ঘৃণা ও প্রেম

গল্প—-”ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–১০

প্রথম বেল বাজানোর সাথে সাথে খেলা শুরু
হবে
আর ২ বেল বাজার সাথে সাথে খেলা স্টপ।

তাহলে সবাই টিম বানাও, ট্যাগ লাগাও আর
বেল এর অপেক্ষা কর।

প্রথম – আমি কিন্তু নিশার সাথে টিম করব।
শুন্য- আচ্ছা।যা।

আলো- আমি কার টিম এ যাব? ?

নাবা- তুই প্রথম আর নিশা এক টিম হো।

আর নিলান্তি, শুন্য আর আমি এক টিম।

শুন্য- হুম।
ঠিক আছে।

সবাই ট্যাগ লাগিয়ে নিলাম।
বেল বাজল। খেলা শুরু।

নাবা- এইভাবে সবাই এক সাথে থাকলে বল
বেশি পাওয়া যাবেনা।
তার চেয়ে ভালো ৩ জন ৩ দিকে যাই।।
নিলান্তি- ঠিক।

শুন্য- কিন্তু?!!

নিলান্তি- আমি ঠিক আছি।
চিন্তা করছ কেন? ?

শুন্য- ঠিক আছে।
বেশি দুরে যেওনা।

নিলান্তি- হুম।

খুজতে খুজতে ৫ টা বল পেলাম।

শুন্য- ১০ টা বল হল।

আরে নাবা তুই কয়টা পেলি??
নাবা- ৮টা।

চল ওই দিকে যাই।
শুন্য- হঠাত করে খুব জোরে মাটি কেপে উঠল।
আমি গাছের সাথে বাড়ি খেলাম।
নাবা মাটিতে পরে গেল।

নাবা- ব্যপার টা হল কি? ?
ভুমিকম্প নাকি? ??

তখন মাইকে শোনা গেল “রেড এলার্ট”
শুন্য- নিশ্চই পৃথিবী তে কেউ আক্রমন করেছে।

কোমান্ড – সবাইকে অডিটরিয়ামে ফেরত
আসতে বলা হল।

শুন্য- আমি শুধু ভাবছিলাম নিলান্তি ঠিক
থাকলেই হল।
আমি অডিটোরিয়াম এ শুধু নিলান্তি কে খুজে
যাচ্ছি।
পাচ্ছিনা ওকে।
এর সাথে অনেকেই মিসিং।

কোমান্ড – আমাদের গ্রহের উপর বাইরের
কোনো খারাপ শক্তি আক্রমন করেছে।
বুঝতে পারছিনা।
ওরা ম্যাজিক ডোর দিয়ে কিভাবে প্রবেশ
করল।
কে খুলে দিল এই দরজাটা ওদের জন্য।

যাই হক তোমরা রেডি হয়ে যাও।
পৃথিবী র মানুষ দের এখন তোমাদের
প্রয়োজন।

শুন্য- নিলান্তি নেই তার মানে ওরা
নিলান্তি কে নিতে এসেছে।

নাবা- কিরে নিলান্তি কে ত পাচ্ছিনা।

প্রথম – হ্যা কই ও??
শুন্য কিছু বল।
শুন্য- ওরা ওকে নিতে এসেছে।

নাবা- মানে? ?ওকে নিতে এসেছে মানে? ?

প্রথম- তুই বুঝবিনা।
তোকে পরে বলছি।
আলো- হচ্ছে টা কি? ??

নিশা- আমার আগেই সন্দেহ ছিল শুন্য কি
লুকাচ্ছিস তুই? ?

প্রথম – তোদের আমি সব বলছি কিন্তু তার
আগে আমাদের এখনি বের হতে হবে।
বাইরের অবস্থা খারাপ।
শুন্য- তোরা ওই দিন সামলা আমি নিলান্তি
কে খুঁজতে যাচ্ছি।
ওর জিবনের ঝুকি আছে।
ওকে বাঁচাতে হবে।

ট্র্যাকার অন করে ওকে খুজতে লাগলাম।
সিগনাল টা খুব দুরের এক পাহাড়ের
দেখাচ্ছে।
সন্ধ্যা নেমে এল। আকাশের দিকে
তাকালাম।
আজ পূর্নিমা।
বুঝতে আর বাকি নেই,
কি হতে চলেছে আজ।
আল্লাহ আল্লাহ করে ওকে খুঁজতে লাগলাম।
পাহাড়ের ,আশে পাশের ঘন জংগল এ অকে
খুজে চলেছি।

নিলান্তি- ছাড় আমাকে।

spirit king – তোকে ত ছাড়ার জন্য ধরে
আনিনি।
তোকে মারার জন্য এনেছি।
তোকে মারলে আমি অমর হব।আর তুই বেচে
থেকেই বা কি করবি?? তোর বাবা তোকে
এত বছর আমার থেকে লুকিয়ে রেখেছিল।
কিন্তু যে তাকে মারল তুই তাকে না মেরে
তার সাথে থাকছিস??তোর বাবার রাজ্য
ধংসের কারন তুই।

নিলান্তি- না মোটেও না।
বাবা মরেছে তার খারাপ কাজের জজন্য।
হ্যা সেসে আমাকে কারন আগলে রেখেছিল
তার সাথে অন্যদের ও ক্ষতি করে চলেছে।
অন্য দের মেরেছে।
এই গ্রহের ক্ষতি করতে চেয়েছে।
তাই মারা গেছে।
সে খারাপ ছিল।ঠিক তোর মত।
যদি খারাপ কাজ না করত তাহলে কেউ
তাকে মারত না।
মারা যাওয়া টা তার ভাগ্যে ছিল।
আর তুই ও মরবি।
ও আসবে।
তোকেও পারবে।
দেখে নিস।

spirit king- হাহাহা।
আমাকে মাররবে? ???আমাকে???
আমি মরলেও অন্য কেউ আসবে?? হাজার
আসবে তোর পিছে।
তুই আর কত জন থেকে বাচবি?? আর সে ই বা
তোকে কত জন থেকে বাচাবে? ?

আমার পরে আরো শক্তিশালী কেউ আসবে।
এই গ্রহ ধ্বংস হবে।
সাথে তোর প্রিয় মানুষ ও।
মরবে সব মরবে।
সব শেষ হবে।
সব।
আর কারন হবি “তুই”.

নিলান্তি- “শুন্য” বলেই চোখের কোন বেয়ে ১
ফোট পানি পরল।

শুন্য- এইভাবে কোনো মেয়েকে মারা তাও
শক্তি পাওয়ার জন্য ??? like really? ??

spirit king- ও মরবে সাথে তুই ও।

আগে তোকে মারি তারপর ওকে।

নিলান্তি- শুন্য কে দেখে খুশি হলাম তার
সাথে আর ও বেশি ভয়।
ওর কিছু হয়ে গেলে??

শুন্য- নিলান্তি সরে দাড়াও।
আগে এই রাক্ষস টাকে মারি। তারপর
বাকিদের ও ব্যবস্থা করব।

spirit king – ঠিক আছে।
দেখি কে কাকে মারে।

( বিশাল বড় ফাইট হল।
শুন্য কিছুটা আহত হল।
আর spirit king কোথায় উধাও হয়ে গেল।)

শুন্য- ভেগেছে মনে হচ্ছে।
যাক।
আমি নিলান্তি র দিকে তাকালাম।
নিলান্তি চল।
এখন ব্যাক করা যাক।

নিলান্তি- (আমি বেচে থাকলে ওরা আবার
আসবে। যত দিন আমি আছি তত দিন আসবে।
এর থেকে নিজেকে শেষ করে দেওয়া ভাল।
আমি না থাকলে ওরা এইখানে আসবেনা।
আর আমার প্রিয় মানুষ দের ও কিছু হবেনা)

শুন্য- আমি নিলান্তি র দিকে হাত বাড়িয়ে
দিলাম।
চল।

নিলান্তি – আমি উলটা দিকে দৌড় দিতে শুরু
করলাম।

শুন্য- আরে হল কি?? নিলান্তি দাড়াও দাড়াও
কোথায় যাচ্ছ? stop. i say stop. nilanti stop
damn it.

নিলান্তি – ১ টা খাদের সামনে যেয়ে
থামলাম।
শুন্য আমাকে আর বাঁচানো র চেস্টা করোনা।
আমি থাকলে তোমাদের অনেক সমস্যা হবে।
আমি চাই না আমার জন্য এই গ্রহের মানুষ
গুলা শেষ হয়ে যাক।
তুমি শেষ হয়ে যাও।

যখনি লাফ দিতে যাব।

শুন্য- তখনি ওর হাত ধরলাম।
সরিয়ে আনলাম আর ঠাস করে থাপ্পড় মেরে
দিলাম।

নিলান্তি- থাপ্পড় খেয়ে বসে পড়লাম গালে
হাত দিয়ে ওইখানে।কাদতে লাগলাম।

শুন্য- নিজেকে শেষ করে দিবে তাই না শেষ
করে দিবে? ? বলে আরেক টা থাপ্পড় দিলাম।

নিলান্তি- ওর আরেক টা থাপ্পড় খেয়ে আমি
২ গালে হাত দিয়ে ওর দিকে চেয়ে থাকলাম।
কান্নাও থেমে গেছে।

শুন্য- ওর সামনে দাড়িয়ে বলতে শুরু করলাম-
নিজেকে শেষ করে দিবে বলেই কি এত দিন
তোমাকে সব কিছু থেকে আগলে
রেখেছিলাম আমি? ??
শেষ করে দিবে বলেই কি তোমার বাবা
তোমাকে আমার কাছে দিয়ে গিয়েছিল? ??
আমি কি পারতাম না তোমাকে ফেলে
আসতে? ??
কেনো তোমাকে এত কিছু থেকে বাঁচালাম? ?
এটার জন্য? ?? তুমি নিজের কিরহা কিভাবে
ভাবলে? ? আমার কথা মনে হল না এটা মনে
হয়ার আগে? ?

শুন্য- এবার ওর সামনে বসলাম ওর ২ গালে হাত
রাখলাম আর বললাম- যত শয়তান ই আসুক না
কেনো আমি তোমাকে বাঁচাব। সব কিছু
থেকে বাঁচাব।
তুমি যদি ভেবে থাক তোমার কেউ নেই
একবার আমার দিকে তাকাবে আমি আছি
তোমার জন্য।
সব সময় আছি তোমার পাশে।
সব সময় থাকব।
তুমি মনে কর আমার মাঝেই তোমার সব।
আমি সব কিছু থেকে আগলে রাখব তোমাকে।

নিলান্তি- জরিয়ে ধরলাম শুন্য কে।
এত ভালোবাসো আমাকে? ?( মনে মনে)

শুন্য- অনেক ভালবাসি।
অনেক।(মনে মনে)
আর কখন ও আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা
ভাববে না।
আমি আছি ত তোমার সাথে।

মুখ উঁচু করে চোখের পানি মুছে দিলাম।
খুব ব্যথা পেয়েছ তাইনা।সরি তোমাকে
থাপ্পড় মেরেছি।

নিলান্তি- উহু।
ব্যথা পাইনি।
শুন্য- নিলান্তি র ২ গালে ২ টা আদর করে
দিলাম।

চল এবার।
ক্লাবে ফিরতে হবে।
উঠে দাড়া হলাম।
পাহাড় থেকে নেমে বাইকে উঠে শহরে
এলাম।
ঘৃণা ও প্রেম” পর্ব–১১