ঘৃণা ও প্রেম

গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–৯

শুন্য- কিছু হয়নি। তুমি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে
নেও।
আমাদের এখন বের হতে হবে।

নিলান্তি – ( ঠিক বুঝতে পারছি কিছু হয়েছে।
কিন্তু কিছু না বললে বুঝব কেমন করে)

শুন্য- রেডি হয়ে ক্লাবে চলে আসলাম।
আমি আর আমার টিম সাথে নিলান্তি সবাই
কোমান্ড এর রুমে দাড়িয়ে আছি।
।”
কোমান্ড – শুন্য তোমাকে নতুন করে কিছু
বলার নেই।
আমি জানি u r well trained. আর তুমি তোমার
টিম কে ভালোভাবে guide করতে পারবে।
নিলান্তি তুমি প্রথম বার যাচ্ছ তাই মানসিক
ভাবে নিজেকে শক্ত কর।

শুন্য- কোমান্ড oxygen mask কেন রাখা
এইখানে? ?

কোমান্ড – তোমরা কি জানো তোমরা
কোথায় যাচ্ছ? ??
যেখানে যাচ্ছ সেটাকে poison planet বলে।
অইখানের বাতাসে বিষ বয়ে চলেছে।
১মিনিট ও তোমরা এই মাস্ক ছাড়া থাকতে
পারবেনা।
সো ঠিক ভাবে পরে নিও।
এখন তোমরা ড্রেসিং রুমে যেয়ে তোমাদের
ফাইটিং সুট পরে নেও।
আর এগুলা সাথে নেও।
all the best for this mission. any qustn? ?
শুন্য ও টিম- no commando.

কোমান্ড – হুম। তাহলে রেডি হয়ে ম্যাজিক
ডোড় এর কাছে চলে এসো।

শুন্য- রেডি হয়ে নিলাম সবাই।
আমি নিলান্তির কাছে গেলাম।
ও রেডি হয়ে গেছে।

নিলান্তি ভয় পাচ্ছ??

নিলান্তি- নাহ। তবে একটু পাচ্ছি।
কিন্তু তুমি আছো ত।
বলে হাসি দিলাম।

শুন্য- প্রথম কোনো মিশন এ যাচ্ছ ভয় পাওয়া
টা স্বাভাবিক।
আমার সাথে সাথে থাকবে ঠিক আছে।

নিলান্তি- হুম।

শুন্য- হাত ধরে নিয়ে এলাম বাইরে ওকে।

কোমান্ড – ম্যাজিক দরজা টা খুলে দিলাম।
সবাই এক এক করে প্রবেশ করল।

শুন্য- চোখের সামনে শুধু অন্ধকার।
কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছি না।
আমি নিলান্তি র হাত ধরে রেখেছি।
ও ওর ২ হাত দিয়ে আমার ১ হাত শক্ত করে
ধরে আছে।

আলো তোর lightball জ্বালা।

আলো- ম্যাজিক lightball জ্বালালাম।

শুন্য- এখন কিছুটা দেখা যাচ্ছে।
সবাই শুনো।
এইভাবে এক সাথে থাকলে হবেনা।
নাবা তুই ত অদৃশ্য হতে পারিস তুই একা ওই
দিক যা।
প্রথম আর আলো তোরা ওই দিক।
আমি আর নিলান্তি এই দিক যাচ্ছি।
all clr? ?
সবাই- ওকে।
শুন্য- আমি আর নিলান্তি অন্ধকারে হেটে
যাচ্ছি।
নিলান্তি – এত শক্ত করে হাত ধরে আছো
কেন? ? ব্যথা পাচ্ছি।

শুন্য- আচ্ছা আস্তে করে ধরছি।
অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না।

নিলান্তি- হাত টা একটু ছাড়ো।
আমার জ্যাকেট টা কিছুতে আটকে গেছে।

শুন্য- আচ্ছা।
নিলান্তি কে আমি দেখতে পাচ্ছিনা তাই
ওকে ডাক দিলাম
নিলান্তি! !!
কোনো সাড়া শব্দ নেই।
আবার ডাক দিলাম।
তাও কথা বললনা।
এবার বাধ্য হয়ে আমার ফোন টা বের করলাম
আলো জালিয়ে দেখলাম ও আশে পাশে নেই।
আমি ওকে খুজতে লাগলাম।
ওকে ট্র্যাক করার জন্য ডিভাইস অন করলাম।
সেই অনুযায়ী সামনে এগুতে লাগলাম।
হঠাত মনে হল কেউ আমাকে টান দিল।
হাতের রহেকে ফোন নিয়ে লাইট অফ করে
দিক।

নাবা- কিরে কি করছিলি এখনি ধরা খেতি।
সামনে দেখ।
poison king এর সৈন্য রা যাচ্ছে।

শুন্য- নাবা নিলান্তি কে পাচ্ছিনা।

নাবা- আমি জানি ও কোথায় ।
আমি দেখেছি ওকে কোথায় নিয়ে গেছে।

শুন্য- তাহলে আর দেরি করা যাবেনা।,
চল এখনি।

নাবা- তার আগে ত আলো আর প্রথম কে
খুজতে হবে।

শুন্য- আমরা সামনে নে এগুতে থাকি তারপর
দেখা যাবে।

প্রথম – আলো ওই খান থেকে কেমন আলো
আসছে এই রুমে কিছু একটা আছে চল দেখি।

আলো- হ্যা কিন্তু খুব সাবধানে যেতে হবে।

দরজার সামনে যেয়ে দেখি নিলান্তি
ওইখানে অজ্ঞান হয়ে আছে।

প্রথম – কিরে নিলান্তি না? ? ও এখানে
কিভাবে? ? তাহলে শুন্য কই? ?

আলো – আস্তে কথা বল।
মনে হচ্ছে এইখানে কেউ আসছে লুকিয়ে পর।

শুন্য- তুই ওকে এইখানে নিয়ে আসতে
দেখেছিস।

নাবা- হুম।

আলো- নাবার কথা মনে হচ্ছে।
চল ত দেখি।
নাবা!!! শুন্য!!” তোরা।
আর নিলান্তি না তোর সাথে ছিল ও এইখানে
আসল কিভাবে।
শুন্য-
১ মি. এর জন্য ওর হাত টা ছেড়েছিলাম।
তারপর কিভাবে এখনে এসে গেল কে
জানে? ?

আচ্ছা যাই হক।
এখন প্রথম কাজ হচ্ছে ওকে বাঁচানো।

আলো- কি করতে হবে বল।

শুন্য- হঠাত আক্রমণ করতে হবে ওদের উপর।
ওরা কিছু বুঝার আগেই।
ওরা যেন কিছু করার সুযোগ ই না পায়।
আমরা চার জন চার দিক দিয়ে আক্রমণ করব।
বুঝেছিস? ?

সবাই- হুম।
শুন্য- প্রথমে নিলান্তি কে ওই খান থেকে
সরাতে হবে।
আক্রমনের মাঝেই।
তোরা আমাকে কভার করবি যাতে ওকে
সরাতে পারি।
তারপর poison king এর ব্যবস্থা করব।,

শুন্য- সবাই মিলে আক্রমন শুরু করে দিলাম।
সৈন্য রা কিছু বুঝার আগেই।
এর মধ্যে নিলান্তি কে সরিয়ে এক কোনায়
রেখে আসলাম।

ওরা সৈন্য দের সাথে ফাইট করছে আর আমি
রাজার সাথে

খুব বড় রকমের একটা ফাইট হল।
তারপর
রাজা পরাজিত হল।
আমরাও কিছুটা আহত হয়েছি।
তারপর নিলান্তি কে কোলে তুলে ম্যাজিক
ডোড় দিয়ে পৃথিবী তে চলে এলাম।

নিলান্তি- চোখ খুলে সব ঝাপ্সা দেখছি।
কিরে কোথায় আমি??
উঠে বসলাম।
মাথা ভাড় হয়ে আছে।
গলা শুকিয়ে আছে
উঠে দাড়া হতেই মাথা ঘুড়ে গেল।

শুন্য- খপ করে নিলান্তি কে ধরলাম।আর
বললাম
উঠার কি ছিল আমাকে ডাক দিলেই ত হত।
নিলান্তি- সব কিছু চোখের সামনে কেমন
ঝাপ্সা হয়ে যাচ্ছিল।
তারপর আর কিছু মনে নেই।

শুন্য- নিলান্তি! ! নিলান্তি! !”
মেয়েটা আবার অজ্ঞান হয়ে গেছে।
কোলে তুলে শুইয়ে দিলাম।
অনেক ক্ষন মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম।
হঠাত মনে হল
poison king এর কথা।
আমি যখন ওকে মারছিলাম তখন সে আমাকে
বলেছিল
” আমাকে মেরে ফেলছ তাতে কি?? ওরা
আসছে, এই মেয়েকে নিয়ে যেতে ওরা
আসছে।”
কিন্তু কে আসছে তা বলার আগেই ও মরে
গেল।
কারা আসছে?? নিলান্তি কে নিতে আর
কোন খারাপ শক্তি আসছে?? ওরা earth
সম্পকে জেনে গেছে? ??

নিলান্তি র দিকে তাকালাম।
ঘুমন্ত পরিটা কে কি সুন্দর লাগছে।
কেনো সবাই ওর পিছনে লেগেছে। কেনো??
নিজের শক্তি বাড়ানোর জন্য ওকে বলির
পাঠা বানাচ্ছে! !???

কিছু করতে হবে।
।”
দুপুর গরিয়ে রাত হল।
নিলান্তি ওইভাবেই বেহুশ হয়ে আছে।

আমি আমার ঘরে গিয়ে শাওয়ার অন করে”
দাড়ালাম।
আর ভাবতে লাগলাম বই টা আসলে কে নিয়ে
গেল??? হয়ত ওইটা থেকে কিছু পাওয়া যেত।

নিলান্তি- চোখের উপর মমনে হহচ্ছিল আলো
এএসে পপরছে।
চোখ খুললাম।

শুন্য- good mrng.
।”
নিলান্তি- আমি ওর হাত ধরে আমার গালের
সাথে লাগালাম।
আর বললাম- তুমি জানো ওরা যখন আমাকে
বলছিল আমাকে নাকি বলি দিবে তখন আমার
শুধু তোমার কথা মনে হচ্ছিল।
মনে হচ্ছিল তোমাকে আর দেখতে পাবোনা।
মনে হচ্ছিল কেন তোমাকে বললাম আমার
হাত টা ছাড়তে।

শুন্য-( নিলান্তি কাদতে কাদতে কথা গুলো
বলছিল।)বাস বাস আর কাদতে হবে না।
আমি কি কিছু হতে দিতে পারি তোমার??
ওকে বুকে জরিয়ে ধরলাম।

নিলান্তি- শক্ত করে ধরে আছি শুন্য কে।

শুন্য- ( মনে মনে)
আমি তোমাকে সব কিছু থেকে বাঁচাব।
তোমার কিছু হতে দিব না।”
কিছু হবেনা তোমার।

নিলান্তি- আচ্ছা ওরা আমাকে বলি দিতে
চাইল কেন? ?

শুন্য-( সত্যি টা এখনি বলা যাবেনা।
) কি জানি।
আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে নেও।
নাস্তা করে কোমান্ড এর সাথে দেখা করতে
যেতে হবে।

নিলান্তি- হুম।

শুন্য- কোমান্ড এর রুমে প্রবেশ করলাম।

কোমান্ড – নিলান্তি এখন কি অবস্থা।

নিলান্তি- মাথা নিচু করে।
এখন ঠিক আছি।

কিন্তু আমি খুব লজ্জিত আমার জন্য এই মিশন
টা…

কোমান্ড -no no my dear.প্রথম প্রথম সবার ই
এমন হয়।
এর জন্য এত লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই।

তোমরা ১ টা মিশন শেষ করে আসলে। তাই
তোমার কিছুটা রিলেক্স করার জন্য একটা
গেইম এর আয়োজন করেছি।

তোমরা এখন যাও

আমি মাইকে ঘোষনা দিয়ে দিচ্ছি।

কোমান্ড -( মাইকে)
আমার সব সোলজার দের ফিল্ড এ যেতে বলা
হচ্ছে।
সবাই ওইখানে জোড় হউ।

সবাই ফিল্ড এ জোড় হল।

কোমান্ড -( মাইকে)
তোমাদের জন্য গেইম এর আয়োজন করা
হয়েছে।
treasure hunt গেইম।
এই জংগল এর সর্বত্র অনেক অনেক ম্যাজিক
বল লুকিয়ে রাখা আছে।
যে টিম সব চেয়ে বেশি বল জোগার করতে
পারবে সে টিম জিতবে।

১ একটা টিম হবে ৩ জনের।
তোমরা তোমাদের মত টিম মেম্বার বেছে
নেই।
কোনো বাধা ধরা নিয়ম নেই।

সময় ২ ঘন্টা।
আর সামনে দেখ কিছু ট্যাগ আছে আলাদা
আলাদা টিম এর জন্য আলাদা আলাদা রং এর
ট্যাগ।
সবাই পরে নেও।

প্রথম বেল বাজানোর সাথে সাথে খেলা শুরু
হবে
আর ২ বেল বাজার সাথে সাথে খেলা স্টপ।

তাহলে সবাই টিম বানাও, ট্যাগ লাগাও আর
বেল এর অপেক্ষা কর
ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–১০