অন্ধকার

অন্ধকার !! Part- 05

নেহাল তনুর ঘাড়ে কামড় দিয়ে ওর রক্ত খায়। কিছুক্ষণ পর ওকে ছেড়ে দিয়ে বলে,
— ঠিক আছো?
~ হ্যাঁ।
— প্লিজ ভয় পেয়েও না আমার আসল রূপ দেখে৷ চেয়েছিলাম কোন দিন যেন আমার আসল রূপ তুমি না দেখো কিন্তু মনে হচ্ছে তা আর সম্ভব না। আমাকে যেভাবে হোক তোমাকে বাঁচাতেই হবে৷
বলেই নেহাল মুহূর্তেই মধ্যে ওর আসল রূপ ধারণ করে। তনু দেখে নেহালের শরীর আস্তে আস্তে অনেক বড়ো হয়ে যায়। ওর পুরো শরীর মানুষ থেকে একটা হিংস্র পশুর মতো হয়ে যায়। ওর শরীর এত বড়ো হয়ে গিয়েছে যে তনু নেহালের পায়ের নিচে পড়লেই মারা যাবে৷ নেহালের পুরো শরীরে কেমন কাটা কাটা আর রক্ত প্রবাহ হচ্ছে। শুধু তাই না পুরো শরীরের বাইরে থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। আর নেহালের মাথাটা কঙ্কালের মতো। ওর চোখ পুরো লাল। যেন রক্ত ঝরছে। এই বিভৎস দৃশ্য দেখে তনুর অবস্থা খুব খারাপ। নেহালের আসল রূপ যে এতটা ভয়ংকর হতে পারে তনু কল্পনাও করেনি। ও একটা পাথরের পিছনে লুকিয়ে ছিল। তনু দেখে একের পর এক ভ্যাম্পায়ার ওর দিকে তেড়ে আসছে। কিন্তু নেহাল কাউকেই তনুর কাছে আসতে দিচ্ছে না। ও বিকট গর্জন দিয়ে উঠছে। ওর পুরো শরীরের অনেক ভ্যাম্পায়ার উঠে ওকে আঘাত করছে। নেহাল আর কোন উপায় না পেয়ে এবার ওর সত্যিকারের পাওয়ার ব্যবহার করে৷ ও একের পর এক ভ্যাম্পায়ারগুলোকে মারতে থাকে। ও অনেক ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে। নিজের উপর ওর আর কোন কন্ট্রোল নেই। তনু চোখ দুটো বড়ো বড়ো করে নেহালের হিংস্রতা দেখে যাচ্ছে। এতটা ভয়াবহ ভাবে নেহাল ওই ভ্যাম্পায়ার গুলোকে মারছিল যে, কারো মাথা ছিড়ে যাচ্ছে, কারো শরীর দুভাগ হয়ে যাচ্ছে, কেউ ওর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। আবার কাউকে ও চিবিয়ে খেয়ে ফেলছে। এভাবে টানা এক ঘণ্টা নেহাল লড়াই করে। ওর আলটিমেট শক্তি প্রায় শেষ হয়ে আসছিল। এখনো অনেক ভ্যাম্পায়ার বাকি। তাই ও আর কোন উপায় না পেয়ে নিজের সব শক্তি ব্যবহার করে মুহূর্তেই সব ভ্যাম্পায়ারকে মেরে ফেলে। আর সাথে সাথে ও আগের মতো হয়ে ঠাস করে বালির ওপর পড়ে যায়। তনু কাঁদতে কাঁদতে নেহালের কাছে দৌড়ে চলে আসে। এসে দেখে ওর পুরো শরীরের অনেক জায়গা থেকে রক্ত ঝরছে, অনেক বড়ো বড়ো ক্ষত হয়েছে। তনু যেন এসব মানতেই পারছে না। ও কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার দিয়ে বলে,

~ এইই যে….আপনার কি হয়েছে? চোখ খুলুন, কথা বলুন। নেহাল….
নেহাল কোন কথা বলে না৷ একটু নড়াচড়াও করছে না। ইভেন কোন নিঃশ্বাসও নিচ্ছে না। তনু নেহালের এই অবস্থা দেখে অসম্ভব ভয় পেয়ে যায়৷ ওর অস্থিরতা বেড়ে আকাশচুম্বী। ও ঠিক কি করবে বুঝতে পারছে না। আশেপাশে এতশত লাশ পড়া তাও এত বিভৎস ভাবে যে ও খুব ভয়ও পাচ্ছে। তনু নেহালের রক্তাক্ত মুখখানার দিকে তাকিয়ে শুধু অঝোরে কাঁদছে। নেহাল কি আর নেই? ওকে বাঁচানোর জন্য এতকিছু করেছে নেহাল। কারণ তনু দেখেছে অর্ধেকের বেশি ভ্যাম্পায়ার শুধু ওকে মারার জন্যই ওর কাছে আসছিল কিন্তু নেহাল তার আগেই তাদেরকে মেরে ফেলে সব আঘাত নিজের গায়ে নিয়ে। বাকি ভ্যাম্পায়াররা তো নেহালের উপর অ্যাটাক করতেছিলোই। প্রতিটি ভ্যাম্পায়ারই অনেক শক্তিশালী ছিল। নেহাল যদি তনুর রক্ত না খেতো তাহলে কখনোই এতগুলো ভ্যাম্পায়ারকে মারা ওর পক্ষে সম্ভব হতো না৷ তনু এসব ভেবে হঠাৎ করে ওর মাথায় আসে, হ্যাঁ রক্ত। ওর রক্তই তো নেহালের সবচেয়ে বড়ো শক্তি। কিন্তু নেহাল তো এখন অচেতন। তাহলে কিভাবে ওর রক্ত খাবে! তনুর নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। যে লোকটা ওকে বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রাখলো এখন তাকে বাঁচাতে ও কি কিছুই করতে পারবে না? তনু ওর হাত দুটো সামনে এনে তাকায়। হঠাৎই ও একটা বুদ্ধি পেয়ে যায়। তবে এই কাজটা করলে ও অনেক ব্যথা পাবে। তাতে কি যদি নেহাল আবার আগের মতো হয়ে যায়। তনু ওর একটা আঙুলের মাথা অনেক কেটে ফেলে। সাথে সাথে গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে। তনু দেরি না করে নেহালের মুখে ওর আঙুল দিয়ে দেয়। এবার সব রক্ত নেহালের মুখের ভিতর যাচ্ছে। কিন্তু কোন কিছু হচ্ছে না৷ তনুর খুব ভয় করছে। তাহলে কি আজ ওর রক্তও আর কাজে দিবে না। নেহাল চিরতরে হারিয়ে যাবে৷ ওর একমাত্র আপনজনটাও শেষমেশ এভাবে হারিয়ে যাবে! তনুর খুব চিন্তা আর ভয় হচ্ছিল। নেহালের মাঝে কোন পরিবর্তন নেই। অলরেডি অনেক রক্ত গিয়েছে। তাও কিছুই হচ্ছে না৷ কিন্তু হঠাৎই তনু অবাক হয়ে দেখে, নেহালের ক্ষত গুলো আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাচ্ছে। ওর শরীর থেকে রক্ত পড়াও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আরও পাঁচ মিনিটের মধ্যে নেহালের পুরো শরীর একদম ভালো হয়ে যায়। আর তার ঠিক একটু পরই নেহাল আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকিয়ে তনুর আঙুলে হালকা একটা কামড় দিয়ে ফেলে। তনু ব্যথায় গোঙ্গানি দিয়ে উঠে। নেহাল সাথে সাথে এক লাফে উঠে বসে তনুর দিকে তাকায়। ওর আঙুলটা মুখ থেকে বের করতেই নেহাল সব বুঝে যায়। তনু নেহালকে একদম সুস্থ হতে দেখে ও আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে নেহালকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,
~ আপনি বেঁচে আছেন! আল্লাহ তোমার কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া। আপনি ঠিক আছেন তো?
নেহালও তনুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,

— আমার তনু আমার পাশে থাকতে আমার কিছু হতে পারে বলো? তুমি যদি রক্তটুকু আমাকে না দিতে আমি হয়তো আর কখনো তোমার এই মায়াবী মুখখানা, তোমার এই উষ্ণ স্পর্শ আর তোমার সীমাহীন ভালবাসাটা আর পেতাম না৷
~ চুপ করুন। আপনার কিচ্ছু হতে দিব না আমি। অনেক ভালবাসি আপনাকে। জানেন খুব ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছি আমার একমাত্র আপনজনটাও হারিয়ে যাবে৷
— তোমার ভালবাসা আমাকে আবার বাচিঁয়ে দিয়েছে। দেখি তোমার আঙুল টা।
নেহাল তনুর কাটা আঙুলটা নিয়ে একটা চুমু দেয়। সাথে সাথে ওর কাটা জায়গাটা আবার ভালো হয়ে যায়। নেহাল এবার মাথা নিচু করে আছে৷ তনু ওর গাল দুটো ধরে চিন্তিত স্বরে বলে,
~ কি হলো? মন খারাপ করলেন কেন?
— তুমি কি এখন আমাকে দেখে ভয় পাবে? কারণ আমার আসল রূপ দেখে ফেলেছো তুমি।
~ আমি তো রূপের পূজারি না। আপনার মনটা আমার ভালো লেগেছে, আপনার সঙ্গ আমার ভালো লেগেছে, আপনার রহস্যময় হাসিটা আমার ভালো লেগেছে। আর কি চাই বলুন তো।

— তুমি সত্যিই আমার জন্য৷
~ আর আপনিও আমার জন্য৷ তবে হ্যাঁ আপনি যে এতটা ভয়াবহ হতে পারেন আমার জানা ছিল না।
— আসলে বারবার মনে হচ্ছিল আমি যদি একবার হাল ছেড়ে দি ওরা তোমাকে মেরে ফেলবে৷ আর তুমি একবার চলে গেলে আর কোন দিন আমি তোমাকে ফিরে পাবো না। তাই আমার ভিতরে যে হিংস্র পশুটা ছিল আমি আমাকে তার কাছে তুলে দিয়েছিলাম তোমাকে বাঁচাতে৷
~ প্লিজ আমার জন্য আর এভাবে নিজের জীবনকে বাজি রাখবেন না৷
— সে দেখা যাবে৷ এবার বাসায় চলো। তোমাকে অনেক ক্লান্ত লাগছে।
~ হুম চলুন৷
নেহাল তনুকে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। আশেপাশে এতগুলো ভ্যাম্পায়ারের লাশ দেখে ও একটা হাত উপরে উঠিয়ে চুটকি বাজায়। আর সাথে সাথে সবগুলো লাশে আগুন ধরে ছাই হয়ে যায়। তারপর ওরা আবার তনুর বাসায় চলে আসে। নেহাল তনুকে বলে,
— তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো। আমি বারান্দায় আছি।
~ যদি কেউ দেখে ফেলে?
— ভয় নেই তুমি ছাড়া এখন আমাকে আর কেউ দেখতে পারবে না৷ এতগুলো ভ্যাম্পায়ারকে মারার ফলে আমার মধ্যে নতুন নতুন অনেক পাওয়ার এসেছে।
~ ওহ! আচ্ছা যাচ্ছি তাহলে।
তনু একটা ড্রেস নিয়ে চলে যায়। নেহাল বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠে,
— সামনে আয়।
নেহালের বন্ধু ওর সামনে চলে আসে। এসে বলে,
— তাহলে তুই বেঁচে গেলি? কিন্তু কিভাবে? এতগুলো ভ্যাম্পায়ারকে মারার ক্ষমতা তোর মাঝে আছে?
— কেন এসেছিস সেটা বল।
— একটা ভালো খবর আছে আর একটা খারাপ।
— বল শুনি।

— মারসু রাইবেদানের সাথীরা তোর ভয়ে ওর পিছু ছেড়ে তোর কাছে আত্নসমর্পণ করেছে। ওরা বলেছে আর কোনদিন তোর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।
— হাহা। ওরা বললেই আমি বিশ্বাস করবো? তবে খবরটা ভালো। আর খারাপ খবরটা কি?
— মারসু খুব খারাপ কিছু করতে যাচ্ছে। ও নাকি রেড ট্রি পাইনে গিয়েছে। নতুন করে ওর আর্মি বানাতে। তার মানে বুঝছিস?
— ও কি ভেবেছে শয়তানের শক্তি নিয়ে আমাকে মারতে পারবে? কখনো না। ওর থেকেও বেশি শক্তি আছে আমার কাছে। শোন খুব তাড়াতাড়ি আমরা ডার্কনেসে আসছি। রেডি থাকিস আমাদের আর্মি নিয়ে।
— তুই কি সত্যিই ওকে ভ্যাম্পায়ার বানাবি?
— হ্যাঁ। এছাড়া ওকে বাঁচানোর আর কোন উপায় নেই। আর তারচেয়ে বড়ো কথা ওকে আমি ভালবাসি। ডার্কনেসের একমাত্র কুইন ওই হবে৷
— ওরানতিশ(নেহালের ভ্যাম্পায়ার নাম) তুই জন্ম থেকে ভ্যাম্পায়ার আর তনু তো মানুষ। ও যদি এই পরিবর্তন না নিতে পারে?
— রাইগার(নেহালের বন্ধুর নাম) আমি ওরানতিশ, আমার চেয়ে ভালো কে জানবে বল? আমার তনুর পাওয়ার সম্পর্কে তোর ধারণা নেই।
— ঠিক আছে তুই যা ভালো ভাবিস। আমি আসি।
— যাহ! খুব তাড়াতাড়ি আবার দেখা হবে ডার্কনেসে।
— হুম।
রাইগার চলে গেলে নেহাল চোখ বন্ধ করে চাঁদের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে। চাঁদের আলোতে ওর শরীর অনেক শক্তি উৎপন্ন করে। এদিকে তনু ফ্রেশ হয়ে বারান্দার দিকে আসে। এসে দেখে নেহাল দাঁড়িয়ে আছে। তনু কিছু না ভেবেই নেহালকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। আর বলে,
~ কি ভাবছেন?
— খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।
~ ইসস! মাথায় খালি দুষ্টামি ঘুরে তাই না?
নেহাল তনুর দিকে ঘুরে ওর কোমড়টা জড়িয়ে ধরে ওর দিকে মুচকি একটা হাসি দিয়ে তাকিয়ে থাকে। চাঁদের আলোতে তনুকে অসম্ভব সুন্দরী লাগছিল। নেহাল আস্তে করে ওর গাল দুটো ধরে আর বলে,
— সামনে আরও বড়ো বাঁধা আসছে। এ যাত্রায় আমি একা লড়াই করেছি। কিন্তু তখন আর তা সম্ভব না। তোমাকে নিয়ে ডার্কনেসে যেতে হবে৷
~ ডার্কনেস? এটা আবার কি?

— ওহ! তোমাকে তো বলিই নি। আমি ডার্কনেসে থাকি। আমি বলতে আমরা যারা ভ্যাম্পায়ার তারা সবাই ওখানে থাকে। ডার্কনেস হলো ভ্যাম্পায়ারদের দুনিয়া৷ ওখানে সব ভ্যাম্পায়াররা থাকে। একটা আলাদা দুনিয়া সেটা। সেখানে অনেক ধরনের ভ্যাম্পায়ার থাকে। আর তাদের সবার রাজা একমাত্র আমি, ওরানতিশ।
~ ওরানতিশ, আপনার আসল নাম?
— হ্যাঁ। আর নেহাল নামটা এই দুনিয়ার জন্য৷
~ ওও। ডার্কনেস কি অনেক সুন্দর? নাকি ভয়ংকর?
— তোমাদের পৃথিবীর মতোই। তবে কিছুটা আলাদা। ওখানে সুপারন্যাচারাল পাওয়ার আছে সব কিছুতে। ওখানে কোন সাধারণ মানুষ যেতেই পারবে না৷ তাহলে সে সাথে সাথে মারা যাবে। তাই তোমাকেও খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাম্পায়ার হতে হবে তনু। খুব তাড়াতাড়ি।
তনু খুব লজ্জা পাচ্ছে। লজ্জার ওর মুখখানা লাল হয়ে গিয়েছে। নেহাল ওকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলে,
— আমার কি মনে হয় জানো, তুমি যদি ভ্যাম্পায়ার হও আমার থেকেও অনেক শক্তিশালী হবে তুমি।
~ আমিও আপনার মতো ফাইট করতে পারবো তখন?
— হ্যাঁ পারবে৷ আমি তোমাকে অনেক কিছু শিখাবো। তুমি তো ডার্কনেসের রাণী হবে৷ তোমাকে সব জানতে হবে৷ আমরা দুজন মিলে হাজার হাজার বছর রাজত্ব করবো। না না আমাদের ছেলে মেয়ে করবে৷ তুমি আর আমি শুধু প্রেম ভালবাসা করবো।
~ যাহ! কেউ হাজার বছর বাঁচে নাকি?

— হাহা৷ তুমি ভ্যাম্পায়ার হলে হাজার বছর বাঁচবে৷
~ কি সত্যিইইই? আমি হাজার বছর আপনাকে আমার কাছে পাবো?
— হ্যাঁ পাগলিটা।

তনু নেহালের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর নেহাল তনুর দিকে। হঠাৎই নেহাল খেয়াল করে তনুর চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। নেহাল তনুর চোখ দুটো মুছে দিতে দিতে বলে,
— একি! কাঁদছো কেন?
~ আপনাকে হারানোর ভয় করছে খুব। কিছুক্ষণ আগেও আমরা জীবন মরণ পরিস্থিতিতে ছিলাম। আবার যদি সেই মুহূর্ত চলে আসে।
— এবার আর তা হবে না৷ কারণ এই শেষ যুদ্ধে তুমিও আমার পাশে থাকবে। আমরা একসাথে বিজয় আনবো। তারপর সুন্দর একটা জীবন পাড় করবো।
~ সত্যি?
— হ্যাঁ।
ওরা একে অপরের দিকে মায়ায় ভরা ভালবাসার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তনুর ঠোঁট জোড়া কাঁপছিল। নেহাল কেন জানি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না৷ ও তনুকে একদম অবাক করে দিয়ে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তনুর মিষ্টি ঠোঁটদ্বয়কে….
চলবে..?