অন্তরালে তুমি আমি !! লেখাঃ মস্ত লিজা
অন্তরালে তুমি আমি
-তোর শাড়ির আঁচল বারবার খুলে খুলে পরে যায় কেন? পুরুষ মানুষকে কি শরীর না দেখালে চলে না? নাকি তাদের ছোঁয়া পেতে শাড়ি পরিস?
কথাটা বলেই একটানে অহনার ব্লাউজের হাতাটা ছিড়ে ফেলে আবির।অহনা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আবির ঠাসসস! করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।
-তোকে আমি আগেও বলেছি পুরুষ মানুষের থেকে একশত গজ দূরত্ব বজায় রাখবি।তোর কি আমার কথা কানে যায় না?
কথাটা বলে অহনাকে টেনে হিচড়ে সিঁড়ি দিয়ে ঘেষতে ঘেষতে রুমে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয়।অহনা উঠে দাড়াতেই আবির অহনার শাড়ির আঁচলটা ধরে একটানে খুলে ফেলে।আর বলে চেঞ্জ করে নিতে।অহনা ভয়ে ভয়ে আবিরের দিকে তাকায়।আবিরের এমন রূপ আগে কখনো অহনা দেখেনি।অহনা আবিরকে বোঝাতে যায় আসলে ঘটেছিলোটা কি!
কিন্তু আবির কিছুই শুনতে চাই না।সে অহনার প্রতি আরও বেশি রেগে যায়। আর রাগের বসে অহনার ব্লাউজের আরেকপাশের হাতাটাও টেনে ছিঁড়ে ফেলে।তারপর অহনার গালটা শক্ত করে চেপে ধরে বলে,
-আজ থেকে বাড়ির বাইরে যাওয়া তোর জন্য বন্ধ।
কথাটা বলে শব্দ করে দরজারটা বন্ধ করে আবির রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।
আর আবির চলে যাওয়ার পর অহনা সেঠায় বসে পরে।আর কাঁদতে থাকে।আবিরের এই রূপটা অহনার ভেতরটা যেন দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে।অনেকটা কস্ট হচ্ছে অহনার।
(বিঃ দ্রঃ “ অন্তরালে তুমি আমি !! লেখাঃ মস্ত লিজা ” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)
আবির বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা পার্টিতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে বন্ধু আদি ড্রিক করতে করতে মেয়েদের গা ঘেঁষে ড্রান্স করছে।
আবির সেটা দেখে আর নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারে না।ওই মেয়েগুলোর মধ্যে যেন অহনাকে দেখতে পায় আবির।যেটা আবির সহ্য করতে না পেরে আদিকে ভীরের মধ্যে থেকে টেনে দূরে নিয়ে আসে।তারপর পার্টির মিউজিকটা অফ করে দিয়ে আদিকে মারে।মারতে মারতে রক্তাক্ত করে ফেলে। তারপর বলে,
-তোর সাহস কি করে হয় আমার অহনাকে স্পর্শ করার? তোকে তো আমি..
আবির ব্লেড খুলে আদিকে আবারও মারতে যায় আর জলি এসে আবিরের হাত থেকে ব্লেডটা কেড়ে নেয় আর বলে,
-ওকে কেন মারছিস আবির? তুই চিনিস না ওকে? ওতো এমনই।মেয়েদের প্রতি আসক্ত। কিন্তু তোর অহনা? ও কেন নিজের সতিত্ব বিলিয়ে দিতে এর কাছে এসেছিলো সেটা একবার গিয়ে নিজের অহনাকে জিজ্ঞাসা কর!
আবির আর কিছু না বলেই পার্টির থেকে চলে আসে।আর ড্রিক করতে করতে গাড়ি ড্রাইভ করে বাড়ির দিকে যায়।আর ভাবে, অহনাকে কিভাবে আদি স্পর্শ করছিলো।দূর থেকে দাড়িয়ে আবির দেখেছে আদির স্পর্শে অহনা একটুও অস্বস্তিবোধ করে নি।
-তাহলে কি জলি ঠিকই বলে অহনা..নাহ কি ভাবছি আমি..
অহনা সেখানেই বসে থাকে।আর কাঁদতে থাকে।ভাবে, কেন আবির এতোটা বদলে গেল? যেই আবিরকে ভালোবেসে অহনা নিজের পরিবার, আপনজনদের ছেড়ে চলে এসেছে আজ সেই আবির এমনটা করছে, কেন আবির তখন পুরো কথাটা শুনলো না।সবকিছু না শুনে কেন এমন আচারণ করছে!
-আবিরের কথা মতো তো কোনো ছেলেদের সাথে কথায় বলি না আমি।আর আজ আমি তো পার্টিতে যেতে চাই নি।আবিরই জোড় করেছে যেতে।আর এই শাড়িটাও তো আবিরই অফিসে থাকতে পাঠিয়েছিলো।একবার ভেবেছিলাম এমন পাতলা শাড়ি পরবো না কিন্তু জলিই বোঝালো এটা না পরলে আবির রেগে যাবে তাই তো পরলাম।ওকি জানতো না আমি শাড়িতে অভাস্ত না? জলি ঠিকই বলে আবির বদলে গেছে।হয়তো ওর জীবনে অন্য কেউ এসে গেছে।
,
,
,
চলবে,,,,
বিঃ দ্রঃ ” লেখাঃ মস্ত লিজা ” লেখকের লেখা অন্য গল্প গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন !!