ঘৃণা ও প্রেম

গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–১১

শহরের অবস্থা তেমন ভাল না।
একটা ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে।
আমাদের ক্লাবের সব সদস্য পৃথিবী র সব
মানুষ দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।

আমি প্রথম, নাবা ওদের খুজে যাচ্ছি।

নিলান্তি – শুন্য ওই দেখো নাবা।
চল ওই খানে যাই।

শুন্য- আমি নিলান্তি র হাত ধরে ভিড়ের
মাঝে ঢুকে গেলাম।

নাবা এই দিকে আয়।

নাবা- আল্লাহ তুই এসেছিস??
আরে নিলান্তি তুমি ঠিক আছো

শুন্য- এসব কথা পরে হবে।
কোমান্ড কই? ?

প্রথম – আরে শুন্য যাক তোকে পেয়েছি।
দোস্ত কোমান্ড ত ওই spirit king এর সাথে
কথা বলছিল আমি ওইখানেই দাড়িয়ে
ছিললাম।
হঠাত করেই তাদের মধ্যে যুদ্ধ বেধে গেছে।

শুন্য- তোরা নিলান্তি কে দেখ। আমি
কোমান্ড র কাছে যাচ্ছি।

নিলান্তি- ওর হাত ধরলাম।

শুন্য- নিলান্তি আমাকে যেতে হবে।
এইখানে তুমি ওদের কাজে সাহায্য করো।

নিলান্তি- না আমি তোমার সাথে যাব।

শুন্য- আমি তোমাকে নিয়ে কোনো রিস্ক
নিতে চাইনা।
বুঝার চেস্টা কর প্লিজ।

নিলান্তি- আচ্ছা।
তুমি তোমার খেয়াল রেখো প্লিজ।

শুন্য- রাখবো।
তুমিও রেখো।
ওর গালে হাত রেখলাম।

নিলান্তি- ওর হাতের উপর হাত রাখলাম।

শুন্য- আসছি।
আমি বাইক নিয়ে ক্লাবের দিকে যেতে
লাগলাম।

স্পিরিট কিং- আমাকে মারা তোমাদের মত
তুচ্ছ মানুষ দের পক্ষে সম্ভব না।
বলে তোলয়ার টা বুকে যেই বিধাতে যাব
তখনি মনে হল কেউ আমার হাত ধরল।

শুন্য- not so fast.

স্পিরিট কিং- u again! !???
.
shunno- yah.
im again ….বলেই ধাক্কা দিয়ে ফেলে
কোমান্ড কে কাধে নিয়ে চোখের পলকেই
সরে গেলাম।
ওই দিকে শুনতে পাচ্ছি ডেভিল টার হুংকার।

কোমান্ড – শুন্য আমাকে এইখানে নামাও।
আমার কিছু কথা আছে।

শুন্য- আপনি এইখানে নিরাপদ না।

কোমান্ড – আমি ঠিক হয়ে যাব।
কিন্তু কিছু কথা বলা তোমাকে খুব জরুরী।

শুন্য- বলুন।

কোমান্ড – আমি জানি নিলান্তি মানুষ না।

শুন্য- স্পিরিট কিং আপনাকে বলেছে।

কোমান্ড – না।
আমি অনেক আগে থেকেই জানতাম।
যখন ওর ঘাড়ের চিহ্ন আমি দেখেছিলাম।
ওই চিহ্ন সম্পকে আমার আগের থেকেই ধারনা
ছিল।

শুন্য- তাহলে আপনি কেনো আগে কিছু বলেন
নি।

কোমান্ড -ওইসব কথা পরে হবে।।
আগে শুনো ওই শয়তান কে মারতে হলে
নিলান্তি র বিষ ছুড়ি টা লাগবে।
ওই ছুড়ি টা ওর বুকে বিধাতে পারলেই ও শেষ
হবে।
সাথে ওর সব সৈন্য।
তুমি কি বুঝতে পারছ আমি কি বলছি।

শুন্য- জি।
বুঝেছি।

কোমান্ড – আর ওই বই টা যেটা তুমি পরের
দিন লাইব্রেরী তে খুজছিলে সেটা আমার
কাছে আছে।
সেটা থেকেই এটা আমি জেনেছি

শুন্য- কোমান্ড কে নিরাপদ স্থানে রেখে
আসলাম।
ক্লাবের কিছু সদস্য কোমান্ড র কাছে আছে।

আমি নিলান্তি র কাছে গেলাম।

শুন্য- আলো নিলান্তি কই।

আলো- এইখানেই ত ছিল।
দেখছি না ত।

শুন্য- ওকে খুজতে লাগলাম।
কারন ও ই পারে ওই শয়তান তকে শেষ করতে।

হাজার হাজার মানুষ তার সাথে হাজার
হাজার শয়তান এর সৈন্য আর এদের সাথে
লড়াই করে যাচ্ছে আমাদের ক্লাবের সদস্য
রা।

নিলান্তি- একটা ছোট বাচ্চার দিকে এগিয়ে
যাচ্ছে শয়তান এর দল।
আমি বাচ্চা টা কে বাচাতে এগিয়ে গিয়ে
বাচ্চা টাকে জরিয়ে ধরে কোলে তুলে
নিলাম।

