অনাকাঙ্ক্ষিত সে

অনাকাঙ্ক্ষিত সে !! Part- 06

মিশ্মি তখনও গালে হাত দিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। চোখগুলো কেমন ছলছল করছে। নুয়াজের মেজাজ এবার চরমে উঠে যায়।
“থাপ্পড় কি আরেকটা খেতে ইচ্ছে করছে? চুপ করে আছো কেন? এখানে কি হাওয়া খেতে আসছো?”
“না। মরতে আসছি।”
“কিহ্? মাথা ঠিক আছে তোমার?”
“আছে।”
“কেন মরতে চাও শুনি?”
“কি করবো বেঁচে থেকে? বেঁচে থাকলে একদিকে আপনার যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে। আরেকদিকে পরিবারের অত্যাচার। আমি আর পারছিনা এসব সহ্য করতে। প্রতি রাতে আপনার বিছানার সঙ্গী আর হতে পারছিনা। নিজের প্রতি ঘৃণা হয় আমার।”
“এত ঘৃণা? আর আমি যদি বলি আমি কিছু করিনি?”
“আপনি বললেই হলো? আপনার স্পর্শের চিহ্ন এখনো আছে আমার শরীরে। আর আপনি এখন বলছেন কিছু করেননি?”
“কসম করে বলছি মিশ্মি আমি কিছুই করিনি। তোমার শরীরের ঐ চিহ্ন আমি ইচ্ছে করেই করেছি যাতে তুমি ভাবো আমি তোমার সাথে ফিজিক্যালি ইনভলভ্ হয়েছি। তাছাড়া তোমার সাথে মাত্র দু’রাত কাটিয়েছি আমি। এই দুরাতেই কি তুমি সজ্ঞানে ছিলে? তুমি হয়ত ভেবেছো আমি তোমার ঘুমের সুযোগ নিয়েছি? কিন্তু না আমি এটা করিনি। প্রথম রাতে তোমার খাওয়ার পানিতে ঘুমের ওষুধ আমিই মিশিয়েছিলাম। আর দ্বিতীয় রাতে কফির সাথেও ঘুমের ওষুধ আমিই মিশিয়েছি। তাছাড়া ফিজিক্যাল কিছু হলে সামান্য হলেও তো মানুষ নিজে বুঝে। তুমি এমন কিছু ফিল করেছো বলো তো?”
মিশ্মির নিজের কান, চোখ কোনোটাকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা। চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না কারণ ভাবছে এটা কি সত্যিই নুয়াজ?
“কিছু বলো মিশ্মি।”
“আপনি সত্যিই কিছু করেননি?”
“না। সত্যিই কিছু করিনি। তুমি যেমন ছিলে তেমনই আছো। চাইলেই তুমি এখন মুক্ত হতে পারো। বাঁধা দিবো না তোমায়। কিন্তু তার আগে এটা বলো আমায় বাড়িতে কি হয়েছে?”
“অনেক কিছু অনেক। আপনি নাকি বাড়িতে আমায় বিয়ে করার কথা বলেছেন?”
“হ্যাঁ। তোমার বাড়ির সবাই এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা করেছে।”
“বড়খালা চায় তার মেয়ে এ্যানির সাথে আপনার বিয়ে দিতে। আমাকে বাড়ি থেকে আপনার কাছেই পাঠিয়েছে।”
“কেন?”
“আমি যাতে আপনাকে রাজি করাই এ্যানিকে বিয়ে করার জন্য।”
“তাহলে তুমি আমায় রাজি না করিয়ে মরতে যাচ্ছিলে কেন?”
“মানে?”
“মানে কি আবার? তুমি তো আমায় ভালোবাসো না। তাই তোমার খালাতো বোনকেই বিয়ে করি। কি বলো?”
“আমি কি জানি?”
“তুমি যদি চাও তাহলেই বিয়ে করবো।”
“আমার উপর ডিসিশন চাপিয়ে দিচ্ছেন কেন?”
“কারণ বরাবরের মত তুমি আমায় রিজেক্ট করেছো তাই।”
“আপনি চাইলে বিয়ে করতে পারেন। তাহলে বড়খালা সবচেয়ে বেশি খুশি হবে।”
“তুমি এত সহজ সরল কেন বলো তো?”
“আমি কি করেছি?”
“ঐ নরকে তুমি থাকো কিভাবে? এত অত্যাচার তুমি সহ্য করো কিভাবে?”
“আপনি আমার বড়খালাকে চিনেন না। তিনি খুব ডেঞ্জারাস মহিলা।”
“বাহ্! ভালো বলেছো। সে নারী, তুমিও নারী। সে অন্যায় করলে তুমি প্রতিবাদ করতে পারবে না?”
“ওদের সবার সাথে আমি একা কিভাবে পারবো?”
“আগে প্রতিবাদ করার মনোবল দৃঢ় করতে হয়। তোমার সেই মনোবল আছে? শোনো তুমি যত নরম হবে তারা ততই বেশি সুযোগ পাবে। নিজেকে শক্ত করো। আর ওদের প্রতিবাদ করো।”
“আমি পারবোনা।”
“তোমাকে পারতে হবে মিশ্মি। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে দুজনই সমান অপরাধী। আর তুমি কি চাও সেই অপরাধ করতে? বাস্তবতার সম্মুখে লড়াই করার সাহস থাকতে হবে তোমার।”
মিশ্মি কিছু বলছেনা। চুপ করে আছে। নুয়াজ একটা সিগারেট ধরায়। সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে উড়াতে বলে,
“বাড়ি যাও এখন। নেক্সট টাইম আমি সাহসী মিশ্মিকে দেখতে চাই।”
মিশ্মি এবার মুখ খুলে।
“আপনি কি তাহলে এ্যানিকে বিয়ে করবেন না?”
নুয়াজ হাসে।
“এতগুলো কথা বললাম এতক্ষণ। উত্তর পাওয়ার কথা তোমার।”
“হু।”
.
.
মিশ্মি বাড়িতে গিয়ে দেখে সবাই বসার ঘরে বসে আছে। মিশ্মিকে দেখে বড়খালা এগিয়ে আসে।
“নুয়াজ আসেনি?”
নুয়াজ গাড়ি পার্কিং করে ততক্ষণে এসে পড়েছে। নুয়াজকে দেখতে পেয়ে সবাই সাদরে ভেতরে নিলো। বসতে দিলো। বড়খালা ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলল,
“যা যা তোরা খাবার নিয়ে আয়।”
নুয়াজ হেসে বলে,
“এত ব্যস্ত হওয়ার কিছু নেই আন্টি।”
তিনি ইনিয়েবিনিয়ে বলেন,
“আসলে কি বলবো বাবা তখন মাথা ঠিক ছিল না। তাই যা নয় তাই বলে ফেলেছি। তুমি রাগ করে থেকো না।”
“না, না। আমি কিছু মনে করিনি।”
“শুনে খুশি হলাম বাবা। আমার মেয়ে এ্যানিকে তোমার পছন্দ হবে। খুব সুন্দরী আমার মেয়ে।”
“আমি আপনার মেয়েকে পছন্দ করে কি করবো?”
“মিশ্মি তোমায় কিছু বলেনি?”
“বলেছে। কিন্তু মিশ্মি বললেই যে আমি রাজি হবো এটা আপনি ভাবলেন কিভাবে?”
ছোট খালা তখন বলে,
“দেখেছো আপা মেয়ের কাজ। ওকে তুমি পাঠাইছ কি কাজে আর সে করছে কি। উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে এনেছে।”
নুয়াজ বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়। ছোটখালার সামনে গিয়ে বলে,
“আমি বাচ্চা নই আন্টি। কেউ আমাকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা শিখাবে আর আমি সেটাই শিখবো? এতটা বোকাও নই আমি।”
বড়খালা তখন মিশ্মির চুলের মুঠি ধরে বলেন,
“তোরে কি আমি এইজন্য পাঠাইছিলাম?”
বড়খালার কাছ থেকে মিশ্মিকে সরিয়ে ধাক্কা দেয় বড়খালাকে। তিনি যেন তখন আরো তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন।
“তোমার এত্ত বড় সাহস! আমার গায়ে হাত তুলো তুমি?”
“রাখেন আপনার সাহস। আপনি আমার সাহস আর ক্ষমতা সম্পর্কে জানেন? আপনাকে যদি এখন আমি মেরেও ফেলি না তাতেও হাত কাঁপবে না আমার। আপনার লাশ গুম করতে আমার জাস্ট ১০ মিনিট লাগবে।”
“তুমি কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলতেছো নুয়াজ।”
“বাড়াবাড়ির এখনো কিছুই দেখেননি আপনি। আমি চাচ্ছিও না দেখাতে। তাহলে আপনার দাঁড়িয়ে থাকারও ক্ষমতা হবেনা। একটা কথা কান খুলে শুনে রাখুন। যত টাকা লাগে আমি দিবো। কিন্তু মিশ্মির গায়ে যেন একটা আঁচড়ও না লাগে।”

নুয়াজ একটা চেক বের করে বড়খালার দিকে ছুঁড়ে মারে।
“এখানে ২০ হাজার টাকার চেক আছে। হবে তো? না হলে আমাকে জানাবেন।”
মিশ্মির দিকে তাকিয়ে বলে,
“সাবধানে থেকো। আমি আসছি।”
মিশ্মি নুয়াজের যাওয়ার পথের দিকে চেয়ে আছে। বড়খালার ভেতর আগুন তখন বেড়েই চলেছে।
.
মোহনা আর মিশ্মি রাতে এক বিছানাতেই ঘুমায়। মিশ্মিকে জড়িয়ে ধরে মোহনা বলে,
“নুয়াজ ভাইয়া কি তোমায় ভালোবাসে?”
“জানিনা রে।”
“আমার তো সেটাই মনে হয়। হুট করেই কিভাবে তোমায় বাঁচাতে চলে আসলো বলো। তুমি নুয়াজ ভাইয়াকে বিয়ে করে এই বাড়ি থেকে চলে যাও আপু। নয়তো মা, খালারা আর মামা তোমায় ভালো থাকতে দিবেনা।”
“তোকে আর বাবাকে রেখে আমি কোথাও যেতে পারবো না।”
“আপু তুমি আমাদের কথা ভেবো না। খালারা, মা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা মায়ের জন্য।”
“তবুও পারবো না রে। আর কথা বলিস না। ঘুমা।”
মোহনা আর কথা বাড়ায় না। চুপটি করে মিশ্মিকে ধরে ঘুমিয়ে যায়। মিশ্মি ভাবতে থাকে নুয়াজের কথা। কাঙ্ক্ষিত মানুষ কি কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত হতে পারে? এত সুযোগ পেয়েও নুয়াজ কিছুই করেনি। মিশ্মির মনে নুয়াজের জন্য আলাদা ভালোলাগা আর সম্মান জন্ম নেয়। আজও বড়খালার হাত থেকে কিভাবে রক্ষা করলো। একসময় ভাবনার প্রহর কাটিয়ে মিশ্মি ঘুমিয়ে পড়ে।

রাতঃ১টা
মিশ্মির দরজায় কড়া নাড়ছে কেউ। দরজা খুলে দেখে রেহেনুমা বেগম। মিশ্মি ঘুমঘুম চোখে বলে,
“এত রাতে ডাকলে কেন মা?”
“মোহনাকে ডাক। রেডি হ তাড়াতাড়ি।”
“এত রাতে রেডি হবো মানে? কোথায় যাবো?”
“তোর বড়খালার বাসায়।”
“কেন?”
“জানিনা।”
“আমি যাবো না। তোমরা যাও আমি যাবো না।”
“এত রাতে ঝামেলা বাঁধাস না তো মিশ্মি। আপা আসলে কিন্তু কেলেঙ্কারি অবস্থা হয়ে যাবে। তাই ভালোই ভালো রেডি হয়ে নে। চোখে-মুখে পানির ছিঁটা দে যা।”

সবাই রেডি হয়ে বড়খালার বাসায় রওনা দিলো। আসার পথে মিশ্মির ফোনটা খু্ঁজে পাচ্ছিল না। মোহনার ফোন মায়ের কাছে। কিছুই বুঝতে পারছেনা। হঠাৎ করে কি হচ্ছে এসব। কেউ কিছু বলছেও না। সবাই যে যার মত মুখে তালা দিয়ে বসে আছে। ভোরে বড়খালার বাসায় পৌঁছালো। রাতে ঘুম না হওয়ায় মোহনাকে নিয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলো।
সাতটার দিকে বড়খালা টেনে উঠায় মিশ্মিকে। মিশ্মি তখন ঘুমে ঢুলুঢুলু। মিশ্মির হাতে এক সিট কাপড় ধরিয়ে দিয়ে বলে,
“যা এটা পড়ে রেডি হয়ে নে। তারপর একটু সাজ।”
“কেন?”
“তোর সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে?”
মিশ্মি জামাটা খুলে দেখে স্লিভলেস জামা। জামার গলাটাও বেশ বড়। বুকের অর্ধেক অংশ অনায়াসে দেখা যাবে। সাথে খুব টাইট একটা সালোয়ার। এই পোশাক পড়লে শরীরের প্রত্যেকটা ভাঁজই স্পষ্ট দেখা যাবে। মিশ্মি ড্রেসটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলে,
“এসব পোশাক আমি কখনোই পড়বো না।”
“পড়তে হবে তোর। ছেলেদের আকর্ষণ করতে হলে আকর্ষণীয় পোশাকই পড়তে হবে। এমন ঢিলেঢালা পোশাক পড়লে চলবেনা।”
“কি বলতে চাইছো তুমি?”
“আমি যা বলতে চাইছি তা খুব পরিষ্কার। তোর নাগর এসে আমাকে কথা শুনিয়ে যাবে, আমার গায়ে হাত তুলবে আর আমি বসে বসে আঙ্গুল চুষবো? আমাকে চিনিসনি এখনো তোরা। এর শোধ আমি তুলবোনা ভেবেছিস? ঐদিক দিয়ে নুয়াজের থেকে টাকাও নিবো আর এইদিকে তোর শরীর বেঁচেও টাকা নিবো। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে। খদ্দের যেন খুশি হয় খেয়াল রাখবি।”
বড়খালার কথাগুলো তীরের মধ্যে বিঁধলো মিশ্মির গায়ে। কান গরম হয়ে যাচ্ছে। নিজের গায়ের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে বড়খালার গালে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। থাপ্পড়টা আচমকা আর এত জোড়েই দিয়েছে যে বড়খালা টাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পড়ে গিয়েছে।
“মানুষ সৎ হলেও এত খারাপ হতে পারে? এতদিন তোর সব অত্যাচার সহ্য করেছি। ভাবতাম তুই তো মায়ের বোন।মায়েরই মত। সৎ মা আমাকে সারাজীবন সৎই ভেবেছে। কিন্তু আমি তো তাকে মায়ের জায়গায় বসিয়েছিলাম। আর তুই ছিলি তার বোন। তুই তো মানুষ না। তুই ডাইনী। আজ আমার জায়গায় তোর মেয়েকে এই কথাগুলো বলতে পারতি? তোর মেয়েকে দিয়ে ব্যবসা করাতে পারতি? তোর যদি এতই টাকার লোভ থাকে তাহলে যা না নিজের শরীর বিক্রি করে টাকা ইনকাম কর। এতে তুই টাকাও পাবি আর তোর শরীরের জ্বালাও মিটবে। আল্লাহ্ যেন তোর মত মহিলার ওপর গজব ফেলে গজব।”
ছোট খালা পেছন থেকে মিশ্মির হাত টেনে ধরে থাপ্পড় দিতে যাবে মোহনা তখন ছোটখালাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। বটি হাতে নিয়ে বলে,
“আপু তুই এখান থেকে পালা আপু। নয়তো এই পশুর দল তোর সম্মান রাখতে দিবেনা। পালা আপু।”
বড়খালা চোখ গরম করে বলে,
“মোহনা হাত থেকে বটি ফেল বলছি।”
“তোমাদের কথা শুনে আমার আপুর ক্ষতি আমি করবোনা। আপু যা তুই প্লিজ। তুই ভয় পাস না। এরা আমার কোনো ক্ষতি করবেনা। এদের রক্ত তো আমার গায়ে আছে তাই আমার ওপর পশুর মত অত্যাচার করতে পারবেনা। যা তুই। তোর পায়ে পড়ি আপু।”
বড়খালা মিশ্মিকে আটকাতে গেলে মোহনা বটি নিয়ে কোপাতে যায়। মিশ্মি বড়খালাকে ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে অনেক দূর চলে এসেছে। হাতে একটা টাকাও নেই। ফোনও নেই। কোথায় যাবে কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা। এই জায়গাটাও চিনেনা মিশ্মি। একটু আগে কি ঘটে গেল ভাবতেই বুকের ভেতর ভয়ের দানা বেঁধে যাচ্ছে। হাত-পা কাঁপছে।

হাসপাতাল থেকে বের হয় আলভী। গাড়িতে উঠতে যাবে তখন মিশ্মিকে দেখতে পায়। আলভী দ্রুত মিশ্মির কাছে যায়। পেছন থেকে ডাকে,
“মিশ্মি!”
মিশ্মি প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। আলভীকে দেখে একটু আশ্বাস পায়।
“আপনি এখানে?”
“তিনটা হসপিটালেই আমি দুইদিন করে রোগী দেখি। আজ এই হসপিটালে এসেছি রোগী দেখতে। কিন্তু তোমার এমন এলোমেলো অবস্থা কেন? তুমি এখানেই বা কেন?”
মিশ্মি ভীষণ ক্লান্ত স্বরে বলে,
“পানি! একটু পানি দিবেন?”
“পানি খাবে? দাঁড়াও গাড়ি থেকে নিয়ে আসি।”
আলভী গাড়িতে পানির বোতল আনতে যায়। মিশ্মির মাথা ঘুরাচ্ছে। চারপাশের সবকিছু ঘুরছে। ঝাপসা লাগছে সবকিছু। মিশ্মি মাথা ঘুরে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।
চলবে….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *