অপ্রিয় হলেও সত্যি

অপ্রিয় হলেও সত্যি !! Part- 10

Megh La
মেঘ রুম থেকে বেরিয়ে আসতে যায় এমন সময়,
আসফি মেঘের হতটা ধরে টান মারে, মেঘ টোল সমলাতে না পেরে আসফির বুকে গিয়ে পরে, আসফি এক হাতে জড়িয়ে রেখেছে মেঘের কোমড় কপালে কাপলটা ঠেকিয়ে গাইতে লাগলো,
tu gujar rahahe mera dil se mare ruhu tak tu hi tu sukun mare he tuhi he junuiyat. Jo e diwana pan he tuj se aj thanha tare sang lamha lamha ji rahakahu katra sa payar tumse lak he duya dyua ieyad he. Roj jal rakahe mujme vid gaiya jara sa.
এই টুকু গান গেয়ে আসফি বলতে লাগলো,
-তোমার জন্য গেয়েছিলাম জীবনে প্রথম গান মনে আছে মেঘ৷ সেই ছোট্ট ৮ম শ্রেনির মেঘকে ভালোবেসেছিলাম । তোমার কাছে আসি নি কখোনো কিন্তু ১ টা বছর পার হতে বুঝতে পারলাম তুমি ছাড়া অচল আমি। জীবনের মানেই খুঁজে পায় না৷ কেমন খালি খালি লাগে। তখন তমার আসে পাশে নিজেকে রাখার চেষ্টা করতাম। সেই পিচ্চি মেয়েটা আজ যে মেয়েটা আমার বৌ৷ আমার হৃদস্পন্দন চলার কারন৷
বেঁচে আছি যার জন্য৷ ক্ষমা করে দেও না বৌ। কষ্ট হচ্ছে তোমার থেকে দুরে থাকতে।
মেঘ মাথা উচু করে,
-ভুলতে বললে সবটা ভুলা যায়। বলুন কি কি ভুলবো বলুন ভুলে যাবো সেই দিন হাতে গরম কফি ফেলার কথা, ভুলে যাবো সুধু পোরা হাত নিয়ে রান্না না করতে পারায় এক ঘর ভর্তি মাখরোসার মধ্যে ছেড়ে আসার কথা, ভুলে যাবো বিনা করনে আমানুষের মতো মার খাওয়ার কথা। কি কি ভুলবো বলেন৷ কতোটা ভোলা সম্ভব। সম্ভব কিছু না যেনে না বুঝে দিনের পর দিন আমানবিক টর্চারের কথা physically, mentally all tipe এর টর্চার করেছেন৷ আমার উপর তখন মনে পরে নি আরে মেয়েটা যে বাচ্চা । কেন মনে হয় নি তখন এতোই ভালোবাসি ওকে একটা বার প্রশ্ন করি, মেঘ এমনটা তুমি করেছো। বিশ্বাস করেন আমাকে না। একটুও না বিশ্বাস তো আপনি আপনার মা বাবার খুনিকে করেন৷ আজ ওই লোকটা না বললে হয়তো আমি এখন অন্য কোন কারনে ওই বিছানায় পরে কাটা ছাগলের মতো লাফাতাম। ঠিক অন্য কোন টর্চার চলতো আমার উপর।
কাঁদতে কাদতে মেঘের হেচকি উঠে গেছে তাও এক দমে বলে ফেললো কথা গুলো যেন এতদিনের জমানো রাগ, অভিমান, অভিযোগ সব ঝেড়ে দিলো।
-কি হলো চুপ কেন বলুন না। (আসফির কলাড়টা ধরে ঝাকিয়ে)
আসফি পাথারের মূর্তির নেয় দাড়িয়ে আছে, আসলে এই ভুলের কোন ক্ষমা আদো আছে? সে যে বাচ্চা একটা মেয়ে সেটাকি সে বুঝেছিলো।৷ জানতে চেয়েছিলো একটা বার। বিশ্বাস আসলে সে তো মেঘকে বিশ্বাস করে না। করলে তো মেঘকে বলতো সবটা।
মেঘ আসফির হাতের ডিল পেয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে কোথায় যেন চলে যায়। আসফি ওখানে হটু মুড়ে বসে কাঁদছে
– কি করে এভাবে কষ্ট দিলাম আমি কি করে। ওকে হারালে মরে যাবো আমি। কি করে ওর থেকে ক্ষমা নিবো আমি৷
এসব ভাবছে আর চোখের পানি বিন্দু বিন্দু মাটিতে পরছে।
সরাটা দিন আসফি নিজেকে ঘরে লক করে রেখেছে কোন ফোন কল কোনো কথা কিছুই বলে নি।
মেঘও সারাটা দিন ছাদে কাটিয়েছে দুপুরের কাক ফাটা রোদেও সেখানেই ছিলো।
ভলোবাসার গভিরতাটা মাপার যন্ত্র এ পৃথিবীতে তৈরি হয় নি এখনো। কিন্তু কাছে থেকে যেন দূরত্ব বেশি৷ মনের দূরত্ব বাড়ো দূরত্ব পৃথিবীর যে কোন দূরত্বকে হার মানায়।
💕
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো আকাশের বুকে, মৃদু আলো হালকা মেঘ হালকা নীল এ যেন অপরুপ প্রকিতি৷ মেঘ এক মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
এমন সময় পেছন থেকে কেউ তার কোমড় জরিয়ে ঘাড়ের চুল গুলে সরাতে ব্যাস্ত।
স্পর্শটা তার চেনা আর কেউ নয় এটা আসফি।
-ছাড়ুন ।
-না।
-ছাড়ুন(রেগে)।
-ও মা আমার বৌ টার দেখি ঘাড়ে তিল আছে। আগে খেয়াল করিনিতো আসলে আগেতো এতো কাছে আসিনি। (কিস করে)
(মেঘের ঘাড়ে ডান হাতের দিকে একটা তিল আছে সব সময় কাপড়ে ডাকা থাকে সিক্রেট তিল বলা যায়)
-কি সমস্যা আপনার।
-আনেক সমস্যা।
-রাগ হচ্ছে কিন্তু।
-হেক। আমার বৌ খায় নি সারা দিন গোসলও করে নি। সারা দিন এই ছাদের রোদে পুরেছে ফরসা মুখটা লল হয়ে গেছে। বৌ কলো হয়ে যাবে তো
-বৌ না আপনার আমি বৌ হলে জানিয়ে বিয়েটা করতেন।
-পরের বার জানিয়ে করবো আর তুমিতো নামেই বৌ এখনে বৌ এর মতো কোন আচারন করেছি নাকি৷ তবে তুমি চাইলে করতে পারি 😁😉
-দাত গুলো পরে যাবে সব উগান্ডার অধিবাসী। 🤬
-যাক। তখন তোমাকেই বুড়ার বৌ কইবে লোকে৷ 😁😘
-,🤬🤬
আসফি আর কথা না বাড়িয়ে মেঘকে কোলে তুলে নেয়।
-এই মিয়া এই কথায় কথায় কেলে নেওয়া কোন ধারা সভাব। নামান বলছি। 🤬🤬
-হেতি মুর মুন ডারে অহোনে বুঝবার পারলো নারে। কি আর করার ট্রায় মেরে যায়।
আসফি মেঘকে টেবিলে এনে, হাত আর পা বেধে দেয়।
-আআআআআআআআ ছাড়ুন মেরে দিবো এক দম বলে দিলাম৷ লুচ্চা বেটা তোর বৌ কালো হবে দেখিস।।
-নেও হয়ে গেলো৷ তা মহারানি বৌটা কে আমার শুনি।।
মেঘ ভেবে দেখলো সে তো নিজেকে গালাগাল দিচ্ছে।
-এখন না কথা বলে খেয়ে নেও (মেঘের মুখে খাবার ধরে)
মেঘ খাবার খেতে খেতে নখের আঁচড় বসিয়ে দেয় আসফির হতে৷
-নখ নাকি ছুড়ি মেরে ফেলবা নাকি৷
মেঘ খেয়াল করে অনেকটা লাল হয়ে গেছে। মনে মনে অনুতপ্ত কিন্তু আসফিকে দেখালো না।
-জংলি বিড়াল।
-কি।
-জংলি বিড়াল।
-কে।
-তুমি।
🤬🤬🤬
আসফি মেঘের খাবারটা শেষ করে নিজে একটু খেয়ে নেয়,
-খুব ভালে মেয়ে এখন চলো
-কোথায়৷
-গোসলে।।
-কেন।
-গোসল করবা না।
-করবে আপনার সাথে কেন যাবো একাই যাবে আমি।
-না আমি আর তুমি যাবো।
-না৷
-হ্যা৷
-না।
-হ্যা।
-না
-না
-হ্যা।
-😁😁😁 হ্যাতো আমি তোমাকে হ্যাই বলছি।
-👿👿
(আসলে হয়েছেটা কি মেঘ একটু বচ্চা টাইপের তর উপরে সান্ত সভাবের। কষ্ট গুলো নিজের মধ্যে পুশে রাখে নিজেকে সমলায় নিজে কিন্তু অতিরিক্ত কষ্ট তার মনে দাগ কেটেছে। বাচ্চা সভাবের মেয়েটার সাথে বাচ্চমি করে মোন পেতে হবে এটা আসফি বুঝতে পেরেছে৷ তাই নিজেকে সমলে মেঘের সাথে তার মতো করে ব্যাবোহার করার ট্রায় করছে)।
আসফি মেঘকে কোলে নিতে,

চলবে,
(আসলে আমি নিতান্তই এক জন নতুন রাইটার। আমি চেষ্টা করি গল্প বড়ো করতে কিন্তু হয় না আমি জানি। তবে আপনাদের ভালোবাসা পেলে অবশ্যই আমি আপনাদের মনের মতো বড়ো করে গল্প লিখতে সক্ষম হবো। আর একটা সমস্যা তো আছেই বানান ভুল ১০০ বার eidt দিলেও ভুল হয় 🥴🥴🥴।
ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ)