1. নতুন গল্পঃ2. ছোট গল্প গুলোঃঅবিরাম ভালোবাসালেখাঃ সাজনা আক্তার

অবিরাম ভালোবাসা !! লেখাঃ সাজনা আক্তার

অবিরাম ভালোবাসা !!

লেখাঃ সাজনা আক্তার

আহ আমার চুল ছাড়েন এভাবে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন সমস্যাটা কি আপনার ছাড়ুন বলছি আহ ওমাগো আমার চুল ছিড়ে ফেলছে ওই খাটাশ বেটা ছার বলছি(তানিসা)
এভাবে চেঁচিয়ে লাভ নাই আর কি বল্লা আমি খাটাশ এবার বোঝবা খাটাশ কাকে বলে(সাগর)
কিইই কি করতে চাইছেন আপনি (তানিসা)

(বিঃ দ্রঃ “ অবিরাম ভালোবাসা !! লেখাঃ সাজনা আক্তার ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

(তানিসাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে বিছানায় ছুরে দিয়ে দরজা আটকে দিলো সাগর)
” ” কি ভেবিছিস তুই আমি বিয়ে ভেঙে দিয়েছি বলে তোকে সারাজীবনের জন্য ছেড়ে দিয়েছি তুই তাই বলে যা ইচ্ছে তাই করবি আর আমি বসে বসে দেখবো। আজ থেকে তুই এখানেই থাকবি আমার কাছে আর বিয়ে এখান থেকে হবে আমাদের(সাগর)

কোনোদিনো না কখনও না এক মুহূর্তেও না আমি এখুনি চলে যাবো এখান থেকে আমাকে কি আপনি পুতুল ভাবছেন যে যা খুশি তাই করবেন এই মনে হলো বিয়ে করবেন আবার ভেঙে দিবেন তা হবে না মিস্টার সাগর আমি এখুনি এখান থেকে চলে যাবো. (বলেই পা বাড়ায় দরজার দিকে)
অমনি তানিসার হাত টান দিয়ে নিজের বুকে নিয়ে আসে সাগর
তুমি কি চাও বিয়ের আগেই তোমাকে রেপ করি (বাকা হেসে)
(নিমিশেই তানিসার ভয়ের চাপ মুখে।) নাআআ ছেড়ে দিন আমাকে আমি আপনাকে বিয়ে করবো না
আহ এতো না না করো কেনো বলো আমি তোমার বাচ্চার মা হতে চাই (সাগর)
কিইইইইই😳😳(তানিসা)
এভাবে থাকালে কিন্তু আজই বিয়ে করে ফেলবো কি রাজি তো (একটা চোখ টিপ দিয়ে) (সাগর)

এর ফল কিন্তু ভালো হবে না আমাকে ছেড়ে দিন আমি বাসায় যাবো (তানিসা)
কি ফল ভালো হবে না কি করবা শুনি(তারমধ্যে সাগরের একটা কল আসলো ফোন রিসিভ করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো)

এখুনি আমি চলে যাব বলেই দরজার কাছে আসলো তানিসা. এমা দরজা তো বাইরে থেকে আটকানো তাহলে আমি যাবো কি করে মহা ঝামেলার মধ্যে পড়লাম খাটাশ,,,, বজ্জাত,, বলদ সব সব তুই আমাকে বন্দি করে চলে গেল গোওও (নেকা কান্না করে)

ওই দিকে সাগর অফিসের ইম্পোরটেন্ট একটা মিটিং এ চলে গেছে

তানিসা কান্না করতে করতে অতিতে ডোব দিলো
” ” তিন মাস আগে….

কিরে নবাবজাদি এখনো ঘুম থেকে উঠলি না বলি ঘরের কাজ কখন করবি শুনি(তানিসার মামি)

তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রান্নার কাজে লেগে পরে তানিসা
কাজ সেরে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার এ পড়ে তানিসা

জন্মের পর থেকেই মামা মামির কাছে বড় হয়েছে। তানিসাকে জন্ম দিয়ে তানিসার মা মারা গেছেন
ছোট্ট তানিসাকে তার বাবা মামার হতে তুলে দিয়ে অজানা দেশে পারি দেন
এইসব ভাবছে আর হাঁটছে হঠাৎ রক্তে মাখা একটা ছেলে বয়স ৯ হবে তানিসার সামনে এসে রক্তে মাখা মাথা নিয়ে তানিসাকে উদ্দেশ্য করে বলে আপু আমাকে বাছাও বলেই মাটিতে লুটে পরে
যে গলিতে ওরা আছে ওখানে গাড়ি লোকজন বেশি নাই
তানিসা চিৎকার করে বলতে থাকে হেল্প হেল্প প্লিজ হেল্প কিন্তু কাউকে পায় না
একটা কার আসছে দেখে তানিসা দৌড়ে কার এর সামনে যায় গাড়ি চালক কে বলে প্লিজ হেল্প করুন ওই ছেলেটার মাথা থেকে অনেক বিল্ডিং হচ্ছে হাসপাতাল নিতে হবে একটু সাহায্য করুন প্লিজ তারপর গাড়ি চালক ওই ছেলেটাকে গাড়িতে তুলে তানিসাও ছেলেটির পাশে বসে

তানিসার কানে শুধু একটাই কথা ভাসছে ”আপু আমাকে বাছাও” অজান্তেই তানিসার চোখে জল গড়িয়ে পড়ে তারপর হাসপাতালে নিয়ে যান গাড়ির চালক ওনার নাম সাগর আহমেদ ওই ছেলেটাকে কোলে করে নিয়েই ডক্টর ডক্টর বলে চিল্লিয়ে উঠে সাগর পেছনে তানিসা ও আসছে
একটা কেবিনে নিয়ে যাওয়া হলো
সাগর আর তানিসা কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে কিছুক্ষণ পর একজন ডক্টর এসে বলে ছেলেটার অপারেশন করাতে হবে তাড়াতাড়ি টাকা জমা দিতে হবে

তানিসা-আমার কাছে তো তেমন টাকা নাই এখন কি করবো আমি (মনে মনে)
“তখনই ওই ছেলেটা বললো আমি টাকা দেবো আপনারা অপারেশন শুরু করুন

আমিতো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি বাহ দেখতে তো সেই হেন্ডসাম লাগছে কিন্তু সাদা শার্টে রক্ত লেগে আছে
আমি একপা একপা করে লোকটার সামনে গেলাম
ধন্যবাদ আপনাকে (তানিসা)
ইটস ওকে এটা আমার কর্তব্য বাই দ্য ওয়ে আমি সাগর আহমেদ আর আপনার নাম (সাগর)
জী আমার নাম তানিসা রহমান (তানিসা)

তারপর আর কোনো কথা হয়নি তাদের মধ্যে
সাগর অপারেশন এর টাকা নিজে গিয়ে দিয়ে আসে

এই নিন আমার ফোন নাম্বার ছেলেটার জ্ঞান ফিরলে আমাকে প্লিজ একটা ফোন করবেন আমি আসবো (একজন নার্স কে বল্ল তানিসা)

ঠিক আছে আমি আপনাকে ফোনে জানাবো (নার্স)
আড়াল থেকে তানিসা আর নার্স এর কথা শুনতে পায় সাগর
তারপর…..
আড়াল থেকে তানিসা আর নার্স এর কথা শুনতে পায় সাগর
তারপর সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তানিসা. আজ কলেজ মিস করেছি নিশ্চিত মামির বকা খেতে হবে
উফ কাজের সময় একটাও গাড়ি পাওয়া যাবে না এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে আর ভালো লাগেনা পা টাও চলতে চায় না কি করি

এই যে মিস চলুন আমি ড্রপ করে দিচ্ছি (সাগর)
(তানিসার সামনে কার থামিয়ে বলে)

No Thanks আমি একাই যেতে পারবো

দেখুন আপনাকে আমি জোর করবো না আপনার উপর অনেক দখল গেছে আর বুঝাই যাচ্ছে যে আপনি কলেজ স্টুডেন্ট সো কাম গাড়িতে বসুন

পায়ে প্রচুর বেথা লোকটার সাহায্য নিলে ভালো হবে
অতঃপর গাড়িতে উঠে বসলাম

আমার কেনো জানি খুব অস্বস্তি লাগছে কারণ লোকটা বার বার আয়নার দিকে তাকিয়ে থাকে
দেখে তো মনে হয় ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানেনা 🙄

বলি দুইটা ঘন্টা ধরেই তো আমাদের দেখা হয়েছে
এতো দেখা দেখির কি আছে আমি কি মহা সুন্দরী পাশে বসেছি আজব ঠিকানাটা জানতে চায় না আমাকে কি জাহান্নামের চওরাস্তায় নিয়ে যাবার প্ল্যান করছে (মনে মনে)

শুনুন (তানিসা)
হুমম বলুন (সাগর)
ঐ সামনেই আমার বাসা (হাতের ইশারায়) ওখানে থামাতে হবে (তানিসা)
ওহ

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বলেই কেটে পড়ি
যেভাবে থাকাচ্ছে মনে হয় গিলে খাবে অসব্য ছেলে উড়না পড়া তো ঠিক আছে তাহলে🤔(তানিসা)

কেনো যে বার বার তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করছিলো তোমাকে তো আমি আগে থেকেই চিনতাম যখন আমার বোনের ফোনে তুমার ছবি দেখেছিলাম পরিচয় না হয় পরে হবে আমাদের
আমার এই ” অবিরাম ভালোবাসা ” দিয়ে না হয় তোমাকে জয়ী করি আগে.
অন্যের বিপদে এগিয়ে আসা এটাও তুমার একটা গুণ আমিতো মুগ্ধ (সাগর)

কার সাথে রঙতামাশা করে বাসায় ফেরা
হচ্ছে শুনি
” “কি বলছো মামি আমি এইসব কেনো করবো“

” ‘তা আমি যেটা দেখেছি সেটা কি ভুল ছিলো” “”
“” কি দেখেছো তুমি'””

“” কার গাড়ি থেকে নেমে এসেছিস এই জন্যই প্রতিদিন কলেজে যেতে হয়””
.
.
. অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা ””

“” মামি তুমি ভুল বুঝছো আমি সেরকম কিছু করিনি আর আমি কোনো ছেলের দারে কাছে তেমন যাই না
কলেজ যাওয়ার সময় রাস্তায় একটা ছোট ছেলের এক্সিডেন্ট হয়েছিল সেখানে শুধু মাত্র আমি ছিলাম আর ওই লোকটা আমাকে শুধু সাহায্য করেছে”” “” ”

তুই কি….(তানিসার মামাকে দেখে) আচ্ছা শুন তানিসা রাতের রান্না করে রাখিশ আমি এখন বেরুবো আসতে দেরি হবে

(মামা) – কেনো এখন কোথায় যাবে তুমি?

(মামি) আজকে রূপার(মামির বোনের মেয়ে) পাকা দেখা হবে আমার বোনটা তো আর বেঁচে নেই তাই আমাকেই যেতে হবে এখন ওদের দুই ভাই বোনের আমাকে দরকার বলেই মামি মন খারাপ করে চলে গেলেন।

জাক বাছলাম মামা ঠিক সময় না আসলে ভিন্ন ধরণের গালি শুনতে হতো (মামি কিন্ত মামাকে একটু ভয় পান তাই আর বকা শুনতে হলো না)

(মামা)-কিরে মা কলেজ থেকে এসেছিস যা ফ্রেশ হ গিয়ে

জি মামা যাচ্ছি (তানিসা)
(কি আছে ছেলেটার মাঝে মাত্র কয়েক ঘণ্টার দেখা এতো ভাবাচ্ছে কেন আর তো দেখাও হবে না)

দেখতে দেখতে রূপা আপুর বিয়ের দিন চলে আসছে
আমি হলুদের দিন তাদের ওখানে যাবো মামি আগে থেকেই ওখানে
আজই রওনা দিলাম
রূপা আপুর বাসায় আমি তেমন যেতাম না ওর একটা ভাই আছে কিন্তু কখনো দেখা হয়নি

সারা বাড়িতে মেহমান আমি সোজা গিয়ে রূপা আপুর রুমে

আরে তানিসা আয় কতদিন পর তর সাথে দেখা কলেজ তো আর যাওয়া হয় না আর দেখাও হয় না (রূপা)

হে হে আমাদের রেখে এখন জামাই আদর খেতে যাচ্ছো (মন খারাপ করে)
(আমি আর আপু একদম ফ্রিতে কথা বলি)

আরে পাগলি মেয়ে তুই ও কদিনপর জামাইয়ে আদর পেতে এখানে চলে আসবি (রূপা)
মানে আমি এখানে কেনো আসবো এখানে কি আমার জামাই থাকে (ব্রু কুচকে🤨)

(এইরে কি বলে ফেললাম আমি (মনে মনে)
না মানে বলতে… (রূপা)

হয়েছে বিয়ের চিন্তায় তোমার মাথা গেছে আর বলতে হবে না তা দুলাভাই কেমন গো আপু (একটা চোখ টিপ দিয়ে)

লজ্জা রাঙা মুখে ভালোই 🙈
.
.
.
.
.