রাগে চোখ নীল হয়ে আছে।
আমি বিষ ছুড়ি টা নিয়ে
এলোপাথাড়ি মারতে লাগলাম।
এর মাঝে ওরাও মারতে লাগল।
আমার এক হাতে বেস অনেক খানি কেটে
গেল।

আমি বাচ্চা টাকে নিয়ে নিচে বসে পরলাম।
এর সুযোগ টা ওরা নিল।
যেই আমাকে আবার আঘাত করতে গেল।
মনে হল পিছন থেকে ওদের কেউ আঘাত করল।
মাটি তে পরে গেল আর ধোয়া হয়ে উড়ে
গেল।

“শুন্য”
আমি বাচ্চা টাকে রেখে ওকে জরিয়ে
ধরলাম।

শুন্য- আমি ওর হাত ধরতেই ও চেঁচিয়ে উঠল।
কি হয়েছে? ? আমি হাতের দিকে তাকিয়ে
দেখলাম অনেক খানি কাটা।
রক্ত পরছে।

তোমার ত কত খানি কেটে গেছে।

নিলান্তি- ও কিছুনা।
এই বাচ্চা টার সাথে কেউ নেই মনে হচ্ছে
ওকে এখন কার কাছে দেওয়া যায় বলতেই
কেউ এগিয়ে এল।
অজানা- এটা আমার বাচ্চা।
ধন্যবাদ আপনাদের ওকে বাঁচানো র জন্য।
নিলান্তি- বাচ্চা টা আমার হাত ধরে নিচে
নামালো।
গালে চুমু দিল।
আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম।
পরে ওর মা ওকে নিয়ে চলে গেল।

শুন্য- আর দেরি করা যাবেনা।
আমার সাথে চল।

নিলান্তি- ওকে।
শুন্য আমাকে কোলে তুলে নিয়ে ঝড়ের ভেগে
ছুটতে লাগল।
এক বিশাল ঘন জংগল পেরিয়ে এক পাহাড় এর
উপর আমাকে নামাল।

শুন্য- নিলান্তি শুন আমার কথা মোনোযোগ
দিয়ে।
কিং কে মারতে হলে তোমার বিষ ছুড়ি
লাগবে আমার।

নিলান্তি- আচ্ছা।
এই নেও।

শুন্য- না এখন না
আমি যখন বলব তুমি তখন ছুড়িটা আমাকে ছুড়ে
দিবে।

নিলান্তি- ঠিক আছে।
শুন্য- আমি আমার গায়ের জ্যাকেট খুলে
নিলান্তি র গায়ে পড়িয়ে দিলান।

কিং- বাহ কি প্রেম।
কিন্তু এটা ত বেশি ক্ষন থাকবেনা।

নিলান্তি মরবে।
ওকে যে মরতেই হবে।

শুন্য- কে মরে আর কে মরবে সেটা পরেই
দেখা যাবে।
আমি নিলান্তি র দিকে ঘুরে ইশারা দিয়েই
চোখের পলকে কিং এর পিছনে যেয়েই
আঘাত করলাম।

কিং- আঘাত সামলে আমিও পাল্টা আঘাত
করলাম ।

নিলান্তি- ওদের মধ্যে এমন আঘাত পাল্টা
আঘাত চলতেই আছে।
শুন্য অনেক আঘাত পেয়েছে।
ঠোট ফেটে রক্ত পরছে।
এক সময় ও আমাকে চোখের ইশারা দিতেই
আমি ছুড়ি টা ওর দিকে ছুড়ে দিলাম।
ও সাথে সাথে সেটা কিং এর বুকে বিধিয়ে
দিল।

শুন্য- ছুড়ি বিধাতে ই কিং মাটিতে লুটিয়ে
পরল।
কিছুক্ষন পর ধোয়া হয়ে উড়ে গেল।
একটা বিকট শব্দে কানে মনে হচ্ছে তালা
লেগে গেল।

নিলান্তি- আমি ভয়ে শুন্য কে জরিয়ে ধরলাম।

শুন্য- আমি এক হাত এর মাথায় রাখলাম।
আরেক হাতে তোলয়ার ধরে আছি
চেয়ে দেখি চারদিকে আলো ফুটে উঠছে।

নিলান্তি- মাথা উঠিয়ে ওর দিকে চেয়ে
আছি।

শুন্য- আমি ওকে দেখে হাসি দিলাম।

চল এবার ফিরে যাওয়া যাক।

নিলান্তি- হুম।
শুন্য- এবার আর কোলে নিতে পারব না
বুঝলেন।
এবার কিন্তু হেটেই যেতে হবে।
নিলান্তি- আমি কি বলেছি নিতে?? মুখ
বাকিয়ে সরে দাড়ালাম।
শুন্য- ওকে ঘুরিয়ে কোলে নিলাম।

নিলান্তি- নিজে না করে আবার নিজেই
নিচ্ছ।

শুন্য- কি করব বল সারা দিন ত আর এইখানেই
কাটাতে পারব না।
চল এখন যাওয়া যাক।

ক্লাবে ফিরে আসলাম।
এখন সবাই সবার জায়গায় ফিরে যাচ্ছে।
সবার ঘর বাড়ির কিছুই অবশিষ্ট নেই।
তারপর ও
সবাই সবার মত থাকার জায়গা খুজে নিচ্ছে।
সরকার থেকে সবাই কে খাবার দান করা
হচ্ছে।
.ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–পর্ব–১২&শেষ