটা বলছে
তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলামনা। তুই যা বলছিস তা কি সব
সত্যি বলছিস তাসলি? আর তাহলে ওরা সবাই সৌরভকে
কেন ওনাদের সব কিছুতে মেনে নিল?
চলবে,,