.
তারপর আমি আর আপু অনেক গল্প করি সন্ধ্যায় হলুদ ফাংশন আছে তাই আমি রেডি হচ্ছি আমরা সাত জন মিলে এক রকমের সাজ ও শাড়ি পড়েছি
অনেক দিন পর একটু আনন্দ করছি না হলে প্রতিদিন মামির গালি লেগেই থাকে

ফাংশন হবে বাসার ছাদে তাই আমি ছাদের উদ্দেশ্যে হাটছি
হঠাৎ কেউ একজন আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে মুখটা দেখা যাচ্ছে না আমি পেছনে
কে আপনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন (উফ শাড়িটাও মনে হয় খুলে যাবে এই খাটাশ বেটার টানে)
কি হলো কথা বলুন আপনি কি বোবা যে কথা বলতে পারেন না
দরজা আটকে রাখছেন কেনো আমি কিন্তু চিৎকার করবো

”“`আআপনি এখানে কি করে আর আমাকে এভাবে টেনে আনলেন কেনো ? (তানিসা)

“” “” তুমি আমার ছোট সেহেতু তোমাকে আমি তুমি করেই বলবো”” “‘
আর হে এভাবে টেনে আনলাম কেনো যে জিনিস দিতে পারোনা সেটা দেও কেনো (সাগর)
” মানে””
তুমি আয়না নিজেকে দেখে বের হয়েছিলে(সাগর)

“” “না আমাকে আয়না দেখতে দেয় নাই রিমু (মামির মেয়ে) আমাকে সাজিয়ে গেছে (মাথা নিচু করে)” “” ”

“” তা এখন একবার আয়না দেখো তো”
.
.

“এমা এটা আমি. কি বিশ্রী লাগছে আমায় আজকের দিনেই রিমু আমার সাথে এরকম করলো
তারজন্যই আমার মোবাইল নিয়ে গেছে আমি ভাবতেই পারছি না
(রিমু আমার ছোট. মামা আমাকে একটু বেশি আদর করে দেখে রিমু আমার সাথে শত্রুতা করে তাও সামনে না আড়ালে )
আমি যে চলনার শিকার হয়েছি (মনে মনে)
.
.
.. অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা ””
.

( সাগর) – তুমি তৈরি হয়ে ছাদে আসো ওই দিকে ওয়াসরুম(হাতের ইশারায়)
(বলেই চলে যায়)

যাহ আমিতো ওনাকে বলতেই ভুলে গেছি এখানে ওনি কার সাথে বা কার কি লাগেন

ঐদিকে সাগর রিমুকে খুঁজতে খুঁজতে ছাদে গেছে সোজা গিয়ে রিমুর ডান পাশে দাঁড়িয়ে আছে রিমুর সেদিকে খেয়াল নাই

“” ও খালা শুন তোমার তো এক মেয়ে এক ছেলে তাই না? 🤔(রিমু)””
“” “” “হে রে মা কেনো কি হয়েছে (পাশের বাসার একজন মহিলা)” “”

“” “শুনো খালা এক জায়গাতে সাত মাসের একটা শিশু জন্ম নিয়েই বলে গেছে যাদের এক মেয়ে বা ছেলে আছে পত্যেক মা এক কলসী পানি নারকেল গাছের মোড়ে ঢালতে হবে তা হলেই ছেলে মেয়ে সুরক্ষিত থাকবে এই কথা বলেই শিশুটি মারা গেছে আমি নেটে দেখেছি এইটা সবাই পালন ও করছে “” ”

তানিসা তৈরি হয়ে ছাদে এসেছে তখনি ঠাসসসসস রিমুর গালে হাত
(রিমু) –ভাইয়া তুমি আমাকে থাপ্পড় মারলে কেনো কি করেছি আমি (কাঁদো কাঁদো গলায়)

এই জন্যই ফুপি তোকে মোবাইল দিয়েছে এসব আজগুবি কথা বলবি মানুষের কাছে গুজব ছড়ানোকি তোর কাজ. শুন গুজব যে তৈরি করে আর যে সেটা ছড়ায় দুজনই অপরাধী তাই এই থাপ্পড় তোর প্রাপ্য (সাগর)

রাগে চোখ লাল হয়ে গেছে সাগরের তাই ভয়ে কেউ কিচ্ছু বলছে না
(রিমু থাপ্পড় খেয়ে দৌড়ে নিচে নেমে আসে সবার সামনে অপমান হয়েছে বলে)

(তানিসা) –আমিতো ভেবেছিলাম আমার জন্যে রিমুকে থাপ্পড় মেরেছেন পরে কথা শুনে বুঝলাম নাহ আমার ভাবনা ভুল(মনে মনে)

(সাগর) – তুই কি ভেবেছিলি রিমু. আমি এই বাড়িতে থাকতে তুই আমার তানিসাকে জোকার বানিয়ে সবার সামনে অপমান করবি দেখ এখন সবার সামনে থাপ্পড় কেমন লাগে (বাঁকা হেসে)

ধীরে ধীরে ফাংশন শুরু হচ্ছে মামিকেও দেখতে খুশি লাগছে রূপা আপুর পাশে মায়ের মতো সান্ত্বনা দিচ্ছেন. আমিতো সাগরের সাথে কথা বলতে পারছি না যদি মামি একবার দেখে তো বলবে প্রেম লীলা করতে এসেছি

যে সাতজন আমরা একরকম সেজে এসেছি তাদের পাশে গিয়ে বসেছি
ওই দিকে অনেক ছেলেও একি কালার ড্রেস পড়েছে তারমধ্যে আমার কাছে একজনকেই হেন্ডসাম লাগছে সে হলো সাগর জানিনা কেনো ওই লোকটার হাসি দেখতে ইচ্ছে করে আজকে যদি ওনি আমাকে না দেখতেন তাহলেতো আমার বারোটা বাজতো “” “ছাদটা বিশাল বড় arrangement ও বিশাল হয়েছে আমার খুব ভালো লাগছে একা একা হাটছি আর সবকিছু দেখছি

” “হায় আমি রায়হান আপনি?

” “” “তানিসা.,কিছু বলবেন 😏

“””” ভাবলাম আপনি একা একা হাটছেন তাই আপনার সাথে একটু গল্প করি (রায়হান)

“” সরি আমার গল্প করার মোড এখন নেই excuse me (বলেই চলে আসি)

(রায়হান) – মনে হচ্ছে বালিকা তোমার প্রেমে হাবুডুবু খেতে আর বেশি সময় নেই (বাঁকা হেসে)
.
.
.
.
.
.

আচ্ছা রিমুর গালে সাগর চরটা মেরেছে আর মামিকেও ফুপি ডেকেছে তারমানে এই বাসারি কেউ একজন লাগে এসব ভাবতে ভাবতে হাটছি হঠাৎ একটা দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেলাম উপরে তাকিয়ে দেখি দেয়াল না মানুষ মানে আমার সামনে সাগর
.
.
.

ঐ ছেলের সাথে কি কথা বলছিলা (রাগী চোখে)

“” কেনো আপনাকে বলবো আর আমার কি কারো সাথে কথা বলা নিষেধ “”

এখন থেকে কোনো ছেলের সাথে কথা বলবে না
বোঝছো?
কি হলো বল?
আমার কথা কি কানে যায় না 😡(রাগী গলায়)

আআপনি তো বল্লেন এখন, কোনো ছেলের সাথে কথা না বলতে আপনি ও তো ছেলে তাই না 🙄

কাকে কী বোঝাই 😐তুমি আমার সাথে কথা বলবা আর এক্সট্রা কোনো ছেলের সাথে না, যাও এখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হও (বলেই চলে গেলো)

আজব আসল কথাই বলতে পারলাম না আর ওনি আমার কে হোন যে ওনার কথা মানতে হবে 😏
(গান) “”
“” কন্যারে কন্যারে
“” তর রূপের মধু মন ভোলায়
“” আকেবাঁকে রোধে ডাকে
” তর গালে রাঙা রং মাখায় (২বার)
” মিছে বায়না, করে আয়না
“” তোর চোখেরই ভাষায়
চাঁদ লাজে এসে কাছে
তোর কাজলে লোকায়

“” “” “গিয়ে দেখি ফাংশন শুরু হয়ে গেছে আর এতক্ষণ যে গান বাজছিলো ওরা কতজন এক সাজে পাঞ্জাবী পরা ডান্স করছিলো তার মধ্যে সাগর ও আছে বাহ ডান্সটা জাস্ট ফাটাফাটি

মাথাটা প্রচন্ড ধরেছে একটু রেস্ট নিলে ভালো হবে অনুষ্ঠানও শেষের দিকে এসে গেছে রুমের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম হঠাৎ আমার সামনে কেউ একজন আসছে তাকিয়ে দেখি ওই লোকটা মানে রায়হান
আপনি ” (তানিসা)

(রায়হান) – আমার আপনার সাথে কিছু কথা আছে””
স্যরি আমার কাজ আছে সরুন (বলেই পাশ কেটে চলে যেতে চাইলে লোকটা আমার হাত ধরে)

(সাগর)- মেয়েটা গেলো কোথায় দেখা যাচ্ছে না উফ আমার চোখের আড়াল হলেই বুকটা কেমন যেন একটা করে কি আছে ওই মেয়েটার মধ্যে (মনে মনে)

(তানিসা) -……..

.
.
.
চলবে…. . অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা, অবিরাম ভালোবাসা ””

কেমন লাগলো জানাবেন 😊
[ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!

 

বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ সাজনা আক্তার ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন…………

👉আমাদের ফেসবুক পেজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *